ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে (মমেক) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতিসহ আট শিক্ষার্থী ও চিকিৎসককে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১১ শিক্ষার্থীর একাডেমিক কার্যক্রম বিভিন্ন মেয়াদে স্থগিতসহ চারজনকে হোস্টেলে প্রবেশে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর মুচলেকা দিয়ে পাঁচ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে অবস্থান, ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি পেয়েছে।
রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজীবন বহিষ্কৃতরা হলেন- ডা. অনুপম সাহা (ম-৫২), ডা. আব্দুল্লাহ আল হাসান (ম-৫৩), ডা. মাশফিক আনোয়ার (ম-৫২), অনুপম দত্ত অর্ঘ্য (ম-৫৩), ডা. সানজিব সরকার বোনাস (বিডিএস-৫), ডা. সাইফুল ইসলাম (বিডিএস-৫), ডা. মাহিদুল হক অয়ন (ম-৫৪) ও ডা. জাহিদুল ইসলাম তুষার (ম-৫৫)।
তাদের মধ্যে ডা. অনুপম সাহা নিষিদ্ধ সংগঠন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ডা. আব্দুল্লাহ আল হাসান সাধারণ সম্পাদক।
দুই বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম যাদের স্থগিত হয়েছে তারা হলেন- রাকিবুল হাসান রুকন (ম-৫৭), মেহেদী হাসান শিমুল (ম-৫৩), মেরাজ হোসেন বাধঁন (বিডিএস-১০) ও রাইয়ান হাবিব ফাগুন (ম-৫৮)।
এক বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত হয়েছে অর্ণব সাহার (ম-৫৮)।
ছয় মাসের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম যাদের স্থগিত হয়েছে তারা হলেন- সানজিদ আহমেদ (বিডিএস-৭), শাহরিয়ার ইফতেখার সৌমিক (বিডিএস-৮), মুনতাসির রাতুল (বিডিএস-৭), শামস আরেফিন (ম-৬৮) ও আসিফ ইকবালের (বিডিএস-১০)।
হোস্টেলে প্রবেশে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- আশিক মাহমুদ রিয়াদ (বিডিএস-৮), মঞ্জুরুল হক রাজিব (ম-৫৭), আশিক উদ্দিন (ম-৫৭) ও কুবের চক্রবর্তী (ম-৫৯)।
নিজের ও অভিভাবকের মুচলেকা সাপেক্ষে ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে অবস্থান, ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অনুমতি পেয়েছেন- শিপন হাসান (ম-৫৭), সৈয়দ রায়হান আল আশরাফ মাহিন (ম-৫৭), আসিফ রায়হান (ম-৫৮), দিগন্ত সরকার (ম-৫৯) ও সিয়াম জাওয়াদ পুষণ (ম-৫৯)।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও একাডেমি কাউন্সিলের সভাপতি নাজমুল আলম খান বলেন, দুপুরে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর কলেজ ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। কলেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। উপাধ্যক্ষ ডা. জিম্মা হোসেনকে সভাপতি এবং ডা. মো. বদর উদ্দীনকে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
কামরুজ্জামান মিন্টু/জোবাইদা/অমিয়/