ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

ক্যাম্পাস সংস্কারে ১২ দফা দাবি জবি ছাত্রশিবিরের

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৭ পিএম
ক্যাম্পাস সংস্কারে ১২ দফা দাবি জবি ছাত্রশিবিরের
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

জুলাই বিপ্লবের চেতনা রক্ষায় ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন, ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও বৈষম্যহীন ক্যাম্পাস বিনির্মাণসহ ১২ দফা দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন শাখা ছাত্রশিবির। 

এর আগে এসব দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমের কাছে স্মারকলিপি দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র শিবিরের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য দেন জবি শাখার সেক্রেটারি জেনারেল আসাদুল ইসলাম এবং লিখিত দাবি উপস্থাপন করেন শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ইকবাল হোসেন শিকদার।

লিখিত বক্তব্যে, জুলাই বিপ্লবের চেতনা রক্ষায় শহিদদের মরণোত্তর ও আহতদের বীরত্বের সম্মাননা প্রদান, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিগত ১৫ বছরের সব নিয়োগ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।

ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ধারার ছাত্ররাজনীতি প্রবর্তনের লক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ কার্যকর, ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে স্থায়ী নীতিমালা এবং পরবর্তী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে জকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা। 

বর্তমান ক্যাম্পাসকে মূল ক্যাম্পাস রেখে কেরানীগঞ্জে নির্মাণাধীন ক্যাম্পাসকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়াসহ বর্তমান ক্যাম্পাসের পুরাতন ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো পুনঃনির্মাণ এবং ক্লাসরুম সংকটে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখাকে স্থানান্তরেরও দাবি জানান তারা।

এছাড়া দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজ ৬০ দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের দাবি জানানো হয়। 

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় বেদখল হওয়া হলগুলো উদ্ধার, ভবন পুনঃনির্মাণ এবং মাসিক আবাসন ভাতার ব্যবস্থা, দ্রুত দ্বিতীয় সমাবর্তনের আয়োজন এবং প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর সমাবর্তনের আয়োজনের দাবি জানান তারা।

এ ছাড়াও অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে জরুরি হটলাইন চালু, সব দলীয় সুপারিশ বা রাজনৈতিক পরিচয়ে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দুটি আধুনিক অ্যাম্বুলেন্স, ক্যাফেটেরিয়ায় মানসম্মত খাবার নিশ্চিত এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য পরিবহন পুলে বাস বাড়ানোর দাবিও জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে শাখা শিবিরের অফিস সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ইব্রাহিম আলী, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক শাহিন আহমেদ, দাওয়াহ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বাইতুলমাল সম্পাদক মোহাম্মদ শাওন সর্দার, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইনুদ্দিন, স্কুল বিতর্ক ও তথ্যপ্রযুক্তি নাহিদ হাসান রাসেল, সমাজসেবা ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক মো. জুবায়ের আহমেদ, আবাসন ও পাঠাগার সম্পাদক মো. মাসুম বিল্লাহ, এইচআরডি ও ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক মো. জাহেদ, আইন সম্পাদক মো. সোহান আহমেদসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অমিয়/

শেখ হাসিনাকে ভারতের মুখ্যমন্ত্রী করা হোক: দুলু

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম
শেখ হাসিনাকে ভারতের মুখ্যমন্ত্রী করা হোক: দুলু
নাটোর সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির জনসভায় অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, শেখ হাসিনা কী জিনিস তা বোঝার জন্য ভারতের কোনো রাজ্যে শেখ হাসিনাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক। এতে তাকে পুরোপুরি চিনতে পারবে সমস্ত ভারতবাসী।

তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনাকে ভারতের যে কোনো রাজ্যে অন্তত একবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করা হলে ভারত সরকারকেও শেখ হাসিনা শেখাতে পারবে দিনের ভোট কীভাবে রাতে করতে হয়, ভোটার ছাড়াই কীভাবে নির্বাচন করে জিততে হয় এবং ভোটবিহীন সরকার গঠনের পর ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠা করে কীভাবে রাষ্ট্র শাসন করতে হয়।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নাটোর সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করে এখন স্বাধীন জীবন-যাপন করছে দাবি করে তিনি বলেন, এদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে তাড়িয়ে সুখে আছে অথচ ভারতের কিছু মানুষ শেখ হাসিনার পতনে মনঃক্ষুণ্ন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ শেখ হাসিনাকে চিনলেও ভারতের অনেক সচেতন ও বিবেকবান ব্যক্তি এমনকি সরকারের কিছু অংশও শেখ হাসিনাকে পুরোপুরি চেনে না।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের আপামর জনগণ নিজেদের বাক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতেই আন্দোলনে হাজারও জীবন দিয়ে ও পঙ্গুত্ব বরণ করে পতন ঘটিয়েছে। বাংলাদেশে তার আর শাসকের চেয়ারে বসা বা রাজনীতির সুযোগ কেউ দিবে না দাবি করেন তিনি।

দুলু বলেন, শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতারা ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যহত রেখেছে। ভারতের কতিপয় মিডিয়াকে টাকায় ম্যানেজ করে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে আমাদের দেশের হিন্দু-মুসলিম খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মের মানুষের চিরদিনের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সুসর্ম্পক নষ্ট করার পায়তারা করছে।

ওই জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুলুর সহধর্মীনি ছাবিনা ইয়াসমিন ছবি, নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী শাহ আলমসহ আরও অনেকে।

কামাল মৃধা/মাহফুজ/এমএ/

 

আ.লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে: জামায়াতের আমির

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম
আ.লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে: জামায়াতের আমির
সিলেটে কর্মী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: খবরের কাগজ

‘অপমানের দায় নিয়ে এভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার মতো নিকৃষ্ট আর কিছু নেই। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে’।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সিলেটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘তারা এখন দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করতে মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিদেশি বন্ধুদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না। মানুষ এখন অনেক সজাগ। বাংলাদেশের মানুষ এখন শান্তিতে আছে। শান্তি বিঘ্নিত করতে দফায় দফায় চেষ্টা চলছে। একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে ইনশাআল্লাহ।‘

তিনি আরও বলেন, ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি বৈঠার নৃশংসতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জানান দিয়েছিল তারা ক্ষমতার থাকতে খুন-গুমের পথ বেছে নিবে। সেদিন থেকে বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল। দীর্ঘ সাড়ে ১৪ বছর পর বাংলাদেশ মুক্তি পেয়েছে। তারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নির্বিচারে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে।’

আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তারা যেসব নিরীহ জনগণকে খুন করেছে তাদের পরিবারের কাছে জানতে চাই তারা আর এ ধরণের রাজনীতি চায় কিনা? যারা পঙ্গুত্ববরণ করেছে তাদের থেকে এ বিষয়ে মতামত নিন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একটি বৈষম্যহীন ও ন্যায়বিচারের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আল্লাহর হুকুম ও জনগণের ভালোবাসায় জামায়াতে ইসলামী সে সুযোগ পেলে আমাদের হাত দিয়ে কোন চাঁদাবাজি হবে না, কোনো চাঁদাবাজি বরদাশতও করা হবে না। বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটির ওপর কোনো দখল বাণিজ্য হতে দেওয়া হবে না। অফিসে বসে কেউ ঘুষ খাওয়ার দু:সাহস দেখাতে পারবে না। যুব সমাজের হাতকে কারিগরের হাতে রূপান্তরিত করা হবে। উন্নত দেশের মতো পড়ালেখা শেষ করার আগেই তাদের হাতে কাজ আসবে। আমরা তাদরেকে এমন যোগ্য কারিগর হিসেবেই তৈরি করব। আমরা যুবসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই।’

ধর্মীয় সম্প্রতির প্রসঙ্গ টেনে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা এমন দেশ গড়তে চাই, যেখানে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা কোথাও নিরাপত্তার জন্য পাহারা দিতে হবে না। একজন নাগরিক তার ঘরে-বাইরে, কর্মস্থলে ও সমাজে সবজায়গায় নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা ভোগ করবে। এদেশে নারী-পুরুষের সমান নিরাপত্তা ও মর্যাদা পাবে।’

তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী কোরআনের আলোকে রাষ্ট্রগঠনের সুযোগ পেলে দেশের নারীরা মর্যাদা ও ইজ্জতের সহিত তাদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবেন। তারা যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় কাজে অবদান রাখবেন।’

বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে দলের প্রতিটি কর্মীকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতে আমীর বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের পক্ষে এককভাবে ছাত্র-জনতার স্বপ্নের দেশ গঠন করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন গোটা জাতির ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা ও সহযোগিতা। আমরা শান্তি, অগ্রগতি, ন্যায়বিচার ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’

এই কর্মী সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিলেট জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম ও মাওলানা মাশুক আহমদ।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফজলুর রহমান ও সিলেট মহানগর আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম।

শাকিলা ববি/সুমন/এমএ/

বহুমতের রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৪ পিএম
বহুমতের রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে: তারেক রহমান
বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রত্যাশার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, হারিয়ে যাওয়া আইনের শাসন, স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং বহুমত ও পথের রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে শহিদ বুদ্ধিজীবীরা আমাদের প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে যাবেন।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে শাহাদৎবরণকারী দেশের প্রথম শ্রেণির শহিদ বুদ্ধিজীবীদের অম্লান স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এই বাণী দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

তারেক রহমান বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির ইতিহাসে এক মর্মস্পর্শী ও শোকাবহ দিন। অমর বুদ্ধিজীবীগণ দেশের ক্ষণজন্মা শ্রেষ্ঠ সন্তান, যারা একটি সমৃদ্ধ এবং মাথা উঁচু করা জাতি দেখতে চেয়েছিলেন। তারা ন্যায় বিচারভিত্তিক শোষণমুক্ত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু হানাদার বাহিনীর দোসররা চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশুণ্য করতে পরিকল্পিত এ হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করে।

তিনি বলেন,  স্বাধীনতার পরেই অগণতান্ত্রিক শক্তি তাদের মুখোশ খুলে ফেলে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর ন্যায় দেশের মানুষের সর্বজনীন গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো একের পর এক হরণ করতে থাকে। এক নদী রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ত্ব দিনে দিনে দূর্বল করে এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রত্যাশা ধূলিসাৎ করে। সেই দুঃশাসনের ঐতিহ্য ধারণ করে তাদের উত্তরসূরী আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা বিভেদ অনৈক্য এবং সংকীর্ণতা, গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের দ্বারা ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়া ও জাতীয় অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল এবং গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সুতরাং আমাদের রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ এবং দেশকে একটি সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর ও শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করার বদলে একদলীয় দু:শাসনের বাতাবরণ তৈরি করে। সুতরাং আজ পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমাদের পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রকৃত গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। আমি শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।

এদিকে পৃথক আরেক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শহিদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, যার আদর্শ হবে গণতন্ত্র। সেই স্বপ্ন এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। তাদের স্বপ্ন পূরণে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সর্বজনীন অধিকার, সেটি সমুন্নত রাখতে আমাদের মিলিত শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

এবি পার্টি ও খেলাফত মজলিসের সম্মেলনের জায়গা নিয়ে জটিলতা

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৪ পিএম
এবি পার্টি ও খেলাফত মজলিসের সম্মেলনের জায়গা নিয়ে জটিলতা
ছবি: সংগৃহীত

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও খেলাফত মজলিস রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একই দিনে জাতীয় সম্মেলন করা নিয়ে বিভ্রান্তি ও জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। দুই দলই মাঠের বরাদ্ধ পাওয়া নিয়ে প্রচারণা শুরু করেছে।

এবি পার্টির নেতারা বলেন, আগামী ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর এবি পার্টির প্রথম জাতীয় কাউন্সিল আয়োজনের জন্য গত ২ ডিসেম্বর গণপূর্ত বিভাগ থেকে চূড়ান্ত বরাদ্ধপত্র দেওয়া হয়।

অপরদিকে খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেন, ২৮ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের তৃণমূল সম্মেলনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মাঠ ব্যবহারের জন্য টাকাও পরিশোধ করা হয়েছে। সম্মেলন করার পোস্টার এবং প্রচারণা শুরু করা হয়েছে।

গণপূর্ত বিভাগের সূত্রমতে, এবি পার্টির বরাদ্ধ অনুমোদন করলেও খেলাফত মজলিসকে তারা কোনো চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়নি। তবুও খেলাফত মজলিস তাদের অনুষ্ঠানের প্রচার শুরু করে, যা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে কেন্দ্র করে জটিলতার সৃষ্টি করেছে। এবি পার্টি, সিপিবি ও খেলাফত মজলিস- এই তিনটি দল একই দিন একই সময়ে সম্মেলনের আবেদন করলে যাচাই বাছাই করে কর্তৃপক্ষ এবি পার্টিকে ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর এবং ৩ জানুয়ারি সিপিবিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।

এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কালাম আজাদ খবরের কাগজকে বলেন, এবি পার্টিকে ২৮ ডিসেম্বরের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে খেলাফত মজলিস অন্য যেকোনো দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহার করতে পারবে। তাদেরকে দেওয়া অফিসিয়াল চিঠিতে কোনো দিন-তারিখ উল্লেখ করা হয়নি বলেও জানান।

এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল বলেন, আমরা তিন স্তরের নিয়ম মেনে মাঠের বরাদ্দ পেয়েছি এবং চূড়ান্ত বরাদ্দ নিশ্চিত হবার পর সরকারের কোষাগারে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে প্রচার শুরু করেছি। আমাদের কাউন্সিলের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। দেশ-বিদেশের অতিথিদের টিকিট ও আবাসন নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন এই ইস্যুতে যে জটিলতার কথা বলা হচ্ছে তার দায় সম্পূর্ণ গণপূর্ত কর্তৃপক্ষের।

এ বিষয়ে খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন খবরের কাগজকে বলেন, আমরা গত ২৪ অক্টোবর এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগে আবেদন করেছি। ২ ডিসেম্বর সব প্রক্রিয়া শেষে আমাদেরকে অনুমোদন দেওয়া হয়। মাঠ বরাদ্দের টাকাও পরিশোধ করেছি। এখন শুনছি যে এবি পার্টিকেও অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এবি পার্টি ও আমরা একই সমমনা দল। আলোচনার ভিত্তিতে সমাধানের চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) এবি পার্টির সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। এই জটিলতা তৈরির পেছনে মুলত গণপূর্ত দায়ী। তাদের কেউ জড়িত আছে কিনা তাও দেখা হবে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একই সময়ে দুই রাজনৈতিক দলের অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি খুবই অনভিপ্রেত।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ/এমএ/

মাগুরা জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ পিএম
মাগুরা জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
আলী আহমেদ-মনোয়ার হোসেন খান

মাগুরা জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সদ্য সাবেক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহমেদকে পুনরায় আহ্বায়ক ও মনোয়ার হোসেন খানকে সদস্যসচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত কমিটিতে ৯ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে।

যুগ্ম আহ্বায়ক ৯ জন হচ্ছেন- সাবেক সদস্যসচিব আখতার হোসেন, আহসান হাবিব কিশোর, ফারুকুজ্জামান ফারুক, খাঁন হাসান ইমাম সুজা, অ্যাডভোকেট রোকুনুজ্জামান, আলমগীর হোসেন, মিথুন রায় চৌধুরী, শাহেদ হাসান টগর ও পিকুল খান।

কাশেমুর রহমান/অমিয়/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });