শেখ মুজিবের কন্যা হলে শেখ হাসিনা পালাতেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে রুর্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশনের (আরজেএফ) উদ্যোগে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি পালিয়ে না গিয়ে এদেশে থাকতেন, তাহলে বুঝতাম আপনি শেখ মুজিবের কন্যা।’
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘শেখ হাসিনার জন্য আমার দুঃখ-কষ্ট লাগে। প্রায় ১৬ বছর বাংলাদেশের চিফ জাস্টিস থেকে শুরু করে সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজের হাতের মুঠোয় রেখে তছনছ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখার জন্য। তার কর্মের জন্য সেই দানব ব্যক্তিটি এখন পলাতক।’
ড. ইউনূসের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনপ্রতিনিধির হাতে অবিলম্বে ক্ষমতা হস্তান্তর করার একটি প্রক্রিয়া আপনাকে সৃষ্টি করতে হবে। আপনার সততা, বিশ্বব্যাপী আপনার খ্যাতি কোনটাই আমরা অস্বীকার করি না। বাংলাদেশের কোনো জনগণ আপনাকে অবিশ্বাস করবে না। কিন্তু একটা জিনিস আপনাকে লক্ষ্য করতে হবে, বাংলাদেশে আপনার মতো ব্যক্তিকেও ১৪ তলা পর্যন্ত পায়ে হেঁটে উঠতে হয়েছে। লিফট বন্ধ করে দিয়েছে শেখ হাসিনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ যিনি ক্ষমতা দখল করে চোর-বাটপার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি যদি পালিয়ে না গিয়ে জেলে গিয়ে আবার ১৮-২০টি আসন নিয়ে সংসদে আসতে পারেন, আপনার যদি সেই সততা থাকতো, আপনার ১৬ বছরের অহংকার যদি সত্য হতো, আপনি পালিয়ে না গিয়ে যদি এদেশে থাকতেন তাহলে বুঝতাম আপনি শেখ মুজিবের কন্যা। আপনার অতীতের কার্যকলাপ, দুর্নীতি সব এদেশে প্রমাণিত হয়েছে। আপনাকে জনগন আর বিশ্বাস করে না।’
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘বাংলাদেশে যদি ভারতের সঙ্গে বন্দিবিনিময় থেকেই থাকে, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকারকে তাকে (শেখ হাসিনা) আনতে হবে। তার পরিবারের লোকজন অঢেল সম্পত্তির মালিক, তারা বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। তারা সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যারা বিচার পক্ষে না এলে হাইকোর্টে ময়লা ফেলেছে, এজলাসে লাথি মেরেছে। তারা এখনো বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার প্রক্রিয়ায় জড়িত। এদেরকে অবিলম্বে সব পর্যায় থেকে সরানো প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘অহংকার করে আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি আগামী ১০০ বছরেও আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। ড. ইউনূস সব জঞ্জালমুক্ত একটি নির্বাচন দিবে ১৯৯১ সালের মতো। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে আমার প্রিয় নেতা তারেক রহমান বাংলাদেশে আসবে, জনপ্রতিনিধি হবে, সরকার গঠন করবে।’
আলোচনা সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শফিকুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/অমিয়/