ঢাকা ১২ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে: নজরুল ইসলাম খান

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৬ পিএম
নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে: নজরুল ইসলাম খান
কৃষক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ছবি: খবরের কাগজ

একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। 

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

কৃষক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকদল।

তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছি কিন্তু গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। তার কিছু প্রস্তুতি আছে, তা চলছে। আমরা আশা করি, এই পরিবর্তন শীঘ্রই সম্পন্ন হবে। প্রস্তুতি শেষে জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এখন যারা ক্ষমতায় আছে তারা জোর করে ক্ষমতা গ্রহণ করে নাই। দেশের জনগণ তাদের ক্ষমতা দিয়েছি। তারা দেশটাকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করবেন। আগের মত বিনাভোটে, রাতের ভোটে বা ডামি ভোট না, জনগণের ভোটে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করবেন। তারা জনগণের জন্য কাজ করবেন। দেশ থেকে দুর্নীতি, অনাচার উচ্ছেদ করবেন। গরীব মানুষদের সাহায্য করবেন, সহযোগীতা করবেন যেনো নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। কারো কাছ থেকে হাত পাততে না হয়। সে জন্য পরিবর্তন দরকার।’

আল্লাহর মেহেরবানি, সেই পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই দেশটাকে তো নিঃস্ব করে দিয়েছিল পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার। বিগত সরকার বছরে ১৬ হাজার কোটি ডলার বিদেশে পাচার করেছে। আমার দেশের গরিব শ্রমিক, মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমি বা মালয়েশিয়ার জঙ্গলে কাজ করে যে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠায় সেটা জনগণের কল্যানে না লাগিয়ে সেটা বাহিরে পাচার করে দিয়েছে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকদের আহ্বায়ক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকদলের সদস্য সচিব মীর হাসান কামাল তাপস প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/

জামায়াত-ইসলামী আন্দোলন সাক্ষাতে অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে: চরমোনাই পীর

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৮ পিএম
জামায়াত-ইসলামী আন্দোলন সাক্ষাতে অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে: চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের ‘নগর সম্মেলন-২৫’ এ প্রধান অতিথি চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের সৌজন্য সাক্ষাতে অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর। তিনি বলেন, ৫৩ বছরে যারা দেশকে ফ্যাসিবাদ ছাড়া কিছুই দিতে পারেনি। তাদেরকে নতুন করে দেখার কিছু নেই। দেশে নতুন করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর কাওরানবাজারের ওয়াসা ভবন সংলগ্ন সড়কে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের ‘নগর সম্মেলন-২৫’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চরমোনাই পীর বলেন, স্বাধীনতার পর সরকারগুলো জনগণের আশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এদেরকে নতুন করে দেখার আর কিছু নেই। ৫ আগস্টের পর একটি দল ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠছে। বিএনপি নতুন করে আর কী দেখাবে। ছাত্র-জনতার স্বতস্ফুর্ত অভ্যুত্থানের পর মানুষ আশার আলো দেখছে। নীতি ও আদর্শের নাম ইসলাম। যাদের কথা ও কাজে মিল আছে তাদেরকে ক্ষমতায় পাঠাতে হবে।

রেজাউল করিম বলেন, ৫ আগস্টের পর মানুষ নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। তারা ইসলামের পক্ষে একটি বাক্স চায়। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। দেশের ইসলামী ও সমমনা দলগুলোকে কীভাবে কাছে এনে একটি বৃহত্তর সমঝোতা গড়ে তোলা যায় এবং নির্বাচনে একটি বাক্স দেওয়া যায় সেটা জনগণের চাহিদা। 

নগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বায়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মুফতী দেলোয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।

সম্মেলন শেষে প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদকে সভাপতি ও মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলামকে সেক্রেটারী করে ২০২৫-২৬ সেশনের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায় দল গঠন করলে জনগণ হতাশ হবে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৯ পিএম
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩০ পিএম
রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায় দল গঠন করলে জনগণ হতাশ হবে: তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার উদ্যোগকে অবশ্যই বিএনপি স্বাগত জানাবে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে কেউ যদি রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রশাসনিক সহায়তা নেন, সেটি জনগণকে হতাশ করবে। কিংবা অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতি তাদের আচরণ কিংবা বক্তব্য যদি ঝগড়াসুলভ অথবা প্রতিহিংসামূলক হয় সেটিও জনগণের কাছে হবে অনাকাঙ্খিত। 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিক্ষক দিবস উপলক্ষে এক শিক্ষক সমাবেশে ভাচ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, দেশের ছাত্র-তরুণরা রাষ্ট্র রাজনীতি ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়েছে। এটি অবশ্যই একটি ইতিবাচক দিক। এসব তরুণরাই গত দেড় দশকে একটি নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি। আজকের তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ। অতীত থেকে বেরিয়ে এসে তারণরা নতুন পথ রচনা করবে। তবে কোনো প্রশ্নবিদ্ধ পথে নয়, পথটি হওয়া উচিত স্বচ্ছ এবং স্বাভাবিক। 

নির্বাচন নিয়ে বির্তক সৃষ্টি ‘পলাতক ফ্যাসিস্টদের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে’ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নির্বাচনই হচ্ছে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায় নিশ্চিত করার অন্যতম প্রধান কার্যকর হাতিয়ার। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে বির্তক সৃষ্টি করার অর্থ নিজেদের অজান্তে পরাজিত পলাতক ফ্যাসিস্টদের অবস্থানকে শক্তিশালী করা। 

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আপনাদের কোনো কার্যক্রম নিয়ে কেউ যাতে বিভ্রান্তি ছাড়ানো কিংবা বির্তক সৃষ্টি হওয়ার লিপ্ত হওয়ার সুযোগ না পায়, সে বিষয়ে অবশ্যই আপনাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। জনগণই বিএনপির সকল রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস্য। জনগণ সঙ্গে থাকলে কোন ষড়যন্ত্রই আমাদেরকে পরাজিত করতে পারবে না, ইনশাল্লাহ। 

শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পূঁথিগত বিধির ওপরে গণতন্ত্রের বিকাশ নির্ভর করে না। গণতন্ত্র বিকশিত এবং শক্তিশালী হয় প্রতিদিনের কার্যক্রম, আচরণে এবং চর্চায়। আমাদের মধ্যে অবশ্যই ভিন্নমত, ভিন্ন পথ থাকবে এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে আমাদের উদ্দেশ্য এক এবং অভিন্ন। আমাদের সবার উদ্দেশ্য একটি উদার, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। মাফিয়ামুক্ত বাংলাদেশে বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সুযোগ এবং সম্ভাবনা হুমকির সম্মুখিন না হয় সে ব্যাপারে সবাই সর্তক থাকতে হবে। সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্বেও এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।  

তারেক রহমান বলেন, ‘সংস্কার এবং নির্বাচন বিএনপি দুইটারই পক্ষে, দুইটিই অত্যন্ত জরুরি। সংস্কার নাকি নির্বাচন- কেউ কেউ এমন উদ্দেশপ্রণোদিত প্রশ্ন নিয়ে কুটতর্ক করার অপচেষ্টা করেছে। দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে কোটি কোটি পরিবারের কাছে এই মূহুর্তে নির্বাচন এবং সংস্কারের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সংসার পরিচালনা করা। একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি অপরদিকে জনগণের চাপিয়ে দেওয়া ভ্যাটের বোঝা। ফলে দেশের কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, স্বল্প আয়ের মানুষ এমনকি নিম্ন-মধ্যবিত্ত অনেক পরিবারে চলছে নীরব হাহাকার।  

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে তারেক রহমান বলেন, উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে বাজারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করাসহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের ওপর ভ্যাটের বোঝা কেন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে? এই সরকার এখনও কেনো বাজার সিন্ডিকেট নষ্ট করতে পারেনি। 

এ সময় সরকারের কেউ কেউ অন্যদিকে মনোযোগী হওয়ায় দ্রব্যমূল্য সরকারের অধীনে আসছে না বলে এমনটা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্ন তোলেন তারেক রহমান।

শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় শিক্ষক সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সিনিয়ির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বিভিন্ন জেলার শিক্ষকরা। 

এই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহসানুল হক মিলনসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল/মেহেদী/

খেলাফত মজলিসে আমির বাছিত, মহাসচিব কাদের পুনর্নির্বাচিত

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম
খেলাফত মজলিসে আমির বাছিত, মহাসচিব কাদের পুনর্নির্বাচিত
ছবি: খবরের কাগজ

মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ খেলাফত মজলিসের আমির এবং আহমদ আবদুল কাদের মহাসচিব পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। তারা ২০২৫-২৬ সাল মেয়াদে দায়িত্ব পেয়েছেন। 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর শাহজাহানপুরে মাহবুব আলী ইনস্টিটিউটে দলের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অধিবেশনে তাদের আমির ও মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়। এই অধিবেশনে দলের আমির ও মহাসচিব ছাড়াও ১১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়েছে। পরে সবার শপথ অনুষ্ঠান হয়।

খেলাফত মজলিস জানিয়েছে, মজলিসে শুরার এই অধিবেশনে দলের আমির আবদুল বাছিত আজাদকে প্রধান করে ৬৪ সদস্যের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদে ৩৫ জন নারী সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নবনির্বাচিত নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা হলেন নায়েবে আমির সাখাওয়াত হোসাইন, আহমদ আলী কাসেমী, হাফিজ মজদুদ্দিন আহমদ, আবদুল্লাহ ফরিদ, আবদুল কাদির সালেহ, সিরাজুল হক, সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, আবদুল হামিদ; যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এ বি এম সিরাজুল মামুন, মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, মো. আবদুল জলিল, সদরুজ্জামান খান, এ এ তাওসিফ; সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, কাজী মিনহাজুল আলম, আহমদ আসলাম, সামছুজ্জামান চৌধুরী, আবদুল মজিদ, মাওলানা এস এম খুরশিদ আলম, শেখ সালাহ উদ্দিন; সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, হাসানুজ্জামান হেলাল, আসাদুল্লাহ, খন্দকার শাহাবুদ্দিন আহমদ, আবদুল হক আমিনী, বোরহান উদ্দিন সিদ্দিকী, আবু সালমান, আবদুল হান্নান; বায়তুলমাল সম্পাদক আবু সালেহীন; সমাজকল্যাণ ও শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান ফিরোজ; পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এ কে এম মাহবুবুল আলম; শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবু সালমান; প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম; সাংস্কৃতিক সম্পাদক রুহুল আমীন সাদী; প্রচার, প্রকাশনা ও তথ্য সম্পাদক আবদুল হাফিজ খসরু; স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রিফাত হোসেন মালিক; দাওয়াহবিষয়ক সম্পাদক শিহাবুদ্দীন; শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আবদুল করিম; আইনবিষয়ক সম্পাদক শায়খুল ইসলাম; ওলামাবিষয়ক সম্পাদক আলী হাসান উসামা; যুববিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম; কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান; মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা নাসরিন বেগম; মহিলাবিষয়ক সহকারী সম্পাদিকা রায়হানা লোপা প্রমুখ।

মেহেদী/

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর মাধ্যমে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারব: আমিনুল হক

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর মাধ্যমে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারব: আমিনুল হক
মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজে বৃত্তি প্রদান করেন আমিনুল হক। ছবি: সংগৃহীত

পাঠ্যপুস্তকে নতুনভাবে বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাসকে তুলে ধরতে হবে জানিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, পাঠ্যপুস্তকে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর সমাজ ও সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারব।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজে ‘আমিনুল হক শিক্ষা বৃত্তি সনদ ও সন্মানি প্রদান-২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার আমাদের সন্তানদেরকে ভূল ইতিহাস শিখিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার জোর করে তার পরিবারের মিথ্যা ইতিহাস আমাদের সন্তানদেরকে পড়ানো হয়েছে। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার যে রুপরেখা দিয়েছেন, সেই রুপরেখার ভিতরে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন বলে তিনি তার বক্তব্যে জানান। 

আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার দেশের কোনো উন্নয়ন করেনি। উন্নয়নের নামে নিজেদের পকেটের উন্নয়ন করেছে। এদেশের জনগণের ২৮ লক্ষ কোটি টাকা তারা বিদেশে পাচার করে আওয়ামী লীগের নেতারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোম বানিয়েছে। কিন্তু এদেশের সাধারণ মানুষের দিকে তাদের কোনো খেয়াল ছিল না। 

জনগণের ভোটের মাধ্যমে বিএনপি সরকার গঠন করলে দেশের প্রতিটি স্কুল কলেজের জন্য নিজস্ব মাঠ বাধ্যতামূলক করে মাঠের ব্যবস্থা করারও অঙ্গীকার করেন তিনি। 

পল্লবী রুপনগর থানা শিক্ষা প্রধান পরিষদের সভাপতি ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ আদর্শ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যাপিঠের অধ্যক্ষ মো. খালেকুজ্জামান জুয়েলের সভাপতিত্বে ও মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজি প্রভাষক মো. আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পল্লবী ও রুপনগর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা মো. মইনুল হক, মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহম্মদ মোস্তফা কামাল খোশনবীশ, মিরপুর আইডিয়াল গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ জিনাত ফারহানা, শহীদ আবু তালেব স্কুলের প্রধান শিক্ষক বোরহান উদ্দিন, এমআই মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল্লাহ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী রেজাউলনুল হোসেন রিয়াজ, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর সদস্য সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা, পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হুসাইন খান বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি পল্লবী রুপনগর থানাধীন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪০০ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি সনদ ও সন্মানি প্রদান করেন।

জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্ট
তেজগাঁও বিজিপ্রেস মাঠে দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তরের আন্ত:থানা ফুটবল টুর্নামেন্টের ভাটারা থানা ও কাফরুল থানার মধ্যকার ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথি থেকে খেলা উদ্বোধন করেন আমিনুল হক। এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, আকতার হোসেন, হাজী মো. ইউসুফ, সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার প্রমুখ। 
খেলায় ভাটারা থানা ২-০ গোলে কাফরুল থানাকে পরাজিত করে। 

স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা
মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বরে স্বেচ্ছাসেবকদল পল্লবী থানার কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। স্বেচ্ছাসেবকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ইয়াছিন আলী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী রেজাউলনুল হোসেন রিয়াজ, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর সদস্য সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা, ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি শেখ ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনি, সিনিয়র সহসভাপতি লিটন মাহমুদ বাবু বক্তব্য রাখেন।  

এর আগে সকালে তিনি মিরপুর ১১ নম্বরে মিরপুর পলাশনগরে বেলতলা রাস্তা উদ্বোধন করেন। সন্ধ্যায় শেরে বাংলা নগর ও পল্লবী ৬ নম্বর ওয়ার্ডে অসহায় ও দুস্থ শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি।

মো. জাকির হোসেন/মাহফুজ

সরকার ও দলগুলোর বিরোধ আ.লীগকে পুনর্বাসিত করবে: নুর

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৬ পিএম
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৬ পিএম
সরকার ও দলগুলোর বিরোধ আ.লীগকে পুনর্বাসিত করবে: নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ছবি: খবরের কাগজ

অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মুখোমুখি অবস্থান চলমান থাকলে আওয়ামী লীগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্বাসিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। একই সঙ্গে গত পাঁচ মাসে এই সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে অবিলম্বে জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউতে পেশাজীবী অধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

আলোচনায় ক্ষমতাচ্যূত আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘অতীতে যারা সরকার গঠন করেছে তারাই ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। সরকারকে বলবো আপনারা ব্যর্থ হইয়েন না। সকল রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে নিয়ে বসুন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে রোডম্যাপ প্রকাশ করুন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করার ফলাফল ভাল হবে না। কারণ আওয়ামী লীগ পুনরায় ভয়ংকররূপে ফেরার পাঁয়তারা করছে। অথচ অনেকেই ভাগ-বাঁটোয়ারা আর ক্ষমতায় যাওয়া নিয়ে ব্যস্ত। আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সবাইকে একমত হতে হবে। এখনকার ছাত্র নেতাদের কর্মকাণ্ড কলঙ্কিত হলে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হবে।' 

এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘এই সরকার ক্রমশ জনআকাঙ্ক্ষার বিপরীতে ধাবিত হচ্ছে। একইসঙ্গে যারা আন্দোলন করেছে সবাই যার যার ধান্দা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগকে দেশে ফেরাতে অনেক আন্তর্জতিক সম্প্রদায় কাজ করছে। ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক ব্যবস্থা বিলুপ্তির জন্য আমরা এবার নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চেয়েছি৷ অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে রাজনৈতিক দল ও সরকার মুখোমুখি অবস্থানে। এই বিভাজনেই দেশে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হতে পারে। আমি মনে করি জাতীয় সরকার ছাড়া কোন ভাবেই সংষ্কার সম্ভব নয়। জনগণ কাউকে এককভাবে ক্ষমতায় বসাতে চায় না। জাতীয় সরকার গঠনের বিষয়ে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন তারা জাতীয় সরকার চেয়েছিল তবে বিএনপি জাতীয় সরকার চায় না। তবে আমরা প্রথম থেকেই জাতীয় সরকার গঠনের বিষয়ে বলে এসেছি। কারণ গেলো পাঁচ মাসে এই সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সংকট সমাধানে অবিলম্বে এই উপদেষ্টা পরিষদ পুর্নগঠন করে জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানাই।’ 

আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি ডা. জাফর মাহমুদ, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান। 

এছাড়া বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য আবু হানিফ, অ্যাডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শামসুল আলম প্রমুখ।

এলিস/মেহেদী/