পতিত স্বৈরাচার সরকার ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস মুছে দিতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জে এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘বিগত সরকার ৭ নভেম্বর বইয়ের পাতা থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা জনগণের মন থেকে মুছে দিতে পারেনি। কারণ তাদের ভালোবাসায় শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।’
সোমবার (৪ নভেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে আগামী ৮ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র্যালি উপলক্ষে ঢাকা মহানগর বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে যৌথ সভা করেন ডা. জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার আন্দোলনে ব্যর্থ হলে জিয়াউর রহমানের ফাঁসি হতো। বন্দি অবস্থায় তাকে সারাদেশের সিপাহি-জনতা মুক্ত করেছে। কিন্তু আত্মসমর্পণ করেননি। তার হাতে দেশ পরিচলানার দায়িত্ব দিয়েছিল। যাদের স্বাধীনতার ডাক দেওয়ার কথা ছিল তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। দেশে জাতীয় ঐক্য তৈরি করেছিলেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করায় জনস্রোত নেমেছিল। ৭৫’ এর মতো আবারও ৭ নভেম্বরের র্যালি জনস্রোতে পরিণত করব।’
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। অন্তর্বর্তী সরকার যাতে দায়িত্ব পালন না করতে পারে সেজন্য ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। তারা তাদের লুষ্ঠিত অর্থ ও বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্র নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে। বিভিন্ন নামে ও বেনামে ষড়যন্ত্র করে চলেছে।’
ডা. জাহিদ জানান, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি শুরু হয়ে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করবে। ঢাকার পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জ মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও নরসিংদী জেলার নেতা-কর্মীরাও কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবে। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা মহানগরীর তাদের মতো করে র্যালি করবে।
এ ছাড়াও কর্মসূচির মধ্যে আসছে ৬ নভেম্বর (বুধবার) আলোচনাসভা, ৭ নভেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার (কবর) জিয়ারত এবং ৮ নভেম্বর জাতীয় র্যালি করবে বিএনপি।
যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শ্রমিক দলের সমন্বয়নকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজুন, সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন, উত্তরের সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, সাবেক সদস্যসচিব আমিনুল হক, বিএনপির আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
যৌথ সভায় বলা হয়, র্যালিতে পোস্টার ও ব্যানারে বিএনপির শীর্ষ তিন নেতার বাইরে কারও ছবি ব্যবহার না করা। সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে র্যালিতে অংশ নিতে হবে। জাসাসের আয়োজনে ব্যান্ড পার্টির বাইরে কোনো ঢোল, হাতি ও ঘোড়ার ব্যবহার না করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
শফিকুল ইসলাম/জোবাইদা/অমিয়/