ঢাকা ১৮ কার্তিক ১৪৩১, রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪

ভারতের তেল মালিশ করে রাজনীতি করলে হারিয়ে যেতে হবে: জাগপা

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম
ভারতের তেল মালিশ করে রাজনীতি করলে হারিয়ে যেতে হবে: জাগপা
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের তেল মালিশ করে রাজনীতি করলে হারিয়ে যেতে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি এ এস এম রহমত উল্লাহ ভূঁইয়া। 

অভিযোগ করে তিনি বলেন, ২৪'র গণঅভ্যুত্থান ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ভারতের পরিকল্পনায় গণহত্যা ঘটানো হয়েছিল। বাংলাদেশকে রক্তে রঞ্জিত ভারত এখন পার্বত্য চট্টগ্রাম দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্র করছে। গণহত্যার খুনি শেখ হাসিনা ও তাদের দোসরদের আশ্রয় দেওয়া ভারত কখনো বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারে না।  

বুধবার (২ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় নিউইয়র্কে একটি হোটেলে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা আয়োজিত ‘ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলন ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে কিছু রাজনৈতিক দলের বৈঠক এবং তাদের পরবর্তী বক্তব্য দুর্বিসন্ধিমূলক বলে মন্তব্য করেন এ এস এম রহমত উল্লাহ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, দিল্লির সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক নতুন সম্পর্ক জোরদার করতে চাইলে পিলখানায় সেনা অফিসারদের গণহত্যা, সীমান্ত চলমান হত্যা, শাপলা চত্বরে মুসলিম গণহত্যার ঘটনায় বাংলাদেশের জনগণের নিকট ভারতকে  ক্ষমা চাইতে হবে।  

তিনি বলেন, ভারতীয় পরিকল্পনায় অন্যায়ভাবে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটক ও ১/১১'র সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর ভারতীয় 'র' এর পরিকল্পনায় নির্যাতন চালানো হয়েছে তার জন্যও বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তাহলে ভেবে দেখা হবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক করা যায় কী না।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

বিরাজনীতিকরণ রাস্তায় যাওয়ার চিন্তা করবেন না: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
বিরাজনীতিকরণ রাস্তায় যাওয়ার চিন্তা করবেন না: মির্জা ফখরুল
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপিকে বাদ দিয়ে আবারও চক্রান্ত করে কিছু করার চেষ্টা করতে যাবেন না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্তর্রর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশের মানুষ কখনোই মেনে নেবে না। একবার বিরাজনীতিকরণ মাইনাস টু করার খুব চেষ্টা করা হয়েছিল। আবারও ওই রাস্তায় (বিরাজনীতিকরণ) যাওয়ার কথা কেউ চিন্তা করবেন না।

রবিবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন (আইইবি) মিলনায়তনে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণ সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, একজন উপদেষ্টা বলেছেন, রাজনীতিবিদরা নাকি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উসখুস করছেন। আপনারা এই ধরণের কথা বলবেন, এটা আমরা আশা করি না। বাংলাদেশকে হাসিনামুক্ত করতে বিএনপি যুদ্ধ করেছে, নেতা-কর্মীরা প্রাণ দিয়েছে। এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য যুদ্ধ করছি। আমরা তো ক্ষমতা যেতেই চাই। নির্বাচন করব, ক্ষমতায় যাব। এটার জন্যই তো রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করে থাকেন।

তিনি বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছেন, শত প্রতিকুলতার মাঝেও বিএনপি বারবার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। গত ১৫ বছর বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগ কিন্তু পারেনি। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। হামলা-মামলার কারণে নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারেনি। জীবন দিয়েছে, গুম হয়েছেন, কারাগারে গেছেন- এই ত্যাগ উপেক্ষা করা যাবে না।

অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যত দেরি হবে ততই স্বৈরাচার হাসিনা ফিরে আসবে। দেশে সংকট সৃষ্টি হবে। অতিদ্রুত জঞ্জাল পরিষ্কার করে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন। গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন। আমরা সহযোহিতা করেছি, আপনারাও সহযোগিতা করুন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনার মতো ভয়াবহ দানবের হাত থেকে জাতি মুক্তি পেয়েছে। বুকের ওপর থেকে পাথর চলে গেছে। দানবীয় পাথর গেলেও কোথায় যেন আটকে আছি। এখনো জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠাতা করতে পারেনি। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে জনগণের নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৫-১৬ বছরের আওয়ামী লীগ দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে। পত্রিকায় দেখলাম, প্রতিবছর ১২ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। দেশের অর্থনীতির পাশাপাশি মানুষের নৈতিক ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। যেখানেই যান সেখানেই চোর, আওয়ামী লীগের চোর। 

সাদেক হোসেন খোকার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার জীবনের স্মতিচারণ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, খোকা ভাই ছিলেন একজন লিজেন্ড। শুধু বিএনপির সঙ্গে নয়, সব দলের নেতাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। ঢাকা শহরের সব সড়কের নামগুলো বিশিষ্ট মানুষের নামে করে দিয়েছিলেন সাদেক হোসেন খোকা। শেখ হাসিনাও খোকা ভাইয়ের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। আমি তাকে কখনো উত্তেজিত হতে দেখেনি, অত্যন্ত ভাবনা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতেন। যখন কোনো সংকটে পড়তাম, তখন খোকা ভাইয়ের অভাববোধ করেছি। তার মৃত্যু আমাদের পাহাড়ের মতো ভারি হয়েছিল।  

তরুণদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন তরুণ প্রজন্মের যুগ। যখন আব্বাস ও খোকা ভাই ছিলেন তখন ঢাকা শহর কাঁপতো। তোমাদেরও কাঁপাতে হবে। আমরা এমন কিছু করে যাবে না যাতে কেউ যেন দলের বিরুদ্ধে আঙুল দিয়ে দেখাতে পারে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজুন সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, বিএনপির আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি বিএনপির কঠোর সতর্কবার্তা

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম
দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি বিএনপির কঠোর সতর্কবার্তা
ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতি মানুষকে হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, নীতি, আদর্শ পরিপন্থী, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী, সমাজবিচ্ছিন্ন ও বেআইনি কর্মকাণ্ড জড়িত না হতে সতর্কবার্তা দিয়েছেন মহানগর ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে এক জরুরি সভায় এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।

সভায় নেতারা বলেন, বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে যেকোনো অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তারা বলেন, কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না। প্রতিহিংসা-প্রতিশোধে লিপ্ত হবেন না। কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করলে তাকে আইনের হাতে তুলে দিন।

এ ছাড়া বিভেদ, হিংসা, প্রতিহিংসা ভুলে সবাই মিলে দেশ গঠনে মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।

মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব নাজিমুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম, সদস্যসচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, কৃষক দলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলমগীর ও সদস্যসচিব মো. সাবের।

মেহেদী/অমিয়/

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক নির্বাচন চায় সুজন

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩২ পিএম
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক নির্বাচন চায় সুজন
ছবি : খবরের কাগজ

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থা চায় সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। একইসঙ্গে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও ‘না’ ভোটের বিধান পুনঃপ্রবর্তনের দাবিও জানায় সংগঠনটি। এজন্য দেশের সাতটি বিভাগে কর্মসূচি করবে তারা।

শনিবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের থিয়েটার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সুজনের নেতারা।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর কাছে জনআকাঙ্ক্ষাভিত্তিক বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরতে ও ভোটার সচেতনতা এবং নাগরিক সক্রিয়তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই আয়োজন করে সংগঠনটি। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আকতার কবির চৌধুরী। 

এ সময় কমিটির আহ্বায়ক অর্থনীতিবিদ প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান ও সুজনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক দিলীপ সরকারও উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও সংবিধান সংস্কার কমিশনকে কিছু সুপারিশ অগ্রাধিকার হিসেবে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সুজন।

এগুলো হলো, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন, এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থার প্রবর্তন, উচ্চকক্ষের জন্য নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণ, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠা ও উচ্চকক্ষকে পেশাভিত্তিক পার্লামেন্টে রূপ দেওয়া, এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইবার প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না এমন বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করা, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি, সংবিধানের ৭০নং অনুচ্ছেদের সংস্কার করা এবং সংবিধানকে প্রকৃত অর্থেই অসাম্প্রদায়িক বৈশিষ্ট্যের সংবিধানে পরিণত করা।

অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংশোধনের সুযোগ না থাকলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে হবে এমনভাবে যেন যে দলই ক্ষমতায় আসুক, তারা সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে এবং অন্যান্য দল তাতে সমর্থন দেবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন বাতিল করে নতুন করে আইন প্রণয়ন, সার্চ কমিটিতে সরকারি ও বিরোধী দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, জনবল নিয়োগের ক্ষমতা কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা, না-ভোটের বিধান পুনঃপ্রবর্তন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনসহ আরও বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাছে।

এ ছাড়াও বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের কাছে সুজন আরও উল্লেখযোগ্য সুপারিশও করেছে। এগুলো হচ্ছে, পুলিশ ও জনপ্রশাসনকে সম্পূর্ণ দলীয়করণমুক্ত করে রাষ্ট্রের কাছে দায়বদ্ধ করা, ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে সরকারি কর্মসূচিতে পরিণত না করা, দলীয় কর্মসূচিতে পুলিশ ও জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা, বিচারপতি নিয়োগে আইন প্রণয়ন, বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব বলয় থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনকে মুক্ত করা।

গণমাধ্যমের ওয়াচডগের ভূমিকা পালনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পরিপন্থী সব নিবর্তনমূলক আইন বাতিলের সুপারিশও করা হয়েছে।

এছাড়া স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশনের কাছে সব নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালু, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির অবসান ঘটানো এবং শ্রমিক অধিকারবিষয়ক সংস্কার কমিশনের কাছে শ্রমিকের সংজ্ঞায় কৃষিশ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করা, শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুসহ আরও কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

মেহেদী/অমিয়/

ফ্যাসিস্টদের চিরতরে নির্মূলের আহ্বান মির্জা ফখরুলের

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম
ফ্যাসিস্টদের চিরতরে নির্মূলের আহ্বান মির্জা ফখরুলের
জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বিএনপির মহাসচিব। ছবি: খবরের কাগজ

আগামী দিনে নির্বাচনে ফ্যাসিস্টরা যাতে ফিরে আসতে না পারে, জনগনের দুর্বার প্রতিরোধে ফ্যাসিবাদ যেন চিরতরে নির্মূল হয় সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

রবিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ আহ্বান জানান। 

মির্জা ফখরুল বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জনপ্রিয় এই নেতা ভোটে প্রতিযোগিতা করে জয় লাভ করেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্টরা জোরপূর্বক সেই নির্বাচনের ফলাফল কেড়ে নিয়েছিল।

অন্তর্বর্তী সরকার ও বিচারব্যবস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তারা ন্যায় বিচারের মাধ্যমে ডা. শাহাদাতকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে। অন্তবর্তী সরকার আদালতের রায় মেনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে শাহাদাত হোসেনকে শপথ গ্রহণ করিয়েছেন। 

চসিক মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার যে ইশতেহার ছিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন হবে গ্রিণ ও ক্লিন সিটি কর্পোরেশন। সেই লক্ষ্যে আমি কাজ করে যাব। চট্টগ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

শ্রদ্ধা নিবেদনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ চট্টগ্রাম বিএনপি মহানগর ও বিভাগীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/

দখল-বেদখলে জড়িতদের তালিকা হচ্ছে: কর্নেল বাহার

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
দখল-বেদখলে জড়িতদের তালিকা হচ্ছে: কর্নেল বাহার
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বিএনপির মতবিনিময় সভা। ছবি: খবরের কাগজ

দখল-বেদখলে জড়িতদের তালিকা হচ্ছে বলে জানিয়েছেনে ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহার।

শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেল চারটায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে একটি কমিউনিটি সেন্টারে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।

আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, দখল, অন্যায়, নির্যাতন বন্ধে পৌর বিএনপির উদ্যাগে এ মতবিনিময় সভা হয়।

ফটিকছড়ি পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুল মাবুদ মুন্সির সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ফটিকছড়ি বিএনপির আহ্বায়ক কর্নেল আজিম উল্লাহ বাহার।

তিনি বলেন, বিএনপির নামে যারা পুলিশ দিয়ে হয়রানি, চাঁদাবাজি, দখল-বেদখলে লিপ্ত হয়েছে তাদের তালিকা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আগে ভুল শুধরে সঠিক পথে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। যদি দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট করার কাজ অব্যাহত রাখেন তা হলে আপনাদের বহিষ্কার করতে বাধ্য হব। 

এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন- জহির আজম চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম, আবুল বশর, আমান উল্লাহ চৌধুরী, নুরুল আলম মেম্বার, মাওলানা নুরু, মো. জসিম উদ্দিন, তসলিমা আকতার, যুবদল নেতা মুইন উল্লাহ উজ্জল প্রমুখ।

পরে আবদুল মাবুদ মুন্সি, আমান উল্লাহ চৌধুরী, নুরুল আলম মেম্বার, মাওলানা নুরুল আলম নুরু, তসলিমা আকতার, মোহাম্মদ আলী, জসিম উদ্দিনকে নিয়ে সাত সদস্যের সমম্বয় কমিটি গঠন করা হয়।

এ কমিটি প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়সহ দলীয় ও পৌরসভার সাংগঠনিক কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করবে।


আবদুস সাত্তার/মেহেদী/অমিয়/