ঢাকা ২৫ কার্তিক ১৪৩১, রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

স্বৈরাচার পুনর্বাসন হলে দেশ হবে জল্লাদের উল্লাসভূমি : রিজভী

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম
স্বৈরাচার পুনর্বাসন হলে দেশ হবে জল্লাদের উল্লাসভূমি : রিজভী
ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি : খবরের কাগজ

পতিত স্বৈরাচার আবার পুনর্বাসন হলে বাংলাদেশ জল্লাদের উল্লাসভূমি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ যখন স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের কথা বলে, তাদের নিজেদের ঘর গুছানোর কথা বলে তখন জনগণের কাছে অত্যন্ত বিপজ্জনক বার্তা দেয়। যারা এতদিন গুম-খুন আর আয়নাঘরের সংস্কৃতি তৈরি করেছিল তারা যদি পুনর্বাসন হয় তাহলে এদেশে আর মানুষ বসবাস করতে পারবে না। এই দেশ হবে জল্লাদের উল্লাসভূমি। এখানে গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চিরদিনের জন্য কবরস্থানে চলে যাবে।’

সোমবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় বিএনপির পক্ষ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন রিজভী। 

স্বৈরাচারের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সুবিধা নিয়ে যারা বিভিন্ন পদে যাচ্ছেন, এখনো যারা গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করছেন, তারা যখন আওয়ামী লীগকে ঘর গুছানোর বার্তা দেন তখন এটা সাংঘাতিক ধরনের মরণঘাতী বার্তা। এটা হতে পারে না। যারা আয়নাঘরে গণতন্ত্রকামী মানুষদের বছরের পর বছর আটকে রেখেছিল, অসংখ্য মানুষকে পঙ্গু করে দিয়েছিল, যারা জীবন কেড়ে নিয়েছিল সেই সমস্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের পোস্টিং দেওয়া হচ্ছে, আবার কাউকে সেখানে রাখা হয়েছে। এটাই যদি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য হয় তাহলে ছাত্র-জনতার এই আত্মত্যাগের কী হবে?’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব নিয়োগ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে দেখছি, নানা কায়দায় সরকার ঘাপটি মারা স্বৈরাচারের সুবিধাভোগী দোসরদের পুনর্বাসন করছে। কাতারে একজন রাষ্ট্রদূত ছিলেন, তিনি কাতারে প্রবাসীদের ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও নবায়ন করতেন না। তিনি (রাষ্ট্রদূত) খবর নিতেন ওই সমস্ত লোক কোনো দল করে, কাদের সমর্থক? কারণ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অধিকাংশ প্রবাসী বিএনপির সমর্থক, তাদের ওই রাষ্ট্রদূত নানাভাবে হয়রানি করেছেন, ভিসা নবায়ন করেননি। সেই লোককে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব করা হয়েছে।’ 

অন্তর্বর্তী সরকার কাদের পুনর্বাসন করছেন প্রশ্ন রেখে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘যারা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, যারা শহিদের লাশকে আজ অপবিত্র করছে, শহিদের আত্মদান ও রক্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে তাদের? যারা শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্টকে সমর্থন করে বিরোধী দল দমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে তাদের যদি আজ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে নিয়োগ পায় তাহলে এই সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ওইরকম বিতর্কিত ব্যক্তিদের বসানো হলে এই দেশ, জনগণ এবং বিপ্লবে দেড় হাজারেরও বেশি শহিদের অবমাননা করা হবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহ স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক পারভেজ রেজা কাকন, সহ প্রচার সম্পাদক আসাদুল করীম শাহিন প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপি আপস করবে না: তারেক রহমান

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ পিএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১০ পিএম
নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপি আপস করবে না: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রশ্নে বিএনপি কোনো আপস করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, আমাদের স্পষ্ট বার্তা নিরপেক্ষভাবে ভোট হতে হবে। এটার সঙ্গে কোনো কম্প্রমাইজ (আপস) নাই। যদি এটি নিশ্চিত করা যায়, তা হলে ধীরে ধীরে আমরা দেশের ও মানুষের সমস্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে। কাজেই এর সঙ্গে কোনো আপস নেই।

শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে কৃষক দলের উদ্যোগে ইউনিয়ন পর্যায়ে ‘কৃষক সমাবেশ’ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।

দুই পর্বের এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সকালে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এতে সারা দেশ থেকে আসা কৃষক দলের প্রায় ৩ হাজার প্রতিনিধি অংশ নেন। আজ কর্মশালা থেকে আগামী তিন মাস সারা দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হবে।

তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণকে বোঝাতে হবে আপনার বুদ্ধি-বিবেক দিয়ে যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দিন, কিন্তু ডামি নির্বাচন, নিশিরাতে ভোট হতে পারবে না। এর সঙ্গে কোনো আপস হবে না।’ 

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারলে ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া যাবে না। জবাবদিহি নিশ্চিত করতে না পারলে ভালো কিছু সম্ভব না। ভোট যাতে হয়, সেই অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ যাকে খুঁশি তাকে ভোট দেবে। আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত দেশে গণতান্ত্রিকব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হব না, ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো কিছু করতে পারব না।’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শহিদ জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচি শুরু করা হবে জানিয়ে তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক জায়গা আছে যেখানে দেশের কৃষক প্রয়োজনীয় পানি পায় না। ফসল উৎপাদনে বাধাগ্রস্ত হয়। খাল খননের মাধ্যমে শহিদ জিয়া পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। যেখানে একটি ফসল হতো সেখানে পানির কারণে দুটি হয়েছিল, দুটি ফসলের জায়গায় তিনটি ফসল হয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে।’

বিএনপির শীর্ষ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীদের বড় একটা অংশ কৃষির সঙ্গে জড়িত। তাই কৃষির প্রতি নজর দিতে হবে। খালেদা জিয়ার সময় ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষিঋণ মওকুফ করে দেওয়া হয়েছিল। ফসলের মৌসুমে বিদ্যুৎ বিল সরকার বহন করত। যার মধ্য দিয়ে কৃষকদের কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে। কৃষকের বীজের সমস্যার সমাধান করা যায়নি। বিভিন্ন সময় ফসল নষ্ট হয় সে জন্য আমরা কৃষি বিমার কথা চিন্তা করেছি।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মতে, ২০ কোটি মানুষের জন্য খাদ্য উৎপাদন করতে হলে কৃষির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এত মানুষের জন্য খাদ্য আমদানি সম্ভব না। তাই যেগুলো মৌলিক খাদ্য সেগুলো দেশেই উৎপাদন করতে হবে। তাই কীভাবে কৃষি জমি বাড়ানো যায় সেটা আমাদের চিন্তা করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। তাই আমাদের সতর্কতার সঙ্গে চলতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার সুযোগ এসেছে। তবে পতিত স্বৈরাচাররা এখনো নতুন করে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন। তাদের সব ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে হবে।’

কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাসুজ্জামান দুদু, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে চায় জামায়াতে ইসলামী

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম
বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে চায় জামায়াতে ইসলামী
ভোলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা শাখার নবনির্বাচিত আমিরের শপথ ও সদস্য (রুকন) সম্মেলন অনুষ্ঠিত। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে এবং কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি ও বরিশাল অঞ্চল পরিচালক অ্যাডভোকেট মোয়াযযাম হোসাইন হেলাল।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে ভোলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা শাখার নবনির্বাচিত আমিরের শপথ ও সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ভোলার আদর্শ একাডেমি মাঠে জেলার আমির জাকির হোসাইনের সভাপতিত্বে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. হারুনুর রশিদ। 

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগরীর আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মো. বাবর, কেন্দ্রীয় গবেষণা ইউনিটের সদস্য কেন্দ্রীয় মজলিশ উস শূরা সদস্য ও ভোলা জেলার সাবেক আমির, ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা ফজলুল করিম।

এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে জালিম সরকারের পতনের ইতিহাস পৃথিবীর বুকে নজির হিসেবে লেখা থাকবে। এই বিজয়কে স্থায়ী করে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। 

এ সময় তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো মানুষের দল ছিল না। এটি মাস্তানি, চাঁদাবাজি আর মানুষের অধিকার হরণের দলে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে জামায়াতের জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বেড়েছে। আগামী দিনে জনগণের ভোটের রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করবে।

জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে জামায়াতে ইসলামীর অনেক অবদান রয়েছে বলে তিনি যোগ করেন। 

আর কোনো দিন এই স্বৈরাচার যেন দেশে আসতে না পারে, সেজন্য দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশে ২০২৫-২৬ সেশনের আমির হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিস উস শূরার সদস্য মাস্টার মো. জাকির হোসাইন।

জেলা আমিরের শপথের পর নবনির্বাচিত আমিরের তত্ত্বাবধানে রুকনদের প্রত্যক্ষ ভোটে জেলা শূরাহ সদস্য নির্বাচন করা হয়।

তাওফিক/অমিয়/

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক টিম ঘোষণা

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৫ পিএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৬ পিএম
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক টিম ঘোষণা
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. আবু হোরায়রাকে সভাপতি (বামে) এবং এম. রাজিবুল ইসলাম তালুকদার বিন্দুকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রদলের নতুন সাংগঠনিক টিম ঘোষণা করা হয়েছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নতুন সাংগঠনিক টিম ঘোষণা করা হয়েছে।

সভাপতি মো. আবু হোরায়রা এবং সাধারণ সম্পাদক এম. রাজিবুল ইসলাম তালুকদার বিন্দুর নেতৃত্বে এ নতুন সাংগঠনিক টিম গঠন করা হয়েছে।

শনিবার (৯ নভেম্বর) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেনে সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এ তথ্য। 

এতে বলা হয়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় এবং বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের পরামর্শে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্রদলের ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কমিটি গঠন এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার লক্ষ্যেই এই টিমের কাজ হবে।

আবু হোরায়রা বলেন, ‘দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের ভূমিকা সুদৃঢ় করতে এবং জাতীয় উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের মতামত ও ভাবনা শোনা হবে। আগামী দিনে তাদের মতামত বাস্তবায়নে অংশীদার করতে এই টিম কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’

সার্বিকভাবে মনিটরিং দায়িত্বে রয়েছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র-সহ সভাপতি, মো. রিসালাত ইসলাম সজীব, সিনিয়র-যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নুর হোসেন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল হক সাইমুন।

শফিকুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যৌক্তিক সময় দেবে জামায়াত: গোলাম পরওয়ার

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যৌক্তিক সময় দেবে জামায়াত: গোলাম পরওয়ার
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: খবরের কাগজ

একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা সংস্কার করা দরকার, এই সরকারকে সেই যৌক্তিক সময় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় কুষ্টিয়ার মোল্লা তেঘরিয়ায় আব্দুল ওয়াহিদ রাহি অডিটোরিয়ামে রুকন সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। 

এ সময় তিনি বলেন, যৌক্তিক সময় বলতে আমরা বুঝিয়েছি যে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা সংস্কার করা দরকার, সেই সময়টুকু। সব মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে। আর তফসিল ঘোষণা হলেই জামায়াত নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

ফ্যাসিবাদের দীর্ঘ ১৫ বছরে রাষ্ট্রের সব অঙ্গ অপরাধে অপবিত্র হয়ে গিয়েছিল। অপরাধ, খুন, অর্থ পাচার, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও মাস্তানির মাস্টারমাইন্ড ছিলেন ফ্যাসিবাদ শাসক শেখ হাসিনা।

জামায়াতের এই নেতা বলেন, ফ্যাসিবাদের বিদায়ের কেবল তিন মাস হয়েছে। কিন্তু অপরাধপ্রবণতা ১০০ ভাগ বিদায় হয়নি। এখনো অপরাধ হচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। এ বিষয়গুলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলেছি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সব সময় দৃঢ় থাকবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আল্লাহতায়ালার বিধান এবং নবীর আদর্শে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র কায়েম করা। সেই রাষ্ট্রে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের কল্যাণ থাকবে। 

কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসাইন।

মিলন উল্লাহ/মেহেদী/অমিয়/

রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা নিয়ে সেমিনার করবে বিএনপি

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৮ এএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫২ এএম
রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা নিয়ে সেমিনার করবে বিএনপি
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে প্রণীত ৩১ দফাকে কেন্দ্র করে সেমিনার করবে বিএনপি। 

আগামী ২৩ নভেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে এ সেমিনারের আয়োজন করা হবে।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

এ ছাড়া উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য, যুগপৎ আন্দোলন ও নির্বাচন বর্জন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বিশিষ্টজনেরা। 

এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, আমি সেমিনারের বিষয়ে শুনেছি।

যুগপৎ আন্দোলনের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই ‘সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ‘রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা’ ঘোষণা করে বিএনপি। 

গণতন্ত্র মঞ্চসহ অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে যুগৎভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী শক্তিগুলোর প্রতি বিএনপির প্রতিশ্রুতি ছিল এই ৩১ দফা। 

এর আগে ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ ঘোষণা করেন। 

২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে খালেদা জিয়া ‘ভিশন-২০৩০’ উপস্থাপন করেন। 

তবে তার রাজনৈতিক ঘোষণাটি মূলত ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে আসে।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত সেই সম্মেলনে খালেদা জিয়া জানান, ক্ষমতায় এলে তার দল জাতীয় সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা নিরসনকল্পে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা হবে। রাষ্ট্রের এককেন্দ্রিক ক্ষমতা দূর করতে সংসদে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে। 

তিনি জানান, জাতীয় সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বিএনপি। বিএনপির ৩১ দফায় এই সংস্কার প্রস্তাবগুলো রয়েছে।

শফিকুল/পপি/