ঢাকা ৫ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

পিন্ডি থেকে স্বাধীনতা এনেছি, দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণের জন্য নয়: রিজভী

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০২ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম
পিন্ডি থেকে স্বাধীনতা এনেছি, দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণের জন্য নয়: রিজভী
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রোডমার্চের শুরুতে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: খবরের কাগজ

দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণের জন্য পিন্ডি থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘পিন্ডি থেকে স্বাধীনতা এনেছি, দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য নয়। আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা কিনেছি। এই স্বাধীনতা আমরা বিক্রি করে দেব? দিল্লির কাছে আমরা আত্মসমর্পণ করব না। এই রক্ত আমাদের নেই।’

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রোডমার্চের শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। 

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন অফিসে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা থেকে আগরতলার উদ্দেশে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এই রোডমার্চ করছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আজকে দিল্লির যারা সাম্প্রদায়িক শাসকগোষ্ঠী তারা যেন মনে রেখো, তোমরা একজন ভয়ংকর রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে টিকিয়ে রাখার জন্য সমর্থন দিয়েছো। আজকে ভারতের শাসকগোষ্ঠী গোটা পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছে সমালোচিত। অথচ ভারত গণতান্ত্রিক দেশ।’

তিনি বলেন, ‘ভারত নিজেরা গণতান্ত্রিক দেশ কিন্তু ওরা চায় না বাংলাদেশের জনগণের কথায় দেশ চলুক। দিল্লির কথায় চলতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের রক্তের যে তেজ, আত্মশক্তি, বীরত্ব এটা দিল্লির শাসকরা বুঝতে পারেনি।’

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে সকাল ৯টায় লংমার্চ শুরু হয়। 

ভৈরব মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। সভাপতিত্ব করবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না। 

বিকেলে আখাউড়ায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে লংমার্চ শেষ হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না ও সভাপতিত্ব করবেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী।

লংমার্চে পথে পথে নেতা-কর্মীদের ঢল

বুধবার সকাল ১০টার পরে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া লংমার্চের গাড়িবহরকে শুভেচ্ছা জানাতে সড়কের দুই পাশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঢল নামে। এ সময় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও দেখা গেছে।

তারা হাত নেড়ে, ফুল ছিটিয়ে গাড়ি বহরকে স্বাগত জানান। 

এ সময় ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ নানা স্লোগান দেওয়া হয়। 

নেতা-কর্মীদের হাতে নানা স্লোগানসংবলিত ফেস্টুন এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা উড়াতে দেখা য়ায়।

একই ঘটনায় গত ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনার অভিমুখে পদযাত্রা করে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। নয়াপল্টন থেকে পদযাত্রাটি রামপুরা গেলে আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে একটি প্রতিনিধি দল ভারতীয় হাইকমিশনারে গিয়ে স্মারকলিপির দেয়।

শফিকুল/পপি/

মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ইতিহাসের অংশ: চসিক মেয়র

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫৫ পিএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম
মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ইতিহাসের অংশ: চসিক মেয়র
শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন মানুষ হত্যা শুরু করে তখন আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। তখন তারা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই কালোরাত্রিতে জাতি যখন দিশেহারা তখনই নেতৃত্বশূন্য জাতিকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছিলেন শহিদ জিয়াউর রহমান। এই ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে তিনি পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘আই রিভোল্ট’ বলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের একত্রিত করে তিনি ২৬ মার্চ প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে তিনি চুপ করে বসে ছিলেন না। তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন আবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের মাঠে থেকে দেশকে স্বাধীন করেছেন।  মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ইতিহাসের অংশ।’

তিনি রবিবার (১৯ জানুয়ারি) নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেইটসংলগ্ন বিপ্লব উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার পরে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে দেশকে বের করে নিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আওয়ামী লীগের তলা বিহীন জুড়ি থেকে দেশকে স্বনির্ভর বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শহিদ জিয়ার অবদান এদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস হচ্ছে পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস। তারা ৭১ সালের মতো ২০২৪ সালেও পেছনের দরজা দিয়ে নেতা-কর্মীদের এতিম করে ভারতে পালিয়ে গেছে। শেখ মুজিব পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন সেই কথা তাজউদ্দীন আহমেদের মেয়ের লিখিত বইতেও লেখা আছে। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। আর আওয়ামী লীগের কথিত নেতারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে নিয়ে ইতিহাসকে বিকৃত করেছেন। তারা ইতিহাস থেকে মেজর জিয়ার সেই স্বাধীনতার ঘোষণাকে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক ডা. গোলাম কাদের নোবেল, মহানগর জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব মারুফুল হক চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, বিএনপি নেতা মো. আলী, মকবুল হোসেন খোকন, সাবেক ছাত্রদল নেতা শেখ রাসেল, মহসিন কবির আপেল, আবু বক্কর শিকদার, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক সামিয়াত আমিন জিসান, সালাউদ্দীন কাদের আসাদ, পাঁচলাইশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শফিউল আলম শফি, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদল নেতা বোরহানুল হক প্রমূখ।

মাহফুজ/এমএ/

 

জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রমিকদলের নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৪ পিএম
জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রমিকদলের নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকীতে শেরেবাংলা নগরে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের হাজারো নেতাকর্মী।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শ্রমিক নেতা অ্যাড. ড. শামসুল রহমান শিমুল বিশ্বাস এর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এরপর তারা ফাতেহা পাঠ করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা জিয়ার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

শ্রমিকদলের উদ্যোগে শহিদ জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা জানাতে শিমুল বিশ্বাসের সঙ্গে এসময় ছিলেন- শ্রমিকদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক শ্রমিক নেতা সুমন ভূইয়া সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, ঢাকা মহানগর উত্তর উত্তর শ্রমিকদলের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক লায়ন ফরিদ আহমেদ,দক্ষিণ শ্রমিকদলের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম মোল্লা, যুগ্মআহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম খান, যুগ্নআহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন খান, যুগ্মআহ্বায়ক জাকির হোসেনসহ প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

‘লাল সন্ত্রাসের ডাক’ দিয়ে বিতর্কে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন নেতা

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৪ পিএম
‘লাল সন্ত্রাসের ডাক’ দিয়ে বিতর্কে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন নেতা
মেঘমল্লার বসু

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘লাল সন্ত্রাসের ডাক’ দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু। তার এমন ঘোষণার প্রতিবাদে গত শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল করেন ঢাবির একদল শিক্ষার্থী। তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় সদস্য মাহিন সরকার।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা সেন্ট্রাল লাইব্রেরি এলাকায় সিরাজ সিকদারের গ্রাফিতিতে জুতা নিক্ষেপ করেন এবং গ্রাফিতি মুছে ফেলেন। 

বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, ‘৮০ ও ৯০-এর দশকের মতো তারা আবারও সন্ত্রাসবাদ কায়েম করতে চায়। তারা ডাকসুকে এভাবেই ভণ্ডুল করেছিল ৯০-এর দশকে। আজও সেই সন্ত্রাসীরা আবারও সন্ত্রাসবাদের ঘোষণা দিচ্ছে। এই সন্ত্রাসীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে।’

স্বাধীনতার পরে প্রতিটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ‘লাল সন্ত্রাসের হাত ছিল’ মন্তব্য করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় সদস্য মাহিন সরকার বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে ছাত্রলীগ তাদের অনুগতদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে। সে জন্য এই বামরা এখনো আওয়ামী লীগের ন্যারেটিভ প্রচার করে যাচ্ছে। মেঘমল্লার বসুদের অপতৎপরতার চেষ্টা রুখে দেওয়া হবে।’

মেঘমল্লারকে গ্রেপ্তার দাবি: গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে শিক্ষার্থীদের জীবন ও নিরাপত্তার স্বার্থে মেঘমল্লারকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। এতে লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি, এই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলো ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের একটি সংঘাতের পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তাদের রেড টেররের পরিকল্পনা এবং প্রকাশ্যে দেওয়া ঘোষণা এই বার্তাই দেয়।’

শাহবাগ থানায় জিডি: গতকাল মেঘমল্লারের এমন ঘোষণার জেরে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থী যুবাইর বিন মেছারী। জিডিতে লাল সন্ত্রাসের ভিকটিম হয়ে খুন ও গুম হওয়ার আশঙ্কা এবং ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমার স্ট্যাটাসে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো বিষয় নেই। বর্তমানে নানা ভায়োলেন্স ঘটছে, আমার স্ট্যাটাসটি নিজেদের সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষার দিকে ইঙ্গিত দেয়, যা ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে। তাই এখানে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।’

জিয়াউর রহমানের মাজারে আইইবি ও এ্যাবের শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪৬ পিএম
জিয়াউর রহমানের মাজারে আইইবি ও এ্যাবের শ্রদ্ধা নিবেদন
ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) এবং এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)। 

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে সূরা ফাতেহা পাঠ ও পুস্পস্তবক অর্পণ করেন তারা। প্রথমে আইইবি পরে এ্যাবের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) এবং এ্যাবের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম (রিজু), এ্যাবের মাহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হাছিন আহমেদ, আইইবির সাধারণ সম্পাদক ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. সাব্বির মোস্তফা খান, আইইবির কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মাহবুব আলম, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মাদ আহসানুল রাসেল, ইঞ্জিনিয়ার সাব্বির আহমেদ ওসমানী, ইঞ্জিনিয়ার নূর আমিন লালন এবং আইইবি ঢাকা সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু।

আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু বলেন, 'আমরা বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। যিনি আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার এবং যার হাত ধরে বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি শুরু হয়েছিলো। আজকে তার মতো মহান নেতা বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য।'

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এ্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, ইঞ্জিনিয়ার মহীউদ্দীন আহমেদ সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার সোবহান, ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সালাম, ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফা-ই-জামান সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল হুদা, ইঞ্জিনিয়ার শামীম রাব্বি সঞ্চয়, ইঞ্জিনিয়ার রবিউল আলম উজ্জ্বল, ইঞ্জিনিয়ার আবু হোসেন হিটলু, ইঞ্জিনিয়ার আল মামুন গাজী, ইঞ্জিনিয়ার শাহীন হাওলাদার, ইঞ্জিনিয়ার কামরুল হাসান খান সাইফুল, ইঞ্জিনিয়ার এসএম ফয়সাল মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার নজরুল, ইঞ্জিনিয়ার কাওসার সুমন, ইঞ্জিনিয়ার ফাহিম, ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল, ইঞ্জিনিয়ার ফারহান হাবিব, ইঞ্জিনিয়ার সিরাজ, ইঞ্জিনিয়ার আসিফ হোসেন রচি, ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার হোসেন রনি, ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব, ইঞ্জিনিয়ার হাফিজ, ইঞ্জিনিয়ার সুজন, ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম, ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম জনি, ইঞ্জিনিয়ার শিমুল, ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল বাবুসহ আইইবি ও এ্যাবের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

শফিকুল ইসলাম/মেহেদী/

সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:০৮ পিএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১৬ পিএম
সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলবে: মির্জা ফখরুল
ছবি: খবরের কাগজ

রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই, দুটো একসঙ্গে চলতে বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংস্কার কমিশনগুলো যে রিপোর্ট দিয়েছে তা দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ ঐক্যমত ছাড়া কোন কিছু সম্ভবনা। 

অনেকে বলছেন জুলাই আগষ্টে নির্বাচন অসম্ভব এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কার চলবে। নির্বাচনের পর যে সরকারে আসবে তিনি এই সংস্কারগুলো এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমরা আমাদের দলের পক্ষে থেকে পরিস্কার করে বলতে পারি প্রতিটি সংস্কার আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো। তাছাড়া সংস্কার  ও নির্বাচন একসঙ্গে চলতে কোন বাধা নেই। 

শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দায়িত্বে এসেছিলেন।  তখন তিনি আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য খুব অল্প সময়ে সমস্ত ক্ষেত্রে সংস্কার করে কাজ শুরু করেছেন। তিনি প্রথম সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় শাসনের ব্যবস্থা করেছেন। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর বদ্ধ অর্থনীতিকে মুক্তবাজার অর্থনীতি পরিকল্পনা করেছেন। তার হাত ধরে কৃষি ও শিল্পে বিপ্লব ঘটেছে। '

জিয়াউর রহমানের হাত ধরে জাতীয়তাবাদী দলের সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই মহান নেতার হাত ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সৃষ্টি হয়েছে। সেই দল সমস্ত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে আজ বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জিয়াউর রমানের পরে তার উত্তরসূরি বেগম খালেদা জিয়া এই দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি দায়িত্ব নিয়ে দলকে আরও বেশি শক্তিশালী ও সাংগঠনিক করেছেন। আজকে তিনি অসুস্থ হয়ে লন্ডনে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা তার জন্য সবাই দোয়া করি।  আজকে তারই আরেক যোগ্য উত্তরসরি ওনার সন্তান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। যিনি হাসিনা-ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে নতুন নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/মেহেদী/