ঢাকা ২৪ কার্তিক ১৪৩১, শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশকে স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রে রূপান্তর করতে হবে: মঈন খান

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৪ পিএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৭ পিএম
বাংলাদেশকে স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রে রূপান্তর করতে হবে: মঈন খান
ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারকে বাংলাদেশকে স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রে রূপান্তর করার মান্ডেট দিয়েছে জনগণ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) একমাত্র সহজ মান্ডেট হচ্ছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু এখন সরকার যদি মনে করে, তাদের সব কিছু সংস্কার করার মান্ডেট দিয়েছে, আগামী ১০০ বছর তারা ক্ষমতায় থাকবে- এই মান্ডেট ছাত্র-জনতা তাদেরকে দেয়নি। এটা ছাত্ররাও ভাবলে তারা ভুল ভাবছে।  

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে দ্যা মিলিনিয়াম ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাস শীর্ষক গোলটেবিল’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মিলিনিয়াম ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট রোখসানা খন্দকার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ। 

মঈন খান বলেন, ছাত্র-জনতার কথাই বাইবেল নয়, বাংলাদেশের মানুষ ‘পলিটিক্যাল সাইন্স’ ভালো জানে। এবং এদেশে স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নিতে হয় তাও জানে। আসুন আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে ফিরে যাই, মানুষের সত্যিকার অধিকার তাদের কাছে ফিরিয়ে দেই। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে মধ্যে ১৯৯১ সালে নির্বাচন ছিল সবচেয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন। সেখান থেকেও সরকার শিক্ষা নিতে পারে।
    
বিগত দুই মাস অন্তর্বর্তী সরকার কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিশেষ করে ১৫ আগস্ট ঘিরে যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছিল কিন্তু সেই ধোঁয়াশা রাজনৈতিক আকাশে বিলীন হয়ে গেছে। তারা সফল হয়েছে। এরপর পরিকল্পিতভাবে জুডিশিয়াল ক্যু, আনসার, সংখ্যালঘু ইস্যু, ভারতসৃষ্ট বন্যা, গার্মেন্টস শিল্প, পার্বত্য চট্টগ্রাম অস্থিতিরতা তৈরি, দ্রব্যমূল্য বাড়ানো, সীমান্তের ওপর থেকে অডিও ফাঁস এবং সবশেষ দূগাপুজা নিয়ে দেশে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু জনগণ এবারও প্রতিহত করবে।  

মঈন খান বলেন, জনগণের প্রশ্ন- এই সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন কিনা? তারা যত দ্রুত কাজ দরকার ছিল তারা করতে পারছেন কিনা? বিপ্লবী সরকার স্বল্প সময়ের মধ্যে নতুন করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারবে? সংস্কার ও নির্বাচন সমান্তরালভাবে চলবে আজকে সরকারও এটা স্বীকার করেছে। জনগণের মতামত দেওয়ার যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তা কিছুটা হলেও কাজ করছে। এটা একটি শুভলক্ষণ।  

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছিল, বাংলাদেশ হচ্ছে উদার মুসলিম দেশ। মূলত গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষ ছিল না বরং ধর্মহীন ছিল। এদেশের মুসলমান কখনো মৌলবাদ ছিল না, এখনো নেই। মুসলমানদের বার বার ভুল বুঝিয়ে মৌলবাদী প্রমাণ করে পশ্চিমাদের সহায়তা নেওয়ার চেষ্টা করে আওয়ামী লীগ। দূর্গাপুর্জা সামনে রেখে আবারও বিশ্বে একই প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এর পেছনে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।  

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার দেশে ফেরার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ভারত ছাড়া অন্য কোন দেশে আশ্রয় পাচ্ছে না। এমনকি ইংল্যান্ডেও না। এর কারণ একটাই আন্তর্জাতিক বিশ্ব জানে তিনি কত বড় ভয়ংকর ফ্যাসিস্ট। গণহত্যায় জড়িতদের বিচার অবশ্যই করতে হবে। তবে এ বিষয়ে সরকারের ভূমিকা তা অনেকটাই ঢিলেঢালা। সরকারের অবস্থান যদি এমন ঢিলেঢালা অবস্থায় থাকে, তবে স্বৈরাচার আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলেও মন্তব্য করেন।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে চায় জামায়াতে ইসলামী

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম
বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে চায় জামায়াতে ইসলামী
ভোলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা শাখার নবনির্বাচিত আমিরের শপথ ও সদস্য (রুকন) সম্মেলন অনুষ্ঠিত। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে এবং কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি ও বরিশাল অঞ্চল পরিচালক অ্যাডভোকেট মোয়াযযাম হোসাইন হেলাল।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে ভোলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা শাখার নবনির্বাচিত আমিরের শপথ ও সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ভোলার আদর্শ একাডেমি মাঠে জেলার আমির জাকির হোসাইনের সভাপতিত্বে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. হারুনুর রশিদ। 

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগরীর আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মো. বাবর, কেন্দ্রীয় গবেষণা ইউনিটের সদস্য কেন্দ্রীয় মজলিশ উস শূরা সদস্য ও ভোলা জেলার সাবেক আমির, ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা ফজলুল করিম।

এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে জালিম সরকারের পতনের ইতিহাস পৃথিবীর বুকে নজির হিসেবে লেখা থাকবে। এই বিজয়কে স্থায়ী করে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। 

এ সময় তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো মানুষের দল ছিল না। এটি মাস্তানি, চাঁদাবাজি আর মানুষের অধিকার হরণের দলে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে জামায়াতের জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বেড়েছে। আগামী দিনে জনগণের ভোটের রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করবে।

জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে জামায়াতে ইসলামীর অনেক অবদান রয়েছে বলে তিনি যোগ করেন। 

আর কোনো দিন এই স্বৈরাচার যেন দেশে আসতে না পারে, সেজন্য দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশে ২০২৫-২৬ সেশনের আমির হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিস উস শূরার সদস্য মাস্টার মো. জাকির হোসাইন।

জেলা আমিরের শপথের পর নবনির্বাচিত আমিরের তত্ত্বাবধানে রুকনদের প্রত্যক্ষ ভোটে জেলা শূরাহ সদস্য নির্বাচন করা হয়।

তাওফিক/অমিয়/

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক টিম ঘোষণা

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৫ পিএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৬ পিএম
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক টিম ঘোষণা
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. আবু হোরায়রাকে সভাপতি (বামে) এবং এম. রাজিবুল ইসলাম তালুকদার বিন্দুকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রদলের নতুন সাংগঠনিক টিম ঘোষণা করা হয়েছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নতুন সাংগঠনিক টিম ঘোষণা করা হয়েছে।

সভাপতি মো. আবু হোরায়রা এবং সাধারণ সম্পাদক এম. রাজিবুল ইসলাম তালুকদার বিন্দুর নেতৃত্বে এ নতুন সাংগঠনিক টিম গঠন করা হয়েছে।

শনিবার (৯ নভেম্বর) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেনে সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এ তথ্য। 

এতে বলা হয়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় এবং বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের পরামর্শে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্রদলের ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কমিটি গঠন এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার লক্ষ্যেই এই টিমের কাজ হবে।

আবু হোরায়রা বলেন, ‘দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের ভূমিকা সুদৃঢ় করতে এবং জাতীয় উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের মতামত ও ভাবনা শোনা হবে। আগামী দিনে তাদের মতামত বাস্তবায়নে অংশীদার করতে এই টিম কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’

সার্বিকভাবে মনিটরিং দায়িত্বে রয়েছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র-সহ সভাপতি, মো. রিসালাত ইসলাম সজীব, সিনিয়র-যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নুর হোসেন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল হক সাইমুন।

শফিকুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যৌক্তিক সময় দেবে জামায়াত: গোলাম পরওয়ার

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যৌক্তিক সময় দেবে জামায়াত: গোলাম পরওয়ার
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: খবরের কাগজ

একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা সংস্কার করা দরকার, এই সরকারকে সেই যৌক্তিক সময় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় কুষ্টিয়ার মোল্লা তেঘরিয়ায় আব্দুল ওয়াহিদ রাহি অডিটোরিয়ামে রুকন সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। 

এ সময় তিনি বলেন, যৌক্তিক সময় বলতে আমরা বুঝিয়েছি যে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা সংস্কার করা দরকার, সেই সময়টুকু। সব মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে। আর তফসিল ঘোষণা হলেই জামায়াত নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

ফ্যাসিবাদের দীর্ঘ ১৫ বছরে রাষ্ট্রের সব অঙ্গ অপরাধে অপবিত্র হয়ে গিয়েছিল। অপরাধ, খুন, অর্থ পাচার, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও মাস্তানির মাস্টারমাইন্ড ছিলেন ফ্যাসিবাদ শাসক শেখ হাসিনা।

জামায়াতের এই নেতা বলেন, ফ্যাসিবাদের বিদায়ের কেবল তিন মাস হয়েছে। কিন্তু অপরাধপ্রবণতা ১০০ ভাগ বিদায় হয়নি। এখনো অপরাধ হচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। এ বিষয়গুলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলেছি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সব সময় দৃঢ় থাকবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আল্লাহতায়ালার বিধান এবং নবীর আদর্শে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র কায়েম করা। সেই রাষ্ট্রে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের কল্যাণ থাকবে। 

কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসাইন।

মিলন উল্লাহ/মেহেদী/অমিয়/

রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা নিয়ে সেমিনার করবে বিএনপি

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৮ এএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫২ এএম
রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা নিয়ে সেমিনার করবে বিএনপি
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে প্রণীত ৩১ দফাকে কেন্দ্র করে সেমিনার করবে বিএনপি। 

আগামী ২৩ নভেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে এ সেমিনারের আয়োজন করা হবে।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

এ ছাড়া উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য, যুগপৎ আন্দোলন ও নির্বাচন বর্জন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বিশিষ্টজনেরা। 

এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, আমি সেমিনারের বিষয়ে শুনেছি।

যুগপৎ আন্দোলনের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই ‘সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ‘রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা’ ঘোষণা করে বিএনপি। 

গণতন্ত্র মঞ্চসহ অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে যুগৎভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী শক্তিগুলোর প্রতি বিএনপির প্রতিশ্রুতি ছিল এই ৩১ দফা। 

এর আগে ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ ঘোষণা করেন। 

২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে খালেদা জিয়া ‘ভিশন-২০৩০’ উপস্থাপন করেন। 

তবে তার রাজনৈতিক ঘোষণাটি মূলত ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে আসে।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত সেই সম্মেলনে খালেদা জিয়া জানান, ক্ষমতায় এলে তার দল জাতীয় সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা নিরসনকল্পে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা হবে। রাষ্ট্রের এককেন্দ্রিক ক্ষমতা দূর করতে সংসদে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে। 

তিনি জানান, জাতীয় সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বিএনপি। বিএনপির ৩১ দফায় এই সংস্কার প্রস্তাবগুলো রয়েছে।

শফিকুল/পপি/

গোপন বৈঠকের অভিযোগে ১৯ ইউপি সদস্য আটক

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯ এএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৯ এএম
গোপন বৈঠকের অভিযোগে ১৯ ইউপি সদস্য আটক
হোটেল থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইউপি সদস্যদের। ছবি: খবরের কাগজ

কক্সবাজার শহরে একটি আবাসিক হোটেল থেকে আওয়ামীপন্থি ১৯ ইউপি সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। 

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে ইউনি রিসোর্টের পঞ্চম তলার হলরুম থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকদের দাবি, জেলার ৯টি উপজেলার ইউপি সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভা চলছিল। এ সময় পুলিশ ও অর্ধশতাধিক কথিত সমন্বয়ক তাদের হলরুম ঘেরাও করে। এরপর পুলিশ ও সমন্বয়ক পরিচয়ধারীরা এসে তল্লাশি শুরু করে।

এ বিষয়ে পুলিশ বলছে, আওয়ামীপন্থি ইউপি সদস্যরা গোপনে বৈঠক করছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

বৈঠকে ৭০ জন ইউপি সদস্য ছিলেন। তবে বাকিদের ছেড়ে দেওয়ার কারণ স্পষ্ট করেনি পুলিশ।

এদিকে, হোটেল ঘেরাও করায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয় আশপাশের এলাকায়। এমনকি পর্যটকদের হোটেল থেকে বেরিয়ে যেতেও দেখা যায়।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম নোমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি সদস্যরা ইউনি রিসোর্টে গোপন বৈঠক করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে। এখানে অনেক ইউপি সদস্য আছেন। যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, তাদের আটক করা হয়েছে এবং যাদের বিরুদ্ধে মামলা নেই, তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

তবে পুলিশের অভিযানে অর্ধশতাধিক কথিত সমন্বয়ক কেন? এমন প্রশ্নের জবাব দেননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।

আটক টেকনাফ সদর ইউপির সদস্য জহির আহমেদ বলেন, ‘আজ জেলার ইউপি সদস্যের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভা ছিল। আমরা প্রায় ৭০ জন ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলাম। দেশের ক্রান্তিকালে কীভাবে কাজ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। হঠাৎ পুলিশ ও সমন্বয়ক ঢুকে আমাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আটক করে।’

গোপন বৈঠক হলে সড়কের পাশে হোটেলে ঘটা করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো না দাবি জহিরের। তাদের অকারণে হয়রানি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পুলিশি হেফাজত থেকে ছাড়া পেয়ে মহেশখালী এলাকার ইউপি সদস্য সেলিম জানান, তাদের মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভা ছিল। সেখানে সব রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিরাই ছিলেন।

পুলিশের অতর্কিত তল্লাশির প্রতি নিন্দা জানান তিনি।

পর্যটক মিরাজ খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমি পরিবার নিয়ে এই হোটেলে উঠেছিলাম। হঠাৎ পুলিশ হোটেল ঘেরাও করে। এর কিছুক্ষণ পর ছাত্র পরিচয়ে কিছু লোক হোটেলে ঢুকে পড়েন। আমরা নিজেদের নিরাপদ মনে করছি না। তাই চলে যাচ্ছি।’

এদিকে অভিযানের নিউজ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ভিডিও ফুটেজ নিতে বাধা দেন সমন্বয়ক পরিচয়ধারী কিছু লোক। একপর্যায়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগও ওঠে।

মুহিবুল্লাহ/নাইমুর/অমিয়/