রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ ও রাষ্ট্র সংস্কারে গণ অধিকার পরিষদের মতামত নিয়েছে বিএনপি।
বৈঠক গণঅধিকার পরিষদের নেতারা বলেছেন, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করে কোনো সাংবিধানিক সংকট তৈরি করার মতো কোনো প্রকার হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাদের এসব প্রশ্নে বিএনপিও একমত পোষণ করেছেন।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সোয়া ৪টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের বৈঠক শুরু হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বিএনপির পক্ষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ও লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য বরকত উল্লাহ বুলু অংশ নেন।
অপরদিকে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেন দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান।
বৈঠকে অংশ নেওয়া গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন খবরের কাগজকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যু নিয়ে মূলত বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে সাংবিধানিক সংকট তৈরি করা যাবে না। কারণ তার অধীনে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নিয়েছে। রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করলে তো এই সরকারের কার্যক্রম আর থাকে না। তাই এই সংকট উত্তরণে সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়ে যায়নি। তাই বিপ্লবের অসমাপ্ত কাজ শেষ করার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিতে হবে। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর মধ্যে আগের ঐক্য ধরে রাখতে হবে। আগামী দিনে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। বৈঠকে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।’
উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ খবরের কাগজকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি পদে শূন্যতা হলে দেশে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে। এতে কোনো গোষ্ঠী বা ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের সুযোগ পাবে।’
শফিকুল/সালমান/