অভ্যুত্থানের পর সারা দেশে চিত্রিত অসাধারণ গ্রাফিতিগুলো ইতিহাসে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে সরকারি উদ্যোগে ডকুমেন্টেশন করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গণআকাঙ্ক্ষা ও বিকশিত চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে গ্রাফিতের মাধ্যমে। সারা দেশের দেয়াল থেকে মুছে যাওয়া বা বিবর্ণ হওয়ার আগেই সরকারি উদ্যোগে তা ডকুমেন্টশন করতে হবে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগরের প্রতিনিধিসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর সমন্বয়ক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী।
শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, শিক্ষার্থীরা গ্রাফিতের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন চিত্রায়িত করেছে। সারা দেশে দেয়াল লিখন তথা গ্রাফিতি বৈষম্যবিরোধী সমাজ প্রতিষ্ঠাকে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে উদ্ভাসিত করেছে। এই অনন্য গণ-অভ্যুত্থান এবং পরাক্রমশালী স্বৈরাচারের বিদায় বাংলাদেশে ‘অংশীদারত্বের গণতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার লড়াইকে প্রেরণা জোগাবে।
সভায় চারটি দাবি তুলে ধরে জেএসডি। দাবিগুলো হলো- ডিজিটাল ফরম্যাটে গ্রাফিতিগুলোর ডকুমেন্টেশন ধারণ করতে হবে। পুস্তক ও স্মারক গ্রন্থ আকারে সংরক্ষণ ও প্রকাশ করতে হবে। জুলাই জাদুঘরে গ্রাফিতি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। জুলাই হত্যাকাণ্ডের স্মরণে প্রতিবছর জুলাই মাসে ‘জাতীয় গ্রাফিতি অঙ্কন’ সপ্তাহ পালনের উদ্যোগ নিতে হবে।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহসভাপতি বেগম তানিয়া রব, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুর রহমান, ডাকসুর সাবেক আপ্যায়ন সম্পাদক নুরুল আক্তার,মোশারফ হোসেন, কামাল উদ্দিন মজুমদার সাজু, মোহাম্মদ নুরুন্নবী, মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, মোহাম্মদ মোস্তাক, আবুল কালাম,নাসির উদ্দিন স্বপন, এস এম মনিরুজ্জামান মনির, সৈয়দ ওমর ফারুক সেলিম, রফিকুল ইসলাম রাজা, মফিজুর রহমান বাবুল, মোহাম্মদ মনির হোসেন,নুরে আলম বাবু, মোহাম্মদ সোহেল প্রমুখ।
শফিকুল/সালমান/