ভারতের উদ্দেশ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ দেশ থেকে এক দানবকে তাড়িয়ে মুক্ত বাতাসে চলাফেরা করছে। আমি যে গ্রেপ্তার হতে পারি, গুম হতে পারি- এই শঙ্কা আর নাই। এখন মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছে, শান্তিতে ঘুমাতে পারছে। এটা কি আপনারা (ভারত) চাচ্ছেন না? বাংলাদেশ গণতন্ত্র ফিরে আসুক, মানুষ শান্তিতে থাকুক- এটা কি ভারতের নীতি নির্ধারকরা পছন্দ করে না? না কি এসব মেনে নিতে পারছে না? শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশে নাই, এই কষ্ট কি ভারতের নীতি নির্ধারকরা মেনে নিতে পারছে না? আমরা যেমন ভারতের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করি। ভারতের উচিত আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করা।’
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সাবেক রাষ্ট্রপতি শহিদ জিয়াউর রহমানের মাজারে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তার বক্তব্য শুধু উদ্বেগজনক নয়, এটা উসকানি কি-না জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কোনো দল বা ব্যক্তির প্রতি যদি আপনাদের যোগাযোগ থাকে তাহলে বাংলাদেশের মানুষ এটা ভালোভাবে মেনে নেবে না। এ দেশের জনগণ যেমন দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন সহ্য করতে পারে, তেমনি বিদেশি হানাদারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ এবং তেজ দেখাতে জানে। বাংলাদেশের জনগণ যে একটি বীরের জাতি এটা ভারতকে মাথার মধ্যে কিন্তু রাখতে হবে।’
রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার ১৬-১৭ বছর শাসনে কেউ একটা টু শব্দ করতে পারত না। বাংলাদেশের মানুষ কী চাইত আর চাইত না, শেখ হাসিনা সেটার ধার ধারতেন না। এ কারণে মানুষের পিঠ দেয়ালে এমনভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা, যে জন্য মানুষ তার জীবনের মায়া না করে তার পতনের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নেমেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা নিজের দেশের জনগণের ওপর অত্যাচার করে, হত্যা করে, আয়নাঘর বানিয়ে বছরের পর বছর আটকে রাখে, তারা দেশ পরিচালনা করবে কীভাবে? কিছুদিন পুলিশ দিয়ে হত্যা, গুম করে দেশ পরিচালনা করেছে। কিন্তু দেশের মানুষ ব্রিটিশদের যেভাবে তাড়িয়েছে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের তাড়িয়েছে, ঠিক তেমনি ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে।’
ন্যাব সভাপতি জাহানারা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মাহবুবুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার ইকবালুর রহমান রোকন প্রমুখ।
মিজানুর রহমান/সালমান/