ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

আ.লীগকে ভোটের মাধ্যমে বাতিল করতে হবে: আমীর খসরু

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম
আ.লীগকে ভোটের মাধ্যমে বাতিল করতে হবে: আমীর খসরু
জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগকে ক্যানসেল (বাতিল) করতে হলে জনগণের ভোটের মাধ্যমে করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। 

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

এ সভার আয়োজন করে ভয়েস অব ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ভোটার রাইটস।

সভায় আমীর খসরু বলেন, ‘আপনি যদি আওয়ামী লীগকে ক্যানসেল করে দিতে চান অন্য কোনোভাবে এগুলো টিকে থাকে না। ফ্যাসিস্টকে ক্যানসেল করবেন ভোটের মাধ্যমে চরমভাবে পরাজিত করে। অন্য কোনোভাবে ক্যানসেল করলে কোনো সুফল বয়ে আনবে না।’ 

তিনি বলেন, ‘বিএনপির জন্য সংস্কার নতুন কিছু নয়। খালেদা জিয়া ২০১৬ সালে ভিশন ২০৩০ সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল। তারেক রহমানও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব দলের মতামতের ভিত্তিতে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন। শুধু সবাইকে নিয়ে নয়, বাস্তবায়নের জন্য ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে থাকা সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটা জাতীয় সরকার গঠন করা হবে।’ 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে। জনগণের আস্থা নিয়ে সংস্কার করবে হবে। সেটা একমাত্র সম্ভব নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে। অনির্বাচিত কোনো সরকার তাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা ও দর্শনের সেভাবে সংস্কার করতে পারে না। যেসব সংস্কারে ঐকমত্য আছে, সেগুলো বাস্তবায়নে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’

আমীর খসরু বলেন, ‘জনগণকে বাইরে রেখে যে বয়ান তৈরি করা হচ্ছে তা জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবের একটা বয়ান ছিল, স্বৈরাচারের একটা ছিল এবং ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার একটা বয়ান ছিল। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বলেছিল- উন্নয়নের উপরে গণতন্ত্র। কিন্তু উন্নয়নের সঙ্গে গণতন্ত্র হাতে হাত মিলিয়ে চলতে হয়। গণতন্ত্র বাদ দিয়ে উন্নয়ন করলে হবে লুটপাট ও বিদেশে টাকা পাচারের উন্নয়ন। গণতন্ত্র বাদ দিয়ে উন্নয়ন করলে হবে পকেটের উন্নয়ন। একমাত্র বয়ান হবে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া। এর বাইরে নতুন বয়ান শুনতে চাই না।’

তিনি বলেন, ‘৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়ন করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ১৬ বছরে জ্বলে-পুড়ে বিএনপি খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। ত্যাগ-জুলুমের মধ্যে দিয়ে নতুন বিএনপিতে পরিণত হয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা ত্যাগ করতে শিখেছে, রক্ত দিতে শিখেছে ও জীবন দিতে শিখেছে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার লড়াই থেমে থাকবে না।’ 

আমীর খসরু বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা ব্যর্থ হতে দেব না। আমরা সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি এবং যাব। সবাই মিলে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছি। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করতে হবে। হাসিনা পালানোর পর দেশের মানুষের মনোজগতের পরিবর্তন হয়েছে। যে দল ও ব্যক্তি বুঝতে পারবে না, তাদের রাজনীতি বেশিদূর এগোতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি শুধু বিপ্লব নয়, বিএনপি সংহতি। বিএনপি জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদের কথা বলছে। আমরা জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে যেটা প্রতিষ্ঠিত করব সেটাই থাকবে। তাই আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। স্বাধীন মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। দেশকে সঠিক ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে হবে।’

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক সহকারী অধ্যাপক ড. এম মুজিবুর রহমান।

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমতুল্লাহ। 

শফিকুল/পপি/

ছাত্রদল নেত্রীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ পিএম
ছাত্রদল নেত্রীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের এক কর্মীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে শাথা ছাত্রশিবির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। ক্যাম্পাসের বাইরে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একটি মানববন্ধন পালন করতে গেলে ওই কর্মীকে হামলা ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ১০ ডিসেম্বর মুগদা থানায় ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সায়মা বিনতে কবির। 

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ১০ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সায়মা বিনতে কবিরসহ তার সহপাঠীরা মানববন্ধন করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. মুজাহিদ, সাধারণ সম্পাদক সাদাফ হোসেন জিহাদ, সদস্য আলী রেজা ও মিরাজুল ইসলাম মিরাজ বাধা দেয়। মানববন্ধন পণ্ড করতে অশালীন অঙ্গভঙ্গি ও বিদ্রূপ করতে থাকে অভিযুক্ত ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। তাদের হুমকির মুখে মানববন্ধন কর্মসূচি সংক্ষিপ্তভাবে শেষ করতে বাধ্য হন আয়োজকরা। পরবর্তী সময়ে দুপুর ২টার দিকে গ্রীন ক্যাফে রেস্টুরেন্টের সামনে যাওয়ার সময় ওই অভিযুক্তরা সায়মা বিনতে কবির ও তার সহপাঠীদের উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য করে। সায়মা প্রতিবাদ জানালে তারা মানববন্ধনের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে অভিযুক্তরা তাকে ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যার হুমকি দেয় বলে সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সায়মা বিনতে কবির জানান, এই হুমকির পর তিনি অত্যন্ত ভয়ের মধ্যে আছেন এবং জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ভবিষ্যতের নিরাপত্তের জন্য সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। তিনি বলেন, বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে মানববন্ধনের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা সত্যিই দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়। এটি মানবাধিকার চর্চার মৌলিক অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলার নামান্তর।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ/মেহেদী

নতুন বাংলাদেশে সমঅধিকার থাকবে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ পিএম
নতুন বাংলাদেশে সমঅধিকার থাকবে: তারেক রহমান
বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

নতুন বাংলাদেশে প্রত্যেক নাগরিকের সমান ন্যায্যতা ও একটি ফেয়ার শেয়ার (সমঅধিকার) নিশ্চিত করবে বিএনপি। এ মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘নতুন আইন প্রণয়ন, বিদ্যমান আইনের সঠিক বাস্তবায়ন, বরাদ্দ করা অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি কিংবা সেই অর্থের সুষ্ঠু বণ্টন- যেভাবেই হোক, আমরা চেষ্টা করব আপনাদের (প্রতিবন্ধী) অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করতে।’ প্রতিবন্ধীরা একা নয়, তাদের নিয়েই আগামীর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি-আরডিইসি ভবন মিলনায়তনে প্রতিবন্ধী নাগরিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিবন্ধী নাগরিক সংগঠনের পরিষদের (পিএনএসপি) সাধারণ সম্পাদক প্রতিবন্ধী সালমা মাহবুব ও প্রতিবন্ধী ইফতেখার মাহবুবের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় সারা দেশ থেকে আসা দেড় শতাধিক প্রতিবন্ধী নাগরিক অংশ নেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘১৬ বছর ধরে আমাদের প্রাপ্য নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতা একে একে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সমাজের প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষ রাষ্ট্রীয় সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আপনারাও তার ব্যতিক্রম নন। ফলে আপনাদের জীবনের মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি, যা ব্যক্তিগতভাবে আমিও অনুভব করেছি।’

মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রতিবন্ধী নাগরিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে নয়, ভাই হিসেবে কথা বলছি। আপনারা আমাদের পরিবার, সমাজ ও দেশের অংশ। আপনাদের সাহস, সংকল্প ও শক্তি আমাদের জন্য প্রেরণার উৎস। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে, আমাদের সমাজ ও অর্থনীতিকে সচল রাখার ক্ষেত্রে আপনাদের অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রকৃত সক্ষমতা মেধা দিয়ে প্রমাণ হয়। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে প্রতিশ্রুতি দিতে চাই, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে সামনের বাংলাদেশে কোনো বৈষম্য হবে না। একটি সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।’

পটুয়াখালী ও মৌলভীবাজারের চারজন প্রতিবন্ধীর জীবনের সাফল্য ও সংগ্রামের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, “প্রকৃত সক্ষমতা শরীর দিয়ে নয়, মনের জোর, ইচ্ছাশক্তি আর কঠোর পরিশ্রম দিয়ে মাপা হয়। তারা আমাদের শিখিয়েছেন, ‘বাধা’ শুধু একটি শব্দ, যা চেষ্টার মাধ্যমে জয় করা সম্ভব।”

একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় ক্ষমতায় গেলে প্রতিষ্ঠার কথা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবন্ধীদের ভাতা প্রদান শুরু করলেও আওয়ামী লীগ সেই ভাতাকে নিজেদের নেতা-কর্মীদের মাঝে লুটে নিয়েছেন। প্রতিবন্ধী ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে একটা ন্যায্য টাকা দিতে চাই। নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে সহজ ও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে আমরা সমাজকল্যাণ, স্বাস্থ্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করব, যাতে একজন প্রতিবন্ধীও সামাজিক সুবিধা থেকে বাদ না পড়েন।’

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ/এমএ/

 

 

একাত্তরের মতো জুলাই বিপ্লব হাইজ্যাক করতে দেওয়া হবে না: গাজী আতাউর রহমান

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৪ পিএম
একাত্তরের মতো জুলাই বিপ্লব হাইজ্যাক করতে দেওয়া হবে না: গাজী আতাউর রহমান
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের ফসল এবার ’৭১ এর মতো হাইজ্যাক করতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের ফেনী সমিতি মিলনায়তনে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধিদের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, 'বারবার এদেশের বিপ্লব-অভ্যুত্থানের ফসল হাইজ্যাক করা হয়েছে।' এবার তা হতে দেওয়া হবে না। ছাত্র-যুবকরা সজাগ থাকলে বাংলাদেশ আর পথ হারাবে না। 

জুলাই বিপ্লবকে অর্থবহ করতে দেশের সর্বস্তরে বৈষম্যহীন আদর্শ বাস্তবায়নে যুবকদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে গাজী আতাউর রহমান বলেন, হাজারো শহিদের রক্তের বিনিময়ে যে ফ্যাসিবাদ উৎখাত করা হয়েছে  ফের যেন কোনো ফ্যাসিবাদী অপশক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে এখনো বৈষম্য লুকিয়ে আছে। একজন নাগরিকের ছয়টি মৌলিক অধিকার, খাদ্য, বাসস্থান, পোশাক, শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিরাপত্তাসহ ধর্মীয় অধিকার বাস্তবায়নের জন্য আমাদেরকে আরও লড়াই করতে হবে।  

এ সময় বৈষম্যহীন দেশ গড়ার লক্ষ্যে ‘ঐক্যবদ্ধ ও পরিশুদ্ধ সমাজ গড়ি, বৈষম্যহীন ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের আগামী ১৭ই জানুয়ারি জাতীয় যুব কনভেনশন সফল করার আহ্বান জানান গাজী আতাউর রহমান।  

সভায় ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও  সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমাদ সাকীর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলনের সহ-প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কবির, ইসলামী যুব আন্দোলনের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রকৌশলী মুহাম্মাদ মারুফ শেখ, এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী জেনারেল মুফতী রহমাতুল্লাহ বিন হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইলিয়াস হাসান প্রমুখ। 

শফিকুল ইসলাম/মেহেদ/এমএ/

আমাদের বিজয় বারবার ছিনতাই হয়ে যায়: প্রিন্স

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম
আমাদের বিজয় বারবার ছিনতাই হয়ে যায়: প্রিন্স
রাজধানীর রায়েরবাজারে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতারা। ছবি: খবরের কাগজ

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান, সবশেষে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে দেশের আপামর জনসাধারণের বিজয়কে অপশক্তি বারবার ছিনতাই করে নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর রায়েরবাজারে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা বিজয়ী হই। কিন্তু আমাদের বিজয় ছিনতাই হয়ে যায়। এর কারণ হলো আমরা ব্যবস্থা বদল করতে পারি না। এবার আমাদের অঙ্গীকার হলো ব্যবস্থা বদল না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না। যতক্ষণ পর্যন্ত নীতিনিষ্ঠ রাজনৈতিক শক্তি বাংলাদেশকে পরিবর্তনের কাজ শুরু না করবে, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা কাজ করব।’

প্রিন্স বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পরে এখনও অনেক অপশক্তি ঘাঁপটি মেরে আছে। তিনটি অপশক্তি সক্রিয় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একটি অপশক্তি হল আওয়ামী লীগ, তারা আবার ফিরে আসতে চাইবে। দীর্ঘ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় স্বাধীনতাবিরোধী চক্র মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছে। আরেকটি হলো পাশের আধিপত্যবাদী-সাম্রাজ্যবাদী শক্তি, যারা আমাদের ওপর ভূ-রাজনৈতিকভাবে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে আমরা যেন এগোতে না পারি। এই তিন অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াতে হবে।’ 

গণতন্ত্রহীনতা ও স্বৈরাচারী ক্ষমতা রক্ষার জন্য বিগত দিনের শাসকরা মুক্তিযুদ্ধকে অপব্যবহার করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত তথ্য এবং দেশ-বিদেশের শত্রু মিত্রদের অবস্থান দেশবাসীর সামনে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা জরুরি কর্তব্য হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রিন্স।

গত ৫ আগস্টের পরে রাজধানীসহ দেশের নানা স্থানে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও স্থাপনা ভাঙচুর ও মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলার অভিযোগে প্রিন্স বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পরপর কোনো কোনো বিশেষ গোষ্ঠী মুক্তিযুদ্ধের ওপর আক্রমণ শুরু করল। অনেক মুক্তিযুদ্ধের স্থাপনা তারা ধ্বংস করেছে। আমার লক্ষ্য করছি, চার মাস হলো সে ধরনের স্থাপনা এখরো পুনরায় নির্মাণ করেনি। আমি আশা করব, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ ও পুনর্নির্মাণের ঘোষণা দেবে।’

শনিবার সকালে সিপিবির শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন সিপিবির কন্ট্রোল কমিশনের চেয়ারম্যান মাহবুব আলম, প্রেসিডিয়াম সদস্য অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, কোষাধ্যক্ষ ফজলুর রহমান, সম্পাদক কাজী রুহুল আমীন, লূনা নুর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহসান হাবিব লাভলু, মানবেন্দ্র দেব, লাকী আক্তার, জাহিদ হোসেন খান, সাদেকুর রহমান শামীম, ঢাকা উত্তরের নেতা মোতালেব হোসেন, ঢাকা দক্ষিণের নেতা সাইফুল ইসলাম সমীর, আখতার হোসেন। 

এছাড়া সিপিবির আরেকটি দল ঢাকা উত্তরের সভাপতি ডা. সাজেদুল হক রুবেলের নেতৃত্বে সকাল ৯টায় মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানায়।

জয়ন্ত সাহা/মাহফুজ/এমএ/

ছাত্র-জনতার শক্তির সঙ্গে জোট করতে চায় এবি পার্টি: মঞ্জু

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম
ছাত্র-জনতার শক্তির সঙ্গে জোট করতে চায় এবি পার্টি: মঞ্জু
ছবি: খবরের কাগজ

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছাত্র-জনতার শক্তির সঙ্গে জোট করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে এবি পার্টি। ইতোমধ্যে দেশের অন্তত ৪০টি জেলা এবং ২০০ উপজেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নীলফামারী প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন। পরে নীলফামারী সদরের কচুকাটা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

তিনি বলেন, আলাদাভাবে নির্বাচন করলে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিবে এবি পার্টি। সেরকম প্রস্তুতিও রয়েছে আমাদের। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করছে দেশে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চেতনা নিয়েই আগামীতে রাজনীতি করতে এমনকি দেশের মানুষের সেবা করতে চায় এবি পার্টি।

জনসভায় বক্তব্য দেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সহকারী সদস্য সচিব আবু হেলাল, জেলা এবি পার্টির আহ্বায়ক মাওলানা লিয়াকত আলী ও সদস্যসচিব আলতাফ হোসেন। 

এ সময় আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, এবি পার্টি রাষ্ট্র মেরামত করে জনগণের অধিকার সুনিশ্চিত করতে রাজনীতিতে এসেছে। দেশের সকল শ্রেণির মানুষ এবি পার্টির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে পারবেন।

সুমন/মেহেদী/এমএ/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });