ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বিএনপির সমাবেশ ছুটির দিনেও যানজট, মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
ছুটির দিনেও যানজট, মানুষের দুর্ভোগ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ ও পদযাত্রা কর্মসূচি। ছবি: খবরের কাগজ

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ ও পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ছুটির দিনেও রাজধানীজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পদযাত্রা কর্মসূচির কারণে রাজধানীর নয়াপল্টন, কাকরাইল, শাহবাগ, বাংলামোটর, ফার্মগেট এলাকায় সৃষ্ট যানজটের প্রভাব রয়ে যায় রাত পর্যন্ত। এসব এলাকার যানজট ছড়িয়ে পড়ে অলিগলিতেও। তবে ছুটির দিনে অফিস থেকে ফেরার তাড়া না থাকায় মানুষের দুর্ভোগের মাত্রা ছিল কম। বেলা ৩টার পর থেকে রাজধানীতে বাসের সংখ্যা ছিল অপ্রতুল। এতে নগরীতে গণপরিবহনসংকট দেখা দেয়। 

জানা যায়, নগরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শোভাযাত্রা কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। সমাবেশে যোগ দিতে নেতা-কর্মীরা রাজধানীর ও শহরতলির বিভিন্ন পরিবহনের বাস ভাড়া করে সমাবেশস্থলে আসেন। বেলা ৩টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু হয়। জুমার নামাজের পরই নয়াপল্টন এলাকায় বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। এ সময় রাজধানীর মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল, সেগুনবাগিচা এলাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে যানবাহন ও মানুষকে আটকে থাকতে দেখা গেছে। এতে জরুরি কাজে বের হওয়া মানুষ দুর্ভোগে পড়েন।  

আড়াইটার দিকে শান্তিনগরের কর্ণফুলী মার্কেট প্লাজার সামনে গাজীপুর, মানিকগঞ্জ থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হন। তাদের নিয়ে আসা মিনিবাস ও পিকআপগুলো সড়কে এলোপাতাড়ি রাখায় ফ্লাইওভার থেকে কোনো গাড়ি নামতে পারছিল না। পরে পরিবহন শ্রমিক ও স্থানীয়দের অনুরোধে গাড়িগুলো সরানো হয়। তবে এতেও সড়কে যানজট কমেনি। মালিবাগ ফ্লাইওভার এলাকায় বেশ কিছু অটোরিকশাকে উল্টোপথে যেতে দেখা যায়।

বেলা পৌনে ৩টার দিকে শান্তিনগর মোড়ে সদরঘাট-আশুলিয়া রুটের ভিক্টর পরিবহনের চালক ইমরান হোসেন বলেন, ‘আমি বেলা দেড়টার পর থেকে আটকে আছি যানজটে। বাস সামনে এগোনোর উপায় ছিল না। যাত্রীরা নেমে গেছেন।’ একই রুটের বলাকা পরিবহনের চালক কাউসার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রাজনৈতিক সভা, সমাবেশ ঢাকাবাসীর জন্য নতুন কিছু না। রাস্তাঘাট আটকিয়ে মিছিল করছে। মানুষ কীভাবে কোন দিকে যাবে, সেটা নেতাদের ভাবার দরকার নেই।’ 

রাজধানীর রামপুরা থেকে ঠাটারিবাজার যাচ্ছিলেন মো. জুবায়ের। তিনি বলেন, ‘বাস থেকে নেমে হেঁটে চলেছি। কাকরাইল থেকে পুরানা পল্টন পর্যন্ত হেঁটে যাব। তারপর বাকি পথ রিকশায়। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পুরান ঢাকার বংশাল, তাঁতীবাজার মোড়, রায়সাহেব বাজার মোড় এলাকা ঘুরে গণপরিবহনের সংকট দেখা গেছে। অনেক মানুষকে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। ৪টার দিকে তাঁতীবাজার মোড়ে কথা হয় শফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আধা ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করে আছি, মিরপুরে যাব। কিন্তু বাস খুব কম। যে কয়টা বাস এসেছে তাতেও ওঠার উপায়  নেই।’ 

শুক্রবার বিকেলে পুরান ঢাকার পথ অনেকটা ফাঁকা দেখা যায়। শাঁখারীবাজার মোড়ে কথা হয় কয়েকজন বাস চালকের সঙ্গে। তারা জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীরা রিক্যুইজিশন করে ফেলায় সড়কে বাস কম। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারাও এ তথ্য স্বীকার করেন। 

বিকেল ৪টার দিকে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি মৎস্য ভবন এলাকা অতিক্রম করলে তার প্রভাব পড়ে কাকরাইল, বেইলি রোড, জাতীয় প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট এলাকায়। প্রেসক্লাব থেকে বাসগুলো কদম ফোয়ারা মোড় হয়ে বামে হাইকোর্ট চত্বর দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢুকে পড়ে। এতে বাংলা একাডেমি, টিএসসি ও নীলক্ষেত এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাসেল সরকার বলেন, ‘শুক্রবার ক্যাম্পাসে তুলনামূলকভাবে অনেক মানুষের আনাগোনা হয়। বিএনপির কর্মসূচি চলায় দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। ঢাবি ক্যাম্পাস রাজনৈতিক কর্মসূচির আওতামুক্ত রাখতে পারলে ভালো হয়।’ 

একাত্তরের মতো জুলাই বিপ্লব হাইজ্যাক করতে দেওয়া হবে না: গাজী আতাউর রহমান

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৪ পিএম
একাত্তরের মতো জুলাই বিপ্লব হাইজ্যাক করতে দেওয়া হবে না: গাজী আতাউর রহমান
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের ফসল এবার ’৭১ এর মতো হাইজ্যাক করতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের ফেনী সমিতি মিলনায়তনে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধিদের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, 'বারবার এদেশের বিপ্লব-অভ্যুত্থানের ফসল হাইজ্যাক করা হয়েছে।' এবার তা হতে দেওয়া হবে না। ছাত্র-যুবকরা সজাগ থাকলে বাংলাদেশ আর পথ হারাবে না। 

জুলাই বিপ্লবকে অর্থবহ করতে দেশের সর্বস্তরে বৈষম্যহীন আদর্শ বাস্তবায়নে যুবকদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে গাজী আতাউর রহমান বলেন, হাজারো শহিদের রক্তের বিনিময়ে যে ফ্যাসিবাদ উৎখাত করা হয়েছে  ফের যেন কোনো ফ্যাসিবাদী অপশক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে এখনো বৈষম্য লুকিয়ে আছে। একজন নাগরিকের ছয়টি মৌলিক অধিকার, খাদ্য, বাসস্থান, পোশাক, শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিরাপত্তাসহ ধর্মীয় অধিকার বাস্তবায়নের জন্য আমাদেরকে আরও লড়াই করতে হবে।  

এ সময় বৈষম্যহীন দেশ গড়ার লক্ষ্যে ‘ঐক্যবদ্ধ ও পরিশুদ্ধ সমাজ গড়ি, বৈষম্যহীন ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের আগামী ১৭ই জানুয়ারি জাতীয় যুব কনভেনশন সফল করার আহ্বান জানান গাজী আতাউর রহমান।  

সভায় ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও  সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমাদ সাকীর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলনের সহ-প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কবির, ইসলামী যুব আন্দোলনের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রকৌশলী মুহাম্মাদ মারুফ শেখ, এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী জেনারেল মুফতী রহমাতুল্লাহ বিন হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইলিয়াস হাসান প্রমুখ। 

শফিকুল ইসলাম/মেহেদ/এমএ/

আমাদের বিজয় বারবার ছিনতাই হয়ে যায়: প্রিন্স

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম
আমাদের বিজয় বারবার ছিনতাই হয়ে যায়: প্রিন্স
রাজধানীর রায়েরবাজারে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতারা। ছবি: খবরের কাগজ

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান, সবশেষে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে দেশের আপামর জনসাধারণের বিজয়কে অপশক্তি বারবার ছিনতাই করে নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর রায়েরবাজারে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা বিজয়ী হই। কিন্তু আমাদের বিজয় ছিনতাই হয়ে যায়। এর কারণ হলো আমরা ব্যবস্থা বদল করতে পারি না। এবার আমাদের অঙ্গীকার হলো ব্যবস্থা বদল না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না। যতক্ষণ পর্যন্ত নীতিনিষ্ঠ রাজনৈতিক শক্তি বাংলাদেশকে পরিবর্তনের কাজ শুরু না করবে, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা কাজ করব।’

প্রিন্স বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পরে এখনও অনেক অপশক্তি ঘাঁপটি মেরে আছে। তিনটি অপশক্তি সক্রিয় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একটি অপশক্তি হল আওয়ামী লীগ, তারা আবার ফিরে আসতে চাইবে। দীর্ঘ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় স্বাধীনতাবিরোধী চক্র মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছে। আরেকটি হলো পাশের আধিপত্যবাদী-সাম্রাজ্যবাদী শক্তি, যারা আমাদের ওপর ভূ-রাজনৈতিকভাবে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে আমরা যেন এগোতে না পারি। এই তিন অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াতে হবে।’ 

গণতন্ত্রহীনতা ও স্বৈরাচারী ক্ষমতা রক্ষার জন্য বিগত দিনের শাসকরা মুক্তিযুদ্ধকে অপব্যবহার করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত তথ্য এবং দেশ-বিদেশের শত্রু মিত্রদের অবস্থান দেশবাসীর সামনে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা জরুরি কর্তব্য হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রিন্স।

গত ৫ আগস্টের পরে রাজধানীসহ দেশের নানা স্থানে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও স্থাপনা ভাঙচুর ও মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলার অভিযোগে প্রিন্স বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পরপর কোনো কোনো বিশেষ গোষ্ঠী মুক্তিযুদ্ধের ওপর আক্রমণ শুরু করল। অনেক মুক্তিযুদ্ধের স্থাপনা তারা ধ্বংস করেছে। আমার লক্ষ্য করছি, চার মাস হলো সে ধরনের স্থাপনা এখরো পুনরায় নির্মাণ করেনি। আমি আশা করব, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ ও পুনর্নির্মাণের ঘোষণা দেবে।’

শনিবার সকালে সিপিবির শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন সিপিবির কন্ট্রোল কমিশনের চেয়ারম্যান মাহবুব আলম, প্রেসিডিয়াম সদস্য অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, কোষাধ্যক্ষ ফজলুর রহমান, সম্পাদক কাজী রুহুল আমীন, লূনা নুর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহসান হাবিব লাভলু, মানবেন্দ্র দেব, লাকী আক্তার, জাহিদ হোসেন খান, সাদেকুর রহমান শামীম, ঢাকা উত্তরের নেতা মোতালেব হোসেন, ঢাকা দক্ষিণের নেতা সাইফুল ইসলাম সমীর, আখতার হোসেন। 

এছাড়া সিপিবির আরেকটি দল ঢাকা উত্তরের সভাপতি ডা. সাজেদুল হক রুবেলের নেতৃত্বে সকাল ৯টায় মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানায়।

জয়ন্ত সাহা/মাহফুজ/এমএ/

ছাত্র-জনতার শক্তির সঙ্গে জোট করতে চায় এবি পার্টি: মঞ্জু

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম
ছাত্র-জনতার শক্তির সঙ্গে জোট করতে চায় এবি পার্টি: মঞ্জু
ছবি: খবরের কাগজ

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছাত্র-জনতার শক্তির সঙ্গে জোট করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে এবি পার্টি। ইতোমধ্যে দেশের অন্তত ৪০টি জেলা এবং ২০০ উপজেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নীলফামারী প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন। পরে নীলফামারী সদরের কচুকাটা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

তিনি বলেন, আলাদাভাবে নির্বাচন করলে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিবে এবি পার্টি। সেরকম প্রস্তুতিও রয়েছে আমাদের। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করছে দেশে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চেতনা নিয়েই আগামীতে রাজনীতি করতে এমনকি দেশের মানুষের সেবা করতে চায় এবি পার্টি।

জনসভায় বক্তব্য দেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সহকারী সদস্য সচিব আবু হেলাল, জেলা এবি পার্টির আহ্বায়ক মাওলানা লিয়াকত আলী ও সদস্যসচিব আলতাফ হোসেন। 

এ সময় আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, এবি পার্টি রাষ্ট্র মেরামত করে জনগণের অধিকার সুনিশ্চিত করতে রাজনীতিতে এসেছে। দেশের সকল শ্রেণির মানুষ এবি পার্টির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে পারবেন।

সুমন/মেহেদী/এমএ/

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি জেএসডির শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৬ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৪ পিএম
শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি জেএসডির শ্রদ্ধাঞ্জলি
শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি জেএসডির শ্রদ্ধা। ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীর মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং শহিদ স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন জেএসডি নেতারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল আকতার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম শামসুল আলম নিক্সন, মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, মোশারেফ হোসেন মন্টু, দপ্তর সম্পাদক কামরুল আহসান অপু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মৃধাসহ কেন্দ্রীয় এবং মহানগর নেতারা।

শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ৭১ এর চেতনাকে ধারণ করে ২৪ এর গণ অভ্যুত্থানের আকাঙ্খা বাস্তবায়ন করতে হবে। এ লক্ষ্যে অংশিদারত্বের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে এগিয়ে নেওয়ার বিকল্প নেই।

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৬ ডিসেম্বর সকালে যথাযথ মর্যাদায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের কর্মসূচি পালন করবে জেএসডির নেতাকর্মীরা।

শফিকুল ইসলাম/নাবিল/এমএ/

দেশবাসী এবার জামায়াতের শাসন দেখতে চায়: ইয়াছিন আরাফাত

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৫ পিএম
দেশবাসী এবার জামায়াতের শাসন দেখতে চায়: ইয়াছিন আরাফাত
ছবি: খবরের কাগজ

দেশবাসী এবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শাসন দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ইয়াছিন আরাফাত।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালীর বসুরহাটে সাত ছাত্রশিবির কর্মীকে হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ অতীতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির দেশ পরিচালনা দেখেছে। এবার জামায়াতে ইসলামীর শাসন দেখতে চায়। 'জামায়াত এ মুহুর্তে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।'

ইয়াছিন আরাফাত বলেন, 'শেখ হাসিনার ডানহাত হিসেবে পরিচিত ওবায়দুল কাদের সারা বাংলাদেশের সকল হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড।' 'তার নামের আগে একটি পাখির নাম উচ্চারণ করা হয়। ওই নাম নিয়ে আমি পাখির অসম্মান করতে চাই না।' 'শুধু দাবি করবো, ওবায়দুল কাদেরকে অবিলম্বে দেশে এনে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যার বদলা নিতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, '২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর বসুরহাটে শিবিরের মিছিলে পুলিশ ও কাদের মির্জার ক্যাডাররা পাখির মতো গুলি করে সাত কর্মীকে হত্যা করেছে।' 'সেদিন তাদের জানাজাও ঠিকমতো পড়তে দেয়নি।' 'আমরা সেই মামলার প্রধান আসামি কাদের মির্জাসহ সকল আসামির ফাঁসির দাবি করছি।'

সমাবেশে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরার সদস্য ও জেলা জামায়াতের আমীর মো.ইসহাক খন্দকার।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা নিজাম উদ্দিন ফারুক, সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা আলমগীর মো. ইউসূফ, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার, সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন, বসুরহাট পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসাইন প্রমুখ।

মজনু/মেহেদী

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });