দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণের জন্য পিন্ডি থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘পিন্ডি থেকে স্বাধীনতা এনেছি, দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য নয়। আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা কিনেছি। এই স্বাধীনতা আমরা বিক্রি করে দেব? দিল্লির কাছে আমরা আত্মসমর্পণ করব না। এই রক্ত আমাদের নেই।’
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রোডমার্চের শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন অফিসে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা থেকে আগরতলার উদ্দেশে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এই রোডমার্চ করছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আজকে দিল্লির যারা সাম্প্রদায়িক শাসকগোষ্ঠী তারা যেন মনে রেখো, তোমরা একজন ভয়ংকর রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে টিকিয়ে রাখার জন্য সমর্থন দিয়েছো। আজকে ভারতের শাসকগোষ্ঠী গোটা পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছে সমালোচিত। অথচ ভারত গণতান্ত্রিক দেশ।’
তিনি বলেন, ‘ভারত নিজেরা গণতান্ত্রিক দেশ কিন্তু ওরা চায় না বাংলাদেশের জনগণের কথায় দেশ চলুক। দিল্লির কথায় চলতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের রক্তের যে তেজ, আত্মশক্তি, বীরত্ব এটা দিল্লির শাসকরা বুঝতে পারেনি।’
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে সকাল ৯টায় লংমার্চ শুরু হয়।
ভৈরব মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। সভাপতিত্ব করবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না।
বিকেলে আখাউড়ায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে লংমার্চ শেষ হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না ও সভাপতিত্ব করবেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী।
লংমার্চে পথে পথে নেতা-কর্মীদের ঢল
বুধবার সকাল ১০টার পরে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া লংমার্চের গাড়িবহরকে শুভেচ্ছা জানাতে সড়কের দুই পাশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঢল নামে। এ সময় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও দেখা গেছে।
তারা হাত নেড়ে, ফুল ছিটিয়ে গাড়ি বহরকে স্বাগত জানান।
এ সময় ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
নেতা-কর্মীদের হাতে নানা স্লোগানসংবলিত ফেস্টুন এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা উড়াতে দেখা য়ায়।
একই ঘটনায় গত ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনার অভিমুখে পদযাত্রা করে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। নয়াপল্টন থেকে পদযাত্রাটি রামপুরা গেলে আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে একটি প্রতিনিধি দল ভারতীয় হাইকমিশনারে গিয়ে স্মারকলিপির দেয়।
শফিকুল/পপি/