নির্বাচন যত পিছিয়ে যাবে সংকট তত তীব্র হতে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এ জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনা করবে। জনগণের এই সরকার ব্যর্থ হলে দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র বিপন্ন হবে। এ জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন।’
শনিবার (১২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতীকী প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। অবিলম্বে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদু বলেন, ‘আমরা বর্তমান সরকারের কাছে খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা করি না। দীর্ঘ ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারে না। ড. ইউনূস আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একজন ব্যক্তি। আগামী নির্বাচন কবে হবে এই কথা তিনি যত দিন জাতিকে জানাতে না পারবেন, তত দিন নানা বিতর্ক তৈরি হবে। এই বিতর্ক সৃষ্টি হোক- এটা আমরা প্রত্যাশা করি না।’
তিনি বলেন, ‘বাজারে আগুন লেগে গেছে। দ্রব্যমূল্য এতটাই বেড়েছে যে মানুষ অস্বস্তিতে পড়েছে। নতুন সরকার আসার পর এই অবস্থা হবে এটা কেউ প্রত্যাশা করেনি। তাই জিনিসপত্রের দাম কমাতে আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) উদ্যোগ নিন। সরকার সংস্কার করবে, সেই সংস্কার পরবর্তী সরকার সংসদে এসে অনুমোদন করবে।’
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘এক মাসে কিছু হয় না। এক মাসের আন্দোলনের কথা বিবেচনায় যদি এনে থাকেন, সেটা ঠিক হয়নি। গত ১৬ বছর দেশের মানুষ রক্ত দিয়েছে; ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক জেল খেটেছে, গুম ও নিখোঁজ হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিলেমিশে চলাটাই এ সরকারের সাফল্যের একটি কারণ হতে পারে। দূরত্ব বাড়লে দেশ, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য মানুষের বিপদ হতে পারে।’
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘এ আন্দোলনের একমাত্র মাস্টারমাইন্ড হচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য যা করা দরকার, সবই করেছেন তিনি। ১৬ বছর ধরে হাসিনা বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছে। আর তারেক রহমান বিচক্ষণতার সঙ্গে বিএনপিকে রক্ষা করেছে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক জেড মোহাম্মদ খান রিয়াজ উদ্দিন নসু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আব্দুল আল বাকি, সহ-সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন রবি, একে খোদা তোতন, পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজী, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মির আমির হোসেন আমু প্রমুখ।
শফিকুল/সালমান/