ঢাকা ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধীর নেতারা গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে বিশ্বাসী নয়: মেজর হাফিজ

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
বৈষম্যবিরোধীর নেতারা গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে বিশ্বাসী নয়: মেজর হাফিজ
ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম)। ছবি: খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে বিশ্বাসী নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম)।

তিনি বলেন, ‘তারা হয়তো ভাবে, দুই-একটা মিছিল করলে দেশ ঠিক হয়ে যাবে, এগুলো এদের গুরুরা হয়তো শেখায়।’

সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘৭ নভেম্বরের আকাঙ্ক্ষা ও আজকের রাজনীতির প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। 

‘শুধু নির্বাচনের জন্য দুই হাজার মানুষ জীবন দেয়নি’, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সমন্বয়ক সারজিস আলমের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মেজর হাফিজ বলেন, ‘‘ভোট কি এতো সোজা? ভোট তো গণতন্ত্রের প্রতীক। ভোটের জন্যই তো ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। ২৪ লড়াই তো হয়েছে বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রধান উপাদান। আর এরা বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি’। তাহলে কী, কিসের জন্য যুদ্ধ, এতো আত্মত্যাগ? ভোট কি এতোই হেলাফেলার বস্তু? অর্থাৎ এরা (বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন) গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে বিশ্বাসী নয়।’
 
অন্তবর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের প্রধান কাজ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। আমরা দেখতে পাচ্ছি ‘যে লঙ্কায় যায় সেই রাবণ হয়’। তারা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকতে চায়। ইতোমধ্যেই সরকারের উপদেষ্টা পদে আওয়ামী ঘরাণার বিভিন্ন লোক ঢুকে গেছে। ছাত্ররা আমাদের সন্তান সমতুল্য, তাদের কর্মকাণ্ড দেখলে মনে হয়, দেশটা তারাই স্বাধীন করেছে, আর কেউ জীবন দেয়নি। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর হাজার নেতা-কর্মী জীবন দিলো তাদের হিসাব নিকাশ কে করবে?’

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সংস্কার করে নির্বাচন দেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দেশ সংস্কার করবে।

মেজর হাফিজ বলেন, ‘ইউনূস সরকারকে সমর্থন করি, ভবিষ্যতেও করব। কিন্তু আপনারা আজীবন ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবেন না। ১০ বা ২০ বছর ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবেন না। যারা আওয়ামী লীগের কুশীলব ছিল, ১৬ বছর ধরে হালুয়া-রুটি খেয়েছে, সুবিধা নিয়েছে, এরা এখনো বহালতবিয়তে আছে, এদেরকে সরাতে হবে। এটি শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নয়, রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বও বটে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৬ বছর আওয়ামী লীগের ছিল ভয়াবহ দুঃশাসন। এই দলের নেতাদের কাজ ছিল শেখ মুজিব ও তার পরিবারের গুণগান গাওয়া, অর্থ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা।’

নতুন তিনজন উপদেষ্টা নিয়োগে প্রশ্ন তুলে সরকারের উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আপনারা কার পরামর্শে তাদের উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়েছেন? আওয়ামী লীগের লালিত-পালিতদের উপদেষ্টা পরিষদে নিয়োগ দিয়ে আপনারা স্বাধীনতার মূল চেতনায় আঘাত করছেন।’ চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সারওয়ার ফারুকী এবং বশির আহম্মেদকে আওয়ামী আমলের সুবিধাভোগী বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/

অবশেষে ন্যায়বিচার বিজয়ী হয়েছে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২০ পিএম
অবশেষে ন্যায়বিচার বিজয়ী হয়েছে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

অবশেষে ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতা বিজয়ী হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

তিনি বলেন, ‘সত্যের সৌন্দর্য হলো অপপ্রচার এবং ষড়যন্ত্রের ওপর তা অনিবার্যভাবে জয়লাভ করে।’ 

রবিবার (১ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পোস্টে লেখেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ- সেই গণতন্ত্র যা বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাস, আস্থা ও আদর্শকে ধারণ করবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশিরা তাদের নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারবেন। এই যাত্রায় আমরা আইনের শাসন, মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। প্রতিজন নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত রাখতে চাই।’

তিনি আরও লেখেন, ‘গড়তে চাই অংশগ্রহণমূলক, সহনশীল এবং আইনের ওপর ভিত্তি করে একটি সমাজ। আসুন আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অবসান ঘটাতে ঐক্যবদ্ধ হই এবং ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করি, যেখানে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে কারও জীবন ও কোনো পরিবার ধ্বংস হবে না।’

নতুন বাংলাদেশে একটি সুন্দর সমাজ গড়তে চায় বিএনপি: আমিনুল হক

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩ পিএম
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
নতুন বাংলাদেশে একটি সুন্দর সমাজ গড়তে চায় বিএনপি: আমিনুল হক
পল্লবী বিদ্যানিকেতনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক। ছবি: খবরের কাগজ

নতুন বাংলাদেশে একটি সুন্দর সমাজ গড়তে চায় বিএনপি’ বলে মন্তব্য করেছেন দলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। 

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছরের গণআন্দোলন ও গত জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে, দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে, আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই নতুন বাংলাদেশে একটি সুন্দর সমাজ গড়তে চায় বিএনপি।’

রবিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মিরপুর ১১নং সেকশনে পল্লবী বিদ্যানিকেতনের ক্লাস পার্টি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিনুল হক এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সুন্দর সুস্থ জাতি তৈরি করতে চাই, সেই সুস্থ জাতি গড়ে তোলার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা। এই সাংস্কৃতিক চর্চা ও খেলাধুলার মাধ্যমে মানসিক ও শারীরিকভাবে আমরা একটা সুস্থ জাতি তৈরি করতে পারি।’ 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পল্লবী বিদ্যানিকেতনের পরিচালক আলমিরা পারভীন রুনি, প্রধান শিক্ষক মো. আলতাফ হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব আলম মন্টু, পল্লবী থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ আলী গাজীসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

নাবিল/এমএ/

সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত রুখে দাঁড়ান: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৯ পিএম
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ পিএম
সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত রুখে দাঁড়ান: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত

দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থরাষ্ট্র প্রমাণ করার ষড়যন্ত্র করছে। এজন্য ভারত ও শেখ হাসিনাকে দায়ী করে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বিক্ষোভ করে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল।

রবিবার (১ ডিসেম্বর) সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাব সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। 

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের সভাপতিত্বে ও ঢাকা অঞ্চল সংগঠক কাইয়ুম হোসেনের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের ঢাকা অঞ্চল সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ রায় ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সংগঠক রফিক আহমেদ। 

সমাবেশে ফয়জুল হাকিম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার উচ্ছেদের ঘটনা ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী নরেন্দ্র মোদি সরকার, ভারতের শাসক শ্রেণির অপরাপর দল কংগ্রেস মেনে নেয়নি। এমনকি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি নামে পরিচিত দলগুলোও মেনে নেয়নি।

তিনি বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় পেয়েছে। বিশ্বের কোনো দেশই এই বর্বর খুনিকে আশ্রয় না দিলেও ভারত সরকার তাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং বাংলাদেশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সৃষ্ট জনগণের ঐক্য ও জাতীয় প্রতিরোধের চেতনাকে ধ্বংস করতে মদদ জুগিয়ে যাচ্ছে। ভারত এখন পরিণত হয়েছে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের আশ্রয়স্থলে। 

তিনি বলেন, সাম্রাজ্যবাদী ভারতের তৎপরতা দেখে মনে হয় ৫ আগস্টের পূর্বে বাংলাদেশে কোনো ধর্মীয় সংখ্যালঘু ছিল না। প্রকৃত অর্থে জুলাই অভ্যুত্থানে ভারত শেখ হাসিনা সরকারের পতন মেনে নেয়নি। বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী ভারত তার একটি আশ্রিত রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। ভারত সরকার বর্তমানে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা আন্তর্জাতিকভাবে নিয়ে গিয়ে বিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই চক্রান্ত মোকাবেলা করতে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার দাবি জানাই।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে ভারতের মোদি সরকার, ভারতের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সমন্বিতভাবে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তারা অব্যাহতভাবে বলে চলছে বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ব্যাপক হামলা নির্যাতন ঘটে চলেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিকৃত, মিথ্যা ও গুজব ছড়িয়ে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টির লক্ষ্যে এই অপপ্রচার ও উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে। এই উস্কানির অংশ হিসেবে গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে আদালত প্রাঙ্গণে 'জয় শ্রী রাম' শ্লোগান তুলে উগ্র হিন্দুবাদী দুর্বৃত্তদের হাতে নৃসংসভাবে খুন হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলীফ। চট্টগ্রামের জনগণ ও গণতান্ত্রিক সংগঠন সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টির এই ফাঁদে পা দেননি। 

সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, গণগ্রেপ্তার করে নিরপরাধীদের হয়রানি করা যাবে না।

সৌরভ রায় বলেন, এক শ্রেণির মতলববাজ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা সাধারণ হিন্দুদের বিভ্রান্ত করে চলছে। তিনি বলেন, 'জয় শ্রীরাম' বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্লোগান না। এই শ্লোগান ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিজেপির শ্লোগান। এই শ্লোগান ভারত থেকে আমদানি করে সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে হবে।

রফিক আহমেদ হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা বাংলাদেশের সমগ্র জনগণের অংশ। সাম্রাজ্যবাদী ভারত ও পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার চক্রান্তের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করবেন না। পাকিস্তান আমলে পূর্ব বাংলার জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করতে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী বাঙালিদের সঙ্গে উর্দুভাষী বিহারীদের সংঘাত লাগিয়ে ফায়দা লুটতো। এখন সাম্রাজ্যবাদী ভারত একইভাবে চক্রান্ত চালাচ্ছে। জনগণের ঐক্য বিনষ্ট করার সকল চক্রান্ত আমাদের চূর্ণ করতে হবে।

মাহফুজ/এমএ/

আমরা চাই নারী-পুরুষ সমানভাবে কাজ করবে: জামায়াত আমির

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ পিএম
আমরা চাই নারী-পুরুষ সমানভাবে কাজ করবে: জামায়াত আমির
খুলনায় কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি : খবরের কাগজ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে পুরুষরা চাকরিসহ উন্মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারে, আর সেখানে আমার মা-বোন এবং মেয়েরাও যেন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।’ 

রবিবার (১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নড়াইল শহরতলির মালিবাগে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নড়াইল জেলা জামায়াতে ইসলামী এই পথসভার আয়োজন করে। 

শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। প্রত্যেক মানুষ সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে কেউ বেকার থাকবে না।’

পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চু, সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ কায়সার, জেলা নায়েবে আমির জাকির হোসেন মাস্টারসহ অন্যরা।

এদিকে খুলনা প্রতিনিধি জানান, জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশে অভূতপূর্ব সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে। কিন্তু বিগত ১৫ বছরে একটি দল দেশকে এলোমেলো করে দিয়েছিল। এখন জাতীয় ইস্যুগুলোতে জনগণের ইস্পাত কঠিন ঐক্য প্রয়োজন।’

রবিবার সকাল ১০টায় খুলনার খানজাহান আলী থানা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে স্থানীয় ইস্টার্ন জুট মিলস শ্রমিক ময়দানে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিবেশী প্রভু নয়, প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র চাই। কোনো আগ্রাসী হাত আমরা দেখতে চাই না।’

খানজাহান আলী থানা জামায়াতের সেক্রেটারি গাজী মোর্শেদ মামুনের পরিচালনায় সম্মেলনে বক্তৃতা করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদসহ অন্যরা।

অন্যদিকে ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি বলেই গত ১৫ বছরে চরম নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করে, শত শত নেতা-কর্মীকে হারিয়েও মাটি আঁকড়ে পড়ে ছিলাম। আর আওয়ামী লীগ দেশকে ভালোবাসে না বলেই তারা পালিয়ে গেছে।’

রবিবার বেলা ৩টার দিকে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুহাম্মদ বদরুদ্দীনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ, জামায়াতের শুরা সদস্য অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াব, জেলা নায়েবে আমির ইমতিয়াজ আহমেদসহ অন্যরা।

 

শহিদ আশরাফুল্লাহর পরিবারের পাশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ পিএম
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৫ পিএম
শহিদ আশরাফুল্লাহর পরিবারের পাশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল
শহিদ আহনাফ আবির আশরাফুল্লাহর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের। ইনসেটে আহনাফ। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহিদ আহনাফ আবির আশরাফুল্লাহর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। এ এসময় তারেক রহমানের নির্দেশে যেকোনো প্রয়োজনে শহিদ পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

রবিবার (১ ডিসেম্বর) আশুলিয়ায় আশরাফুল্লাহর পরিবারের কাছে উপস্থিত হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতারা। শহিদ পরিবারের সার্বিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন তারা।

আহনাফ আবির আশরাফুল্লাহ মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইইই ডিপার্টমেন্টের মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় আশুলিয়ার বাইপেল এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন। পরিবারে তিন ভাই এবং এক বোন রয়েছে শহিদ আহনাফের। পিতা হারুন অর রশিদ ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ। মা আছিয়া খাতুনও অসুস্থ অবস্থায় টাঙ্গাইলে অবস্থান করছেন।

পরিবারের পক্ষ থেকে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিচার দাবি করা হয়। নেতারা শহিদ আহনাফ আবির আশরাফুল্লাহর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তারেক রহমানের নির্দেশে শহিদ পরিবারের প্রতি সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. আবু হোরায়রা, সাধারণ সম্পাদক এম রাজীবুল ইসলাম তালুকদার বিন্দু, সিনিয়র সহসভাপতি মো. রিসালাত ইসলাম সজীব, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নুর হোসেন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহিরুল হক সাইমুন। 

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ