ঢাকা ৫ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পেছানো বুদ্ধিমানের কাজ নয়: ড. মোশাররফ

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম
সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পেছানো বুদ্ধিমানের কাজ নয়: ড. মোশাররফ
‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি কুমিল্লা বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পেছানো বুদ্ধিমানের কাজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেছেন, ‘সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পেছানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। বরং এটা দেশের জন্য ক্ষতিকর হবে। কারণ পতিত সরকারের দোসররা দেশে-বিদেশে নানান ষড়যন্ত্র করে চলেছে।’

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) কুমিল্লায় ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি কুমিল্লা বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  

ড. মোশাররফ বলেন, সংস্কারের কথা অনেক আগেই আমরা চিন্তা ভাবনা করে রেখেছি। বিএনপির যে ৩১ দফা দিয়েছে সেখানেও এই সংস্কারের কথাই বলা হয়েছে। বিএনপি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। যদি স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জনগণ ভোট দিতে পারে তাহলে এটা অবধারিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলই আগামীতে সরকারে আসবে। 

উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী এই সরকারকে দিয়ে দেশের সম্পূর্ণ সংস্কার সম্ভব নয়। রাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের জন্য একটি নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে একটি দলীয় সরকার গঠন সারা বাংলাদেশের মানুষের দাবি।
 
কুমিল্লা নগরীর ধুলিপাড়া এলাকার ফান টাউনে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালার প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
 
সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ভুইয়া।

কুমিল্লা বিভাগীয় কর্মশালা পরিচালনা করেন বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন। 

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালামসহ কুমিল্লার ছয়টি জেলা বিএনপি, মহানগর, পৌরসভর শীর্ষ নেতারা।

কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ আলমগীর পাভেল, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, সহপ্রশিক্ষণ সম্পাদক রেহানা আক্তার বানু,  সহত্রাণ ও পুনর্বাসন-বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আরলি, সহ-গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুর সাত্তার পাটোয়ারী ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবা হাবিব।

জহির শান্ত/তাওফিক/অমিয়/ 

জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রমিকদলের নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৪ পিএম
জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রমিকদলের নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকীতে শেরেবাংলা নগরে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের হাজারো নেতাকর্মী।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শ্রমিক নেতা অ্যাড. ড. শামসুল রহমান শিমুল বিশ্বাস এর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এরপর তারা ফাতেহা পাঠ করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা জিয়ার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

শ্রমিকদলের উদ্যোগে শহিদ জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা জানাতে শিমুল বিশ্বাসের সঙ্গে এসময় ছিলেন- শ্রমিকদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক শ্রমিক নেতা সুমন ভূইয়া সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, ঢাকা মহানগর উত্তর উত্তর শ্রমিকদলের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক লায়ন ফরিদ আহমেদ,দক্ষিণ শ্রমিকদলের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম মোল্লা, যুগ্মআহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম খান, যুগ্নআহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন খান, যুগ্মআহ্বায়ক জাকির হোসেনসহ প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

‘লাল সন্ত্রাসের ডাক’ দিয়ে বিতর্কে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন নেতা

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৪ পিএম
‘লাল সন্ত্রাসের ডাক’ দিয়ে বিতর্কে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন নেতা
মেঘমল্লার বসু

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘লাল সন্ত্রাসের ডাক’ দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু। তার এমন ঘোষণার প্রতিবাদে গত শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল করেন ঢাবির একদল শিক্ষার্থী। তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় সদস্য মাহিন সরকার।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা সেন্ট্রাল লাইব্রেরি এলাকায় সিরাজ সিকদারের গ্রাফিতিতে জুতা নিক্ষেপ করেন এবং গ্রাফিতি মুছে ফেলেন। 

বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, ‘৮০ ও ৯০-এর দশকের মতো তারা আবারও সন্ত্রাসবাদ কায়েম করতে চায়। তারা ডাকসুকে এভাবেই ভণ্ডুল করেছিল ৯০-এর দশকে। আজও সেই সন্ত্রাসীরা আবারও সন্ত্রাসবাদের ঘোষণা দিচ্ছে। এই সন্ত্রাসীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে।’

স্বাধীনতার পরে প্রতিটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ‘লাল সন্ত্রাসের হাত ছিল’ মন্তব্য করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় সদস্য মাহিন সরকার বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে ছাত্রলীগ তাদের অনুগতদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে। সে জন্য এই বামরা এখনো আওয়ামী লীগের ন্যারেটিভ প্রচার করে যাচ্ছে। মেঘমল্লার বসুদের অপতৎপরতার চেষ্টা রুখে দেওয়া হবে।’

মেঘমল্লারকে গ্রেপ্তার দাবি: গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে শিক্ষার্থীদের জীবন ও নিরাপত্তার স্বার্থে মেঘমল্লারকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। এতে লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি, এই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলো ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের একটি সংঘাতের পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তাদের রেড টেররের পরিকল্পনা এবং প্রকাশ্যে দেওয়া ঘোষণা এই বার্তাই দেয়।’

শাহবাগ থানায় জিডি: গতকাল মেঘমল্লারের এমন ঘোষণার জেরে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থী যুবাইর বিন মেছারী। জিডিতে লাল সন্ত্রাসের ভিকটিম হয়ে খুন ও গুম হওয়ার আশঙ্কা এবং ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমার স্ট্যাটাসে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো বিষয় নেই। বর্তমানে নানা ভায়োলেন্স ঘটছে, আমার স্ট্যাটাসটি নিজেদের সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষার দিকে ইঙ্গিত দেয়, যা ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে। তাই এখানে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।’

জিয়াউর রহমানের মাজারে আইইবি ও এ্যাবের শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪৬ পিএম
জিয়াউর রহমানের মাজারে আইইবি ও এ্যাবের শ্রদ্ধা নিবেদন
ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) এবং এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)। 

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে সূরা ফাতেহা পাঠ ও পুস্পস্তবক অর্পণ করেন তারা। প্রথমে আইইবি পরে এ্যাবের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) এবং এ্যাবের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম (রিজু), এ্যাবের মাহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হাছিন আহমেদ, আইইবির সাধারণ সম্পাদক ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. সাব্বির মোস্তফা খান, আইইবির কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মাহবুব আলম, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মাদ আহসানুল রাসেল, ইঞ্জিনিয়ার সাব্বির আহমেদ ওসমানী, ইঞ্জিনিয়ার নূর আমিন লালন এবং আইইবি ঢাকা সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু।

আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু বলেন, 'আমরা বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। যিনি আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার এবং যার হাত ধরে বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি শুরু হয়েছিলো। আজকে তার মতো মহান নেতা বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য।'

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এ্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, ইঞ্জিনিয়ার মহীউদ্দীন আহমেদ সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার সোবহান, ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সালাম, ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফা-ই-জামান সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল হুদা, ইঞ্জিনিয়ার শামীম রাব্বি সঞ্চয়, ইঞ্জিনিয়ার রবিউল আলম উজ্জ্বল, ইঞ্জিনিয়ার আবু হোসেন হিটলু, ইঞ্জিনিয়ার আল মামুন গাজী, ইঞ্জিনিয়ার শাহীন হাওলাদার, ইঞ্জিনিয়ার কামরুল হাসান খান সাইফুল, ইঞ্জিনিয়ার এসএম ফয়সাল মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার নজরুল, ইঞ্জিনিয়ার কাওসার সুমন, ইঞ্জিনিয়ার ফাহিম, ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল, ইঞ্জিনিয়ার ফারহান হাবিব, ইঞ্জিনিয়ার সিরাজ, ইঞ্জিনিয়ার আসিফ হোসেন রচি, ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার হোসেন রনি, ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব, ইঞ্জিনিয়ার হাফিজ, ইঞ্জিনিয়ার সুজন, ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম, ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম জনি, ইঞ্জিনিয়ার শিমুল, ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল বাবুসহ আইইবি ও এ্যাবের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

শফিকুল ইসলাম/মেহেদী/

সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:০৮ পিএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১৬ পিএম
সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলবে: মির্জা ফখরুল
ছবি: খবরের কাগজ

রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই, দুটো একসঙ্গে চলতে বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংস্কার কমিশনগুলো যে রিপোর্ট দিয়েছে তা দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ ঐক্যমত ছাড়া কোন কিছু সম্ভবনা। 

অনেকে বলছেন জুলাই আগষ্টে নির্বাচন অসম্ভব এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কার চলবে। নির্বাচনের পর যে সরকারে আসবে তিনি এই সংস্কারগুলো এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমরা আমাদের দলের পক্ষে থেকে পরিস্কার করে বলতে পারি প্রতিটি সংস্কার আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো। তাছাড়া সংস্কার  ও নির্বাচন একসঙ্গে চলতে কোন বাধা নেই। 

শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দায়িত্বে এসেছিলেন।  তখন তিনি আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য খুব অল্প সময়ে সমস্ত ক্ষেত্রে সংস্কার করে কাজ শুরু করেছেন। তিনি প্রথম সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় শাসনের ব্যবস্থা করেছেন। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর বদ্ধ অর্থনীতিকে মুক্তবাজার অর্থনীতি পরিকল্পনা করেছেন। তার হাত ধরে কৃষি ও শিল্পে বিপ্লব ঘটেছে। '

জিয়াউর রহমানের হাত ধরে জাতীয়তাবাদী দলের সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই মহান নেতার হাত ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সৃষ্টি হয়েছে। সেই দল সমস্ত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে আজ বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জিয়াউর রমানের পরে তার উত্তরসূরি বেগম খালেদা জিয়া এই দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি দায়িত্ব নিয়ে দলকে আরও বেশি শক্তিশালী ও সাংগঠনিক করেছেন। আজকে তিনি অসুস্থ হয়ে লন্ডনে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা তার জন্য সবাই দোয়া করি।  আজকে তারই আরেক যোগ্য উত্তরসরি ওনার সন্তান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। যিনি হাসিনা-ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে নতুন নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/মেহেদী/

ডিসেম্বর-জানুয়ারিতেই নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
ডিসেম্বর-জানুয়ারিতেই নির্বাচন চায় বিএনপি
বিএনপি

চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা বললেও প্রকৃত অর্থে ডিসেম্বর বা আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন চায় বিএনপি। মূলত জুলাই-আগস্টে নির্বাচন আয়োজনের কথা কৌশলগত কারণ এবং সরকারকে চাপে রাখার জন্যই বলছে দলটি। বিএনপির নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সূত্র খবরের কাগজকে এ তথ্য জানিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক নেতা বলেন, বাস্তব কারণেই আগামী জুলাই-আগস্টের মধ্যে সরকারের পক্ষে জাতীয় নির্বাচন দেওয়া সম্ভব নয়। তবে অন্তর্বর্তী সরকারসহ সংশ্লিষ্ট নানা মহল নির্বাচন বিলম্বিত করার জন্য বিভিন্ন ইস্যু তুলছে বলে তারা সন্দেহ করছে। রাষ্ট্র সংস্কার, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেওয়ার চেষ্টাসহ নানা কারণে নির্বাচন পিছিয়ে যায় কি না, তা নিয়ে বিএনপির মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল ‘আগে সংস্কার পরে নির্বাচন’ এমন বক্তব্য দেওয়ায় বিএনপির ওই সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সর্বশেষ গত সোমবার দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। ওই আলোচনার পরই কৌশলগত কারণেই জুলাই-আগস্টে নির্বাচনের দাবি সামনে আনা হয়। 

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিএনপির বিশ্বাস আগামী জুলাই-আগস্টে নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশন গঠন হয়ে গেছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য খুব সময় লাগার কথা নয়।’ 

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ শেষ করে আগস্ট মাসেই নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। এই সরকার সম্মানের সঙ্গে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে বিদায় না নিলে আগামীতে দেশ ও জনগণ ক্ষতির সম্মুখীন হবে। নির্বাচন যত বিলম্ব হবে, ততই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট বৃদ্ধি পাবে।’ তিনি বলেন, নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হয়ে গেলে জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে। তখন দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়ে যাবে। দেশের সংকটও কেটে যাবে।

বিএনপি মনে করছে, নির্বাচনের সুস্পষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণা না করা, নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র বিনির্মাণে ঠিক কতটা সংস্কার হবে এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা, ‘প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভল্যুশন (ঘোষণাপত্র), সংবিধান বাতিল বা পুনর্লিখন- এসব ইস্যু সামনে এনে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে সরকারের একটি মহল। এ ছাড়া ছাত্রদের দিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করছেন উপদেষ্টাদের কেউ কেউ। সংবিধান বাতিলের দাবিতে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটিসহ কয়েকটি দল। সব মিলিয়ে সরকার ও ছাত্ররা নানা দিক থেকে নানাভাবে জাতীয় নির্বাচন প্রলম্বিত করার আশঙ্কা করছে বলে মনে করে বিএনপির হাইকমান্ড। দলটির নেতাদের মতে, এসব ইস্যুতে নানামুখী বক্তব্য ও ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়েই শেষ পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচন সামনে চলে আসবে এবং যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

তবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনে করে, প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া তড়িঘড়ি করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা হলে তা হবে আত্মঘাতী। এর মধ্যে আবারও ফ্যাসিবাদ সরকার ফিরে আসার পথ সুগম হবে বলেও তারা মনে করে। তাই আগে সংস্কার ও পরে নির্বাচন চায় দলটি। জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা মনে করি, ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ নির্বাচনের অনেক কাজ এখনো বাকি। তবে জুলাই-আগস্টে নির্বাচন দেওয়া সম্ভব কি না, এটা সরকার ও নির্বাচন কমিশন বলবে, এ ব্যাপারে দলীয় ফোরামে কোনো আলোচনা হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, রাষ্ট্রের খুব প্রয়োজনীয় সংস্কার হওয়া দরকার। তাই নির্বাচন ও সংস্কারের রোডম্যাপ দেওয়া জরুরি। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে ২০২৫ সালে সরকারের সুবিধাজনক সময়ে নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। নির্বাচিত সরকার ও পার্লামেন্ট গঠন হলে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’ 

১২-দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার খবরের কাগজকে বলেন, ‘চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। এই দাবি আমরা শুরু থেকে জানিয়ে আসছি। কারণ এর থেকে এক দিন পিছিয়ে নির্বাচন দেওয়ার কোনো অর্থ নেই। নির্বাচন আয়োজনে সরকারের জন্য এটাই পর্যাপ্ত সময়।’ 

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা মনে করি, জুলাই-আগস্টে নির্বাচন হলে তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে। তখন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন বা কার্যকর করা কঠিন হবে।’ তিনি বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে আগামী দিনে সরকারকে চলতে খুব বেশি সমস্যা হবে না বলেও মনে করি।’ 

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমেদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে তা হবে গোঁজামিলের নির্বাচন। কারণ প্রশাসনসহ অনেক জায়গায় ফ্যাসিবাদের দোসরদের অপসারণ করা দরকার। তা না হলে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চাহিদা সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে না। আমরা মনে করি, জুলাই-আগস্টে নির্বাচন দেওয়া সম্ভব হবে না। তাই প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী দিনে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রেখে দেশ পরিচালনা করবে।’ 

তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের দোসরদের বিচার শেষ করে নির্বাচন দিতে হবে। তাই সংস্কার ও বিচারকাজে গতি বাড়াতে হবে। 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ শেষ করেই নির্বাচন দেওয়া উচিত হবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তা না হলে আবারও যেনতেন নির্বাচন হলে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন হবে না। ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আসনের সীমানা নির্ধারণ ও চারটি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নের পরই নির্বাচন দেওয়া জরুরি। আমরা মনে করি, সংস্কার মাঝামাঝি রেখে নির্বাচন হলে যেনতেন নির্বাচন হবে। সরকারের ঘোষিত রোডম্যাপ ২০২৫ সালের শেষে বা ২৬ সালের শুরুতে নির্বাচন হলে কোনো সমস্যা হবে না।’ 

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘আমরা চাই চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন। জুলাই-আগস্টের মধ্যে হলে আরও ভালো। সরকারের কাজ হবে অতি প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দেওয়া। এটা না করলে মানুষ মনে করবে ওয়ান-ইলেভেন সরকারের মতো এই সরকারও ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চায়।’

বিএনপি আগামী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানালেও তা বাস্তবে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। গত শুক্রবার তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এত বড় অভ্যুত্থান, এত রক্ত, এত জীবন সামগ্রিক সবকিছুর যে চাওয়া, তা কেবল একটি নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের যারা প্রতিনিধি হবেন, স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের কাছে ক্ষমতা যাবে, এতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এটা তো এক কথায় অবাস্তব এবং অসম্ভব যে ছয় মাসের মধ্যে নতুন একটি ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা, নির্বাচন কমিশনকে ঠিক করা, বিচারব্যবস্থা সংস্কার করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের মূল ভূমিকায় ফিরিয়ে আনা।’

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ৫ মাস ১১ দিন। শুরুর দিকে সরকারকে সবাই স্বাগত জানালেও এখন তাদের ওপর নির্বাচনের চাপ বাড়ছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের ঘোষণার আওয়াজ তুলছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলও। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ডিসেম্বর ধরে নিয়েই এগোচ্ছে সরকার। এদিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের করণীয় এবং সংস্কার বিষয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তিনি। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন চীন ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত।