ঢাকা ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

শৃঙ্খলা ফেরাতে জিয়ার নীতিতে হাঁটছে বিএনপি

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৮ এএম
শৃঙ্খলা ফেরাতে জিয়ার নীতিতে হাঁটছে বিএনপি

দলের শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নীতি বাস্তবায়নের পথে হাঁটছে বিএনপি। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ‘উচ্ছৃঙ্খল’ নেতা-কর্মীদের যেভাবে শাস্তি দিতেন, সেই পথই অনুসরণ করেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পাশাপাশি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেখানো পথও অনুসরণ করছেন তিনি। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নেতা-কর্মীদের শাস্তি দেওয়ার একই নিয়ম অব্যাহত রাখতে চান তারেক রহমান। 

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, দলের শৃঙ্খলা ফেরানোর ব্যাপারে তিনি কোনো ছাড় দেবেন না। কে কত বড় নেতা, তার কতটা ঘনিষ্ঠ এসব বিষয় আমলে নিচ্ছেন না। দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে বদ্ধপরিকর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে যারা দলকে বিব্রত করবেন যত বড় নেতাই হোন, তাকে শাস্তি পেতেই হবে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মির্জা আব্বাস খবরের কাগজকে বলেন, “শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আমলে এমন ঘটনা ঘটেনি। গত ১৫ বছরের ক্ষোভ, আক্রোশ বা ক্রোধ থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটছে। কিন্তু মিডিয়ায় অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ করা হচ্ছে। আবার প্রকৃত ঘটনার আংশিক ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে। বিএনপির নামে ‘ট্যাগ’ দিয়ে একশ্রেণির নেতা-কর্মীকে কালার করার চেষ্টা চালাচ্ছে।”

তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে যেসব জায়গায় অভিযোগ করা হচ্ছে, খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে বেশির ভাগই আগে ছাত্রলীগ-যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।’ 

দলীয় সূত্রমতে, জিয়াউর রহমান দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন দুই পদ্ধতিতে। প্রথমত, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসত, ঘটনার তদন্তে নিজস্ব সোর্স দিয়ে গোপন রিপোর্ট সংগ্রহ করতেন। দ্বিতীয়ত, দলের সাংগঠনিক রিপোর্ট সংগ্রহ করতেন। এরপর এই দুই রিপোর্ট যাচাই-বাছাই করতেন। তারপর অভিযুক্তদের নিয়ে একসঙ্গে বসতেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সবার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতেন। গুরুতর অপরাধ হলে বহিষ্কার, অপরাধ কম হলে লঘুদণ্ড দিতেন। 

যত বড় নেতা হোক না কেন, তাকে ছাড় দিতেন না। জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার দেখানো পথে হাঁটছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি চাঁদাবাজি, জায়গা-জমি দখলসহ দলকে যারা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলছেন তাদের বিরুদ্ধে এই দুই নীতি অবলম্বন করে শাস্তি দিচ্ছেন। এই ধারা আগামী দিনেও দলে অব্যাহত থাকবে। বিএনপি সঠিক পথেই আছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য খবরের কাগজকে বলেন, ‘দলের কিছু অতি উৎসাহী, বেয়াদব ও উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মী সারা দেশে চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়েছিলেন। এই ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যারা দলকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছেন বা আগামী দিনেও ফেলবেন তাদের আজীবন বহিষ্কার বা অব্যাহতি দেওয়া হবে। শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং বিতর্কিত নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের হাইকমান্ড ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবং দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে আগামী দিনেও জিয়াউর রহমানের নীতি বাস্তবায়নে কঠোর থাকবে বিএনপি।’

জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে রাজনীতিতে ছিলেন এমন দুজন সিনিয়র নেতা খবরের কাগজকে বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সব সময় অপরাধ দমনে কঠোর নীতি অবলম্বন করতেন। তার আমলে চাঁদাবাজি, ঘুষ-দুর্নীতি ও দখলদারত্ব ছিল না। ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি মেধাবীদের স্থান দিয়ে ছাত্রদলের প্রথম কমিটি গঠন করেন তিনি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মী মিলে ‘গ্রুপ অব বয়েজ’ নামে পৃথক গ্রুপ গঠন করেন। তারা রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়েন।

তাদের দমন করতে জিয়াউর রহমান গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসেন। আবার অনেকে ভয়ে বিদেশে যেতে বাধ্য হন এবং কাউকে কাউকে বিদেশেও পাঠিয়ে দেন। পরবর্তী সময়ে এমন ঘৃণিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর সাহস দেখাননি দলের কেউই। খালেদা জিয়ার আমলেও যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি ছিল না। সেই সময়ে যাদের নামে চাঁদাবাজি ও দখলের অভিযোগ উঠেছিল, তাদের বিরুদ্ধেও বহিষ্কার করার মতো কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তারেক রহমানও একই পথ অনুসরণ করছেন। 

বিএনপির সূত্রমতে, জিয়াউর রহমান মেধাবী ও যোগ্যদের সব সময় মূল্যায়ন করতেন। রাষ্ট্রপতি থাকার সময় থেকেই তিনি শহর-গ্রামগঞ্জে সব সময় ছুটে বেড়িয়েছেন। যার মধ্যে সম্ভাবনা দেখতেন তাকে অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে কাছে টেনে নিতেন। তার পথ অনুসরণ করে তারেক রহমানও বর্তমানে সারা দেশের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। অভিযোগ উঠলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার নিজস্ব সোর্স দিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। ফলে দলের কেউ নিয়মবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়ালে তাকে সরাসরি বহিষ্কার করছেন।

জানা গেছে, তৃণমূল তো বটেই, কেন্দ্রীয় নেতারাও মানছেন না দলীয় শৃঙ্খলা। দলের নীতিনির্ধারকদের কড়া হুঁশিয়ারি ও নির্দেশনার পরও থামছে না অপকর্ম। বিভিন্ন স্থানে নামে-বেনামে দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে। দলের চেইন অব কমান্ড তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। পৃথক দুটি ঘটনায় ইতোমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকনকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 

সরাসরি বহিষ্কার করার চেয়েও তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা বেশি কার্যকর হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দলের শৃঙ্খলার ব্যাপারে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল, চাঁদাবাজি এবং সরকারদলীয় নেতাদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের যোগসাজশের কারণে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কমিটি বাতিল এবং শীর্ষ নেতা আবু সুফিয়ানসহ তিন নেতার সব পদ স্থগিত করা হয়েছে। সম্প্রতি চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদ আহমেদ মানিক ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে বাড়িঘর দখলের অভিযোগ উঠেছে।

বিএনপি সূত্র জানায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর নানা অভিযোগে এখন পর্যন্ত বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের দেড় শতাধিক নেতাকে বহিষ্কার ও পদ স্থগিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ছাত্রদলের ৩০ ও যুবদলের ৫৩ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া যুবদলের চারজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শাস্তি দেওয়া নেতাদের বেশির ভাগই হচ্ছেন ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম, বগুড়া, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরিশাল, পঞ্চগড়, গাজীপুর, নরসিংদী, নোয়াখালী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট ও লক্ষ্মীপুর জেলার। 

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান খবরের কাগজকে বলেন, ‘দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও পত্রিকায় ভুল নিউজের ওপর ভিত্তি করে তার পদ স্থগিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দলের হাইকমান্ডের কাছে একটি লিখিত আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বিশৃঙ্খলা যেকোনো মূল্যে ঠেকাতে হবে। দীর্ঘ ১৬ বছরের দমবন্ধকর পরিবেশ থেকে নেতা-কর্মীরা মুক্তি পেয়ে হয়তো কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন বা পড়ছেন। তবে আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করে যাচ্ছি।’ 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু খবরের কাগজকে বলেন, ‘দলকে যারা বিব্রত করছেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে, দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। দল থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলেও এদের দ্রুত বিচার করা হবে। দলের যতই বড় নেতা হোক না কেন, অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান।’

তিনি বলেন, ‘অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ক্ষমতা ছাড়াই ১৭ বছর বিএনপির হাল ধরেছেন তারেক রহমান। দল চালানোর ক্ষেত্রে স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার পথ অনুসরণ করছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। রাজনীতির বর্তমান ধারায় সফলও তিনি।’

ইসলামকে বিজয়ী করার সুযোগ এসেছে : চরমোনাই পীর

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৭ পিএম
ইসলামকে বিজয়ী করার সুযোগ এসেছে : চরমোনাই পীর
দেশব্যাপী দাওয়াতি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর ইসলামকে বিজয়ী করার সুযোগ এসেছে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় দেশব্যাপী দাওয়াতি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। 

চরমোনাই পীর আরও বলেন, ‘গত ৫৩ বছর শাসকগোষ্ঠীর ব্যর্থতা, লুটপাট, পাচার, সীমাহীন খুন-ধর্ষণ, চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ ক্রমেই ইসলামের ছায়াতলে ঝুঁকছে। ইসলামের সৌন্দর্যগুলো তুলে ধরে মানুষকে ইসলামের পথে নিয়ে আসতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম প্রমুখ।

বিশৃঙ্খলাকারীদের শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা হবে : হেলাল উদ্দিন

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৩ পিএম
বিশৃঙ্খলাকারীদের শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা হবে : হেলাল উদ্দিন
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন

বিশৃঙ্খলাকারীদের শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর দেশ থেকে স্বৈরাচারী, লুটতরাজ পালিয়ে গেছে। বিগত সময়ে হাটহাজারীকে অশান্ত করার জন্য কিছু কুচক্রী মহল মন্দির ভাঙার মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের অসংখ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিকে কারাগারে আটক রেখেছিলেন। তারা চেয়েছিলেন, শান্ত হাটহাজারীকে অশান্ত করার। কিন্তু এবার আর সফল হতে দেব না। ৫ আগস্ট যেভাবে শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা হয়েছে ঠিক সেভাবে বিশৃঙ্খলাকারীদের প্রতিরোধ করা হবে।’ 

হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এবারের দুর্গাপূজা হবে উৎসবমুখর। যারা বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করবে তাদের কোনোভাবে ছাড় না দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানাই। বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশি।’ 

হাটহাজারী পূজা উৎযাপন পরিষদের আহ্বায়ক বাবু অশোক কুমারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক বাবলু দাশের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক জাকের হোসেন, উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. গিয়াসউদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. রফিকুল আলম চৌধুরী, হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির সদস্যসচিব মো. অহিদুল আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ শুক্কুর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মো. আকবর আলী প্রমুখ।

সালমান/

 

ছাত্রদের সাফল্য গণিমতের মাল নয় : জি এম কাদের

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৭ পিএম
ছাত্রদের সাফল্য গণিমতের মাল নয় : জি এম কাদের
সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ছবি : সংগৃহীত

একটি চক্র জাতীয় পার্টিকে ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষের দল হিসেবে চিহ্নিত করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘রক্তেভেজা এই সাফল্য গণিমতের মাল বা ভাগ-বাটোয়ারার বিষয় নয়।’ 

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বনানীর কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জি এম কাদের এসব কথা বলেন। 

এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ছাত্ররা জীবন দিয়ে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে। ছাত্রদের রক্তে দেশের রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। জীবন দিয়ে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করার কৃতিত্ব শুধুই ছাত্রদেরই। ছাত্রদের জীবন দেওয়া সাফল্যকে গণিমতের মাল মনে করবেন না, রক্তেভেজা এই সাফল্য ভাগ-বাটোয়ারার বিষয় নয়।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সর্বোতভাবে সমর্থন দিলেও জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ হিসেবে চিহ্নিত করার প্রচেষ্টা চলছে বলেও সভায় মন্তব্য করেন দলটির চেয়ারম্যান। 

জি এম কাদের বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ছাত্র আন্দোলনের সাফল্য নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। একটি চক্র জাতীয় পার্টিকে ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষের দল হিসেবে চিহ্নিত করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ছাত্রদের আন্দোলনে আমরা সমর্থন দিয়েছি, আমাদের নেতা-কর্মীরা অংশ নিয়ে হামলা-মামলার শিকার হয়ে জেল খেটেছে। অথচ সেই আন্দোলনের হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টি নেতা-কর্মীদের আসামি করা হচ্ছে।’

সংবিধান সংস্কার প্রসঙ্গে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত সংবিধানের পরিবর্তন চাই না। তবে দেশের মানুষের জন্য সুশাসন নিশ্চিত করতেই আমরা সংবিধানের সংশোধন চাই। সংবিধানের ক্ষমতা বলে যেন ক্ষমতাসীনরা আর দানব না হতে পারে। আমরা সংবিধানের পরিবর্তন চাই, যাতে দেশের মানুষ আজীবন গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করতে পারে। কোনো দল ক্ষমতায় গিয়ে যেন সংবিধান পরিবর্তন করে পরবর্তী নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।’ 

দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মোস্তফা আল মাহমুদ, আলমগীর সিকদার লোটন, মনিরুল ইসলাম মিলন, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আতাউর রহমান আতাসহ অনেকে।

এবি পার্টির সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম
এবি পার্টির সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
এবি পার্টির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন আইআরআই প্রতিনিধিদল। ছবি : খবরের কাগজ

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) একটি প্রতিনিধিদল আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তারা সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় আইআরআইয়ের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রোগ্রাম পরিচালক জোশুয়া রোজেনব্লাম, ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ক্রিস্টোফার ব্রেনান, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাভ ঘোষ, বাংলাদেশ অফিসের প্রোগ্রাম ম্যানেজার রুকসানা হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এবি পার্টির প্রতিনিধিদলে ছিলেন পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী সদস্যসচিব ও শ্যাডো কমিটিবিষয়ক ইনচার্জ ব্যারিস্টার সানি আবদুল হক এবং এবি মহিলা পার্টির ইনচার্জ ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি।

এবি পার্টি কীভাবে পলিসিভিত্তিক রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক রূপকল্প পরিবর্তন করতে চায় এবং নতুন প্রজন্মের রাজনীতি সম্পর্কে তারা প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন। এ সময় দেশব্যাপী দলীয় কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণের পরিকল্পনা বিশেষ করে রাজধানীর বাইরে সংগঠন বিস্তারের বিষয়ে অবহিত করা হয়।

এবি পার্টি প্রতিনিধিদলকে বলেন, কোনো ভয়-ভীতি ছাড়াই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় কাজ করার জন্য এখন উপযুক্ত সময়। 

আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকের কথাও উঠে আসে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে এবি পার্টির সদস্যসচিব প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৬টি পর্যবেক্ষণ এবং ১১ দফা প্রস্তাবের বিষয়ে অবহিত করেছেন। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, নিত্যপণ্যের নজিরবিহীন মূল্যবৃদ্ধি, প্রধান শহরগুলোতে যানজটের কারণে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়েছেন। এবি পার্টি বন্যাকবলিত এলাকায় লক্ষাধিক মানুষের অসুবিধার পরিমাণ ব্যাখ্যা করে। 

এবি পার্টি বিগত স্বৈরাচারী সরকারের শাসনামলে একাধিক গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং অর্থ পাচার নিয়ে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির বিষয়ে পার্টির চিন্তাভাবনা প্রতিনিধিদলকে অবহিত করে। 

এ সময় এবি পার্টি হাজার হাজার যুবকের ঐতিহাসিক আত্মত্যাগকে স্মরণ করে একটি নতুন প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়তে ও সত্যিকারের দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র এবং সবার জন্য কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করে। আইআরআই নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবি পার্টির কার্যক্রমকে স্বাগত জানায়।

সালমান/

জনগণ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চায় : ফারুক

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম
জনগণ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চায় : ফারুক
আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। ছবি : খবরের কাগজ

আজকে দেশের জনগণের চাওয়া আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতেই হবে- বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। 

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনার একটি কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হয়েছে। এতে বোঝা যায়, তিনি আবার দেশের ক্ষমতায় আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন।’

সোমবার (৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সংগঠন আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ, আগামী নির্বাচন ও তারেক রহমান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশের সাংবিধানিক বৈধ প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। দেশের মানুষের অর্থ চুরি করে বিদেশে পাচার করেছিলেন। সেই আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করতে কাজ করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ইতিহাস বলে, শেখ মুজিবুর রহমান কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি ভুট্টো-ইয়াহিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। অথচ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখার জন্য শেখ হাসিনা ২০৪১ সাল পর্যন্ত কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/