ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বরিশাল মহানগর বিএনপিতে বিভেদ, স্থান পাননি জ্যেষ্ঠ নেতারা

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ এএম
বরিশাল মহানগর বিএনপিতে বিভেদ,  স্থান পাননি জ্যেষ্ঠ নেতারা

বরিশাল মহানগর বিএনপির ৪২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গত সোমবার ঘোষণা করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ওই কমিটিতে বিএনপির দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও জ্যেষ্ঠ নেতারা স্থান পাননি। এর আগে আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর থেকে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিনকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর সেই বিতর্ক আরও বেড়েছে। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘ পথ চলা নেতাদের অভিযোগ, নতুন কমিটিতে অনেক নিষ্ক্রিয় নেতা ঠাঁই পেয়েছেন। আন্দোলনের কঠিন সময়ে মাঠে না থাকা নেতাদের নাম থাকায় ক্ষুব্ধ অনেকে। কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও পদবঞ্চিত অনেক নেতা প্রশ্ন তুলেছেন।

এদিকে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিএনপির মধ্যে অনৈক্যের বিষয়টি আবারও সামনে এল। তবে বিএনপির নতুন নেতৃত্ব বলেছে, দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থেকে যারা হামলা-মামলার শিকার হয়ে জেল খেটেছেন তাদের নিয়েই কমিটি গঠিত হয়েছে। এখানে সিনিয়র-জুনিয়র বলে কোনো কথা নেই। কমিটি গঠন নিয়ে ঐক্যবদ্ধ বিএনপির মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করে লাভ হবে না। 

সূত্র জানায়, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ারকে বাদ দিয়ে ২০২২ সালের ১১ মার্চ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এ নিয়ে সেই সময়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। মহানগরের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সরোয়ারের অনুসারীরা থাকায় ৩০টি ওয়ার্ডের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত করে। ফলে মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে সরোয়ার ও তার অনুসারী নেতা-কর্মীরা একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়েন। 

বঞ্চিত নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। এ ছাড়া নানা অভিযোগের কারণে মহানগর কমিটি বিলুপ্ত করে চলতি বছরে জুলাই মাসে তিন সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিতে আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন এবং জিয়াউদ্দিন সিকদারকে সদস্যসচিব করা হয়। 

তিন সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর থেকে থেকেই ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক নাসরিনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন দলের কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা। অপেক্ষাকৃত জুনিয়র নাসরিনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি তারা। এদিকে ৫ আগস্টের পর কমিটি গঠন নিয়ে জোর দাবি উঠে বিএনপির মধ্য থেকে। 

অন্যদিকে বিএনপির কেন্দ্র থেকেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দাখিলের চাপ আসে তিন সদস্যের কমিটির ওপর। তাই তারা তড়িঘড়ি করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ৪২ সদস্যের কমিটি অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে জমা দেয়। জমা দেওয়া কমিটিতে বাদ পড়ে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি মজিবর রহমান সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক (স্থগিত) বিলিকিস জাহান শিরিনের অনুসারীরা। সেই সঙ্গে দলের হেভিওয়েট নেতাদের নামও বাদ পড়ে।

মহানগর বিএনপির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক তারিন বলেন, ‘কমিটি হওয়া উচিত সবার সমন্বয়ে। এখানে আন্দোলনে সক্রিয়রা যেমন থাকবে তেমনি অভিজ্ঞদের বাদ দেওয়ারও সুযোগ নেই। বরিশালে যা দেখছি সব ওলটপালট। সবাই পকেটের লোক দিয়ে দল চালানোর প্রতিযোগিতায় মেতেছে। এভাবে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করা যাবে না।’

মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কে এম শহিদুল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি নিয়েই তো অভিযোগ রয়েছে আমাদের। এমন একজনকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে যিনি রাজনীতিতে অনেক জুনিয়র। তার নিচে গিয়ে রাজনীতি করা আমাদের অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়।’

সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা নাসরিন বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী কমিটি হয়েছে। কে হেভিওয়েট, কে সিনিয়র-জুনিয়র সেটাতো জরুরি নয়। আন্দোলন-সংগ্রামে কার কী ভূমিকা সেটাই আমরা বিবেচনায় রেখেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা সিনিয়র-জুনিয়র বলে ঢেকুর তুলছেন তারা কোনো আন্দোলনে ছিলেন না। তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলাও হয়নি। এমনকি নির্যাতনও সহ্য করতে হয়নি। এখন পদ-পদবি না পেয়ে দলের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন।’

মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার বলেন, ‘হাজার সদস্যের কমিটি হলেও কিন্তু অভিযোগ থাকবে। বিএনপির মতো একটি বড় দলে অনেকেরই নেতা হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। তাছাড়া এটা তো আহ্বায়ক কমিটি, পূর্ণাঙ্গ নয়। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুসরণ করছি। আন্দোলন সংগ্রামে কার কী ভূমিকা তা গুরুত্ব পেয়েছে।’

মহানগরের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘আহ্বায়ক কমিটি আকারে ছোট হয়। এখানে সবাইকে জায়গা দেওয়া সম্ভব হয় না। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে আর সমস্যা থাকবে না। তবে কমিটিতে অযোগ্য কিংবা নিষ্ক্রিয় কাউকে রাখার অভিযোগ সঠিক নয়।’

দেশবাসী এবার জামায়াতের শাসন দেখতে চায়: ইয়াছিন আরাফাত

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৫ পিএম
দেশবাসী এবার জামায়াতের শাসন দেখতে চায়: ইয়াছিন আরাফাত
ছবি: খবরের কাগজ

দেশবাসী এবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শাসন দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ইয়াছিন আরাফাত।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালীর বসুরহাটে সাত ছাত্রশিবির কর্মীকে হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ অতীতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির দেশ পরিচালনা দেখেছে। এবার জামায়াতে ইসলামীর শাসন দেখতে চায়। 'জামায়াত এ মুহুর্তে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।'

ইয়াছিন আরাফাত বলেন, 'শেখ হাসিনার ডানহাত হিসেবে পরিচিত ওবায়দুল কাদের সারা বাংলাদেশের সকল হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড।' 'তার নামের আগে একটি পাখির নাম উচ্চারণ করা হয়। ওই নাম নিয়ে আমি পাখির অসম্মান করতে চাই না।' 'শুধু দাবি করবো, ওবায়দুল কাদেরকে অবিলম্বে দেশে এনে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যার বদলা নিতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, '২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর বসুরহাটে শিবিরের মিছিলে পুলিশ ও কাদের মির্জার ক্যাডাররা পাখির মতো গুলি করে সাত কর্মীকে হত্যা করেছে।' 'সেদিন তাদের জানাজাও ঠিকমতো পড়তে দেয়নি।' 'আমরা সেই মামলার প্রধান আসামি কাদের মির্জাসহ সকল আসামির ফাঁসির দাবি করছি।'

সমাবেশে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরার সদস্য ও জেলা জামায়াতের আমীর মো.ইসহাক খন্দকার।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা নিজাম উদ্দিন ফারুক, সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা আলমগীর মো. ইউসূফ, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার, সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন, বসুরহাট পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসাইন প্রমুখ।

মজনু/মেহেদী

শহিদদের আত্মত্যাগ জাতি কখনও ভুলবে না: আমিনুল হক

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম
শহিদদের আত্মত্যাগ জাতি কখনও ভুলবে না: আমিনুল হক
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মরণ করছি সেই সব শহিদদের, যারা বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। শহিদদের আত্মত্যাগ জাতি কখনও ভুলবে না।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন জানানোর আগে তিনি এ সব কথা বলেন। 

জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা পাবে উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এসেও বাংলাদেশে যাতে আর কোন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, গণতন্ত্র রক্ষা ও জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য আর কোন ভাইকে আর কাউকেই প্রাণ দিতে না হয়, এর জন্য যেন আর কোন রক্তপাত না হয়। জাতি এটাই প্রত্যাশা করে। 

এর আগে বিএনপির উদ্যোগে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন কালে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মীর সরাফত আলী সপু, শামীমুর রহমান শামীম, বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, সদস্যসচিব মোস্তফা জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ বিএনপি ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সকাল থেকেই শ্রদ্ধা নিবেদনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, আইনজীবীফোরাম, ড্যাব, জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল, মহিলাদল, মৎস্যজীবিদল, কৃষকদল, শ্রমিকদল, জাসাস, ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ যুবদলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। 

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদনকালে মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এ বি এম এ রাজ্জাক (দপ্তর), আক্তার হোসেন, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, তুহিরুল ইসলাম তুহিন, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, হাজী মো. ইউসুফ, মাহাবুবুল আলম মন্টু, মহানগর সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আলী আকবর আলী, ডা. এ কে এম কবির আহমেদ রিয়াজ, হুমায়ুন কবির রওশন, শামীম পারভেজ, সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা, নুরুল হুদা নূরু, রফিকুল ইসলাম খান, এম এস আহমাদ আলী, ইব্রাহিম খলিল (সহ-দপ্তর), জাহেদ পারভেজ চৌধুরী ও তাসলিমা রিতা প্রমুখ। 

এসময় শ্রদ্ধা নিবেদনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির মিরপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল বাশার ভূইয়া, শ ম আরিফ উল্লাহর নেতৃত্বে, কাফরুল থানার  বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আকরামুল হক ও যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির দেওয়ান জনির নেতৃত্বে পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হুসাইন খান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ আলী গাজীর নেতৃত্বে, বিমানবন্দর থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন তারেক, মন্জুর হোসেন পাটোয়ারী, বশির উদ্দিনের নেতৃত্ব, রূপনগর থানা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইন্জি. মজিবুল হক,যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহমেদ রাজু, শেখ হাবিবুর রহমান হাবিব, অলিউল হাসানাত তুহিন, উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, খিলক্ষেত থানা বিএনপির আহ্বায়ক এস এম ফজলুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক সিএম আনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে, শাহআলী, বাড্ডা, ভাটারা, রামপুরা, তুরাগ, তেজগাঁও, শেরেবাংলা নগর,আদাবর, বনানী, গুলশান, দক্ষিণখান, উত্তরা পশ্চিম ও দারুসসালাম থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা জানান।

এছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ২৬টি থানা ও ৭১টি ওয়ার্ড নেতাকর্মীরা স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। 

রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা

রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী মো. ইউসুফ ও মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য এম এস আহমাদ আলীসহ স্হানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের চিহ্নিত করার সুযোগ রয়েছে: গোলাম পরওয়ার

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৫ পিএম
বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের চিহ্নিত করার সুযোগ রয়েছে: গোলাম পরওয়ার
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: খবরের কাগজ

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত হত্যাকারীদের এখনো চিহ্নিত করার সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।  

সভায় প্রধান অতিথি গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘তাদের (বুদ্ধিজীবী) আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে আমরা মুক্ত-স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। যুগ যুগ ধরে জাতি তাদের অবদানের কথা স্মরণ করবে। ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবীদের কারা হত্যা করল? স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর আজও জাতির সামনে তা তুলে ধরা হয়নি। শহিদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার প্রকৃত রূপ রহস্যঘেরা এবং এখনো প্রকৃত হত্যাকারীদের চিহ্নিত করার সুযোগ রয়েছে।’

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সাংবাদিক, চিত্র নির্মাতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির রায়হানের নিখোঁজের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের লড়াই সংগ্রাম ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঘটনার তিনি ডকুমেন্টারি গবেষণার কাজে হাত দিয়েছিলেন। বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে গিয়ে হত্যার কারণ, তথ্য উপাত্ত ও প্রমাণ খুঁজে বের করছিলেন। জাতি ভেবেছিল, জহির রায়হানের এই ডকুমেন্টারি প্রকাশ হলে অজানা তথ্য বেরিয়ে আসবে। তাই তাকে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে আর খুঁজে পাওয়া গেল না। তার ডকুমেন্টারি কোথায় আজও তা জানা যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ভোটাধিকার এদেশের মানুষ নির্ধারণ করবে। ১৪, ১৮ এবং ২৪-এর ভোট আমরা দিতে পারিনি। এই তিনটা ভোটই জনগণ বর্জন করেছে। আর এই আধিপত্যবাদী শক্তি (ভারত) এদেশে তাদের একজন সেবাদাস, দল দাসদেরকে প্রলুব্ধ করে তাদের মনোনীত সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে।’

জামায়াতের সেক্রটারি জেনারেল বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের ৫৩ বছর পরেও ভারত কখনো আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধুর পরিচয় দিতে পারেনি। আমরা ভারতের শত্রু নয় বরং ভারতে বছরে বছরে যারা শাসন ক্ষমতায় এসেছেন তারা আমাদের শত্রুতা করেছে। তারা আমাদের ক্ষতি চেয়েছে, আমরা তাদের ক্ষতি চাইনি।’   

ভারতকে উদ্দেশ্য করে অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি, ইকোনমিক, বাংলাদেশের সামরিক অবকাঠামোর স্বার্থের চেয়ে তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ অনেক বেশি। যেসব প্রকল্পগুলো অনেক বড় সেগুলো বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে লাভ হবে ভারতের আর কাজটা করাবে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি, পদক্ষেপ, ব্যবসা-বাণিজ্য এই ৫৩ বছরে করা হয়েছে।’  

তিনি বলেন, ‘তাদের (ভারত) পছন্দ করা শাসক না হলে বাংলাদেশ চলবে না। এটা হচ্ছে তাদের নীতি। যারা তাদের চাওয়া-পাওয়া ও স্বপ্ন পূরণ করবে তারাই এদেশ শাসন করবে।’ 

গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘রাষ্ট্র হিসেবে ভারতকে আমরা শত্রু মনে করি না। ভারতের জনগণ আমাদের শত্রু নয়। ভারতে যারা শাসক এসেছেন, চরম সাম্প্রদায়িক একটি গোষ্ঠী ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আদর্শ এবং মূল্যবোধকে ধ্বংস করতে চেয়েছে। এদেশ যদি পদানত থাকে, একটি করদ রাজ্যে পরিণত হয়, ভারতের একটা বাজারে যদি পরিণত হয় তাহলে তো ভারতের লাভ বেশি।’

শফিকুল/পপি/

বাংলাদেশকে বহিঃশক্তির হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল আ.লীগ: জামায়াত নেতা

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ পিএম
বাংলাদেশকে বহিঃশক্তির হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল আ.লীগ: জামায়াত নেতা
সীতাকুণ্ডে ছাত্রশিবিরের সাবেক সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত সম্মেলনে বক্তৃতা দিচ্ছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মো. শাহজাহান। ছবি: খবরের কাগজ

পতনের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বহিঃশক্তির হাতে দেশকে তুলে দিতে মরিয়া ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মো. শাহজাহান। 

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে সীতাকুণ্ড আলিয়া মাদরাসার হলরুমে ছাত্রশিবিরের সাবেক সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ অনুষ্ঠানে সীতাকুণ্ড উপজেলার সহস্রাধিক সাবেক সাথী ও সদস্য অংশ নেন।

এ সময় মাওলানা মো. শাহজাহান বলেন, ‘৫৩ বছরের ইতিহাসে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের কোনো নেতা বাংলাদেশবিরোধী কোনো বাক্য উচ্চারণ করেননি।

তবে বাংলাদেশের জন্মে আওয়ামী লীগকে সবচেয়ে বেশি স্বীকৃতি দেওয়া হলেও এই দলের নেতারাই দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি জড়িত ছিলেন।’

আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশের ৭০ ভাগ ক্ষমতা ভারতের হাতে ছিল মন্তব্য করে তিনি জানান, হাসিনা এখনো ভারতে বসে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন।

শাহজাহান বলেন, ‘আজকের এই নতুন বাংলাদেশ শহিদদের রক্তের ফসল, মজলুমদের চোখের পানির ফসল। এতে আপনার আমার কোনো কৃতিত্ব নেই। সব কৃতিত্ব ওইসব শহিদদের, যারা এই জমিনের জন্য রক্ত দিয়েছেন, প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছেন।’

পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দেশকে এগিয়ে নিতে ছাত্রশিবিরের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এটাই ‘দ্বিন প্রতিষ্ঠার’ সবচেয়ে ভালো সুযোগ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সীতাকুণ্ডে প্রায় দুই দশক পর বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের আমীর আলাউদ্দিন সিকদার।

জেলা আমীর তার বক্তব্যে বলেন, ‘১১ শহিদের রক্তস্নাত এই সীতাকুণ্ডের ময়দান। অনেক রক্ত, ত্যাগ, তিতিক্ষা, শ্রম, ঘাম বিনিময়ে আজ আমি এখানে দাঁড়াতে পেরেছি।’

সংগঠনকে এগিয়ে নিতে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী, উত্তর জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাজিদ চৌধুরী, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান, নায়েবে আমীর রাশেদুজ্জামান মজুমদার, সেক্রেটারি আবু তাহের, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি কুতুব উদ্দিন শিবলী, মিডিয়া বিভাগের সম্পাদক আবুল হোসেন, শিল্প ও বাণিজ্য এবং যুব ও ক্রীড়া বিভাগের সম্পাদক শামসুল হুদা, শূরা সদস্য ও কর্মপরিষদ সদস্য মিছবাহুল আলম রাসেল, মাওলানা নুরুল কবির, মিরসরাই জামায়াতের সাবেক আমী নুরুল করিম।

নাইমুর/অমিয়/

মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে অ্যাবের শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২০ পিএম
মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে অ্যাবের শ্রদ্ধাঞ্জলি
মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন অ্যাবের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুরসহ অন্য প্রকৌশলীরা। ছব: খবরের কাগজ

রাজধানীর মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ারস বাংলাদেশ (অ্যাব)। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অ্যাবের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর নেতৃত্বে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এ সময় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম (রিজু), সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মো. সাব্বির মোস্তফা খান, আইইবির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রকৌশলী নিয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া, প্রকৌশলী এ টি এম তানবীর-উল হাসান (তমাল), সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহবুব আলম, প্রকৌশলী মুহাম্মদ আহসানুল রাসেল, প্রকৌশলী সাব্বির আহমেদ ওসমানী এবং আইইবি ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন তালুকদার, ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান উজ্জ্বল, ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন, অ্যাবের উপদেষ্টা প্রকৌশলী এ কে এম জহিরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী আব্দুল হালিম, প্রকৌশলী আজিম উদ্দিন, প্রকৌশলী বিজু বড়ুয়া, যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী আবু হোসেন হিটলু, অ্যাব ঢাকা কেন্দ্রের সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহীন হাওলাদার, প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলামসহ আইইবি ও অ্যাবের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল/পপি/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });