আওয়ামী লীগের শাসনামলে গত ১৫ বছরে প্রতিটি গুম-খুনের বিচার হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু।
তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো বৈষম্যের ঠাঁই নাই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ আওয়ামী লীগের শাসনামলের প্রতিটি খুন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, দুর্নীতি, লুটপাটের বিচার হবে। গত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ তাদের নেতা-কর্মীরা ঢাকাসহ সারা দেশে যত খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি করেছে সব তদন্ত করে অপরাধীর বিচার করতে হবে।’
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মার্কেট, ঢাকা স্টেডিয়াম, মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম এলাকায় বসবাসরত সব শ্রেণির নাগরিক ও ব্যবসায়ীর সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে ধারাবাহিক কর্মসূচির আওতায় এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
রফিকুল আলম মজনু বলেন, ‘ছাত্রদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশ আজ ঐক্যবদ্ধ। এই নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব। কেউ যেন কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। এ দেশে কেউ সংখ্যালঘু নয়। সবাই বাংলাদেশি। কেউ হিন্দুদের বাসাবাড়ি, মন্দির, দোকানপাটে আক্রমণ করলে তো আওয়ামী লীগের মতোই কাজ করছেন।’
তিনি বলেন, ‘যারা মানুষের ওপর অত্যাচার করবে, চাঁদাবাজি করবে, তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরবে। কেউ রেহাই পাবেন না। তারা যদি দলের কেউ হয়, দলও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পতনের মধ্য দিয়ে এখন থেকে দেশে আর কোনো চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও লুটপাট চলবে না।’
আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও তাদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মজনু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নামে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। এ আওয়ামী লীগ আজ দেশের সবচেয়ে ঘৃণিত দল। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে তারা জুলুম, নির্যাতন ও সম্পদ লুটপাট করেছে বলেই জনগণ তাদের এখন চরম ঘৃণা করে।’
যারা ‘নব্য বিএনপি’ হতে চাইছে তাদের ব্যাপারে সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগের কিছু দুষ্কৃতকারী নিজেদের রক্ষা করতে ‘নব্য বিএনপি’ হতে চেষ্টা করছে। তাদের দুর্নীতি, অনাচার, লুটপাট আর মানুষের ওপর অত্যাচারকে আড়াল করতে তারা এ কৌশল নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের নেতা-কর্মী যেন দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশীদ, এস কে সিকান্দার কাদির, সাবেক সদস্য আব্বাস, কাউন্সিলর নাসরিন জাহান পুতুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন, শ্রমিক দলের সদস্যসচিব বদরুল আলম সবুজসহ শাহবাগ থানা, পল্টন থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতারা।
শফিকুল ইসলাম/ইসরাত চৈতী/অমিয়/