
আগামী ৩০ নভেম্বর জাতীয় সম্মেলনের সঙ্গে মূল গণফোরামের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি মোকাব্বির খান।
গত ৬ নভেম্বর গণফোরামের সভাপতি মফিজুল ইসলাম খান কামালের সভাপতিত্বে এক সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দলের দপ্তর সম্পাদক ড. নীলিমা পারভীন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, অসুস্থতা ও বার্ধক্যের কারণে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন নিজেই ২০২৩ সালের কাউন্সিল অধিবেশনে গণফোরামের রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। এর আগে, কতিপয় নেতা ড. কামাল হোসেনকে বহিষ্কার করে গণফোরামের খণ্ডিত অংশে অবস্থান নেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাদের স্বীকৃতি না দিলে তারা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। রিট শুনানিতে তারা ব্যর্থ হয়ে আবার নিম্ন আদালতে মামলা করেন। রাষ্ট্রের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ক্ষমতাসীনরা তাদের স্বার্থের অনুকূলে সংবিধানকে কাঁটা-ছেঁড়া করে সংবিধানের মূল আদর্শ ও লক্ষ্য থেকে জাতিকে পথভ্রষ্ট করে এবং নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে একটি লুটপাটের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে।
এতে বলা হয়, ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে হাজার শহিদের আকাঙ্ক্ষা একটি বৈষম্যবিরোধী, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় গণফোরাম অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করছি, মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের মূলনীতিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পালন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণতন্ত্র ও নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে নয়, রাষ্ট্রের সম্পদ লুণ্ঠন করে নয়, ওপর থেকে নিচে নিয়ন্ত্রিত সিন্ডিকেট বা রাষ্ট্রক্ষমতার লোভ গণফোরামের নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগামী ৩০ নভেম্বর তথাকথিত সম্মেলনের সঙ্গে মূল গণফোরামের কোনো সম্পর্ক নেই। মূলধারায় বিশ্বাসী গণফোরাম অতিসত্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে দেশবাসীকে জানাবে।
এদিকে, গণফোরামের প্রচার প্রকাশনা ও মিডিয়া উপ-কমিটির সদস্যসচিব মোহাম্মদ উল্লাহ মধু বলেন, ‘ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরাম ঐক্যবদ্ধ আছে। যারা ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের গণফোরামে ফেরার কোনো সুযোগ নেই। আমরা নির্দিষ্ট সময়ে সম্মেলন করব।’
উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর মুহাম্মদ উল্লাহ মধু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৩০ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গণফোরাম। গণফোরামের নবগঠিত সমন্বয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সভাপতিত্বে সভায় কো-চেয়ারম্যান এসএম আলতাফ হোসেন ও অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সদস্যসচিব মিজানুর রহমান, সদস্য একেএম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের, আব্দুল হাসিব চৌধুরী, মোশতাক আহমেদ, সুরাইয়া বেগম ও শাহ নুরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
শফিকুল/সালমান/