জাতীয় পার্টি (জাপা) আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। আওয়ামী লীগ ও জাপাকে নিয়ে বিএনপি পার্লামেন্টে বসতে চায় কিনা সে বিষয়ে দলটির অবস্থান পরিষ্কারেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া আগামীকাল সোমবার (৪ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষককেন্দ্রে (টিএসসি) জাপা-আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতীকী ফাঁসি কর্মসূচি পালন করবে ছাত্র অধিকার পরিষদ।
রবিবার (৩ নভেম্বর) ঢাবির টিএসসিতে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা’ ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি।
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘জাতীয় পার্টি ইনিয়ে-বিনিয়ে আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার কাজ করছে। রংপুরে তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে জঙ্গি মিছিল করেছে। তাদের সমাবেশে আওয়ামী লীগ সারা দেশ থেকে লোক পাঠাচ্ছে, জিএম কাদের এটা স্বীকারও করেছেন। জাতীয় পার্টি অফিসের সামনে মশাল মিছিলে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা হামলা চালিয়েছে। অথচ সরকার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। ছাত্রলীগকে যেভাবে গ্যাজেটের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেভাবে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ফ্যাসিবাদী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করুন, দোষীদের গ্রেপ্তার করুন। কেননা জনতার রায় হলো এই ফ্যাসিবাদী শত্রুদের নিষিদ্ধ করতে হবে।’
বিএনপিকে অবস্থান পরিষ্কার করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শত শত শহিদ-আহত পরিবারের লোকজন বিচারের দাবি জানাচ্ছে। তারা আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের পুনরুত্থান চান না। যারা গুম-খুন-হত্যা করেছে, তাদের রাজনৈতিক অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক অপতৎপরতা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। আপনারা (বিএনপি) বৃহৎ রাজনৈতিক দল। আপনারা যদি আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিয়ে পার্লামেন্টে বসতে চান, তা স্পষ্ট করুন। জনগণ আপনাদের সুস্পষ্ট অবস্থান জানতে চায়।’
এদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে টিএসসিতে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ফ্যাসিবাদী দলের নেতাদের প্রতীকী ফাঁসি দেওয়া হবে। সেখানে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ ফ্যাসিবাদী নেতা-কর্মীদের প্রতীকী ফাঁসি দেওয়া হবে বলে জানান বিন ইয়ামিন মোল্লা।
সংবাদ সম্মেলনে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার পক্ষে দুটি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ফ্যাসিবাদের দোসর যে দলগুলো গুম, খুন, গণহত্যায় জড়িত, তাদের রাজনৈতিক অপতৎপরতা নিষিদ্ধ করতে হবে। আগামী নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করতে হবে। এ সময় ছাত্র অধিকার পরিষদের অন্যতম সংগঠক আহমাদ ইসমাইল বন্ধন ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটির (স্বারক) আহ্বায়ক সাঈদ আহমেদ সরকার উপস্থিত ছিলেন।