ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

১০ জেলা ও মহানগরে বিএনপির কমিটি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৭ পিএম
আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম
১০ জেলা ও মহানগরে বিএনপির কমিটি ঘোষণা
বিএনপি

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপিসহ ১০ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করেছে দলটি।

সোমবার (৪ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি এবং চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুষ্টিয়া, ময়ময়নসিংহ দক্ষিণ জেলা এবং শেরপুর জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে দলটি।

ঢাকা মহানগর উত্তর

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে আমিনুল হককে। তিনি আগের দুই কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন। আর সদস্যসচিব করা হয়েছে মোস্তফা জামানকে।

যুগ্ম আহ্বায়করা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, আব্দুর রাজ্জাক। 

এর আগে দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করে দলটি। 

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ৫৩ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরশাদ উল্লাহকে আহ্বায়ক ও নাজিমুর রহমানকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। 

১৬ জন যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন- মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এম এ আজিজ, অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দীন, সফিকুর রহমান স্বপন, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহিন, শওকত আলম খাজা (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত), ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহম্মেদুল আলম চৌধুরী (রাসেল), শিহাব উদ্দীন মুবিন (প্রচারের দায়িত্বপ্রাপ্ত), মনজুরুল আলম মঞ্জু। 

আর ৩৪ জন সদস্য হলেন- ডা. শাহাদাত হোসেন, আবুল হাশেম বক্কর, অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া, ইকবাল চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন জিয়া, এম এ হান্নান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আবুল হাসেম, ইসকান্দর মির্জা, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, মুজিবুল হক, মো. মহসিন, মো. খোরশেদ আলম, মো. সালাউদ্দিন, গাজী সিরাজ উল্লাহ, কামরুল ইসলাম, সৈয়দ শিহাব উদ্দীন আলম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মশিউল আলম স্বপন, মোশাররফ হোসেন ডিপটি, মো. জাফর আহম্মদ, এ কে খান, গাজী আইয়ুব, মাহবুব রানা, এম এ সবুর, নুরু উদ্দিন হোসেন নুরু, মোহাম্মদ আবু মুসা, হানিফ সওদাগর, সরফরাজ কাদের চৌধুরী রাসেল, মোহাম্মদ আজম, মো. ইসমাইল বালি, মো. আশ্রাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইউসুফ। 

বরিশাল মহানগর বিএনপি

মনিরুজ্জামান খান ফারুককে আহ্বায়ক ও মো. জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়াকে সদস্যসচিব করে বরিশাল মহানগর বিএনপির ৪২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ৯ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৩১ জনকে সদস্য করা হয়েছে। মনিরুজ্জামান খান ফারুক আগের কমিটিতে আহ্বায়ক ছিলেন। আগের কমিটির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জিয়াউদ্দিন সিকদার হয়েছেন সদস্যসচিব।

কমিটির যুগ্ম আহ্বায়করা হলেন- আফরোজা খানম নাসরীন, মো. জসিম উদ্দিন খান, মো. আল আমিন, আবু মুসা কাজল, আব্দুল হালিম মৃধা, মো. সাজ্জাদ হোসেন, জহিরুল ইসলাম লিটু, মাহফুজুর রহমান মাফুজ, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ। 

সদস্যরা হলেন- ওয়ায়ের ইবনে গোলাম কাদির (স্বপন), বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ, আল মাসুম, মঞ্জুরুল আহসান জিসান, সাইফুল আনাম বিপু, বদিউজ্জামান টলন, রফিকুল ইসলাম মঈন, কামরুল হাসান রতন, আহম্মেদ জেকি অনুপম, জুলহাস উদ্দিন মাসুদ, জাহিদুর রহমান রিপন, খসরুল আলম তপন, আব্দুল হক মাস্টার, আরিফুর রহমান বাবু, আসাদুজ্জামান মারুফ, মো. সোহেল সিকদার, অ্যাডভোকেট কাজী বসির, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ ইমন, অ্যাডভোকেট সরোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট শেখ হুমায়ুন কবির মাসুদ, অ্যাডভোকেট মো. তসলিম, অ্যাডভোকেট সুফিয়া আক্তার, অ্যাডভোকেট সাঈদ খোকন, শামীমা আকবর, একেএম মিজানুর রহমান (ইঞ্জিনিয়ার), নওশদ আহম্মেদ নান্টু, মো. দুলাল গাজী, মাসুদ হাওলাদার, আব্দুর রহমান হাওলাদার, হাসিনা কামাল এবং নুরুল ইসলাম পনির। 

সিলেট মহানগর বিএনপি

রেজাউল হাসান কয়েছ লোদীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ইমদাদ হোসেন চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৭০ সদস্যবিশিষ্ট সিলেট মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়েছে। কমিটিতে ২০ জন সহ-সভাপতি, ১৪ জন যুগ্ম আহ্বায়ক, ৫ জন করে সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ৫২ জনকে সদস্য করা হয়েছে।

সহ-সভাপতি হলেন যথাক্রমে ডা. নাজমুল ইসলাম, জিয়াউল গনি আরিফিন জিল্লুর, সৈয়দ মিসবাহ্ উদ্দিন, সৈয়দ মইন উদ্দিন সুহেল, জিয়াউল হক জিয়া, সুদিপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, মাহবুব কাদির শাহী, আমির হোসেন, অ্যাডভোকেট শাহ্ আশরাফুল ইসলাম, সাদিকুর রহমান সাদিক, নিগার সুলতানা ডেইজী, ডা. আশরাফ আলী, নুরুল মুমিন খোকন, আব্দুল হাকিম,  আফজাল হোসেন, ব্যারিস্টার রিয়াসত আজিম হক আদনান, রহিম মল্লিক, মুফতি নেহাল, জাহাঙ্গীর আলম, মোতাহির আলী মাখন।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকরা হলেন- নজিবুর রহমান নজিব, মুর্শেদ আহমদ মুকুল, শামীম মজুমদার, মির্জা বেলায়াত হোসেন লিটন, নেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক, মাহবুবুল হক চৌধুরী, শুয়াইব আহমদ শোয়েব, আব্দুল ওযাহিদ সুহেল, রেজাউল করিম আলো, আক্তার রশিদ চৌধুরী, আহমদ মনজুরুল হাসান মনজু, মতিউল বারী খোরশেদ, ফাতেমা জামান রোজী, নাদির খান, আবুল কালাম।

সাংগঠনিক সম্পাদকরা হলেন- সৈয়দ সাফেক মাহবুব, জাকির হোসেন মজুমদার, রফিকুল ইসলাম রফিক, দেওয়ান জাকির, খসরুজ্জামান খসরু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রহিম আলী রাসু, রেজাউর রহমান রুজন, সাব্বির আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম জীবন, সফিক নূর। অর্থ সম্পাদক এনামুল কুদ্দুস, সহঅর্থ সম্পাদক আলমগীর হোসে, প্রচার সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মোহন, সহপ্রচার সম্পাদক আলী হায়দান মজনু, দপ্তর সম্পাদক তারেক আহমদ খান, সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক প্রমুখ।

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়কের পদ পেয়েছেন ফয়জুর রহমান ময়ুন। ৩২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সদস্যরা হলেন- নাসের রহমান, মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, মিজানুর রহমান, আব্দুর রহিম রিপন, মোশারফ হোসেন বাদশা, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, হাজী মুজিবুর রহমান, আব্দুল ওয়ালি সিদ্দিকি, নাছির উদ্দিন মিঠু, আশিক মোশারফ, আব্দুল মুকিত, ফখরুল ইসলাম, মুহিতুর রহমান হেলাল, আব্দুল হাফিজ, মাহামুদুর রহমান, হেলু মিয়া, মনোয়ার আহমেদ রহমান, বকশী মিছবাউর রহমান, মতিন বক্স, মাহাবুব ইজদানী ইমরান, বকশী জুবায়ের আহমেদ, আবুল কালাম বেলাল, জিতু মিয়া, স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, গাজী মারুফ আহমেদ, আব্দুল হক, দুরুদ আহম্মদ, আশরাফুজ্জামান খান নাহাজ, সেলিম মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, আনিসুজ্জামান বায়েস, মহসিন মিয়া মধু। 

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি

কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনকে আহ্বায়ক করে ৩২ সদস্যবিশিষ্ট সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্য সদস্যরা হলেন- মিজানুর রহমান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মল্লিক মইন উদ্দিন সোহেল, অ্যাডভোকেট শেরে নূর আলী, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল, নাদের আহমেদ, আকবর আলী, অ্যাডভোকেট মাসুক আলম, আনিসুল হক, আব্দুল মোতালেব খাঁন, রেজাউল হক, আনছার উদ্দিন, শামসুল হক নমু, আ ত ম মিছবাহ, ব্যারিস্টার আবিদুল হক, ফারুক আহমেদ (দক্ষিণ সুনামগঞ্জ), সেলিম উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, ফারুক আহমেদ (ছাতক), আব্দুর রহমান, নজরুল ইসলাম (সুনামগঞ্জ), কামরুল ইসলাম কামরুল, নাসিম উদ্দিন লালা, মো. মুনাজ্জির হোসেন সুজন, অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান শাহিন, নজরুল ইসলাম (ছাতক), আব্দুল মুকিত, মো. শফিকুল ইসলাম, আব্দুল বারি, সিরাজ মিয়া, নূর আলী, মো. আব্দুর রশিদ। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি

অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নানকে আহ্বায়ক ও সিরাজুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে ৩২ সদস্য বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্যরা হলেন- ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন শ্যামল, হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জহিরুল হক খোকন, নুরে আলম সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম রুমা, বেলাল উদ্দিন সরকার তুহিন, আবু শামীম মো. আরিফ, মো. আসাদুজ্জামান শাহীন, অ্যাডভোকেট একেএম কামরুজ্জামান মামুন, কাউছার কমিশনার, আলহাজ মো. আজিম, মাসুদুল ইসলাম মাসুদ, অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান চৌধুরী কানন, মাইনুল হোসেন চপল, এইচ এম বাশার, শফিকুল ইসলাম, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, আহসান উদ্দিন খান শিপন, তরুণ দে, মো. আল আমিন লিটন, মো. সালাহ উদ্দিন, তানিম সাহেদ রিপন, আরমান উদ্দিন পলাশ, আলহাজ মো. মাহিন, আশরাফুল করিম রিপন, মজিবুর রহমান মন্টু, আবুল কালাম, নাছির আহমেদ, অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন এবং কবীর আহমেদ ভূঁইয়া।  

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়কের পদ পেয়েছেন কুতুব উদ্দীন আহমেদ এবং সদস্যসচিব করা হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার মো. জাকির হোসেন সরকারকে। সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম আলম, শেখ সাদী, নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিক।

কমিটির ২৫ সদস্য হলেন- অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ, মো. আলাউদ্দিন খান, মো. বশিরুল আলম চাঁদ, মুন্সি জেড জি রশিদ রেজা বাজু, মো. আবু দাউদ, শহীদ সরকার মঙ্গল, সৈয়দ আমজাদ আলী, মো. আব্দুল আজিজ মিলন, আলহাজ শওকত হাসান বুলবুল, এ কে বিশ্বাস বাবু, খন্দকার ওমর ফারুক কুদ্দুস, জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, মো. আব্দুর রশীদ, ইসমাইল হোসেন মুরাদ, অ্যাডভোকেট খাদেমুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শামীম উল হাসান অপু, আল আমিন রানা কানাই, শহীদুজ্জামান খোকন, মহিউদ্দিন চৌধুরী মিলন, আব্দুল মঈদ বাবুল, কামাল উদ্দিন, আব্দুল মাজেদ, মো. আব্দুল হাকিম মাসুদ, মো. আবু তালেব এবং মো শাজাহান আলী।

ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা 

মো. জাকির হোসেন বাবলুকে আহ্বায়ক ও মো. রোকনুজ্জামান সরকার রোকনকে সদস্যসচিব করে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির ৩ সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটির একমাত্র যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন আলমগীর মাহমুদ আলম। 

শেরপুর জেলা বিএনপি

মো. হযরত আলীকে আহ্বায়ক ও অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে শেরপুর জেলা বিএনপির তিন সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়েছে। কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন আওয়াল চৌধুরী।

শফিকুল/সালমান/

নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে: নজরুল ইসলাম খান

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৬ পিএম
নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে: নজরুল ইসলাম খান
কৃষক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ছবি: খবরের কাগজ

একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। 

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

কৃষক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকদল।

তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছি কিন্তু গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। তার কিছু প্রস্তুতি আছে, তা চলছে। আমরা আশা করি, এই পরিবর্তন শীঘ্রই সম্পন্ন হবে। প্রস্তুতি শেষে জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এখন যারা ক্ষমতায় আছে তারা জোর করে ক্ষমতা গ্রহণ করে নাই। দেশের জনগণ তাদের ক্ষমতা দিয়েছি। তারা দেশটাকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করবেন। আগের মত বিনাভোটে, রাতের ভোটে বা ডামি ভোট না, জনগণের ভোটে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করবেন। তারা জনগণের জন্য কাজ করবেন। দেশ থেকে দুর্নীতি, অনাচার উচ্ছেদ করবেন। গরীব মানুষদের সাহায্য করবেন, সহযোগীতা করবেন যেনো নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। কারো কাছ থেকে হাত পাততে না হয়। সে জন্য পরিবর্তন দরকার।’

আল্লাহর মেহেরবানি, সেই পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই দেশটাকে তো নিঃস্ব করে দিয়েছিল পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার। বিগত সরকার বছরে ১৬ হাজার কোটি ডলার বিদেশে পাচার করেছে। আমার দেশের গরিব শ্রমিক, মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমি বা মালয়েশিয়ার জঙ্গলে কাজ করে যে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠায় সেটা জনগণের কল্যানে না লাগিয়ে সেটা বাহিরে পাচার করে দিয়েছে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকদের আহ্বায়ক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকদলের সদস্য সচিব মীর হাসান কামাল তাপস প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/

নির্বাচনের প্রস্তুতির বার্তা দিয়েছেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৬ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৮ পিএম
নির্বাচনের প্রস্তুতির বার্তা দিয়েছেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল
হয়রত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনের জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে হয়রত শাহজালাল বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। 

ফখরুল বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নেতা-কর্মীসহ সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। ছাত্র- জনতার আন্দোলনে জনগণের একটা বিশাল বিজয় এসেছে। এই বিজয়কে রক্ষা করতে অবশ্যই সবাইকে ধৈর্য ধরে, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। গণতন্ত্রের প্রথম পদক্ষেপ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া লন্ডনে থাকা নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা সভা ও মতবিনিময় সভা করেছি। আমার লন্ডন সফর ভালো ও ফলফসূ হয়েছে।’ 

রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করছে- তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কোন প্রেক্ষিতে বলেছেন, তা আমি জানি না। তবে উনার (নাহিদ ইসলাম) এ ধরনের বক্তব্য রাজনীতি বিরোধী। আমি আশা করি, ভবিষ্যতে তারা এ ধরনের বক্তব্য থেকে বিরত থাকবেন। রাজনৈতিক দলগুলো সব সময়ই এই অন্তবর্তী সরকারকে সমর্থন করেছে। এর মূল উদ্দেশ্য একটাই গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। গত ১৫ বছর ধরে আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। তবে উনি কি উদ্দেশ্যে এই কথা বলেছে তা আমি জানি না।’

ভারত বাংলাদেশের চলমান সংকটের সমাধান কিভাবে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আলোচনার মধ্যে দিয়ে ভারত বাংলাদেশের সংকট সমাধান করতে হবে।’ 

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কবে নাগাদ ফিরতে পারেন জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা জানেন, উনার বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যা প্রতিহিংসামূলক মামলা রয়েছে। সেগুলো প্রত্যাহার হলে বা আদালতের মাধ্যমে শেষ হলে তিনি ফিরবেন।’

সংস্কার না নির্বাচনকে প্রাধান্য দিচ্ছে বিএনপি- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই ধরণের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বিএনপি দুবছর আগেই ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে। তারও আগে ২০১৬ সালে আমরা ভিশন-৩০ দিয়েছিলাম। আমরা প্রত্যাশা করি, নূন্যতম যেসব সংস্কার জরুরি তা শেষ করে নির্বাচন দিতে হবে। কারন বাংলাদেশে যে সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয়েছে তা নির্বাচিত সরকার ছাড়া মোকাবিলা করা চ্যালেঞ্জিং।’ 

বিমানবন্দরে বিএনপি মহাসচিবকে অভ্যর্থনা জানান বিএনপি নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদ, আবু মোহাম্মদ আহসান ফিরোজ, সাদী আহমেদ, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। 

গত ৩০ নভেম্বর স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব লন্ডন যান। লন্ডনে থাকার সময় তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং কয়েকটি স্থানীয় দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন। 

শফিকুল/পপি/

মোমেন খানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৪ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ পিএম
মোমেন খানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার
মরহুম আব্দুল মোমেন খান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রীসভার সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও কেবিনেট সচিব মরহুম আব্দুল মোমেন খানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর)। 

১৯৮৪ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নরসিংদীর পলাশ ও ঘোড়াশাল উপজেলা এবং পৌর বিএনপির উদ্যোগে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। 

এ উপলক্ষে পলাশ উপজেলার মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মরহুমের ছেলে ও সাবেক মন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

মরহুম আব্দুল মোমেন খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বাণী দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বাণীতে তিনি মরহুমের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, 'জনগণের নাগরিক অধিকার তথা বাক, ব্যক্তি, চিন্তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সংগ্রামে আব্দুল মোমেন খানের ভূমিকা ছিল ঐতিহাসিক। তিনি এদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একজন মার্জিত ও প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে সমাদৃত ছিলেন। বিএনপি ও পূর্বসূরি জাগদলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে আব্দুল মোমেন খান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন।

মন্ত্রী হিসেবেও তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তথা দেশ ও এলাকাবাসীর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী দর্শনকে প্রতিষ্ঠিত করতে তার অবদান দল ও দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। আমি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার শুভানুধ্যায়ী ও পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।'

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় আবদুল মোমেন খান ফজলুল হক হল প্রতিষ্ঠার পর ছাত্র সংসদের প্রথম ‘স্পিকার’ (বর্তমান ভিপি) নির্বাচিত হন। তিনি উপস্থিত বক্তৃতা, বিতর্ক ও অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমে খুবই পারদর্শী ছিলেন, যা তার পরবর্তী পেশা জীবনকেও সমৃদ্ধ করে। একজন সরকারী চাকরিজীবী হিসেবে আবদুল মোমেন খান যথাযোগ্য সুনাম অর্জন করেন এবং লাহোরে সিনিয়র সিভিল সার্ভিস একাডেমিতে প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রথম স্থান অধিকার করে তৎকালীন রেক্টর ডি কে পাওয়ার (আই.সি.এস) প্রদত্ত প্রশংসাসূচক ভ্যালেডিকটরিয়ান সম্মান অর্জন করেন।

তিনি বলেন, যোগ্যতার নিরিখে আবদুল মোমেন খান বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ চাকুরীর পদ কেবিনেট সচিবের আসনে আসীন হন। তার বুদ্ধিদীপ্ত চাকুরী জীবনে তিনি খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, প্রাদেশিক সরকারের গণপূর্ত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং সেচ বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সচিবের দায়িত্বও অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে পালন করেন ।

উল্লেখ্য, মোমেন খান ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটে নরসিংদী-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৪১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন এবং ১৯৪২ সালে কলিকাতা গভর্নমেন্ট কমার্শিয়াল কলেজে অনুষদের সদস্য হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৫৪ সালে তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। মোমেন খান লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং পরে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭৮-৭৯ সালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

শফিকুল ইসলাম/মেহেদী/এমএ/

দেশকে অশান্ত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে: জামায়াত আমির

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৬ পিএম
দেশকে অশান্ত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে: জামায়াত আমির
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশকে অশান্ত করার জন্য দেশ ও দেশের বাইরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে একটি মহল বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। 

তিনি বলেন, ‘দেশ যখন ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে, তখন ফ্যাসিস্টরা দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। বিদেশে বসে যারা অন্যের সহায়তায় দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদের মনে রাখা উচিত, দেশের মানুষ কারো চোখ রাঙানিকে পরোয়া করে না। জাতীয় স্বার্থের দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর মগবাজার আল ফালাহ মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘গত ১৫ বছরে জাতির সব মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল। অনেক প্রতিভাবান কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ওএসডি করা হয়েছিল। গুম, খুনের ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগের কাছে বিরোধী মতসহ কারও জীবনের কোনো নিরাপত্তা ছিল না।’ 

জামায়াতের আমির বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি জুলুম ও ফ্যাসিজমের শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালে শাহবাগে আসর বসিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা করেছে পতিত আওয়ামী সরকার। সংসদের সরকারের চেয়ে শাহবাগের সরকারের কথায় পতাকা উঠেছে।’

নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘বিগত সরকার আসন পুনর্বিন্যাসের নামে জুলুম করেছে। সেগুলো আবার নতুন করে করতে হবে। গত ১৫ বছরে দেশের অনেক নাগরিকই ভোট দিতে পারেননি। অনেকেই আবার ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। তাদের ভোটার তালিকায় সংযুক্ত করতে হবে।’ যৌক্তিক সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকা করে প্রবাসীদেরও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রমুখ। 

ফেনীতে ক্যান্টনমেন্ট স্থাপনের দাবি গণঅধিকার পরিষদের

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
ফেনীতে ক্যান্টনমেন্ট স্থাপনের দাবি গণঅধিকার পরিষদের
ছবি: খবরের কাগজ

ভারতকে দেওয়া অবৈধ ইকোনমিক জোনের বরাদ্দ বাতিল এবং ফেনীতে সামরিক ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণবিক্ষোভ কর্মসূচিতে দলের নেতারা এসব কথা বলেন।  

সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, 'ভারত শেখ হাসিনাকে অবৈধভাবে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। শেখ হাসিনাকে দিল্লিতে বসিয়ে রেখে অপকর্ম করার সুযোগ করে দিয়ে যাচ্ছে। এটা কোনভাবেই বাংলাদেশের মানুষ মানবে না।'  

দলের সদস্যসচিব ফারুক হাসান বলেন, 'খুনি শেখ হাসিনা ভারতকে ইকোনমিক জোন বরাদ্দ দিয়ে দেশের সার্বভোমত্ব ভূলুণ্ঠিত করেছেন। অবৈধভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ভারতের হাতে তুলে দিয়েছেন। অবিলম্বে অবৈধ ইকোনমিক জোন বরাদ্দ বাতিল করতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখতে ফেনীতে সামরিক ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন করতে হবে। দেশকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।'   

এ সময়গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সহ-সমন্বয়ক আরিফ বিল্লাহর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার এস ফাহিম, মেজর (অব.) আব্দুর রব, ইঞ্জিনিয়ার থোয়াই চিং মং চাক, ইমামউদ্দিন, এনামুল হক সবু, ফায়সাল আহমেদ, শফিকুল ইসলাম রতন প্রমূখ। 

শফিকুল ইসলাম/মেহেদী

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });