ঢাকা ১২ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

ফেনীতে ক্যান্টনমেন্ট স্থাপনের দাবি গণঅধিকার পরিষদের

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
ফেনীতে ক্যান্টনমেন্ট স্থাপনের দাবি গণঅধিকার পরিষদের
ছবি: খবরের কাগজ

ভারতকে দেওয়া অবৈধ ইকোনমিক জোনের বরাদ্দ বাতিল এবং ফেনীতে সামরিক ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণবিক্ষোভ কর্মসূচিতে দলের নেতারা এসব কথা বলেন।  

সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, 'ভারত শেখ হাসিনাকে অবৈধভাবে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। শেখ হাসিনাকে দিল্লিতে বসিয়ে রেখে অপকর্ম করার সুযোগ করে দিয়ে যাচ্ছে। এটা কোনভাবেই বাংলাদেশের মানুষ মানবে না।'  

দলের সদস্যসচিব ফারুক হাসান বলেন, 'খুনি শেখ হাসিনা ভারতকে ইকোনমিক জোন বরাদ্দ দিয়ে দেশের সার্বভোমত্ব ভূলুণ্ঠিত করেছেন। অবৈধভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ভারতের হাতে তুলে দিয়েছেন। অবিলম্বে অবৈধ ইকোনমিক জোন বরাদ্দ বাতিল করতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখতে ফেনীতে সামরিক ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন করতে হবে। দেশকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।'   

এ সময়গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সহ-সমন্বয়ক আরিফ বিল্লাহর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার এস ফাহিম, মেজর (অব.) আব্দুর রব, ইঞ্জিনিয়ার থোয়াই চিং মং চাক, ইমামউদ্দিন, এনামুল হক সবু, ফায়সাল আহমেদ, শফিকুল ইসলাম রতন প্রমূখ। 

শফিকুল ইসলাম/মেহেদী

জামায়াত-ইসলামী আন্দোলন সাক্ষাতে অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে: চরমোনাই পীর

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৮ পিএম
জামায়াত-ইসলামী আন্দোলন সাক্ষাতে অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে: চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের ‘নগর সম্মেলন-২৫’ এ প্রধান অতিথি চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের সৌজন্য সাক্ষাতে অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর। তিনি বলেন, ৫৩ বছরে যারা দেশকে ফ্যাসিবাদ ছাড়া কিছুই দিতে পারেনি। তাদেরকে নতুন করে দেখার কিছু নেই। দেশে নতুন করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর কাওরানবাজারের ওয়াসা ভবন সংলগ্ন সড়কে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের ‘নগর সম্মেলন-২৫’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চরমোনাই পীর বলেন, স্বাধীনতার পর সরকারগুলো জনগণের আশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এদেরকে নতুন করে দেখার আর কিছু নেই। ৫ আগস্টের পর একটি দল ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠছে। বিএনপি নতুন করে আর কী দেখাবে। ছাত্র-জনতার স্বতস্ফুর্ত অভ্যুত্থানের পর মানুষ আশার আলো দেখছে। নীতি ও আদর্শের নাম ইসলাম। যাদের কথা ও কাজে মিল আছে তাদেরকে ক্ষমতায় পাঠাতে হবে।

রেজাউল করিম বলেন, ৫ আগস্টের পর মানুষ নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। তারা ইসলামের পক্ষে একটি বাক্স চায়। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। দেশের ইসলামী ও সমমনা দলগুলোকে কীভাবে কাছে এনে একটি বৃহত্তর সমঝোতা গড়ে তোলা যায় এবং নির্বাচনে একটি বাক্স দেওয়া যায় সেটা জনগণের চাহিদা। 

নগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বায়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মুফতী দেলোয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।

সম্মেলন শেষে প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদকে সভাপতি ও মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলামকে সেক্রেটারী করে ২০২৫-২৬ সেশনের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায় দল গঠন করলে জনগণ হতাশ হবে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৯ পিএম
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩০ পিএম
রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায় দল গঠন করলে জনগণ হতাশ হবে: তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার উদ্যোগকে অবশ্যই বিএনপি স্বাগত জানাবে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে কেউ যদি রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রশাসনিক সহায়তা নেন, সেটি জনগণকে হতাশ করবে। কিংবা অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতি তাদের আচরণ কিংবা বক্তব্য যদি ঝগড়াসুলভ অথবা প্রতিহিংসামূলক হয় সেটিও জনগণের কাছে হবে অনাকাঙ্খিত। 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিক্ষক দিবস উপলক্ষে এক শিক্ষক সমাবেশে ভাচ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, দেশের ছাত্র-তরুণরা রাষ্ট্র রাজনীতি ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়েছে। এটি অবশ্যই একটি ইতিবাচক দিক। এসব তরুণরাই গত দেড় দশকে একটি নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি। আজকের তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ। অতীত থেকে বেরিয়ে এসে তারণরা নতুন পথ রচনা করবে। তবে কোনো প্রশ্নবিদ্ধ পথে নয়, পথটি হওয়া উচিত স্বচ্ছ এবং স্বাভাবিক। 

নির্বাচন নিয়ে বির্তক সৃষ্টি ‘পলাতক ফ্যাসিস্টদের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে’ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নির্বাচনই হচ্ছে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায় নিশ্চিত করার অন্যতম প্রধান কার্যকর হাতিয়ার। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে বির্তক সৃষ্টি করার অর্থ নিজেদের অজান্তে পরাজিত পলাতক ফ্যাসিস্টদের অবস্থানকে শক্তিশালী করা। 

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আপনাদের কোনো কার্যক্রম নিয়ে কেউ যাতে বিভ্রান্তি ছাড়ানো কিংবা বির্তক সৃষ্টি হওয়ার লিপ্ত হওয়ার সুযোগ না পায়, সে বিষয়ে অবশ্যই আপনাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। জনগণই বিএনপির সকল রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস্য। জনগণ সঙ্গে থাকলে কোন ষড়যন্ত্রই আমাদেরকে পরাজিত করতে পারবে না, ইনশাল্লাহ। 

শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পূঁথিগত বিধির ওপরে গণতন্ত্রের বিকাশ নির্ভর করে না। গণতন্ত্র বিকশিত এবং শক্তিশালী হয় প্রতিদিনের কার্যক্রম, আচরণে এবং চর্চায়। আমাদের মধ্যে অবশ্যই ভিন্নমত, ভিন্ন পথ থাকবে এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে আমাদের উদ্দেশ্য এক এবং অভিন্ন। আমাদের সবার উদ্দেশ্য একটি উদার, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। মাফিয়ামুক্ত বাংলাদেশে বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সুযোগ এবং সম্ভাবনা হুমকির সম্মুখিন না হয় সে ব্যাপারে সবাই সর্তক থাকতে হবে। সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্বেও এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।  

তারেক রহমান বলেন, ‘সংস্কার এবং নির্বাচন বিএনপি দুইটারই পক্ষে, দুইটিই অত্যন্ত জরুরি। সংস্কার নাকি নির্বাচন- কেউ কেউ এমন উদ্দেশপ্রণোদিত প্রশ্ন নিয়ে কুটতর্ক করার অপচেষ্টা করেছে। দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে কোটি কোটি পরিবারের কাছে এই মূহুর্তে নির্বাচন এবং সংস্কারের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সংসার পরিচালনা করা। একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি অপরদিকে জনগণের চাপিয়ে দেওয়া ভ্যাটের বোঝা। ফলে দেশের কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, স্বল্প আয়ের মানুষ এমনকি নিম্ন-মধ্যবিত্ত অনেক পরিবারে চলছে নীরব হাহাকার।  

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে তারেক রহমান বলেন, উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে বাজারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করাসহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের ওপর ভ্যাটের বোঝা কেন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে? এই সরকার এখনও কেনো বাজার সিন্ডিকেট নষ্ট করতে পারেনি। 

এ সময় সরকারের কেউ কেউ অন্যদিকে মনোযোগী হওয়ায় দ্রব্যমূল্য সরকারের অধীনে আসছে না বলে এমনটা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্ন তোলেন তারেক রহমান।

শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় শিক্ষক সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সিনিয়ির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বিভিন্ন জেলার শিক্ষকরা। 

এই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহসানুল হক মিলনসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল/মেহেদী/

খেলাফত মজলিসে আমির বাছিত, মহাসচিব কাদের পুনর্নির্বাচিত

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম
খেলাফত মজলিসে আমির বাছিত, মহাসচিব কাদের পুনর্নির্বাচিত
ছবি: খবরের কাগজ

মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ খেলাফত মজলিসের আমির এবং আহমদ আবদুল কাদের মহাসচিব পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। তারা ২০২৫-২৬ সাল মেয়াদে দায়িত্ব পেয়েছেন। 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর শাহজাহানপুরে মাহবুব আলী ইনস্টিটিউটে দলের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অধিবেশনে তাদের আমির ও মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়। এই অধিবেশনে দলের আমির ও মহাসচিব ছাড়াও ১১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়েছে। পরে সবার শপথ অনুষ্ঠান হয়।

খেলাফত মজলিস জানিয়েছে, মজলিসে শুরার এই অধিবেশনে দলের আমির আবদুল বাছিত আজাদকে প্রধান করে ৬৪ সদস্যের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদে ৩৫ জন নারী সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নবনির্বাচিত নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা হলেন নায়েবে আমির সাখাওয়াত হোসাইন, আহমদ আলী কাসেমী, হাফিজ মজদুদ্দিন আহমদ, আবদুল্লাহ ফরিদ, আবদুল কাদির সালেহ, সিরাজুল হক, সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, আবদুল হামিদ; যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এ বি এম সিরাজুল মামুন, মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, মো. আবদুল জলিল, সদরুজ্জামান খান, এ এ তাওসিফ; সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, কাজী মিনহাজুল আলম, আহমদ আসলাম, সামছুজ্জামান চৌধুরী, আবদুল মজিদ, মাওলানা এস এম খুরশিদ আলম, শেখ সালাহ উদ্দিন; সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, হাসানুজ্জামান হেলাল, আসাদুল্লাহ, খন্দকার শাহাবুদ্দিন আহমদ, আবদুল হক আমিনী, বোরহান উদ্দিন সিদ্দিকী, আবু সালমান, আবদুল হান্নান; বায়তুলমাল সম্পাদক আবু সালেহীন; সমাজকল্যাণ ও শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান ফিরোজ; পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এ কে এম মাহবুবুল আলম; শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবু সালমান; প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম; সাংস্কৃতিক সম্পাদক রুহুল আমীন সাদী; প্রচার, প্রকাশনা ও তথ্য সম্পাদক আবদুল হাফিজ খসরু; স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রিফাত হোসেন মালিক; দাওয়াহবিষয়ক সম্পাদক শিহাবুদ্দীন; শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আবদুল করিম; আইনবিষয়ক সম্পাদক শায়খুল ইসলাম; ওলামাবিষয়ক সম্পাদক আলী হাসান উসামা; যুববিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম; কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান; মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা নাসরিন বেগম; মহিলাবিষয়ক সহকারী সম্পাদিকা রায়হানা লোপা প্রমুখ।

মেহেদী/

টেকনাফ সীমান্ত এলাকা ঘুরে গেলেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৯ পিএম
আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩১ এএম
টেকনাফ সীমান্ত এলাকা ঘুরে গেলেন মির্জা ফখরুল
টেকনাফ সমুদ্রসৈকতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির। ছবি: খবরের কাগজ

টেকনাফ উপজেলার সীমান্ত এলাকা ঘুরে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির। 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় টেকনাফের সাবরাং জিরো পয়েন্ট ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখেন বিএনপি মহাসচিব। 

জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগির সপরিবার নিয়ে কক্সবাজারে ব্যক্তিগত সফরে আসেন। তিনি টেকনাফ এসে শাহপরীর দ্বীপ ও সাবরাং জিরু পয়েন্ট সমুদ্রের বালিয়াড়ি ঘুরে দেখেন। সে সময় সীমান্ত উপজেলার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। 

এসময় জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মো: আব্দুল্লাহ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায় তিনি শাহপরীর দ্বীপ বিজিবির রেস্ট হাউজে কিছুক্ষণ সময় কাটান এবং ঘণ্টাখানেক পর কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা করেন।

শাহীন/মাহফুজ

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর মাধ্যমে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারব: আমিনুল হক

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর মাধ্যমে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারব: আমিনুল হক
মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজে বৃত্তি প্রদান করেন আমিনুল হক। ছবি: সংগৃহীত

পাঠ্যপুস্তকে নতুনভাবে বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাসকে তুলে ধরতে হবে জানিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, পাঠ্যপুস্তকে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর সমাজ ও সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারব।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজে ‘আমিনুল হক শিক্ষা বৃত্তি সনদ ও সন্মানি প্রদান-২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার আমাদের সন্তানদেরকে ভূল ইতিহাস শিখিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার জোর করে তার পরিবারের মিথ্যা ইতিহাস আমাদের সন্তানদেরকে পড়ানো হয়েছে। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার যে রুপরেখা দিয়েছেন, সেই রুপরেখার ভিতরে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন বলে তিনি তার বক্তব্যে জানান। 

আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার দেশের কোনো উন্নয়ন করেনি। উন্নয়নের নামে নিজেদের পকেটের উন্নয়ন করেছে। এদেশের জনগণের ২৮ লক্ষ কোটি টাকা তারা বিদেশে পাচার করে আওয়ামী লীগের নেতারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোম বানিয়েছে। কিন্তু এদেশের সাধারণ মানুষের দিকে তাদের কোনো খেয়াল ছিল না। 

জনগণের ভোটের মাধ্যমে বিএনপি সরকার গঠন করলে দেশের প্রতিটি স্কুল কলেজের জন্য নিজস্ব মাঠ বাধ্যতামূলক করে মাঠের ব্যবস্থা করারও অঙ্গীকার করেন তিনি। 

পল্লবী রুপনগর থানা শিক্ষা প্রধান পরিষদের সভাপতি ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ আদর্শ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যাপিঠের অধ্যক্ষ মো. খালেকুজ্জামান জুয়েলের সভাপতিত্বে ও মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজি প্রভাষক মো. আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পল্লবী ও রুপনগর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা মো. মইনুল হক, মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহম্মদ মোস্তফা কামাল খোশনবীশ, মিরপুর আইডিয়াল গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ জিনাত ফারহানা, শহীদ আবু তালেব স্কুলের প্রধান শিক্ষক বোরহান উদ্দিন, এমআই মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল্লাহ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী রেজাউলনুল হোসেন রিয়াজ, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর সদস্য সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা, পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হুসাইন খান বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি পল্লবী রুপনগর থানাধীন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪০০ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি সনদ ও সন্মানি প্রদান করেন।

জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্ট
তেজগাঁও বিজিপ্রেস মাঠে দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তরের আন্ত:থানা ফুটবল টুর্নামেন্টের ভাটারা থানা ও কাফরুল থানার মধ্যকার ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথি থেকে খেলা উদ্বোধন করেন আমিনুল হক। এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, আকতার হোসেন, হাজী মো. ইউসুফ, সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার প্রমুখ। 
খেলায় ভাটারা থানা ২-০ গোলে কাফরুল থানাকে পরাজিত করে। 

স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা
মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বরে স্বেচ্ছাসেবকদল পল্লবী থানার কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। স্বেচ্ছাসেবকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ইয়াছিন আলী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী রেজাউলনুল হোসেন রিয়াজ, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর সদস্য সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা, ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি শেখ ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনি, সিনিয়র সহসভাপতি লিটন মাহমুদ বাবু বক্তব্য রাখেন।  

এর আগে সকালে তিনি মিরপুর ১১ নম্বরে মিরপুর পলাশনগরে বেলতলা রাস্তা উদ্বোধন করেন। সন্ধ্যায় শেরে বাংলা নগর ও পল্লবী ৬ নম্বর ওয়ার্ডে অসহায় ও দুস্থ শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি।

মো. জাকির হোসেন/মাহফুজ