ঢাকা ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪

দুঃশাসনমুক্ত দেশ গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: সেলিম উদ্দিন

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৪৬ পিএম
দুঃশাসনমুক্ত দেশ গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: সেলিম উদ্দিন
ছবি: সংগৃহীত

পিছুটান নয় বরং ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অপশাসন ও দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ব্যবসায়ীসহ দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয় ও জালিম সরকারের পতনের পর সৎভাবে ব্যবসা করার সব প্রতিবন্ধকতা দূর হয়েছে। এক্ষেত্রে দেশের ব্যবসায়ী সমাজকে উদার ও দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির পুনর্গঠনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে। সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তাদের রাখতে হবে ঐতিহাসিক ভূমিকা। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় ব্যবসায়িদের অতন্ত্র প্রহরীর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে মিরপুরের গ্রান্ড প্রিন্স হোটেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের কাফরুল জোন আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অর্জিত বিজয় সংরক্ষণ এবং নতুন বাংলাদেশের পুনর্গঠনে ব্যবসায়ীদের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় আরও বলেন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা, সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য শাহ আলম তুহিন, মজলিসে শুরা সদস্য অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম, আব্দুল মতিন খান ও ডা. আহসান হাবিব, ব্যবসায়িদের মধ্যে কনসালটেন্ট সিভিল ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফিজুর রহমান, বনানী ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাংগীর আলম, ইঞ্জিনিয়ার লি.-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রফিকুল ইসলাম, শ্যামল বাংলার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার তৌফিক হাসান, রোজ ভ্যালির ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম, স্বর্ণ ব্যবসায়ি আব্দুস সালাম, আকবর হোসেন ও জালাল আহমেদ প্রমুখ। 

সেলিম উদ্দিন বলেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে টেকসই ও অর্থবহ করতে এবং ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বিজয়ী করতে দেশের ব্যবসায়ী সমাজকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে। জবাবদিহির অনুভূতি নিয়ে এবং দেশ ও জাতির প্রতি দায়বদ্ধ থেকে ব্যবসায়িদের ব্যবসা পরিচালনা করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ব্যবসায়িরাই আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। কিন্তু বিগত স্বৈরশাসকের আমলে ব্যবসায়িরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারেননি। সরকারি দল ও তার অঙ্গ সংগঠনের চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও অবৈধ প্রভাব দেশের ব্যবসায়ী সমাজকে রীতিমত বিপর্যস্ত  করে তোলে। কালো টাকা ও অবৈধ অর্থের প্রভাবে দেশের ব্যবসায়ী সেক্টরে রীতিমত নৈরাজ্য দেখা দেয়। 

মোহাম্মদপুর জোনে সদস্য (রুকন) সম্মেলন

জামায়াতে ইসলামীর মোহাম্মদপুর জোনের উদ্যোগে রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মোহাম্মদপুর জোনের পরিচালক জিয়াউল হাসানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শুরা সদস্য ড. আবুল ইহসান, মোহাম্মপুর পূর্ব থানা আমীর ডা. মশিউর রহমান, শেরে বাংলানগর উত্তর থানা আমীর আব্দুল আউয়াল আজম, মোহাম্মদপুর মধ্য থানা আমীর মশিউর রহমান, মোহাম্মদপুর উত্তর থানা আমীর মনিরুজ্জামান শামীম, মোহাম্মদপুর পূর্ব থানা সেক্রেটারি আনিসুর রহমান, শেরে বাংলানগর উত্তর থানা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম ও মোহাম্মদপুর মধ্য থানা সেক্রেটারি এমরান আলী প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

সরকার জনগণের কল্যাণে কোনো আইন পাস করেনি : ফয়জুল করীম

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
সরকার জনগণের কল্যাণে কোনো আইন পাস করেনি : ফয়জুল করীম
গণসমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম। ছবি : খবরের কাগজ

দেশের সরকার জনগণের কল্যাণের জন্য কোনো আইন পাস করেনি। বরং সরকার নিজের নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষার জন্য আইন পাস করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির ও শায়েখে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শরীয়তপুরের সখিপুর ইসলামিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শায়েখে চরমোনাই বলেন, ‘সরকারের পাস করা আইনের মাধ্যমে জাতিকে নির্যাতন ও নিপীড়ন করা হচ্ছে, যা জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতার পরিপন্থী। সরকারের মূল দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের সেবা করা। যদি সরকার এই দায়িত্ব পালন না করে, তা হলে এমন সরকারের কোনো প্রয়োজন নেই।’

তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে ১৪ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে, যা দেশের প্রায় দুইবারের বাজেটের সমান। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৯৮ হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে।’

সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘দেশের গরিব, শ্রমিক, কামার ও সাধারণ মানুষ নিয়মিত ভ্যাট ও ট্যাক্স দেন। এটি সরকারের আয়ের মূল উৎস। অথচ ওই অর্থ সঠিকভাবে জনগণের উন্নয়নে ব্যবহৃত হয় না। দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়, এমনকি ভিক্ষার টাকাতেও কর বসানো হয়। সরকার জনগণের টাকায় চলে। কিন্তু ওই টাকার সঠিক ব্যবহার না হলে সরকার জনগণের কোনো উপকারে আসে না।’

সখিপুর থানা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মোহাম্মদ রাশেদ হোসেনের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, দলটির উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা শওকত আলী, জেলার সভাপতি মুফতি তোফায়েল আহমেদ কাসেমী, সহসভাপতি মাওলানা আনোয়ার আল-নোমান, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মানিক মিয়া সরদার, মুফতি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা-সহযোগিতায় থাকবে বিএনপি : মীর হেলাল

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩২ পিএম
দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা-সহযোগিতায় থাকবে বিএনপি : মীর হেলাল
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল

দুর্গাপূজার সার্বিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা নিয়োজিত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভার পূজামণ্ডপে শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মীর হেলাল বলেন, ‘গত ১৭ বছর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করেছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। আওয়ামী লীগ নিজেরা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা করে সংখ্যালঘু ইস্যু সৃষ্টির পাঁয়তারা করত। তারা মুখে অসাম্প্রদায়িক বলত কিন্তু সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে সামাজিক বন্ধন নষ্ট করত।’

তিনি বলেন, ‘মন্দিরে হামলা করে বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে ফ্যাসিবাদী সরকার। এখন ফ্যাসিবাদীরা নেই, কিন্তু তাদের দোসররা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাই দুর্গাপূজার সার্বিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে বিএনপি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না। আমরা চাই সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার পাবে। আমরা সংখ্যালঘুতে বিশ্বাস করি না, সবার পরিচয় বাংলাদেশি। দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান। কোনো ভয়-ভীতি ছাড়া আনন্দ উদযাপন করে যাতে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য তারেক রহমানের নির্দেশে সারা দেশে দুর্গাপূজার নিরাপত্তা ও সহযোগিতায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে বিএনপি।’

সালমান/

বাংলাদেশকে স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রে রূপান্তর করতে হবে: মঈন খান

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৪ পিএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৭ পিএম
বাংলাদেশকে স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রে রূপান্তর করতে হবে: মঈন খান
ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারকে বাংলাদেশকে স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রে রূপান্তর করার মান্ডেট দিয়েছে জনগণ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) একমাত্র সহজ মান্ডেট হচ্ছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু এখন সরকার যদি মনে করে, তাদের সব কিছু সংস্কার করার মান্ডেট দিয়েছে, আগামী ১০০ বছর তারা ক্ষমতায় থাকবে- এই মান্ডেট ছাত্র-জনতা তাদেরকে দেয়নি। এটা ছাত্ররাও ভাবলে তারা ভুল ভাবছে।  

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে দ্যা মিলিনিয়াম ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাস শীর্ষক গোলটেবিল’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মিলিনিয়াম ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট রোখসানা খন্দকার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ। 

মঈন খান বলেন, ছাত্র-জনতার কথাই বাইবেল নয়, বাংলাদেশের মানুষ ‘পলিটিক্যাল সাইন্স’ ভালো জানে। এবং এদেশে স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নিতে হয় তাও জানে। আসুন আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে ফিরে যাই, মানুষের সত্যিকার অধিকার তাদের কাছে ফিরিয়ে দেই। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে মধ্যে ১৯৯১ সালে নির্বাচন ছিল সবচেয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন। সেখান থেকেও সরকার শিক্ষা নিতে পারে।
    
বিগত দুই মাস অন্তর্বর্তী সরকার কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিশেষ করে ১৫ আগস্ট ঘিরে যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছিল কিন্তু সেই ধোঁয়াশা রাজনৈতিক আকাশে বিলীন হয়ে গেছে। তারা সফল হয়েছে। এরপর পরিকল্পিতভাবে জুডিশিয়াল ক্যু, আনসার, সংখ্যালঘু ইস্যু, ভারতসৃষ্ট বন্যা, গার্মেন্টস শিল্প, পার্বত্য চট্টগ্রাম অস্থিতিরতা তৈরি, দ্রব্যমূল্য বাড়ানো, সীমান্তের ওপর থেকে অডিও ফাঁস এবং সবশেষ দূগাপুজা নিয়ে দেশে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু জনগণ এবারও প্রতিহত করবে।  

মঈন খান বলেন, জনগণের প্রশ্ন- এই সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন কিনা? তারা যত দ্রুত কাজ দরকার ছিল তারা করতে পারছেন কিনা? বিপ্লবী সরকার স্বল্প সময়ের মধ্যে নতুন করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারবে? সংস্কার ও নির্বাচন সমান্তরালভাবে চলবে আজকে সরকারও এটা স্বীকার করেছে। জনগণের মতামত দেওয়ার যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তা কিছুটা হলেও কাজ করছে। এটা একটি শুভলক্ষণ।  

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছিল, বাংলাদেশ হচ্ছে উদার মুসলিম দেশ। মূলত গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষ ছিল না বরং ধর্মহীন ছিল। এদেশের মুসলমান কখনো মৌলবাদ ছিল না, এখনো নেই। মুসলমানদের বার বার ভুল বুঝিয়ে মৌলবাদী প্রমাণ করে পশ্চিমাদের সহায়তা নেওয়ার চেষ্টা করে আওয়ামী লীগ। দূর্গাপুর্জা সামনে রেখে আবারও বিশ্বে একই প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এর পেছনে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।  

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার দেশে ফেরার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ভারত ছাড়া অন্য কোন দেশে আশ্রয় পাচ্ছে না। এমনকি ইংল্যান্ডেও না। এর কারণ একটাই আন্তর্জাতিক বিশ্ব জানে তিনি কত বড় ভয়ংকর ফ্যাসিস্ট। গণহত্যায় জড়িতদের বিচার অবশ্যই করতে হবে। তবে এ বিষয়ে সরকারের ভূমিকা তা অনেকটাই ঢিলেঢালা। সরকারের অবস্থান যদি এমন ঢিলেঢালা অবস্থায় থাকে, তবে স্বৈরাচার আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলেও মন্তব্য করেন।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

কমরেড ফরহাদের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সিপিবির কর্মসূচি

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩৩ পিএম
কমরেড ফরহাদের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সিপিবির কর্মসূচি
কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ

আগামীকাল ৯ অক্টোবর কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

কমরেড ফরহাদের স্মৃতির প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে আগামীকাল সকাল সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে সিপিবিসহ বিভিন্ন দল-সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং বিকেল সাড়ে ৪টায় সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। স্মরণসভায় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। 

বিবৃতিতে তারা বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনাকে বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই কমরেড ফরহাদের স্বপ্নের বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক, শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।

বিবৃতিতে নেতারা কমরেড ফরহাদের মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য জেলা, উপজেলা ও শাখা সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

কমরেড ফরহাদ ১৯৩৮ সালের ৫ জুলাই পঞ্চগড়ের বোদায় জন্মগ্রহণ করেন। মেধাবী ছাত্র ফরহাদ মহান ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী লড়াইয়ে প্রথম সারির নেতৃত্বে ভূমিকা পালন করেন।

রাজনৈতিক জীবনে তিনি বহুবার জেল-জুলুম-হুলিয়া, নির্যাতন ভোগ করেন। ৩৫ বছরের ঘটনাবহুল রাজনৈতিক জীবনে তিনি পাকিস্তান আমল এবং স্বাধীন বাংলাদেশে জিয়া-এরশাদের আমলে কারাবরণসহ দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর আত্মগোপন বা কারান্তরালে ছিলেন।

১৯৫৪ সালে তাকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের কুখ্যাত নিরাপত্তা আইনে বিনা বিচারে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখা হয়। ১৯৫৫ সালে ১৭ বছর বয়সে মোহাম্মদ ফরহাদ কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় কমরেড ফরহাদ ১৯৫৯ সাল থেকে গোপনে ছাত্রদের সংগঠিত করতে থাকেন।

১৯৬২ সাল থেকে প্রায় এক বছর হুলিয়া মাথায় নিয়ে গোপনে ছাত্র গণআন্দোলন সংগঠন ও শ্রমিক শ্রেণির পার্টির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে কমরেড ফরহাদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযুদ্ধে কমিউনিস্ট পার্টি-ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ গেরিলা বাহিনীর প্রধান সংগঠক ছিলেন তিনি।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এরশাদের ক্ষমতা দখলের পর সামরিক শাসনবিরোধী রাজনৈতিক ঐক্য তথা ১৫ দলীয় ঐক্যজোট গঠন; জাতীয় দাবি পাঁচ দফা প্রণয়ন ও যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তিনি বলিষ্ঠ ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পঞ্চগড়-২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) নির্বাচনি এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

সালমান/

প্রশাসনে স্বৈরাচারের কীটপতঙ্গদের দ্রুত চিহ্নিত করুন: রিজভী

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০৫ পিএম
প্রশাসনে স্বৈরাচারের কীটপতঙ্গদের দ্রুত চিহ্নিত করুন: রিজভী
ছবি: সংগৃহীত

প্রশাসনে পতিত স্বৈরাচারের কীটপতঙ্গদের দ্রুত চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা শেখ হাসিনাকে উদ্বুদ্ধ করেছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে গুলি করতে সেই স্বৈরাচারের কীটপতঙ্গ যদি প্রশাসনের মধ্যে থাকে তারা আপনাদেরকে প্রতি পদে পদে বাধা দেবে। তাদেরকে চিহ্নিত করতে না পারলে দেশকে তারা বিপদজনক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে। কারণ তাদের পিছে একটি বিশেষ পরাশক্তির প্রভু আছে যাদের আশ্রয়ে তারা আছে। 

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

নিরপেক্ষ ও গণতন্ত্রকামী মানুষের পক্ষে যারা ছিলেন সেই সমস্ত মেধাবী লোকদেরকে আপনারা প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বসানোর আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, পতিত স্বৈরাচারের পুনরুত্থান যাতে না ঘটে। আর যেন কোন মায়ের বুক খালি না হয়, আর যেন কোন মায়ের সন্তানকে হত্যা না করা হয়। শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন, শেখ হাসিনার পুনরুত্থান মানে দেশ হবে এক ভয়ঙ্কর বধ্যভূমি। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। 

তিনি বলেন, সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে যে রাজনৈতিক দলই রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে তাদেরকেও অন্তরে সততার আলো নিয়ে খুব দ্রুতগতিতে কাজ করতে হবে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে মাঠ দরকার সেটি তাদেরকে তৈরি করতে হবে। তবে সেটি যেন দীর্ঘায়িত না হয়। 

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি প্রসঙ্গে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, 'উর্মি আবু সাঈদের মত একজন মহিমান্বিত আত্মদানকারী, সাহসী বীর তরুণকে বলছে সন্ত্রাসী। তাকে বলছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। এদের মত লোকজনই তো প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় আছে। আজকে সচিবালয়, বিচারালয় থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই স্বৈরাচারের দোসররা একটি বিপ্লবের সরকারকে ব্যর্থ করতে চাইছে।  

রিজভী বলেন, কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে আওয়ামী লীগ। সেই টাকা দিয়ে তারা নানাভাবে নানা কায়দায় দেশের মধ্যে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চাচ্ছে। সজীব ওয়াজেদ জয় সিঙ্গাপুরে একটি লবিস্ট ফান্ড ভাড়া করেছে তাদের পক্ষে ওকালতি করার জন্য। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ডা. জাহিদুল কবির, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, আরিফুর রহমান তুষার, ছাত্রদলের নেতা ডা. আব্দুল আউয়াল মাসুদুর রহমান মাসুদ, রাজু আহমেদ প্রমুখ। 

শফিকুল ইসলাম/এমএ/