ঢাকা ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

বিএনপি ক্ষমতায় এলে বৈষম্য থাকবে না: ডা. জাহিদ

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ এএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ পিএম
বিএনপি ক্ষমতায় এলে বৈষম্য থাকবে না: ডা. জাহিদ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। ছবি : খবরের কাগজ

আগামী দিনে জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

রবিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অডিটোরিয়ামে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। 

বিএনপি নেতা ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, অচিরেই দেশের ঐক্যবদ্ধ জাতি সসম্মানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবেন। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশে আছেন। অথচ আরেক নেত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আল্লাহ কাউকে ছাড় দেন না। আগামী দিনে জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না। তাই ৭ নভেম্বরের চেতনায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। ভালো কাজের মাধ্যমে ধানের শীষের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি কোনো ধরনের বৈষম্য বা বিভাজনে বিশ্বাস করে না। এ কারণেই শহিদ জিয়া দিয়ে গেছেন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ।

স্বাধীনতার পর যাদের দায়িত্ব ছিল গণতন্ত্র রক্ষা, তারাই মাত্র ১১ মিনিটে গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল মন্তব্য করে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, মাত্র চারটি পত্রিকা রেখে দেশের সব সংবাদমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছিল। তারা মুখে বলে এক কথা, করে তার উল্টোটা। আওয়ামী লীগ আত্মগোপন ও পলায়নের দল। লঙ্গরখানা ও কম্বল চোরের দল। দেশের ১৭ লাখ কোটি টাকা লুণ্ঠনকারী দল আওয়ামী লীগ। তারা পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। মায়ের পেটের বাচ্চাকে হত্যা করেছে। রাজনীতি করতে হলে আওয়ামী লীগকে জাতির কাছে ক্ষমতা চাইবে। এ দেশে স্বৈরাচারের পুনর্বাসন আর হবে না। এদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। 

তিনি বলেন, মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে ঘরে বসে থাকেননি। তিনি জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বিএনপি ছিল না। সেদিন শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি থেকে মুক্ত করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়েছিল দেশের জনগণ। এরপর মাত্র সাড়ে চার বছরের মধ্যে তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশকে স্বনির্ভর বাংলাদেশে রূপ দিয়েছিলেন মেজর জিয়া। দেশের মানুষকে উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। স্বাধীনতা পদক, একুশে পদকসহ সব ধরনের পদক প্রবর্তন করেছিলেন তিনি। সার্ক প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ছিল মেজর জিয়ার। তিনি ছিলেন আধুনিক কৃষির জনক। তারপর বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে নারী শিক্ষার উন্নয়ন করেছেন। যুবকদের উন্নয়ন, ৭৫-এর কালাকানুন বাতিলসহ দেশের জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।'

বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকবে সমানে সমান। দুই দেশের সম্পর্কে লাভও হবে সমান। সমান সম্পর্ক না হলে বিএনপি কোনো সম্পর্ক মেনে নেয় না। বিএনপি কোনো কিছু ভাঙে না, বিএনপি গড়তে জানে।

পতিত সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তার দোসররা রয়ে গেছে। তাদের কাছে আছে পর্যাপ্ত অবৈধ টাকা এবং অস্ত্র। এখনো যারা ষড়যন্ত্র করছেন, তারা সাবধান হয়ে যান। দেশের মানুষ সজাগ আছে, অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করছে। বিএনপি আন্দোলনে ছিল, আছে এবং থাকবে। এখনো অনেক পথ যেতে হবে। সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক কৃষিবিদ প্রফেসর ড. মো. শাহজাজান। 

এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাকৃবির উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. জি কে এম মুস্তাফিজুর রহমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, সাবেক এমপি শাহ নুরুল কবির শাহীন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এ কে এম শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, অ্যাডভোকেট এম এ বারী, ড্যাব নেতা ডা. ওয়ালিউল্লাহ, ডা. এ কে এম মুসা শাহীন, অ্যাডভোকেট নুরুল হক, শিক্ষক নেতা ড. এ কে এম আজাদ, এস এম রফিকুল ইসলাস বাচ্চু, ডা. খায়রুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আজিজ টুটুল, প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাসুদ তানভীর তান্না, অধ্যক্ষ শেখ ইউসুফ লিটন প্রমুখ।

কামরুজ্জামান মিন্টু/জোবাইদা/অমিয়/

ত্রিপুরায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার নিন্দা জাসদের

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৪ পিএম
ত্রিপুরায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার নিন্দা জাসদের
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল

ভারতের ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে দুষ্কৃতকারীদের হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায়।

জাসদের বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে একটি চিহ্নিত রাজনৈতিক গোষ্ঠী কর্তৃক ভারতীয় সাংস্কৃতিককেন্দ্র জ্বালিয়ে দেওয়া, ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান, ফেনী-কুমিল্লার বন্যা নিয়ে ভারতবিরোধী প্রচারণা, কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভারতীয় জাতীয় পতাকাকে পাপস বানানোসহ ভারতবিরোধী উসকানিমুলক বক্তব্য প্রদান, উত্তেজনা তৈরি করে আসছে। ঠিক একইভাবে ভারতীয় মিডিয়া ও ভারতের স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক বাংলাদেশবিরোধী উসকানি-উত্তেজনা তৈরির ঘটনা দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য কোনো বিবেচনাতেই মঙ্গলজনক নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, যখন শাসকরা দেশ পরিচালনা ব্যর্থ হয়, জনপ্রিয়তা হারাতে থাকে, রাজনৈতিক নেতারা স্বাভাবিক রাজনৈতিক পথে এগুনোর শক্তি হারিয়ে ফেলে তখনই জনগনের দৃষ্টি আসল সমস্যা থেকে ভিন্ন দিকে সরাতে, জনগণকে বিভ্রান্ত করতে ধর্মীয় কার্ড, সাম্প্রদায়িকতার কার্ড, উগ্র জাতীয়তাবাদের কার্ড খেলে।

জাসদের বিবৃতিতে বলা হয়- সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক, উগ্র জাতীয়তাবাদী রাজনীতি বাংলাদেশ ও ভারতের স্বার্থান্বেষী মহলের লাভ ছাড়া দুই দেশ ও জনগণের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনে না। 

জাসদের বিবৃতিতে বাংলাদেশ ও ভারতে স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক উসকানি ও উত্তেজনা সৃষ্টির অপরাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য দুই দেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এবং রাজনৈতিক-সামাজিক শক্তির প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

জাসদের বিবৃতিতে উসকানি, উত্তেজনার ফাঁদে পা না দিয়ে কূটনীতিক পর্যায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অস্বস্তি দূর করতে উভয় দেশের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

অমিয়/

আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলায় জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের প্রতিবাদ

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম
আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলায় জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের প্রতিবাদ
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির সদস্যদের সহিংস বিক্ষোভ এবং হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গতকাল (২ ডিসেম্বর) ভারতের স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে হামলাকারীরা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাদণ্ড (ফ্ল্যাগ পোল) ভাঙচুর করে, জাতীয় পতাকার অবমাননা করে এবং কমিশনের ভিতরে সহায়-সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি করে। এর আগে কলকাতায় হাইকমিশনের সামনেও সহিংস বিক্ষোভ করেছিল উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের লোকেরা। ভারত সরকারের ইন্ধনে যে এসব সহিংস বিক্ষোভ, হামলা হয়েছে তা বুঝতে কারও জ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন নেই। এই হামলা বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্স লঙ্ঘন করে গতকাল আগরতলায় যা ঘটেছে তার বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি শুধুমাত্র গতানুগতিক বিবৃতি দিয়েই ক্ষান্ত হবে, না একে আন্তর্জাতিক পরিসরে নিয়ে গিয়ে ভারতের সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে, সেটাই দেশবাসী জানতে চায়।

বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশের ওপর ভারতের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ছুটে গেছে বলে এদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে পূর্ব বাংলার জনগণের ওপর পাকিস্তান রাষ্ট্রের গণহত্যা ও চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় যুদ্ধ মোকাবিলায় পূর্ব বাংলার জনগণ যে প্রতিরোধ-যুদ্ধ গড়ে তুলে স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা করেছিলেন এবং সেই স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের সহযোগিতা যে বাংলাদেশকে ভারতের নব্য উপনিবেশে পরিণত করার লক্ষ্যে ছিল তা গত ৫৩ বছরে ভারতের আচরণে বিভিন্ন পর্যায়ে উন্মোচিত হয়েছে।

বাংলাদেশে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানে ভারতের পদলেহী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার উচ্ছেদ হবার পরে সাম্রাজ্যবাদী ভারত, ভারতের গণমাধ্যম, সামাজিক মাধ্যম যেভাবে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালিয়ে বাংলাদেশবিরোধী অবস্থান নিয়ে চলেছে তাকে হালকা করে দেখলে চলবে না। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা প্রপাগান্ডা তুলে আজ উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারত নেকড়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। 

বিবৃতিতে বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাম্রাজ্যবাদী ভারত ও পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।

অমিয়/

ভারতে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব রিজভীর

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
ভারতে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব রিজভীর
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

ভারতে থাকা বাংলাদেশিদের নিরাপত্তার স্বার্থে দেশটিতে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।  

রিজভী বলেন, ‘দেশকে অস্থিতিশীল করে পরিকল্পিত আগ্রাসান করতে চায় ভারত। সেই লক্ষ্যে দিল্লি থেকে বিভাজনের রেখা তৈরি করা হচ্ছে।’    

পশ্চাৎপদ চিন্তাধারার লোকেরা ভারত শাসন করছে অভিযোগ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের সাম্প্রদায়িক শাসকগোষ্ঠী সাম্প্রদায়িকতাকে আশকারা দিচ্ছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিয়েও সেখানকার মিডিয়ায় কুৎসা রটাচ্ছে। ভারতের সুদূরপ্রসারী আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা সফল হবে না।’  

শফিকুল/পপি/

ভারতীয় মিডিয়ায় উসকানিমূলক বক্তব্য বাড়ছে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৮ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪২ পিএম
ভারতীয় মিডিয়ায় উসকানিমূলক বক্তব্য বাড়ছে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি

স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে কিছু ভারতীয় মহল ও গণমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মন্তব্য ও রাজনৈতিক বক্তৃতা বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

তিনি বলেন, ‘সেখানে এখন ভুল তথ্যে ভরা ইকো চেম্বার রয়েছে, যা ক্রমাগত বাংলাদেশবিরোধী মনোভাবকে উসকে দিচ্ছে।’ 

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে এ অভিযোগ করেন তারেক রহমান।  

তিনি বলেন, ‘আগরতলায় বাংলাদেশি কনস্যুলেটে সর্বশেষ হামলাটি বিভ্রান্তির অস্থিতিশীল প্রভাবকে তুলে ধরে, যা শুধুমাত্র প্রতিবেশীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে।’ 

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডারদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, প্রায় ২০ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ কোনো দেশের স্বার্থে নয়। হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কারণ কী, তিনি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে কী ঘটছে এবং কেন কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা অপরিহার্য তা বস্তুনিষ্ঠভাবে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।’ 

শফিকুল/সালমান/

হাইকমিশনে হামলা ভিয়েনা কনভেনশনের বরখেলাপ: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ পিএম
হাইকমিশনে হামলা ভিয়েনা কনভেনশনের বরখেলাপ: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ভারতের উত্তর আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ভিয়েনা কনভেনশনের বরখেলাপ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  

এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’ নামের সংগঠনের সদস্যরা সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে যে আক্রমণ করেছে তা পূর্বপরিকল্পিত। সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে তাতে আগুন দেওয়া এবং ভাঙচুর করা ভিয়েনা কনভেনশনের সুস্পষ্ট বরখেলাপ।” 

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১টার দিকে দলটির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। 

ভারত সরকার ও ভারতীয় জনগণের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আপনাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কৌশল হিসেবে বাংলাদেশে ঘৃণার ব্যবহার- উভয় দেশের সম্পর্কে দীর্ঘস্থায়ী টানাপোড়েন সৃষ্টি করবে।’  

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমরা আশা করব, নতুন বাংলাদেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি ভারতীয়রা শ্রদ্ধাশীল হবেন এবং বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসনকালের যেসব নেতা ভারতে অবস্থান করছেন তাদের ফিরিয়ে দিয়ে বিচারে সহায়তা করবেন।’ 

শফিকুল/সালমান/