ঢাকা ১ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

খালেদা জিয়ার জন্মদিনে কেক কাটবে না বিএনপি

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
খালেদা জিয়ার জন্মদিনে কেক কাটবে না বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মদিন আগামীকাল বৃহস্পতিবার। এবার জন্মদিনের কেক না কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। তবে বুধবার (১৪ আগস্ট) রাত ১২টা থেকে চেয়ারপারসনকে দলীয় নেতা-কর্মী, আত্মীয়স্বজনরা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাবেন।

জানা গেছে, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের কারণে ২০১৬ সাল থেকেই বড় পরিসরে খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপন থেকে সরে এসেছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও জন্মদিন উপলক্ষে রাখা হয়নি কোনো কর্মসূচি। তবে ১৬ আগস্ট শুক্রবার খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় সারা দেশের দলীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করবে বিএনপি। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র এক সদস্য জানান, ১৫ আগস্ট শোক দিবসে খালেদা জিয়ার জন্মদিন বড় পরিসরে পালন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে দীর্ঘদিনের। এ কারণে কয়েক বছর আগে থেকেই কেক কাটা বন্ধ করা হয়েছে। তাই সরকার পতনের পর এবারও যদি বড় আকারে জন্মদিন পালন করা হয়, তাহলে জনগণের মনে আরেক বিতর্ক তৈরি হবে। 

তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে বিতর্ক মুখে ফেলতে পারি না। ফলে এবারও গত বছরের ন্যায় জন্মদিন পালিত হবে। তার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করে সারা দেশে দোয়া মাহফিল কর্মসূচি পালন করা হবে।’

খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় পুলিশ এসকর্ট
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় পুলিশ এসকর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার জানিয়েছেন এ তথ্য।

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় পুলিশ এসকর্ট রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ম্যাডাম ২০২০ সাল থেকে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্ত পেলেও তখন নিয়মিত পুলিশি নিরাপত্তা ছিল না।’ 

তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সাজা থেকেও পুরোপুরি মুক্তি পেয়েছেন খালেদা জিয়া। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাজা মওকুফ করেছেন বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছিল।

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মুসলিম উম্মাহকে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ এএম
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মুসলিম উম্মাহকে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে এ শুভেচ্ছা জানান তিনি।

বাণীতে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের কাছে প্রার্থনা করি, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্য অসংখ্য দরুদ ও তার প্রতি সালাম জানাই।’

তিনি বলেন, ‘মহানবী (সা.)-এর আবির্ভাব ছিল একটি বিস্ময়কর ব্যাপার। মানবজাতি তার আগমনে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সব অত্যাচার-অনাচার, কুসংস্কার, নিষ্ঠুরতা, সামাজিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, মানবিক অসাম্য ও মানবাধিকার বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিষ্কৃতি লাভের আলোকিত পথের সন্ধান পায়। তিনি মানবতার মুক্তির দিশারী।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মহিমান্বিত সত্তার আবির্ভাব ঘটে এই পৃথিবীতে। এই দিনটি শেষ নবীর জন্মদিন হিসেবে মুসলমানের মধ্যে পালিত একটি উৎসব। সৃষ্টির সেরা মানব বিশ্বনবীর মতো এ মহান নেয়ামতের আগমন দিবস কতই না মর্যাদাবান, গুরুত্ববহ, কতই না আনন্দের তা সহজেই অনুমেয়।’ 

আজ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও মানবতার পথপ্রদর্শনকারী মহানবীর ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভাবের দিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা তার মর্যাদা সুউচ্চ আসনে অভিষিক্ত করেছেন। পৃথিবীতে মানুষ ইহজগত ও পরজগতের মুক্তির সন্ধান পায় এই দিনে।’

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘মহানবী (সা.) মানব জাতির জন্য এক অত্যুজ্জ্বল অনুকরণীয় আদর্শ। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য, সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ-যন্ত্রণা ভোগ করে তিনি তার ওপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল কোরআনের বাণী তথা তাওহিদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন।’

শেখ হাসিনা মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছেন : মামুনুল হক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ পিএম
শেখ হাসিনা মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছেন : মামুনুল হক
গণসমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। ছবি : খবরের কাগজ

শেখ হাসিনা মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড় স্টেডিয়ামে নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ছিল শেখ হাসিনার প্রতিশোধের রাজনীতি। তিনি শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি আরেকটি দেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। তিনি একবারও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর কথা না ভেবে পালিয়ে গেছেন।’ 

মামুনুল হক আরও বলেন, ‘একাত্তরের স্বাধীনতা হয়েছিল কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন তৈরি হবে না তার ভিত্তিতে। কিন্তু আমরা দেখলাম বিজয়ের পরে সাত কোটি মানুষের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ’৭২-এ বাংলাদেশের মানুষের ওপর একটি সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাহাত্তরের এই চেতনার মাধ্যমে একাত্তরের চেতনাকে হাইজ্যাক করা হয়েছিল। ’৭১ থেকে ’৭৫ পর্যন্ত ৩০ হাজার যুবককে হত্যা করেছে বাকশালীরা। আপনার কাছে যদি ৩০ হাজার মানুষের প্রাণের কোনো দাম না থাকে তাহলে এ দেশের মানুষের কাছে আপনার বাপ-ভাইয়ের রক্তের কোনো দাম থাকবে না।’ 

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কখনোই সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা হতো না। এটি ছিল নাটক। এই নাটকের কুশীলব ছিলেন শেখ হাসিনা ও তার দোসররা। এরা রাতের অন্ধকারে কাল নাগিনী হয়ে সংখ্যালঘুদের ছোবল মারত, আবার সকালে ওঝা হয়ে ঝাড়ত। এখন তারা নেই, নাটকও নেই। এখন বাংলাদেশ সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সংগঠনটির পঞ্চগড়ের সভাপতি মীর মোর্শেদ তুহিন, জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইনসহ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতা-কর্মী এবং হাজারও মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

ফ্যাসিবাদী সরকার পাথর আমদানির মাধ্যমে টাকা পাচার করেছে: ফয়জুল করীম

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৯ পিএম
ফ্যাসিবাদী সরকার পাথর আমদানির মাধ্যমে টাকা পাচার করেছে: ফয়জুল করীম
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কথা বলছেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করীম। ছবি : খবরের কাগজ

পরিবেশের দোহাই দিয়ে দেশের পাথর উত্তোলন বন্ধ করে ভারত থেকে পাথর আমদানির মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকার সেদেশে টাকা পাচার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির ও শায়খে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করীম।

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকার নদী থেকে পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ভারত থেকে নিম্নমানের পাথর কেনে। ফলে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করার সুযোগ পায় তারা। প্রতিবছর ভারতে চলে যায় ৫ বিলিয়ন কোটি ডলার।’

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন ফয়জুল করীম। 

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার ভারতের স্বার্থে সবকিছু করেছে। দেশের জনগণের স্বার্থে কিছু করেনি। আর বিনিময়ে ভারত আমাদের নিম্নমানের জিনিস দেয়, বর্ষা মৌসুমে ডুবিয়ে মারে, শুষ্ক মৌসুমে পানি বন্ধ করে মরুভূমিতে পরিণত করে। এটাই ভারতের বন্ধুত্বের নমুনা।’ 

ফয়জুল করীম আরও বলেন, ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দিয়ে নদী থেকে পাথর উত্তোলন শুরু করতে হবে। পাথর না তুললে নদী ভরাট হয়ে বন্যার সৃষ্টি হবে।’ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে পাথরকোয়ারিদের দাবি মেনে নিয়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের মহাসচিব মুফতি রেজাউল করীম আবরার, বুনিয়ান আবাসনের চেয়ারম্যান মাওলানা রশীদ আহমদ ফেরদৌস, মুফতি ইমাম উদ্দীন, সিলেট বিভাগীয় পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক শওকত আলী বাবুল, কোম্পানীগঞ্জ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল আজিজ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিমুল ইসলাম আঙ্গুর, জাফলং পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস উদ্দিন লিপু প্রমুখ। 

নেতারা বলেন, ‘অনতিবিলম্বে পাথর কোয়ারি খুলে দিয়ে ঋণখেলাপিতে ধসে পড়া ব্যবসায়ীদের ঋণ মওকুফ করতে হবে। দেশি ভালো ও মানসম্মত পাথর উঠিয়ে ভারতের পাথর আমদানি বন্ধ করে রিজার্ভ বৃদ্ধি করুন। ডলার সংকটের এই দুঃসময়ে বিদেশ থেকে কোটি কোটি ডলার খরচ করে নিম্নমানের পাথর আমদানি করা হচ্ছে।’

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে না পারলে চাকরি থাকবে না : নুর

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৭ পিএম
হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে না পারলে চাকরি থাকবে না : নুর
আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ছবি : খবরের কাগজ

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গোপালগঞ্জের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে, তা না হলে সেখানকার প্রশাসনের কারও চাকরি থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন অথচ তার দোসররা এখনো সক্রিয়। তারা গোপালগঞ্জে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, এই সন্ত্রাসীরা সংগঠিত হয়ে সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করেছিল। তাদের শায়েস্তা করতে না পারলে ভবিষ্যতে বড় রকমের অঘটন ঘটাতে পারে।’

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে ‘দেশে বেকারত্ব মহামারি নিরসনে অন্তবর্তী সরকারের কাছে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

নুরুল হক নুর বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতার ওপর দেশের আগামীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। এই সরকার সফল হলে জনগণের জন্য ভালো হবে, আর ব্যর্থ হলে দেশের মানুষকে ভুগতে হবে। তাই সরকারকে সফল করার জন্য সবার সহযোগিতা করা উচিত। গণঅধিকার পরিষদ সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছি এবং ভবিষ্যতেও দেবে।’

তিনি বলেন, ‘পত্রিকায় এসেছে নতুন ডিসির ৪৯ জনই আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, তাদের প্রশাসনে রেখে দেশ সংস্কার সম্ভব না। ছাত্র-জনতা দেশকে নতুনভাবে গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে, এখন যুবকদের দায়িত্ব হবে তাদের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা। বর্তমানে সংসদ সদস্য নির্বাচন করতে ২৫ বছর বয়স হতে হয়, তরুণদের সুযোগ দিতে কমিয়ে ২১ বছর করতে হবে। আগামীতে সংসদে কমপক্ষে ১৫০ জন তরুণ এমপি থাকতে হবে।’

দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয়। বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী সুবিধাভোগীদের সরিয়ে আওয়ামী সুবিধাভোগীদেরই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এটা শহিদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি।’
 
সভায় আগামী ২০ সেপ্টেম্বর মানববন্ধন ও ২২ সেপ্টেম্বর সারা দেশে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা দেন বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন। আর ৭ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম। 

প্রস্তাবগুলো হলো- সব ধরনের বৈষম্যমুক্ত চাকরি ও কর্মসংস্থানকে মৌলিক অধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দেওয়া। চাহিদাভিত্তিক ও কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন ও আইসিটি সেক্টরে তরুণদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া। সব চাকরিতে আবেদন ফি, জামানত ও বয়সসীমামুক্ত চাকরির ব্যবস্থা এবং ঘুষ ও দুর্নীতির মতো অসদুপায়ে নিয়োগের প্রক্রিয়া বন্ধ করা। তরুণদের সম্পৃক্ত করে স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি ও আন্তজার্তিক বাজার ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সনদ জামানতে সুদবিহীন ঋণ দেওয়া এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের দেশের মোট ঋণের ৫০ শতাংশ ঋণ দিতে হবে। বেকার তরুণদের জন্য ভাতা দেওয়া। দেশের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে শতভাগ চাকরি ও কর্মসংস্থানের আওতায় আনতে হবে। বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষিতদের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে বা সুদমুক্ত ঋণসুবিধার আওতায় বিদেশে পাঠাতে হবে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, অ্যাড. সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ। 

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

রাঙামাটিতে বিএনপির ৯ নেতাকর্মী বহিষ্কার

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম
রাঙামাটিতে বিএনপির ৯ নেতাকর্মী বহিষ্কার
বিজ্ঞপ্তি

রাঙামাটি সদর ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৯ নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে জেলা বিএনপি।

এসব নেতাদের বিরুদ্ধে ‘জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, মানুষকে হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও দলের নেতাকর্মীকে শারীরিক নির্যাতন করাসহ নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার পর থেকে রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পৃথক তিনটি চিঠি দিয়ে ৯ নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানায়।

চিঠিতে জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপুর স্বাক্ষর রয়েছে।

বহিষ্কারকৃতরা হলেন- বাঘাইছড়ি পৌর বিএনপির সদস্য মো. নাছির, বাঘাইছড়ি পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. বখতেয়ার, রাঙামাটি মহিলা কলেজ এলাকার মোহাম্মদ রানা, মো. লিটন, মো. রুবেল, জেলার পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের মোহাম্মদ কালু মিয়া (কসাই কালু), মো. ফারুক, মো. ইকবাল ও মো. জুয়েল।

প্রকাশিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘দলীয় পদ-পরিচয় ব্যবহার করে আপনি মো. নাছির, সদস্য, বাঘাইছড়ি পৌর বিএনপি এবং মো. বখতেয়ার, যুগ্ম আহবায়ক, বাঘাইছড়ি পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল রাঙামাটি পার্বত্য জেলা নিজ স্বার্থে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, মানুষকে হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও দলের নেতাকর্মীকে শারীরিক নির্যাতন করাসহ দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে।

এরূপ অপকর্ম থেকে বিরত থাকার জন্য কেন্দ্রীয় ও রাঙামাটি জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে দলের সব নেতাকর্মীকে বহুবার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু আপনি দলের নির্দেশনা অমান্য করে এ সব গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে দলীয় সুনাম ও দলীয় শৃঙ্খলা নষ্ট করছেন।

আপনার এ সকল কর্মকাণ্ড দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলাবিরোধী হওয়ায় দলের গঠনতন্ত্রের ৫ (গ) ধারা মোতাবেক অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনে আপনাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সব পর্যায়ের সংগঠনের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। এই সিদ্ধান্ত আজ (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।’

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর করা ওই চিঠির অনুলিপি বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, বাঘাইছড়ি পৌর বিএনপির সভাপতি সম্পাদক ও রাঙামাটি জেলা যুবদলের সভাপতি সম্পাদকের কাছে দেওয়া হয়েছে।

জিয়াউর জুয়েল/জোবাইদা/অমিয়/