ঢাকা ২০ আশ্বিন ১৪৩১, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

বাম জোটের দাবি দিবস ১০ সেপ্টেম্বর

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৩ পিএম
বাম জোটের দাবি দিবস ১০ সেপ্টেম্বর
বাম গণতান্ত্রিক জোট

বিশেষ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার; আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ; দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, রেশনিং চালু; খেলাপি ঋণ ও পাচারের টাকা উদ্ধার, দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি, অর্থ পাচারকারীদের বিচার, সম্পদ বাজেয়াপ্ত; সংস্কারের রূপরেখাসহ রোডম্যাপ ঘোষণা ও সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালুসহ নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার; গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করার দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে আগামীকাল ১০ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সারা দেশে সমাবেশ, মানববন্ধন ও মিছিলের মাধ্যমে দাবি দিবস পালিত হবে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

আগামীকালের কর্মসূচিতে যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে কর্মসূচি সফল করার জন্য শরিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের এবং সারা দেশের জেলা-উপজেলা শাখা বাম জোটকে কর্মসূচি সফল করার জন্য উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ। 

সালমান/

প্রশাসনে স্বৈরাচারের ভূত বসে আছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম
আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৮ পিএম
প্রশাসনে স্বৈরাচারের ভূত বসে আছে: মির্জা ফখরুল
ছবি: সংগৃহীত

প্রশাসনের মধ্যে এখনো ‘স্বৈরাচারের ভূত’ বসে আছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ ভূতগুলোকে নিয়ে যারা এতোদিন জনগণের ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন চালিয়েছে, যারা দুর্নীতি করেছে, লুটপাট করেছে সেই ভূতেরা কিন্তু এখনো প্রশাসনের মধ্যে আছে। এ ভূতগুলোকে দূর করতে হবে। এদেরকে তাড়াতে না পারলে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো প্রচেষ্টা সফল হবে না। 

শনিবার (৫ অক্টোবর) শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের উদ্যোগে দুপুরে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে 'বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে' শিক্ষক সমাবেশে দেশের প্রশাসনের অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন। প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে সারা দেশে থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক এ সমাবেশে যোগ দেয়।

বিএনপি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন চাই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনুস সাহেবের নেতৃত্বে এ সরকার তো আন্দোলন যারা করছে, আমরা সবাই মিলে এ সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছি দেশকে সঠিক দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমরা তাদেরকে অবশ্যই সময় দিচ্ছি, সময় দেবো। কিন্তু বার বার প্রশ্ন আসে যে, কতদিন সময় দেবেন? আমরা সেই পর্যন্ত সময় দেব যে পর্যন্ত একটা যৌক্তিক সময়ে তারা (অন্তবর্তী সরকার) একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা তৈরি করতে পারেন। 

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, রাজনীতি করি, আন্দোলন করেছি, জান দিয়েছি-প্রাণ দিয়েছি একটা লক্ষ্যে যে আমরা জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, আমরা গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা কোনো বিরাজনীতিকরণের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা আবার মৌলবাদ বা জঙ্গিবাদকে দেখতে চাই না। আমরা আবার সন্ত্রাসকে দেখতে চাই না। আমরা সত্যিকার অর্থে দেশে একটা ‍সুস্থ উদারপন্থি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দেখতে চাই। তার জন্যে আমরা তাদের হাতেই (অন্তর্বর্তী সরকার) দায়িত্ব দিয়েছি। আমরা মনে করেছি যে, এরা যোগ্য মানুষ তারা কাজ করছেন। তাদেরকে অতিদ্রুততার সঙ্গে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

আশাবাদ ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমরা কখনোই ব্যর্থ হয়নি, আমরা ’৫২ সালে জয়ী হয়েছি, ’৬৯ এ জয়ী হয়েছি, আমরা ’৭১ জয়ী হয়েছি, আমরা ’৯০ জয়ী হয়েছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্ব আমাদের সেই আন্দোলন শুরু হয়েছিল, আমরা ইনশাল্লাহ এবারও জয়ী হবো।

তিনি বলেন, যারা দুর্নীতি করে, যারা চাঁদাবাজি করে, জমি দখল করে তারা বিএনপির লোক নয়, তারা দুর্বৃত্ত। দল থেকে কিছু লোকের বিরুদ্ধে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছেন।

শিক্ষকদেরকে দলকানা হলে চলবে না বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শিক্ষকদেরকে দলীয় রাজনীতি থেকে একটু দূরে থাকতে হবে। তা না হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকবে না। আওয়ামী লীগ যে অবস্থা তৈরি করে দিয়ে গেছে সেই পিয়ন থেকে গভার্নিং বডির প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের লোক। এ অবস্থা থেকে আমাদেরকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। ভালো সুস্থ পরিবেশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যারা জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক আছে, যারা শিক্ষিত, যারা কাজ করতে পারবেন তাদেরকে নিয়ে আসতে হবে। এটা যদি আপনারা মন থেকে করতে পারেন তাহলে পরিবর্তন হবে, নইলে পরিবর্তন হবে না।

শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক নুরুল হক নুরসহ শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের চৌধুরী মূগিস উদ্দিন মাহমুদ, জাকির হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

রাজশাহী নগর আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৮ পিএম
রাজশাহী নগর আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু গ্রেপ্তার
ডাবলু সরকার

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র্যাব)।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাতে নওগাঁ সদর উপজেলার দক্ষিণপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজশাহী মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডাবলু সরকারের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গত ৫ আগস্ট তার নেতৃত্বে নগরীর আলুপট্টি এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরও একজন। ওই দিনই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে গাঢাকা দেন তিনি।

র্যাব-৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফিরোজ কবীর জানান, শুক্রবার রাতে নওগাঁ থেকে ডাবলু সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নামে ৫ আগস্ট রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত শিক্ষার্থী আবু রায়হান ও সাকিব আনজুম হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে র্যাব ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ডাবলুর নামে নওগাঁ অথবা জয়পুরহাটে কোনো মামলা থাকলে সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। আর মামলা না থাকলে রাজশাহীর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

এনায়েত করিম/জোবাইদা/অমিয়/

সারা দেশে এক অকল্পনীয় দুঃশাসন চলছে: নানক

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩২ পিএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৩ পিএম
সারা দেশে এক অকল্পনীয় দুঃশাসন চলছে: নানক
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সারা দেশে এক অকল্পনীয় দুঃশাসন চলছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে চাঁদাবাজির মহোৎসব। দেশের প্রায় প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপি ও তাদের মিত্রদের অত্যাচার ও নির্যাতনের পাশাপাশি এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার। ১৫ বছরের কিশোর থেকে ৯০ বছরের বৃদ্ধ গ্রেপ্তার থেকে আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী রেহাই পাচ্ছে না। 

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। 
  
বিবৃতিতে নানক বলেন, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গলা কেটে হত্যা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের খুন, বাসাবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করছে বিএনপি ও এর মিত্ররা। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, কিন্তু অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা কিংবা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

আওয়ামী লীগের নেতা বলেন, আমি সব নৃশংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ জঘন্য অপরাধীদের যারা মদদ দিচ্ছে, তাদের বিচার একদিন বাংলার মাটিতে হবেই।

রাজু/এমএ/

জামায়াতকে যারা নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল তারাই জনগণের ভয়ে পালিয়েছে: আব্দুল হালিম

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম
জামায়াতকে যারা নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল তারাই জনগণের ভয়ে পালিয়েছে: আব্দুল হালিম
ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতকে যারা নিষিদ্ধ করেছিল, তারা গত ৫ আগস্ট জনগণের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম। 

তিনি বলেন, আল্লাহর মেহেরবানীতে জামায়াত স্বমহিমায় জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা নিয়ে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।  

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে নেত্রকোনার পাবলিক হলে জেলা জামায়াতের আমীর নির্বাচনের লক্ষ্যে আয়োজিত এক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

কেন্দ্রীয় সংগঠনের নির্দেশনার আলোকে ২০২৫-২০২৬ কার্যকালের জন্য রুকনগণ (পুরুষ ও মহিলা) জেলা জামায়াতের আমীর নির্বাচনের লক্ষ্যে গোপন ব্যালটে প্রত্যক্ষভাবে ভোট প্রদান করেছেন।  

আব্দুল হালিম বলেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর দেশে অপরাজনীতি করেছে এবং এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। জামায়াতে ইসলামী সবসময়ই ঐক্যের পক্ষে ভূমিকা পালন করে আসছে।  

রুকনদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মুয়াজ্জিনের ভূমিকা পালন করতে হবে। সকল মানুষকে কল্যাণের দিকে আহ্বান করতে হবে। আত্মগঠন, জনশক্তির মানোন্নয়ন, পরিবার গঠন এবং মানবসেবা ও সমাজকল্যাণমূলক তৎপরতায় রুকনগণকে সক্রিয় ও একনিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ওপর সীমাহীন জুলুম করেছিল। এখন তারা পালাতে বাধ্য হয়েছে। ৫ আগস্টের পরে আমাদের দায়িত্ব বহুগুণে বেড়ে গেছে। আমাদের প্রতি দেশের মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে। মানুষের এই প্রত্যাশা পূরণে জামায়াতের রুকনদের জাগতিক ও নৈতিক যোগ্যতা বাড়াতে হবে। 

জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা সাদেক আহমাদ হারিছের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক মাওলানা এনামুল হক, ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল করিম প্রমুখ।
শফিকুল ইসলাম/এমএ/

রাজধানীর জলাবদ্ধতা-যানজটের সমাধান কবে, জানতে চায় সিপিবি

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪০ পিএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম
রাজধানীর জলাবদ্ধতা-যানজটের সমাধান কবে, জানতে চায় সিপিবি
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে জলাবদ্ধতা ও যানজটের সংকট নিরসনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কবে কাজ শুরু করবে জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি নেতারা। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নগরজুড়ে দুর্ভোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দলীয় সমাবেশে তারা এ মন্তব্য করেন।

সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, সদস্য কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, জলি তালুকদার, ডা. সাজেদুল হক রুবেলসহ অনেকে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে সিপিবি নেতারা বলেন, অতীতের শাসকরা উন্নয়নের নামে জনগণকে সম্পৃক্ত না করে সংকট হলেই এক একটা প্রজেক্ট নিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করেছে। এ সময় তারা তো ক্ষমতাই নেই। এ সরকার এসব সমস্যার পুরোপুরি সমাধান করতে পারবে-সেটি আমরা আশা করি না। তবে এসব সংকট সমাধানের কার্যক্রম শুরু হলো না কেন? আমরা এটা জানতে চাই।

সমাবেশে সিপিবি নেতারা দেশের সর্বত্র ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বিধান এবং নির্বিঘ্নে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের নিশ্চয়তা দিতে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, এলাকায়-এলাকায় সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এ সময়ে কেউ যদি অপতৎপরতা করার দুঃসাহস দেখায় তাদের চিহ্নিত ও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

শ্রমিক হত্যার বিচার, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, রেশন ব্যবস্থা চালু, আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে জনজীবনে শান্তি, সর্বত্র সম্প্রীতি রক্ষা, দুর্নীতি-লুটপাট-দখলদারিত্ব বন্ধ, পাচারের টাকা-খেলাপী ঋণ আদায়, শ্রমিকের জাতীয় ন্যূনতম মজুরি, কৃষক-ক্ষেতমজুরের স্বার্থে নীতি প্রণয়ন, সবার জন্য কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য-শিক্ষার নিশ্চয়তা, কালাকানুন আইন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন প্রবর্তন, নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবি আসে সমাবেশ থেকে।

সিপিবি নেতারা নানা অভিযোগ এনে বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির দাবির কাছে সরকার নতজানু হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় এসব অপশক্তি দাপট দেখাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে এরা জেঁকে বসছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রকৃত অপরাধীদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয় নাই। বরং অনেক ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দিয়ে মূল ঘটনাকে হালকা করে ফেলা হচ্ছে।

তারা বলেন, বিতর্কিত ব্যক্তিকে বিচার ট্রাইব্যুনালে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিনের আন্দোলনকারী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ব্যক্তি এবং সংগঠককে উপেক্ষা করে বিশেষ কতক গোষ্ঠীর স্বার্থেই সরকার তার কাজ পরিচালনা করছে।

চলমান সংকটের অবসান ঘটাতে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে অর্থবহ আলোচনা করে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য কতক প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের রূপরেখা তৈরি ও নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের আলোচনা শুরু এবং নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান।

জয়ন্ত সাহা/এমএ/