ঢাকা ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক নির্বাচন চায় সুজন

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩২ পিএম
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক নির্বাচন চায় সুজন
ছবি : খবরের কাগজ

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থা চায় সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। একইসঙ্গে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও ‘না’ ভোটের বিধান পুনঃপ্রবর্তনের দাবিও জানায় সংগঠনটি। এজন্য দেশের সাতটি বিভাগে কর্মসূচি করবে তারা।

শনিবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের থিয়েটার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সুজনের নেতারা।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর কাছে জনআকাঙ্ক্ষাভিত্তিক বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরতে ও ভোটার সচেতনতা এবং নাগরিক সক্রিয়তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই আয়োজন করে সংগঠনটি। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আকতার কবির চৌধুরী। 

এ সময় কমিটির আহ্বায়ক অর্থনীতিবিদ প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান ও সুজনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক দিলীপ সরকারও উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও সংবিধান সংস্কার কমিশনকে কিছু সুপারিশ অগ্রাধিকার হিসেবে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সুজন।

এগুলো হলো, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন, এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থার প্রবর্তন, উচ্চকক্ষের জন্য নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণ, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠা ও উচ্চকক্ষকে পেশাভিত্তিক পার্লামেন্টে রূপ দেওয়া, এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইবার প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না এমন বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করা, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি, সংবিধানের ৭০নং অনুচ্ছেদের সংস্কার করা এবং সংবিধানকে প্রকৃত অর্থেই অসাম্প্রদায়িক বৈশিষ্ট্যের সংবিধানে পরিণত করা।

অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংশোধনের সুযোগ না থাকলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে হবে এমনভাবে যেন যে দলই ক্ষমতায় আসুক, তারা সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে এবং অন্যান্য দল তাতে সমর্থন দেবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন বাতিল করে নতুন করে আইন প্রণয়ন, সার্চ কমিটিতে সরকারি ও বিরোধী দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, জনবল নিয়োগের ক্ষমতা কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা, না-ভোটের বিধান পুনঃপ্রবর্তন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনসহ আরও বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাছে।

এ ছাড়াও বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের কাছে সুজন আরও উল্লেখযোগ্য সুপারিশও করেছে। এগুলো হচ্ছে, পুলিশ ও জনপ্রশাসনকে সম্পূর্ণ দলীয়করণমুক্ত করে রাষ্ট্রের কাছে দায়বদ্ধ করা, ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে সরকারি কর্মসূচিতে পরিণত না করা, দলীয় কর্মসূচিতে পুলিশ ও জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা, বিচারপতি নিয়োগে আইন প্রণয়ন, বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব বলয় থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনকে মুক্ত করা।

গণমাধ্যমের ওয়াচডগের ভূমিকা পালনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পরিপন্থী সব নিবর্তনমূলক আইন বাতিলের সুপারিশও করা হয়েছে।

এছাড়া স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশনের কাছে সব নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালু, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির অবসান ঘটানো এবং শ্রমিক অধিকারবিষয়ক সংস্কার কমিশনের কাছে শ্রমিকের সংজ্ঞায় কৃষিশ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করা, শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুসহ আরও কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

মেহেদী/অমিয়/

ত্রিপুরায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার নিন্দা জাসদের

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৪ পিএম
ত্রিপুরায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার নিন্দা জাসদের
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল

ভারতের ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে দুষ্কৃতকারীদের হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায়।

জাসদের বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে একটি চিহ্নিত রাজনৈতিক গোষ্ঠী কর্তৃক ভারতীয় সাংস্কৃতিককেন্দ্র জ্বালিয়ে দেওয়া, ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান, ফেনী-কুমিল্লার বন্যা নিয়ে ভারতবিরোধী প্রচারণা, কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভারতীয় জাতীয় পতাকাকে পাপস বানানোসহ ভারতবিরোধী উসকানিমুলক বক্তব্য প্রদান, উত্তেজনা তৈরি করে আসছে। ঠিক একইভাবে ভারতীয় মিডিয়া ও ভারতের স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক বাংলাদেশবিরোধী উসকানি-উত্তেজনা তৈরির ঘটনা দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য কোনো বিবেচনাতেই মঙ্গলজনক নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, যখন শাসকরা দেশ পরিচালনা ব্যর্থ হয়, জনপ্রিয়তা হারাতে থাকে, রাজনৈতিক নেতারা স্বাভাবিক রাজনৈতিক পথে এগুনোর শক্তি হারিয়ে ফেলে তখনই জনগনের দৃষ্টি আসল সমস্যা থেকে ভিন্ন দিকে সরাতে, জনগণকে বিভ্রান্ত করতে ধর্মীয় কার্ড, সাম্প্রদায়িকতার কার্ড, উগ্র জাতীয়তাবাদের কার্ড খেলে।

জাসদের বিবৃতিতে বলা হয়- সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক, উগ্র জাতীয়তাবাদী রাজনীতি বাংলাদেশ ও ভারতের স্বার্থান্বেষী মহলের লাভ ছাড়া দুই দেশ ও জনগণের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনে না। 

জাসদের বিবৃতিতে বাংলাদেশ ও ভারতে স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক উসকানি ও উত্তেজনা সৃষ্টির অপরাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য দুই দেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এবং রাজনৈতিক-সামাজিক শক্তির প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

জাসদের বিবৃতিতে উসকানি, উত্তেজনার ফাঁদে পা না দিয়ে কূটনীতিক পর্যায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অস্বস্তি দূর করতে উভয় দেশের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

অমিয়/

আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলায় জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের প্রতিবাদ

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম
আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলায় জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের প্রতিবাদ
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির সদস্যদের সহিংস বিক্ষোভ এবং হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গতকাল (২ ডিসেম্বর) ভারতের স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে হামলাকারীরা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাদণ্ড (ফ্ল্যাগ পোল) ভাঙচুর করে, জাতীয় পতাকার অবমাননা করে এবং কমিশনের ভিতরে সহায়-সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি করে। এর আগে কলকাতায় হাইকমিশনের সামনেও সহিংস বিক্ষোভ করেছিল উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের লোকেরা। ভারত সরকারের ইন্ধনে যে এসব সহিংস বিক্ষোভ, হামলা হয়েছে তা বুঝতে কারও জ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন নেই। এই হামলা বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স লঙ্ঘন করে গতকাল আগরতলায় যা ঘটেছে তার বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি শুধুমাত্র গতানুগতিক বিবৃতি দিয়েই ক্ষান্ত হবে, না একে আন্তর্জাতিক পরিসরে নিয়ে গিয়ে ভারতের সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে, সেটাই দেশবাসী জানতে চায়।

বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশের ওপর ভারতের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ছুটে গেছে বলে এদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে পূর্ব বাংলার জনগণের ওপর পাকিস্তান রাষ্ট্রের গণহত্যা ও চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় যুদ্ধ মোকাবিলায় পূর্ব বাংলার জনগণ যে প্রতিরোধ-যুদ্ধ গড়ে তুলে স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা করেছিলেন এবং সেই স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের সহযোগিতা যে বাংলাদেশকে ভারতের নব্য উপনিবেশে পরিণত করার লক্ষ্যে ছিল তা গত ৫৩ বছরে ভারতের আচরণে বিভিন্ন পর্যায়ে উন্মোচিত হয়েছে।

বাংলাদেশে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানে ভারতের পদলেহী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার উচ্ছেদ হবার পরে সাম্রাজ্যবাদী ভারত, ভারতের গণমাধ্যম, সামাজিক মাধ্যম যেভাবে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালিয়ে বাংলাদেশবিরোধী অবস্থান নিয়ে চলেছে তাকে হালকা করে দেখলে চলবে না। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা প্রপাগান্ডা তুলে আজ উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারত নেকড়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। 

বিবৃতিতে বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাম্রাজ্যবাদী ভারত ও পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।

অমিয়/

ভারতে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব রিজভীর

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
ভারতে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব রিজভীর
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

ভারতে থাকা বাংলাদেশিদের নিরাপত্তার স্বার্থে দেশটিতে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।  

রিজভী বলেন, ‘দেশকে অস্থিতিশীল করে পরিকল্পিত আগ্রাসান করতে চায় ভারত। সেই লক্ষ্যে দিল্লি থেকে বিভাজনের রেখা তৈরি করা হচ্ছে।’    

পশ্চাৎপদ চিন্তাধারার লোকেরা ভারত শাসন করছে অভিযোগ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের সাম্প্রদায়িক শাসকগোষ্ঠী সাম্প্রদায়িকতাকে আশকারা দিচ্ছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিয়েও সেখানকার মিডিয়ায় কুৎসা রটাচ্ছে। ভারতের সুদূরপ্রসারী আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা সফল হবে না।’  

শফিকুল/পপি/

ভারতীয় মিডিয়ায় উসকানিমূলক বক্তব্য বাড়ছে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৮ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪২ পিএম
ভারতীয় মিডিয়ায় উসকানিমূলক বক্তব্য বাড়ছে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি

স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে কিছু ভারতীয় মহল ও গণমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মন্তব্য ও রাজনৈতিক বক্তৃতা বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

তিনি বলেন, ‘সেখানে এখন ভুল তথ্যে ভরা ইকো চেম্বার রয়েছে, যা ক্রমাগত বাংলাদেশবিরোধী মনোভাবকে উসকে দিচ্ছে।’ 

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে এ অভিযোগ করেন তারেক রহমান।  

তিনি বলেন, ‘আগরতলায় বাংলাদেশি কনস্যুলেটে সর্বশেষ হামলাটি বিভ্রান্তির অস্থিতিশীল প্রভাবকে তুলে ধরে, যা শুধুমাত্র প্রতিবেশীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে।’ 

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডারদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, প্রায় ২০ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ কোনো দেশের স্বার্থে নয়। হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কারণ কী, তিনি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে কী ঘটছে এবং কেন কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা অপরিহার্য তা বস্তুনিষ্ঠভাবে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।’ 

শফিকুল/সালমান/

দিল্লি না ঢাকা? প্রতিবাদী স্লোগানে বিএনপির বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম
দিল্লি না ঢাকা? প্রতিবাদী স্লোগানে বিএনপির বিক্ষোভ
কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনে হামলা এবং পতাকা ছেঁড়ার প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: খবরের কাগজ

কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনে হামলা এবং পতাকা ছেঁড়ার প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি। 

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

এর আগে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবার কার্যালয়ের নিচে গিয়ে শেষ হয়। 

এ মিছিলে নেতা-কর্মীরা ‘দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন ভেঙ্গে দাও, ভেঙ্গে দাও’, ‘রুশ-ভারতের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান’, ‘দিল্লির আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’, ‘বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনে হামলা কেন? নরেন্দ্র মোদি জবাব চাই’, ‘ইসকনের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
  
সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে রিজভী বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার হাসিনাকে প্রত্যাবাসনের জন্য ভারতের নরেন্দ্র মোদি সব ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। দিল্লিতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আমাদের ভালো কিছু দিল্লি কখনো ভালো চোখে দেখেনি। কলকাতায় আমাদের ডেপুটি হাইকমিশনে আক্রমণ, পতাকা ছিঁড়েছে তারা। নিজ বাড়িতে মেহমানকে আক্রমণ করাকে কাপুরুষতা বলে।’ 

ভারত মিডিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ভারতের গণমাধ্যমগুলো রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। শেখ হাসিনা গুম-খুন করেছে, এর জন্য তো কোনদিন কথা বলেননি। শেখ হাসিনা বিতাড়িত হওয়ায় পর এ দেশের মানুষ আনন্দে আছে, স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পাচ্ছে।’  

আক্রমণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও হুঁশিয়ারি দিয়ে রিজভী বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, পতাকা কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। আমাদের ১৮ কোটি মানুষের দেশ। আমরা জানি, কি করে দেশের পতাকা সমুন্নত রাখতে হয়।’ 

এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, সহসভাপতি রেহেনা আক্তার শিরীন, ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের হাজার হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন। 

শফিকুল/পপি/