ঢাকা ১২ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

নির্বাচনি আবহ তৈরি হলেই ফিরবেন তারেক রহমান

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ এএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ পিএম
নির্বাচনি আবহ তৈরি হলেই ফিরবেন তারেক রহমান
খবরের কাগজ ইনফোগ্রাফ

বহুল আলোচিত ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলাসহ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা মোট ৪০টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। তবে আরও ৪২টি মামলায় তার জামিন পাওয়া এখনো বাকি রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন, সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য মিলছে না। তবে তার ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, দেশে নির্বাচনি আবহ তৈরি হলেই তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন। ওই সময় দলের নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশ নেবেন তিনি।

তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর নিষ্পত্তি হলেই তিনি দেশে আসবেন। এ জন্য মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আইনি পদক্ষেপ নিয়ে এগোচ্ছেন তার আইনজীবীরা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস খবরের কাগজকে বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমান খালাস পেয়েছেন। তার দেশে আসতে আর কোনো বাধা নেই। উনি (তারেক রহমান) সময়মতোই দেশে চলে আসবেন। দেশবাসী তার ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন।’

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বেগম সেলিমা রহমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘তারেক রহমান আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সে জন্য তার বিরুদ্ধে যতগুলো মামলা রয়েছে সেগুলো আইনিভাবেই মোকাবিলা করতে চাইছেন। আইনিভাবেই তিনি মুক্ত হতে চান। তবে কবে দেশে ফিরবেন, সে বিষয়ে আগাম কিছুই বলা যাবে না।’

বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, আইনি সব বাধা কাটিয়ে দেশে ফিরতে মামলার বিষয়ে দ্রুতই আপিল করা হবে। কারণ একের পর পর এক মামলায় অব্যাহতি পাওয়ায় দৃশ্যত তারেকের দেশে ফেরার সময় এগিয়ে আসছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন লন্ডনে রয়েছেন। সেখানে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। তারপর তারেকের দেশে ফেরার দিনক্ষণ জানা যেতে পারে।

বিএনপির শীর্ষ আইনজীবীদের দেওয়া তথ্যমতে, গত ১৭ বছরে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা, দুর্নীতি, মানহানি, রাষ্ট্রদ্রোহসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৮২টি মামলা হয়েছে। তবে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ৪০টি মামলায় খালাস কিংবা অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি। কিছু মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। সর্বশেষ গতকাল সোমবার গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় তারেক রহমানসহ ৬০ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এর আগের দিন রবিবার ২১ আগস্ট মামলায় হাইকোর্টের রায়ে খালাস পেয়েছেন তিনি। এখনো তার বিরুদ্ধে ৪২টি মামলা বহাল রয়েছে। এসব রাজনৈতিক মামলা দ্রুতই নিষ্পত্তির জন্য ইতোমধ্যে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিছু মামলার শুনানিও চলছে। আগামী তিন-চার মাসের মধ্যেই তিনি মুক্ত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বিএনপির শীর্ষ আইনজীবীরা জানান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এখনো চারটি মামলায় সাজা পরোয়ানা রয়েছে। সেগুলো হলো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় ৯ বছর, বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের মামলায় ৭ বছর এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মানহানির একটি মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড রয়েছে। প্রতিটি মামলাতেই তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলা নিষ্পত্তি করতে চাইলে তাকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে হবে।

এ ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার বিষয়টি উল্লেখ করে তারা বলেন, এ ধারায় সরকারের নির্বাহী আদেশে আপিল কিংবা অন্য শর্তে সাজা মওকুফের বিধান রয়েছে। আপাতত এই আইনি প্রক্রিয়াটি তাদের চিন্তাভাবনায় রয়েছে। যেসব মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, সেগুলোতে আপিল করে আইনি মোকাবিলা করবেন। 

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল খবরের কাগজকে বলেন, ‘তারেক রহমানের বাকি মামলাগুলো আইনি মোকাবিলার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এখনো ৪২টি মামলা নিষ্পত্তির বাকি রয়েছে। যথাসময়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বীরের বেশে দেশে ফিরে আসবেন।’

তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত চার মামলায় আপিলের জন্য কোনো আবেদন জমা দেননি বলে জানিয়েছেন আরেক আইনজীবী বিএনপির সহ-আইন সম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। তিনি বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খালাস পেয়েছেন। এই চারটি রাজনৈতিক মামলা সেই তুলনায় হালকা। তিনি নিয়ম অনুযায়ী মামলার আইনি মোকাবিলা করবেন। ৪০১ ধারায় যেকোনো জায়গা থেকেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। সেই বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি তিনি দেশে ফিরে আসবেন।’

দলীয় সূত্রমতে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার পালাবদলের পর রাজনীতিতে বিএনপির জোয়ার বইছে। তারেক রহমানের জোয়ার বইছে। তবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কবে দেশে ফিরবেন সেই সিদ্ধান্ত একমাত্র তিনিই নেবেন। আবার তারেক রহমান যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারেন। তাই সুনির্দিষ্ট কোনো মাস বা দিনক্ষণ বলা খুবই মুশকিল। 

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দলের শীর্ষ নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিনটি স্মরণীয় করে রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন কেন্দ্র থেকে তৃণমূল ও মাঠপর্যায়ের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও সমর্থক। আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে দেশে আসতে পারেন- এমনটা ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। দেশে ফেরা উপলক্ষে রাজধানীতে শোডাউন ও মহাসমাবেশ করার আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন তারেক রহমান। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বাসভবন পর্যন্ত লাখো নেতা-কর্মী ও সমর্থক স্বাগত জানাবেন। সারা দেশ থেকে আসা লাখো জনতার ঢল নামবে ঢাকা মহানগরে। 

জানা যায়, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে ফেরার পথ উন্মুক্ত থাকলেও ফেরেননি দলের এ কাণ্ডারী। এরই মধ্যে মুক্ত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও একের পর এক রাজনৈতিক মামলা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফিরছেন না তারেক রহমান

নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, চলতি মাসের মাঝামাঝি বিদেশ যেতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ১২ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে তার লন্ডনে যাওয়ার কথা রয়েছে। প্রথমে লন্ডনে এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা রয়েছে তার। এ ছাড়া সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করবেন খালেদা জিয়া। সব মিলিয়ে প্রায় এক মাস বিদেশে অবস্থান করবেন বেগম জিয়া। তবে খালেদা জিয়ার এবারের বিদেশযাত্রা শেষে তার সঙ্গে তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই।

বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে দুই-তিনটি দেশে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে যেতে হতে পারে। সে জন্য দেশ ছাড়ার আগে সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

মির্জা ফখরুলের জন্মদিন আজ

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৯ এএম
মির্জা ফখরুলের জন্মদিন আজ
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ৭৮তম জন্মদিন আজ ২৬ জানুয়ারি। ১৯৪৮ সালের এই দিনে ঠাকুরগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

ষাটের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন মির্জা ফখরুল। পরে সরকারি কলেজে অর্থনীতির শিক্ষকতা করেছেন। ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারে কৃষি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মির্জা ফখরুল। 

২০১১ সালের মার্চে বিএনপি মহাসচিব খন্দকার দেলওয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পান। ২০১৬ সালে বিএনপির মহাসচিব নির্বাচিত হন তিনি। তার আগে তিনি দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার একটি আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও সংসদে যোগ দেননি মির্জা ফখরুল। দলের বাকি নির্বাচিতরা শপথ নিলেও বিএনপির মহাসচিব তা এড়িয়ে যান। 

ব্যক্তিগত জীবনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবাহিত এবং দুই মেয়ের বাবা। বড় মেয়ে মির্জা শামারুহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষে সেখানেই শিক্ষকতা শুরু করেন। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে কর্মরত আছেন। ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন।

জামায়াত-ইসলামী আন্দোলন সাক্ষাতে অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে: চরমোনাই পীর

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৮ পিএম
জামায়াত-ইসলামী আন্দোলন সাক্ষাতে অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে: চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের ‘নগর সম্মেলন-২৫’ এ প্রধান অতিথি চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের সৌজন্য সাক্ষাতে অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর। তিনি বলেন, ৫৩ বছরে যারা দেশকে ফ্যাসিবাদ ছাড়া কিছুই দিতে পারেনি। তাদেরকে নতুন করে দেখার কিছু নেই। দেশে নতুন করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর কাওরানবাজারের ওয়াসা ভবন সংলগ্ন সড়কে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের ‘নগর সম্মেলন-২৫’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চরমোনাই পীর বলেন, স্বাধীনতার পর সরকারগুলো জনগণের আশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এদেরকে নতুন করে দেখার আর কিছু নেই। ৫ আগস্টের পর একটি দল ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠছে। বিএনপি নতুন করে আর কী দেখাবে। ছাত্র-জনতার স্বতস্ফুর্ত অভ্যুত্থানের পর মানুষ আশার আলো দেখছে। নীতি ও আদর্শের নাম ইসলাম। যাদের কথা ও কাজে মিল আছে তাদেরকে ক্ষমতায় পাঠাতে হবে।

রেজাউল করিম বলেন, ৫ আগস্টের পর মানুষ নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। তারা ইসলামের পক্ষে একটি বাক্স চায়। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। দেশের ইসলামী ও সমমনা দলগুলোকে কীভাবে কাছে এনে একটি বৃহত্তর সমঝোতা গড়ে তোলা যায় এবং নির্বাচনে একটি বাক্স দেওয়া যায় সেটা জনগণের চাহিদা। 

নগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বায়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মুফতী দেলোয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।

সম্মেলন শেষে প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদকে সভাপতি ও মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলামকে সেক্রেটারী করে ২০২৫-২৬ সেশনের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায় দল গঠন করলে জনগণ হতাশ হবে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৯ পিএম
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩০ পিএম
রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায় দল গঠন করলে জনগণ হতাশ হবে: তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার উদ্যোগকে অবশ্যই বিএনপি স্বাগত জানাবে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে কেউ যদি রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রশাসনিক সহায়তা নেন, সেটি জনগণকে হতাশ করবে। কিংবা অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতি তাদের আচরণ কিংবা বক্তব্য যদি ঝগড়াসুলভ অথবা প্রতিহিংসামূলক হয় সেটিও জনগণের কাছে হবে অনাকাঙ্খিত। 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিক্ষক দিবস উপলক্ষে এক শিক্ষক সমাবেশে ভাচ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, দেশের ছাত্র-তরুণরা রাষ্ট্র রাজনীতি ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়েছে। এটি অবশ্যই একটি ইতিবাচক দিক। এসব তরুণরাই গত দেড় দশকে একটি নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি। আজকের তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ। অতীত থেকে বেরিয়ে এসে তারণরা নতুন পথ রচনা করবে। তবে কোনো প্রশ্নবিদ্ধ পথে নয়, পথটি হওয়া উচিত স্বচ্ছ এবং স্বাভাবিক। 

নির্বাচন নিয়ে বির্তক সৃষ্টি ‘পলাতক ফ্যাসিস্টদের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে’ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নির্বাচনই হচ্ছে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায় নিশ্চিত করার অন্যতম প্রধান কার্যকর হাতিয়ার। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে বির্তক সৃষ্টি করার অর্থ নিজেদের অজান্তে পরাজিত পলাতক ফ্যাসিস্টদের অবস্থানকে শক্তিশালী করা। 

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আপনাদের কোনো কার্যক্রম নিয়ে কেউ যাতে বিভ্রান্তি ছাড়ানো কিংবা বির্তক সৃষ্টি হওয়ার লিপ্ত হওয়ার সুযোগ না পায়, সে বিষয়ে অবশ্যই আপনাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। জনগণই বিএনপির সকল রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস্য। জনগণ সঙ্গে থাকলে কোন ষড়যন্ত্রই আমাদেরকে পরাজিত করতে পারবে না, ইনশাল্লাহ। 

শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পূঁথিগত বিধির ওপরে গণতন্ত্রের বিকাশ নির্ভর করে না। গণতন্ত্র বিকশিত এবং শক্তিশালী হয় প্রতিদিনের কার্যক্রম, আচরণে এবং চর্চায়। আমাদের মধ্যে অবশ্যই ভিন্নমত, ভিন্ন পথ থাকবে এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে আমাদের উদ্দেশ্য এক এবং অভিন্ন। আমাদের সবার উদ্দেশ্য একটি উদার, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। মাফিয়ামুক্ত বাংলাদেশে বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সুযোগ এবং সম্ভাবনা হুমকির সম্মুখিন না হয় সে ব্যাপারে সবাই সর্তক থাকতে হবে। সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্বেও এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।  

তারেক রহমান বলেন, ‘সংস্কার এবং নির্বাচন বিএনপি দুইটারই পক্ষে, দুইটিই অত্যন্ত জরুরি। সংস্কার নাকি নির্বাচন- কেউ কেউ এমন উদ্দেশপ্রণোদিত প্রশ্ন নিয়ে কুটতর্ক করার অপচেষ্টা করেছে। দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে কোটি কোটি পরিবারের কাছে এই মূহুর্তে নির্বাচন এবং সংস্কারের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সংসার পরিচালনা করা। একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি অপরদিকে জনগণের চাপিয়ে দেওয়া ভ্যাটের বোঝা। ফলে দেশের কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, স্বল্প আয়ের মানুষ এমনকি নিম্ন-মধ্যবিত্ত অনেক পরিবারে চলছে নীরব হাহাকার।  

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে তারেক রহমান বলেন, উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে বাজারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করাসহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের ওপর ভ্যাটের বোঝা কেন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে? এই সরকার এখনও কেনো বাজার সিন্ডিকেট নষ্ট করতে পারেনি। 

এ সময় সরকারের কেউ কেউ অন্যদিকে মনোযোগী হওয়ায় দ্রব্যমূল্য সরকারের অধীনে আসছে না বলে এমনটা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্ন তোলেন তারেক রহমান।

শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় শিক্ষক সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সিনিয়ির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বিভিন্ন জেলার শিক্ষকরা। 

এই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহসানুল হক মিলনসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল/মেহেদী/

খেলাফত মজলিসে আমির বাছিত, মহাসচিব কাদের পুনর্নির্বাচিত

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম
খেলাফত মজলিসে আমির বাছিত, মহাসচিব কাদের পুনর্নির্বাচিত
ছবি: খবরের কাগজ

মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ খেলাফত মজলিসের আমির এবং আহমদ আবদুল কাদের মহাসচিব পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। তারা ২০২৫-২৬ সাল মেয়াদে দায়িত্ব পেয়েছেন। 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর শাহজাহানপুরে মাহবুব আলী ইনস্টিটিউটে দলের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অধিবেশনে তাদের আমির ও মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়। এই অধিবেশনে দলের আমির ও মহাসচিব ছাড়াও ১১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়েছে। পরে সবার শপথ অনুষ্ঠান হয়।

খেলাফত মজলিস জানিয়েছে, মজলিসে শুরার এই অধিবেশনে দলের আমির আবদুল বাছিত আজাদকে প্রধান করে ৬৪ সদস্যের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদে ৩৫ জন নারী সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নবনির্বাচিত নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা হলেন নায়েবে আমির সাখাওয়াত হোসাইন, আহমদ আলী কাসেমী, হাফিজ মজদুদ্দিন আহমদ, আবদুল্লাহ ফরিদ, আবদুল কাদির সালেহ, সিরাজুল হক, সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, আবদুল হামিদ; যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এ বি এম সিরাজুল মামুন, মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, মো. আবদুল জলিল, সদরুজ্জামান খান, এ এ তাওসিফ; সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, কাজী মিনহাজুল আলম, আহমদ আসলাম, সামছুজ্জামান চৌধুরী, আবদুল মজিদ, মাওলানা এস এম খুরশিদ আলম, শেখ সালাহ উদ্দিন; সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, হাসানুজ্জামান হেলাল, আসাদুল্লাহ, খন্দকার শাহাবুদ্দিন আহমদ, আবদুল হক আমিনী, বোরহান উদ্দিন সিদ্দিকী, আবু সালমান, আবদুল হান্নান; বায়তুলমাল সম্পাদক আবু সালেহীন; সমাজকল্যাণ ও শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান ফিরোজ; পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এ কে এম মাহবুবুল আলম; শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবু সালমান; প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম; সাংস্কৃতিক সম্পাদক রুহুল আমীন সাদী; প্রচার, প্রকাশনা ও তথ্য সম্পাদক আবদুল হাফিজ খসরু; স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রিফাত হোসেন মালিক; দাওয়াহবিষয়ক সম্পাদক শিহাবুদ্দীন; শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আবদুল করিম; আইনবিষয়ক সম্পাদক শায়খুল ইসলাম; ওলামাবিষয়ক সম্পাদক আলী হাসান উসামা; যুববিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম; কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান; মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা নাসরিন বেগম; মহিলাবিষয়ক সহকারী সম্পাদিকা রায়হানা লোপা প্রমুখ।

মেহেদী/

টেকনাফ সীমান্ত এলাকা ঘুরে গেলেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৯ পিএম
আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩১ এএম
টেকনাফ সীমান্ত এলাকা ঘুরে গেলেন মির্জা ফখরুল
টেকনাফ সমুদ্রসৈকতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির। ছবি: খবরের কাগজ

টেকনাফ উপজেলার সীমান্ত এলাকা ঘুরে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির। 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় টেকনাফের সাবরাং জিরো পয়েন্ট ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখেন বিএনপি মহাসচিব। 

জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগির সপরিবার নিয়ে কক্সবাজারে ব্যক্তিগত সফরে আসেন। তিনি টেকনাফ এসে শাহপরীর দ্বীপ ও সাবরাং জিরু পয়েন্ট সমুদ্রের বালিয়াড়ি ঘুরে দেখেন। সে সময় সীমান্ত উপজেলার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। 

এসময় জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মো: আব্দুল্লাহ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায় তিনি শাহপরীর দ্বীপ বিজিবির রেস্ট হাউজে কিছুক্ষণ সময় কাটান এবং ঘণ্টাখানেক পর কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা করেন।

শাহীন/মাহফুজ