ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

জাতীয়তাবাদী শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না: তারেক রহমান

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম
জাতীয়তাবাদী শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না: তারেক রহমান
সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি : খবরের কাগজ

দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস উপলক্ষে র‍্যালি পূর্ব সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এরপর র‍্যালির উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তারেক রহমান বলেন, ‘আজকের মিছিল সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং দেশ গড়ার মিছিল। বিএনপির লক্ষ্য জনগণের ভোট নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রবিরোধী ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কোনোভাবেই অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না, এতে সফলতা আসবে।’ 

অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তার মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মোহাম্মদ শাহজাহান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, শ্রমিক দলের সমন্বয়কারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ।

শফিকুল/সালমান/



একাত্তরের ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৮ পিএম
একাত্তরের ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম। ছবি: খবরের কাগজ

দেশের মূল ইতিহাস একাত্তর থেকে জাতিকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার আরেকটা ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একাত্তরে শহিদ বুদ্ধিজীবী এবং মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহিদ জিয়াউর রহমানসহ বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, একাত্তর আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। এখন একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, একাত্তর একটু পেছনে রাখা। যেমন ‘৪৭ সালে দেশভাগকে অনেকে বলেন যে, এটা একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আমরা মনে করি, এটা ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্র। এ বিষয়ে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। 

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। শনিবার বুদ্দিজীবী দিবসের সকাল ১১টায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের নিয়ে মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে এই স্বাধীন বাংলাদেশ, আজকে ইতিহাস নিয়ে এসে আমরা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি সেই ইতিহাস যেন বিকৃত না করি। গত ১৫ বছর ধরে ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। ঠিক তেমনি করে এখন যাতে ইতিহাস বিকৃত না হয় সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।  

দেশে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিকতা না পাওয়া পর্যন্ত বিএনপিকে কাজ করতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, অনেকে মনে করছেন যে, হাসিনা পালিয়ে গেছে, কাজ শেষ হয়ে গেছে? না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা একটা গণতান্ত্রিক কালচারে পরিণত না করতে পারব ততদিন কাজ করে যেতে হবে। একটি উপযোগী রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে, গণতন্ত্রের একজন কর্মী হিসেবে, বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য নেতা-কর্মীদের শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।  

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র মানে এই নয় যে, আওয়ামী লীগ করলে তাকে গলা কেটে ফেলো আর বিএনপি করলে তার মুণ্ড ছেদ করো। গণতন্ত্র হচ্ছে পরমত সহিষ্ণুতা। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে কীভাবে কথা বলবেন, একে অপরের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার- এটাই হচ্ছে গণতন্ত্র। 

সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সময়টা সবচেয়ে কঠিন সময়। আপনার একটা পদক্ষেপ যদি ভুল হয়, আপনি পেছনে পড়ে যাবেন, খাদে পড়ে যাবেন। যদি সঠিক পা দিতে পারেন তাহলে আপনি সামনে এগিয়ে যাবেন। আমাদের অনুরোধ থাকবে-এই দিবসগুলো আপনারা অবহেলা করবেন না, জানার চেষ্টা করবেন।  

অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো কাজ করছে- তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার এমন বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, দয়া করে রাজনৈতিক দলগুলোকে আপনাদের প্রতিপক্ষ বানাবেন না। আমরা হাজার বার বলেছি, এই সরকার হওয়া ব্যর্থ হওয়া মানে জনগন ব্যর্থ হয়ে যাবে, আমরা ব্যর্থ হয়ে যাবো। এসময় ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মিথ্যাচার-অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নেতা-কর্মীদের আরও বেশি সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের মানুষ চায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও অর্থনৈতিক মুক্তি। নির্বাচন বিলম্বিত হলে সরকারের জন্য খারাপ, জনগণের জন্য ক্ষতি বয়ে আনবে। সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে নির্বাচনকে। 

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘পাকিস্তান যখন আর আমাদের কন্ট্রোল করতে পারছিল না, তখন তারা ইন্টেলেকচুয়াল ব্যক্তিদের হত্যার ষড়যন্ত্র করে এবং তা বাস্তবায়ন করা হয়। ২৪-এ বিজয়ের আগে ইন্টেলেকচুয়াল উদীয়মান তরুণদের হত্যা করে পালিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা। এদের দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে।’  

প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ প্রমুখ।  

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ/এমএ/

শেখ হাসিনাকে ভারতের মুখ্যমন্ত্রী করা হোক: দুলু

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম
শেখ হাসিনাকে ভারতের মুখ্যমন্ত্রী করা হোক: দুলু
নাটোর সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির জনসভায় অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, শেখ হাসিনা কী জিনিস তা বোঝার জন্য ভারতের কোনো রাজ্যে শেখ হাসিনাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক। এতে তাকে পুরোপুরি চিনতে পারবে সমস্ত ভারতবাসী।

তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনাকে ভারতের যে কোনো রাজ্যে অন্তত একবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করা হলে ভারত সরকারকেও শেখ হাসিনা শেখাতে পারবে দিনের ভোট কীভাবে রাতে করতে হয়, ভোটার ছাড়াই কীভাবে নির্বাচন করে জিততে হয় এবং ভোটবিহীন সরকার গঠনের পর ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠা করে কীভাবে রাষ্ট্র শাসন করতে হয়।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নাটোর সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করে এখন স্বাধীন জীবন-যাপন করছে দাবি করে তিনি বলেন, এদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে তাড়িয়ে সুখে আছে অথচ ভারতের কিছু মানুষ শেখ হাসিনার পতনে মনঃক্ষুণ্ন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ শেখ হাসিনাকে চিনলেও ভারতের অনেক সচেতন ও বিবেকবান ব্যক্তি এমনকি সরকারের কিছু অংশও শেখ হাসিনাকে পুরোপুরি চেনে না।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের আপামর জনগণ নিজেদের বাক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতেই আন্দোলনে হাজারও জীবন দিয়ে ও পঙ্গুত্ব বরণ করে পতন ঘটিয়েছে। বাংলাদেশে তার আর শাসকের চেয়ারে বসা বা রাজনীতির সুযোগ কেউ দিবে না দাবি করেন তিনি।

দুলু বলেন, শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতারা ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যহত রেখেছে। ভারতের কতিপয় মিডিয়াকে টাকায় ম্যানেজ করে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে আমাদের দেশের হিন্দু-মুসলিম খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মের মানুষের চিরদিনের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সুসর্ম্পক নষ্ট করার পায়তারা করছে।

ওই জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুলুর সহধর্মীনি ছাবিনা ইয়াসমিন ছবি, নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী শাহ আলমসহ আরও অনেকে।

কামাল মৃধা/মাহফুজ/এমএ/

 

আ.লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে: জামায়াতের আমির

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম
আ.লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে: জামায়াতের আমির
সিলেটে কর্মী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: খবরের কাগজ

‘অপমানের দায় নিয়ে এভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার মতো নিকৃষ্ট আর কিছু নেই। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে’।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সিলেটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘তারা এখন দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করতে মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিদেশি বন্ধুদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না। মানুষ এখন অনেক সজাগ। বাংলাদেশের মানুষ এখন শান্তিতে আছে। শান্তি বিঘ্নিত করতে দফায় দফায় চেষ্টা চলছে। একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে ইনশাআল্লাহ।‘

তিনি আরও বলেন, ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি বৈঠার নৃশংসতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জানান দিয়েছিল তারা ক্ষমতার থাকতে খুন-গুমের পথ বেছে নিবে। সেদিন থেকে বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল। দীর্ঘ সাড়ে ১৪ বছর পর বাংলাদেশ মুক্তি পেয়েছে। তারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নির্বিচারে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে।’

আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তারা যেসব নিরীহ জনগণকে খুন করেছে তাদের পরিবারের কাছে জানতে চাই তারা আর এ ধরণের রাজনীতি চায় কিনা? যারা পঙ্গুত্ববরণ করেছে তাদের থেকে এ বিষয়ে মতামত নিন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একটি বৈষম্যহীন ও ন্যায়বিচারের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আল্লাহর হুকুম ও জনগণের ভালোবাসায় জামায়াতে ইসলামী সে সুযোগ পেলে আমাদের হাত দিয়ে কোন চাঁদাবাজি হবে না, কোনো চাঁদাবাজি বরদাশতও করা হবে না। বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটির ওপর কোনো দখল বাণিজ্য হতে দেওয়া হবে না। অফিসে বসে কেউ ঘুষ খাওয়ার দু:সাহস দেখাতে পারবে না। যুব সমাজের হাতকে কারিগরের হাতে রূপান্তরিত করা হবে। উন্নত দেশের মতো পড়ালেখা শেষ করার আগেই তাদের হাতে কাজ আসবে। আমরা তাদরেকে এমন যোগ্য কারিগর হিসেবেই তৈরি করব। আমরা যুবসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই।’

ধর্মীয় সম্প্রতির প্রসঙ্গ টেনে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা এমন দেশ গড়তে চাই, যেখানে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা কোথাও নিরাপত্তার জন্য পাহারা দিতে হবে না। একজন নাগরিক তার ঘরে-বাইরে, কর্মস্থলে ও সমাজে সবজায়গায় নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা ভোগ করবে। এদেশে নারী-পুরুষের সমান নিরাপত্তা ও মর্যাদা পাবে।’

তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী কোরআনের আলোকে রাষ্ট্রগঠনের সুযোগ পেলে দেশের নারীরা মর্যাদা ও ইজ্জতের সহিত তাদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবেন। তারা যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় কাজে অবদান রাখবেন।’

বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে দলের প্রতিটি কর্মীকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতে আমীর বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের পক্ষে এককভাবে ছাত্র-জনতার স্বপ্নের দেশ গঠন করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন গোটা জাতির ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা ও সহযোগিতা। আমরা শান্তি, অগ্রগতি, ন্যায়বিচার ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’

এই কর্মী সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিলেট জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম ও মাওলানা মাশুক আহমদ।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফজলুর রহমান ও সিলেট মহানগর আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম।

শাকিলা ববি/সুমন/এমএ/

বহুমতের রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৪ পিএম
বহুমতের রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে: তারেক রহমান
বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রত্যাশার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, হারিয়ে যাওয়া আইনের শাসন, স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং বহুমত ও পথের রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে শহিদ বুদ্ধিজীবীরা আমাদের প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে যাবেন।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে শাহাদৎবরণকারী দেশের প্রথম শ্রেণির শহিদ বুদ্ধিজীবীদের অম্লান স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এই বাণী দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

তারেক রহমান বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির ইতিহাসে এক মর্মস্পর্শী ও শোকাবহ দিন। অমর বুদ্ধিজীবীগণ দেশের ক্ষণজন্মা শ্রেষ্ঠ সন্তান, যারা একটি সমৃদ্ধ এবং মাথা উঁচু করা জাতি দেখতে চেয়েছিলেন। তারা ন্যায় বিচারভিত্তিক শোষণমুক্ত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু হানাদার বাহিনীর দোসররা চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশুণ্য করতে পরিকল্পিত এ হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করে।

তিনি বলেন,  স্বাধীনতার পরেই অগণতান্ত্রিক শক্তি তাদের মুখোশ খুলে ফেলে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর ন্যায় দেশের মানুষের সর্বজনীন গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো একের পর এক হরণ করতে থাকে। এক নদী রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ত্ব দিনে দিনে দূর্বল করে এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রত্যাশা ধূলিসাৎ করে। সেই দুঃশাসনের ঐতিহ্য ধারণ করে তাদের উত্তরসূরী আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা বিভেদ অনৈক্য এবং সংকীর্ণতা, গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের দ্বারা ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়া ও জাতীয় অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল এবং গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সুতরাং আমাদের রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ এবং দেশকে একটি সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর ও শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করার বদলে একদলীয় দু:শাসনের বাতাবরণ তৈরি করে। সুতরাং আজ পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমাদের পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রকৃত গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। আমি শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।

এদিকে পৃথক আরেক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শহিদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, যার আদর্শ হবে গণতন্ত্র। সেই স্বপ্ন এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। তাদের স্বপ্ন পূরণে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সর্বজনীন অধিকার, সেটি সমুন্নত রাখতে আমাদের মিলিত শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

এবি পার্টি ও খেলাফত মজলিসের সম্মেলনের জায়গা নিয়ে জটিলতা

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৪ পিএম
এবি পার্টি ও খেলাফত মজলিসের সম্মেলনের জায়গা নিয়ে জটিলতা
ছবি: সংগৃহীত

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও খেলাফত মজলিস রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একই দিনে জাতীয় সম্মেলন করা নিয়ে বিভ্রান্তি ও জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। দুই দলই মাঠের বরাদ্ধ পাওয়া নিয়ে প্রচারণা শুরু করেছে।

এবি পার্টির নেতারা বলেন, আগামী ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর এবি পার্টির প্রথম জাতীয় কাউন্সিল আয়োজনের জন্য গত ২ ডিসেম্বর গণপূর্ত বিভাগ থেকে চূড়ান্ত বরাদ্ধপত্র দেওয়া হয়।

অপরদিকে খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেন, ২৮ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের তৃণমূল সম্মেলনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মাঠ ব্যবহারের জন্য টাকাও পরিশোধ করা হয়েছে। সম্মেলন করার পোস্টার এবং প্রচারণা শুরু করা হয়েছে।

গণপূর্ত বিভাগের সূত্রমতে, এবি পার্টির বরাদ্ধ অনুমোদন করলেও খেলাফত মজলিসকে তারা কোনো চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়নি। তবুও খেলাফত মজলিস তাদের অনুষ্ঠানের প্রচার শুরু করে, যা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে কেন্দ্র করে জটিলতার সৃষ্টি করেছে। এবি পার্টি, সিপিবি ও খেলাফত মজলিস- এই তিনটি দল একই দিন একই সময়ে সম্মেলনের আবেদন করলে যাচাই বাছাই করে কর্তৃপক্ষ এবি পার্টিকে ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর এবং ৩ জানুয়ারি সিপিবিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।

এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কালাম আজাদ খবরের কাগজকে বলেন, এবি পার্টিকে ২৮ ডিসেম্বরের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে খেলাফত মজলিস অন্য যেকোনো দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহার করতে পারবে। তাদেরকে দেওয়া অফিসিয়াল চিঠিতে কোনো দিন-তারিখ উল্লেখ করা হয়নি বলেও জানান।

এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল বলেন, আমরা তিন স্তরের নিয়ম মেনে মাঠের বরাদ্দ পেয়েছি এবং চূড়ান্ত বরাদ্দ নিশ্চিত হবার পর সরকারের কোষাগারে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে প্রচার শুরু করেছি। আমাদের কাউন্সিলের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। দেশ-বিদেশের অতিথিদের টিকিট ও আবাসন নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন এই ইস্যুতে যে জটিলতার কথা বলা হচ্ছে তার দায় সম্পূর্ণ গণপূর্ত কর্তৃপক্ষের।

এ বিষয়ে খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন খবরের কাগজকে বলেন, আমরা গত ২৪ অক্টোবর এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগে আবেদন করেছি। ২ ডিসেম্বর সব প্রক্রিয়া শেষে আমাদেরকে অনুমোদন দেওয়া হয়। মাঠ বরাদ্দের টাকাও পরিশোধ করেছি। এখন শুনছি যে এবি পার্টিকেও অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এবি পার্টি ও আমরা একই সমমনা দল। আলোচনার ভিত্তিতে সমাধানের চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) এবি পার্টির সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। এই জটিলতা তৈরির পেছনে মুলত গণপূর্ত দায়ী। তাদের কেউ জড়িত আছে কিনা তাও দেখা হবে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একই সময়ে দুই রাজনৈতিক দলের অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি খুবই অনভিপ্রেত।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ/এমএ/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });