ঢাকা ১ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছাত্র-জনতার রক্ত মাড়িয়ে কোনো শোক পালন নয়: ববি হাজ্জাজ

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম
আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম
ছাত্র-জনতার রক্ত মাড়িয়ে কোনো শোক পালন নয়: ববি হাজ্জাজ
ছবি : খবরের কাগজ

ছাত্র-জনতার রক্ত মাড়িয়ে ৫০ বছর আগের কোনো ঘটনার শোক পালন করা যেতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের সরকারি ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের ইতিহাসে নিকৃষ্টতম পতিত স্বৈরাচার খুনি হাসিনার প্রত্যক্ষ মদদে জুলাই-আগস্ট মাসে নির্বিচারে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের এই ক্ষত বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে। আমরা এত রক্ত মাড়িয়ে ৫০ বছর আগের কোনো ঘটনার শোক পালন করতে পারি না।’
 
বুধবার (১৪ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগকে সতর্ক করে ববি হাজ্জাত বলেন, ‘এনডিএমের ছাত্র সংগঠনসহ দেশের ক্রিয়াশীল ৩৪টি ছাত্র সংগঠন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একযোগে ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ছাত্র-জনতা ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৫ আগস্ট মাঠে থাকবে। সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে এনডিএম রাজপথে থাকবে। এদিন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা যদি কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করে, তা হলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা তার পুরো শেখ পরিবার নিয়ে বিদেশে পালিয়ে গিয়ে দেশের ভেতরে অরাজকতা তৈরির জন্য হিন্দু সম্প্রদায়কে উসকে দিচ্ছে। জনগণ এসব নাটক অনেক দেখেছে, এখন প্রতিরোধের সময়। আওয়ামী লীগের গণহত্যা, মানবতাবিরোধী সব অপরাধ এবং লুটপাটের বিচার হবেই।’

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার কর্তৃক জামায়াতে ইসলামীর ওপর আরোপকৃত নিষেধাজ্ঞার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার দাবি জানিয়ে এনডিএম চেয়ারম্যান বলেন, দেশের মানুষ যাদের গ্রহণ করবে তাদের রাজনীতি এবং নির্বাচন করার পূর্ণ অধিকার আছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ববি হাজ্জাজ বলেন, আমরা মনে করি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত খুলে দেওয়া উচিত। পাশাপাশি প্রশাসনের সব স্তর থেকেই ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিদায় করতে হবে। এ জন্য স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের পদ বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।

শফিকুল ইসলাম/জোবাইদা/অমিয়/

কাদের গনি চৌধুরী আল্লাহর ভালোবাসা পেতে রাসুলের (সা.) পথ অনুসরণ করতে হবে

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
আল্লাহর ভালোবাসা পেতে রাসুলের (সা.) পথ অনুসরণ করতে হবে
ছবি : খবরের কাগজ

‘আল্লাহর বিধান প্রতিপালন ও প্রিয় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতের অনুসরণই দুনিয়ার শান্তি ও পরকালে মুক্তির একমাত্র পথ। পবিত্র কুরআনের বর্ণনায়- প্রিয় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভালোবাসা মুমিনের ইমান; আর তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শ তথা, সুন্নাতের অনুসরণই হচ্ছে তাকে ভালোবাসার প্রমাণ।’

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী।

আহলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন আলহাজ হয়রত মওলানা শাহসূফি সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদুল ইসলামের (ম.জি.আ.) সভাপতি আলোচনায় অংশ নেন- মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ মাইনুল ইসলাম জুনায়েদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল, আলহাজ শহিদুল ইসলাম বাবুল, হাজী সেলিম আহমেদ সালেম প্রমুখ।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘‘বিশ্ব জাহানের স্রষ্টা এবং প্রতিপালক মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বিশ্ববাসী সব সৃষ্টির ইহকালীন শান্তি ও পারলৌকিক মুক্তির জন্য মহানবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পাঠিয়েছিলেন এই ধরাধামে। প্রথম নবী হযরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু করে নবুয়তের ধারাবাহিকতায় তিনি এ পৃথিবীতে আগত সর্বশেষ নবী এবং রাসূল। তাঁর আগমনে গোটা বিশ্বজাহান আনন্দে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠেছিল। আকাশে বাতাসে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়ে উঠেছিল মুক্তির বারতা। তাঁর আগমনে স্রষ্টাকে ভুলে যাওয়া মানবজাতি নতুন করে সন্ধান পেয়েছিল মুক্তিপথের। তাওহিদের অমিয় বাণী কালিমা ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ তথা এক আল্লাহ ব্যতিত আর কোনো উপাস্য নেই- এই মহাসত্যের বুলন্দ আওয়াজ ছড়িয়ে পড়েছিল জগতময়। সত্যের পথে, শান্তির পথে, মুক্তির পথে ফিরে আসার সুযোগ লাভ করেছিল জগৎবাসী। লাত, মানাত, উযযা, হুবলদের মতো মিথ্যে এবং অসার উপাস্যদের বিদায়ের বারতা ঘোষিত হয় বিশ্বময়। মানব সৃজিত অন্ধকার এবং পঙ্কিলতার পথ ছেড়ে বনি আদম পুনরায় মাথা নত করার শিক্ষা লাভ করে এক আল্লাহর সামনে। আজকের বিশ্ববাসীর কল্যাণ ও মুক্তিও তাঁর রেখে যাওয়া সুমহান আদর্শ ধারণ করার মধ্যেই। সেই মহান আদর্শের ছায়াতলেই হোক আমাদের পথচলা।’

সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, ‘‘হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন ইনসানে কামিল বা পরিপূর্ণ মানব। মানবীয় অবয়বে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লার গুণাবলী যতটুকু ধারণ করা সম্ভব, তার সর্বোচ্চ সমাহার ঘটেছিল মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মধ্যে। আয়শা রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহার বাচনিকে, ‘প্রিয় নবীজীর জীবন ছিল জীবন্ত কুরআন’। তাঁর শুভাগমনে ইসলামের পরিপূর্ণতা ঘটেছে।’’

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুমহান আদর্শ ও সর্বোত্তম চরিত্র অনুসরণ করার মধ্যেই সফলতা, স্বার্থকতা, মুক্তি এবং চূড়ান্ত কামিয়াবি। ইহকাল পরকালে সফলতা ও নাজাতের জন্য বিশ্ববাসী প্রত্যেকের জন্য তাঁর অনুসরণই একমাত্র কর্তব্য।’

তিনি নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইতিহাসের অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব উল্লেখ করে বলেন, ‘‘অন্য ধর্মাবলম্বীরাও তাঁকে মানবজাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কারক ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী বিখ্যাত পণ্ডিত মাইকেল এইচ হার্ট তার বহুল আলোচিত ‘দ্য হান্ড্রেড’ গ্রন্থে হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ’ হিসেবে স্থান দিয়েছেন। ব্রিটিশ মনীষী সাহিত্যিক জর্জ বার্নার্ড শ বলেছেন, এই অশান্ত পৃথিবীতে তার মতো একজন মানুষের প্রয়োজন। তিনি বেঁচে থাকলে পৃথিবী জুড়ে সুখের সুবাতাস বইতো। তার আগমনে যে বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল, দুনিয়া জুড়ে তা বিস্তৃত হয়েছে।’’

ইসলাম প্রতিশোধে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর তাবত আদর্শ এবং মতবাদ খুঁজেও এর দ্বিতীয় একটি নজির পাওয়া যাবে না। ইসলামের শিক্ষা, ‘প্রতিবাদের শ্রেষ্ঠ পন্থা উত্তম আচরণ’। প্রিয় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সারা জীবনের আদর্শ ছিল এটাই। মন্দের প্রতিবাদ তিনি কোনদিন মন্দ কাজ দিয়ে করেননি। প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর সারা জীবনের চরিত্র ছিল উত্তম এবং শ্রেষ্ঠতম আচরণ প্রদর্শন করতেন। ঘোরতর শত্রুদের সঙ্গেও সর্বাবস্থায় তিনি ছিলেন কোমল এবং সর্বোত্তম আচরণের মূর্ত প্রতীক।’

অমিয়/

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মুসলিম উম্মাহকে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ এএম
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মুসলিম উম্মাহকে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে এ শুভেচ্ছা জানান তিনি।

বাণীতে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের কাছে প্রার্থনা করি, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্য অসংখ্য দরুদ ও তার প্রতি সালাম জানাই।’

তিনি বলেন, ‘মহানবী (সা.)-এর আবির্ভাব ছিল একটি বিস্ময়কর ব্যাপার। মানবজাতি তার আগমনে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সব অত্যাচার-অনাচার, কুসংস্কার, নিষ্ঠুরতা, সামাজিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, মানবিক অসাম্য ও মানবাধিকার বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিষ্কৃতি লাভের আলোকিত পথের সন্ধান পায়। তিনি মানবতার মুক্তির দিশারী।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মহিমান্বিত সত্তার আবির্ভাব ঘটে এই পৃথিবীতে। এই দিনটি শেষ নবীর জন্মদিন হিসেবে মুসলমানের মধ্যে পালিত একটি উৎসব। সৃষ্টির সেরা মানব বিশ্বনবীর মতো এ মহান নেয়ামতের আগমন দিবস কতই না মর্যাদাবান, গুরুত্ববহ, কতই না আনন্দের তা সহজেই অনুমেয়।’ 

আজ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও মানবতার পথপ্রদর্শনকারী মহানবীর ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভাবের দিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা তার মর্যাদা সুউচ্চ আসনে অভিষিক্ত করেছেন। পৃথিবীতে মানুষ ইহজগত ও পরজগতের মুক্তির সন্ধান পায় এই দিনে।’

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘মহানবী (সা.) মানব জাতির জন্য এক অত্যুজ্জ্বল অনুকরণীয় আদর্শ। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য, সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ-যন্ত্রণা ভোগ করে তিনি তার ওপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল কোরআনের বাণী তথা তাওহিদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন।’

শেখ হাসিনা মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছেন : মামুনুল হক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ পিএম
শেখ হাসিনা মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছেন : মামুনুল হক
গণসমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। ছবি : খবরের কাগজ

শেখ হাসিনা মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড় স্টেডিয়ামে নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ছিল শেখ হাসিনার প্রতিশোধের রাজনীতি। তিনি শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি আরেকটি দেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। তিনি একবারও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর কথা না ভেবে পালিয়ে গেছেন।’ 

মামুনুল হক আরও বলেন, ‘একাত্তরের স্বাধীনতা হয়েছিল কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন তৈরি হবে না তার ভিত্তিতে। কিন্তু আমরা দেখলাম বিজয়ের পরে সাত কোটি মানুষের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ’৭২-এ বাংলাদেশের মানুষের ওপর একটি সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাহাত্তরের এই চেতনার মাধ্যমে একাত্তরের চেতনাকে হাইজ্যাক করা হয়েছিল। ’৭১ থেকে ’৭৫ পর্যন্ত ৩০ হাজার যুবককে হত্যা করেছে বাকশালীরা। আপনার কাছে যদি ৩০ হাজার মানুষের প্রাণের কোনো দাম না থাকে তাহলে এ দেশের মানুষের কাছে আপনার বাপ-ভাইয়ের রক্তের কোনো দাম থাকবে না।’ 

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কখনোই সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা হতো না। এটি ছিল নাটক। এই নাটকের কুশীলব ছিলেন শেখ হাসিনা ও তার দোসররা। এরা রাতের অন্ধকারে কাল নাগিনী হয়ে সংখ্যালঘুদের ছোবল মারত, আবার সকালে ওঝা হয়ে ঝাড়ত। এখন তারা নেই, নাটকও নেই। এখন বাংলাদেশ সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সংগঠনটির পঞ্চগড়ের সভাপতি মীর মোর্শেদ তুহিন, জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইনসহ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতা-কর্মী এবং হাজারও মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

ফ্যাসিবাদী সরকার পাথর আমদানির মাধ্যমে টাকা পাচার করেছে: ফয়জুল করীম

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৯ পিএম
ফ্যাসিবাদী সরকার পাথর আমদানির মাধ্যমে টাকা পাচার করেছে: ফয়জুল করীম
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কথা বলছেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করীম। ছবি : খবরের কাগজ

পরিবেশের দোহাই দিয়ে দেশের পাথর উত্তোলন বন্ধ করে ভারত থেকে পাথর আমদানির মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকার সেদেশে টাকা পাচার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির ও শায়খে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করীম।

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকার নদী থেকে পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ভারত থেকে নিম্নমানের পাথর কেনে। ফলে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করার সুযোগ পায় তারা। প্রতিবছর ভারতে চলে যায় ৫ বিলিয়ন কোটি ডলার।’

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন ফয়জুল করীম। 

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার ভারতের স্বার্থে সবকিছু করেছে। দেশের জনগণের স্বার্থে কিছু করেনি। আর বিনিময়ে ভারত আমাদের নিম্নমানের জিনিস দেয়, বর্ষা মৌসুমে ডুবিয়ে মারে, শুষ্ক মৌসুমে পানি বন্ধ করে মরুভূমিতে পরিণত করে। এটাই ভারতের বন্ধুত্বের নমুনা।’ 

ফয়জুল করীম আরও বলেন, ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দিয়ে নদী থেকে পাথর উত্তোলন শুরু করতে হবে। পাথর না তুললে নদী ভরাট হয়ে বন্যার সৃষ্টি হবে।’ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে পাথরকোয়ারিদের দাবি মেনে নিয়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের মহাসচিব মুফতি রেজাউল করীম আবরার, বুনিয়ান আবাসনের চেয়ারম্যান মাওলানা রশীদ আহমদ ফেরদৌস, মুফতি ইমাম উদ্দীন, সিলেট বিভাগীয় পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক শওকত আলী বাবুল, কোম্পানীগঞ্জ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল আজিজ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিমুল ইসলাম আঙ্গুর, জাফলং পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস উদ্দিন লিপু প্রমুখ। 

নেতারা বলেন, ‘অনতিবিলম্বে পাথর কোয়ারি খুলে দিয়ে ঋণখেলাপিতে ধসে পড়া ব্যবসায়ীদের ঋণ মওকুফ করতে হবে। দেশি ভালো ও মানসম্মত পাথর উঠিয়ে ভারতের পাথর আমদানি বন্ধ করে রিজার্ভ বৃদ্ধি করুন। ডলার সংকটের এই দুঃসময়ে বিদেশ থেকে কোটি কোটি ডলার খরচ করে নিম্নমানের পাথর আমদানি করা হচ্ছে।’

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে না পারলে চাকরি থাকবে না : নুর

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৭ পিএম
হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে না পারলে চাকরি থাকবে না : নুর
আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ছবি : খবরের কাগজ

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গোপালগঞ্জের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে, তা না হলে সেখানকার প্রশাসনের কারও চাকরি থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন অথচ তার দোসররা এখনো সক্রিয়। তারা গোপালগঞ্জে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, এই সন্ত্রাসীরা সংগঠিত হয়ে সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করেছিল। তাদের শায়েস্তা করতে না পারলে ভবিষ্যতে বড় রকমের অঘটন ঘটাতে পারে।’

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে ‘দেশে বেকারত্ব মহামারি নিরসনে অন্তবর্তী সরকারের কাছে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

নুরুল হক নুর বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতার ওপর দেশের আগামীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। এই সরকার সফল হলে জনগণের জন্য ভালো হবে, আর ব্যর্থ হলে দেশের মানুষকে ভুগতে হবে। তাই সরকারকে সফল করার জন্য সবার সহযোগিতা করা উচিত। গণঅধিকার পরিষদ সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছি এবং ভবিষ্যতেও দেবে।’

তিনি বলেন, ‘পত্রিকায় এসেছে নতুন ডিসির ৪৯ জনই আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, তাদের প্রশাসনে রেখে দেশ সংস্কার সম্ভব না। ছাত্র-জনতা দেশকে নতুনভাবে গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে, এখন যুবকদের দায়িত্ব হবে তাদের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা। বর্তমানে সংসদ সদস্য নির্বাচন করতে ২৫ বছর বয়স হতে হয়, তরুণদের সুযোগ দিতে কমিয়ে ২১ বছর করতে হবে। আগামীতে সংসদে কমপক্ষে ১৫০ জন তরুণ এমপি থাকতে হবে।’

দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয়। বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী সুবিধাভোগীদের সরিয়ে আওয়ামী সুবিধাভোগীদেরই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এটা শহিদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি।’
 
সভায় আগামী ২০ সেপ্টেম্বর মানববন্ধন ও ২২ সেপ্টেম্বর সারা দেশে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা দেন বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন। আর ৭ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম। 

প্রস্তাবগুলো হলো- সব ধরনের বৈষম্যমুক্ত চাকরি ও কর্মসংস্থানকে মৌলিক অধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দেওয়া। চাহিদাভিত্তিক ও কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন ও আইসিটি সেক্টরে তরুণদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া। সব চাকরিতে আবেদন ফি, জামানত ও বয়সসীমামুক্ত চাকরির ব্যবস্থা এবং ঘুষ ও দুর্নীতির মতো অসদুপায়ে নিয়োগের প্রক্রিয়া বন্ধ করা। তরুণদের সম্পৃক্ত করে স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি ও আন্তজার্তিক বাজার ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সনদ জামানতে সুদবিহীন ঋণ দেওয়া এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের দেশের মোট ঋণের ৫০ শতাংশ ঋণ দিতে হবে। বেকার তরুণদের জন্য ভাতা দেওয়া। দেশের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে শতভাগ চাকরি ও কর্মসংস্থানের আওতায় আনতে হবে। বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষিতদের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে বা সুদমুক্ত ঋণসুবিধার আওতায় বিদেশে পাঠাতে হবে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, অ্যাড. সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ। 

শফিকুল ইসলাম/সালমান/