পতিত স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্রে দেশে নানা ধরনের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এবং গণতন্ত্র উত্তরণে নবদিগন্তের সূচনা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।
সভায় নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা মনে করি, দীর্ঘদিন লড়াই করে বহু ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পরিবর্তনকে সুরক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলনরত সব দল ও সংগঠনের জাতীয় ঐক্য আরও সুদৃঢ় করা দরকার। আমরা লড়াই করেছি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য, কিন্তু এখনো গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। অন্তর্বর্তী সরকার একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে আশা করছি।’
৭ নভেম্বরের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘৭ নভেম্বর দেশের পট পরিবর্তন হয়। সব পরিবর্তন মানুষ মনে রাখে না। কিন্তু ৭ নভেম্বরের অবিনাশী চেতনায় উজ্জীবিত বাংলাদেশ আধিপত্যবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে চির জাগ্রত থাকবে। জনগণ জিয়াউর রহমানকে মহানায়ক বানিয়েছে।’
জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, দেশে প্রথম সংস্কার কার্যক্রম প্রয়োজন উপলব্ধি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এবং ৩১ দফা সংস্কার কার্যক্রম জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন। অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার সমাধান করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ১২ দলীয় জোটপ্রধান ও জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যকে বিনষ্ট করার জন্য অনেক চক্রান্ত করা হয়েছে কিন্তু আন্দোলনরত দল ও সচেতন জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে।’
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ‘১৫ আগস্ট পরবর্তী ৭ নভেম্বরের বিপ্লবে আমরা রুশ-ভারতের আধিপত্যহীন বাংলাদেশ পেয়েছিলাম। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কল্যাণে শেখ মুজিবের বাকশাল এবং একনায়কতন্ত্রের জাল থেকে বেরিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। না হলে আজও কোনো দলের রাজনীতি করার অধিকার থাকতো না।’
মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, জাতীয় পার্টির মহাসচিব হাসান হাবিব লিংকন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম প্রমুখ।
শফিকুল ইসলাম/এমএ/