ঢাকা ১২ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

মাগুরা জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ পিএম
মাগুরা জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
আলী আহমেদ-মনোয়ার হোসেন খান

মাগুরা জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সদ্য সাবেক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহমেদকে পুনরায় আহ্বায়ক ও মনোয়ার হোসেন খানকে সদস্যসচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত কমিটিতে ৯ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে।

যুগ্ম আহ্বায়ক ৯ জন হচ্ছেন- সাবেক সদস্যসচিব আখতার হোসেন, আহসান হাবিব কিশোর, ফারুকুজ্জামান ফারুক, খাঁন হাসান ইমাম সুজা, অ্যাডভোকেট রোকুনুজ্জামান, আলমগীর হোসেন, মিথুন রায় চৌধুরী, শাহেদ হাসান টগর ও পিকুল খান।

কাশেমুর রহমান/অমিয়/

রাজনীতিতে চরম অস্থিরতা উত্তাপ ছড়ালেও সতর্ক বিএনপি

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫০ এএম
উত্তাপ ছড়ালেও সতর্ক বিএনপি
খবরের কাগজ ইনফোগ্রাফ

বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে কিছুটা উত্তাপ ছড়িয়েছে। এই উত্তাপকে কেন্দ্র করে আবার ছড়িয়ে পড়েছে নানা গুজবও। জনমনেও কৌতূহল বেড়েছে- কী হচ্ছে, কী হবে।

তবে এমন পরিস্থিতিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি আর উত্তাপ না বাড়িয়ে সতর্ক অবস্থানে থাকবে, যাতে দেশে আর কোনো রাজনৈতিক সংকট তৈরি না হয়। কারণ দেশে সংকট তৈরি হলে ‘রাজনৈতিক লোকসান’ বিএনপিরই বেশি হবে বলে দলটির নীতিনির্ধারকদের পাশাপাশি সমর্থক ও সুধী সমাজের প্রতিনিধিরাও মনে করেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ খবরের কাগজকে বলেন, পাল্টাপাল্টি বক্তব্য না হলেই ভালো হতো। এটা দুঃখজনক। পাল্টাপাল্টি বক্তব্য থেকে বড় ধরনের কিছু হবে বলেও মনে হয় না। রাজনীতিবিদরা এই ধরনের কথা বলে থাকেন। এগুলো মূলত একে অপরকে চাপে রাখার একটা কৌশল।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করে নিরপেক্ষ ভোটের আয়োজন করতে হবে। নির্বাচনের জন্য পুলিশ, প্রশাসন, আমলা, ভোটার তালিকাসহ নানা কিছু প্রয়োজন। ফলে এগুলো ঠিক করতে একটু সময় লাগবে। এটা সব পক্ষকেই বুঝতে হবে। আলাউদ্দিনের চেরাগ কারও কাছে নেই যে বসলেই সবকিছুর সমাধান হয়ে যাবে। একে অপরকে সন্দেহ-অবিশ্বাস করলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর মানুষ যে আশা দেখতে পেয়েছিল তা হতাশ করা হচ্ছে। 

রাজনীতিবিদরা এগুলো না করলেই পারেন। আর যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের বাদানুবাদে লিপ্ত না হওয়াই শ্রেয়। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু খবরের কাগজকে বলেন, এখন তো দেশে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ নেই। গণতান্ত্রিক দেশে সবাই সব ধরনের বক্তব্য দিতে পারেন। এটাই ডেমোক্রেসি। বিএনপি যতদ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায়। 

তিনি বলেন, এখন তো কোনো দলই সরকারে নেই। সরকারে থেকে কেউ যদি দল করে তাহলে তো নিরপেক্ষতা হারাবে। সরকার থেকে কেউ যদি দল গঠন করে তাহলে সেটা ‘কিংস পার্টি’ হবে। তাহলে তারা সরকারে থাকতে পারবে না। রাজনৈতিক দল গঠন করলে সরকার থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। 

বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক খবরের কাগজকে জানিয়েছেন, রাজনীতিতে তারা এখন কৌশলগত দিক থেকে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। কারণ যেকোনো প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হোক না কেন, বড় দল হিসেবে বিএনপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা বেশি। কারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ এখনো অনিশ্চিত। জাতীয় পার্টিও নানামুখী চাপের মুখে রয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর নানামুখী তৎপরতা থাকলেও তাদের ভোট ৭ শতাংশের বেশি নয়। 

সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনে জামায়াত ৪ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। ফলে সারা দেশে ব্যাপক সাংগঠনিক কার্যক্রম চালালেও আগামী নির্বাচনে তাদের ভোট কত শতাংশ বাড়বে, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। আর ভোট বাড়লেও বিএনপির কাছাকাছি যাবে এমন সম্ভাবনার কথা কেউ বিশ্বাসও করে না। বাকি দলগুলোর ভোট পাওয়ার শতকরা যে হার, তা ক্ষমতায় যাওয়ার মতো নয়। ক্ষমতায় যেতে হলে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট লাগবে। সুতরাং সবদিক থেকে বিএনপিই সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে বলে দেশের রাজনীতিতে আলোচনা আছে। 

বিগত চারটি নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ৩০.৮১ শতাংশ ভোট পেয়ে সরকার গঠন করে। আর আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ৩০.০৮ শতাংশ ভোট। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ৩৭.৪৪ শতাংশ ভোট পেয়ে সরকার গঠন করে। সেই নির্বাচনে বিএনপি পেয়েছিল ৩৩.৬১ শতাংশ ভোট। ২০০১ সালে বিএনপি ৪০.৮৬ শতাংশ ভোট পেয়ে সরকার গঠন করে, আর আওয়ামী লীগ ৪০.২১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ৪৯ শতাংশ এবং বিএনপি ৩৩.২০ শতাংশ ভোট পায়। সেই হিসাবে আগামী দিনেও রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে হলে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট প্রয়োজন। 

বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মতে, জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের সম্মুখ সারিতে ছাত্রসমাজ থাকলেও এর সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী বিএনপি। তাই তুচ্ছ ঘটনায় বা সংকট সৃষ্টি করে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ হারাতে বিএনপি রাজি নয়। পাশাপাশি অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা বা অঘটন ঘটলে তার দায় বিএনপির ওপর যাতে না বর্তায়, সেই লক্ষ্যে দলটি সতর্ক থাকতে চায়। 

জানা গেছে, কৌশলগত এমন অবস্থানের কারণেই আগস্ট বিপ্লবের পর থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখন পর্যন্ত বিতর্কিত কোনো মন্তব্য করেননি। প্রথম থেকেই বক্তব্য-বিবৃতিতে সংযত থাকার পাশাপাশি রাজনৈতিক দিক থেকে ইতিবাচক অবস্থানে থাকার চেষ্টা করছেন তারেক রহমান। গত ৬ মাসে তার বক্তব্য-বিবৃতি সুধী সমাজের মধ্যেও গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে বলে ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়েছে।

সূত্রমতে, বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের গত দুই দিনের বক্তব্য নিয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে। অনানুষ্ঠানিক ওই সব আলোচনায় হঠকারী কোনো কথা না বলার জন্য দলের হাইকমান্ড থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমান বলেছেন, সবাইকে সংযত হয়ে গঠনমূলক বক্তব্য দিতে হবে, যাতে জুলাই-আগস্টের বিপ্লব তথা বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার পথ ভণ্ডুল না হয়। 

সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যদি নিরপেক্ষ না থাকে, তাহলে নির্বাচনের সময় একটা নিরপেক্ষ সরকার দরকার হবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে না পারলে নির্বাচনের আয়োজন করতে পারবে না। মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে। এরপর থেকেই পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। আরেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, উপদেষ্টারা কেউ রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়ে করবেন। এসব বক্তব্য রাজনীতিতে বেশ উত্তাপ ছড়ায় এবং এরই সূত্র ধরে নানা গুজব ডালপালা মেলতে শুরু করে। এর আগেও সংস্কার, নির্বাচনের দিনক্ষণ, সংবিধান সংশোধন ও রাষ্ট্রপতির অপসারণের উদ্যোগসহ নানা ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সরকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় মতবিরোধ জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়েছে। 

এ ছাড়া প্রশাসনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রদবদল নিয়ে সরকার, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রসমাজের মধ্যে সমন্বয় হচ্ছে না বলে আলোচনা আছে।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। কারও সঙ্গে কোনো দূরত্ব তৈরি হয়নি। কোনো ধরনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছি না, আমরা আমাদের গঠনমূলক বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করছি।’ 

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘সংস্কারের জন্য নির্বাচন দরকার, আবার নির্বাচনের জন্য সংস্কার দরকার। নির্বাচন দিতে হলেও কতগুলো বিষয়ে সংস্কারে বিষয়ে সবাই একমত হবে। তবে আমরা মৌলিক সংস্কারের পক্ষে। সংস্কারের জন্য জনগণই আসল চালিকাশক্তি এবং জনগণ তার এই ক্ষমতা প্রয়োগ করে নির্বাচনের মাধ্যমে। সুতরাং জনগণের ভোটেই যেন প্রতিনিধি নির্বাচিত হন সে জন্য অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট হতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের সীমিত কিছু সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দেওয়া প্রয়োজন। মৌলিক সংস্কারের জন্য নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ 

তিনি বলেন, অবৈধভাবে চাঁদাবাজি করে দল গঠন করা যাবে না। বর্তমানে রাজনৈতিক দল গঠন করার জন্য হেলিকপ্টারে করে বিভিন্ন জায়গায় মিটিং করতে যান সরকারের কেউ কেউ। এই টাকাগুলো কোথা থেকে এল তার হিসাব দেওয়া জরুরি। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক অপরিপক্বতা, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, দেশপ্রেমের অভাব ও নির্বাচনে দেরি- এগুলোই সমস্যার মূল কারণ। নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে দ্বন্দ্বের কি আছে? সংস্কার তো সবাই চায়। সংবিধান, প্রশাসন, পুলিশ, নির্বাচন কমিশনসহ কয়েকটি জায়গায় মৌলিক সংস্কার করে এই বছরের নির্বাচন দিলেই সংকট কেটে যাবে। ছাত্ররা যে সংস্কার চাইছে তা এক বা দুই দিনে করা সম্ভব নয়, এটা ধারাবাহিকভাবে চলবে। অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশের জন্য ক্ষতি। নির্বাচিত সরকার দেশ চালাবে এই কথাটা সবাইকে মাথায় নিতে হবে। বিএনপিকে মাইনাসের চিন্তা করলে ভুল করবে। 

তিনি বলেন, ছাত্ররা রাজনৈতিক দল গঠন করলে তাকে স্বাগত জানাব। কিন্তু সরকারের ভেতর থেকে ‘কিংস পার্টি’ গঠন করবে, নির্বাচন অংশ নেবে তাহলে সেই নির্বাচন কীভাবে নিরপেক্ষ হবে? প্রয়োজনে ছাত্ররা পদত্যাগ করে দল গঠন করুক। তাহলে কোনো বিতর্ক থাকবে না। ছাত্ররা দল গঠন করতে এত টাকা পাচ্ছে কোথা থেকে? এই সরকার নিরপেক্ষ না থাকলে কীভাবে সংস্কার হবে? তাই উপদেষ্টাদের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচন দিয়ে সরে যাওয়া উচিত।

দিলারা চৌধুরী বলেন, নিজেদের আদর্শ ত্যাগ করে ‘কিংস পার্টি’ গঠন করলে ছাত্রদের গায়ে কালিমা লাগবে। কিন্তু ভবিষ্যতে ছাত্রদের কেউ সম্মান করবে না, তাদের সবাইকে ধান্দাবাজ বলবে। ছাত্রদের ঐতিহ্য ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া যাবে না। তাই তাদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করার দিকে নজর দেওয়া উচিত।

মির্জা ফখরুলের জন্মদিন আজ

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৯ এএম
মির্জা ফখরুলের জন্মদিন আজ
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ৭৮তম জন্মদিন আজ ২৬ জানুয়ারি। ১৯৪৮ সালের এই দিনে ঠাকুরগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

ষাটের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন মির্জা ফখরুল। পরে সরকারি কলেজে অর্থনীতির শিক্ষকতা করেছেন। ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারে কৃষি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মির্জা ফখরুল। 

২০১১ সালের মার্চে বিএনপি মহাসচিব খন্দকার দেলওয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পান। ২০১৬ সালে বিএনপির মহাসচিব নির্বাচিত হন তিনি। তার আগে তিনি দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার একটি আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও সংসদে যোগ দেননি মির্জা ফখরুল। দলের বাকি নির্বাচিতরা শপথ নিলেও বিএনপির মহাসচিব তা এড়িয়ে যান। 

ব্যক্তিগত জীবনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবাহিত এবং দুই মেয়ের বাবা। বড় মেয়ে মির্জা শামারুহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষে সেখানেই শিক্ষকতা শুরু করেন। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে কর্মরত আছেন। ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন।

জামায়াত-ইসলামী আন্দোলন সাক্ষাতে অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে: চরমোনাই পীর

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৮ পিএম
জামায়াত-ইসলামী আন্দোলন সাক্ষাতে অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে: চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের ‘নগর সম্মেলন-২৫’ এ প্রধান অতিথি চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের সৌজন্য সাক্ষাতে অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর। তিনি বলেন, ৫৩ বছরে যারা দেশকে ফ্যাসিবাদ ছাড়া কিছুই দিতে পারেনি। তাদেরকে নতুন করে দেখার কিছু নেই। দেশে নতুন করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর কাওরানবাজারের ওয়াসা ভবন সংলগ্ন সড়কে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের ‘নগর সম্মেলন-২৫’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চরমোনাই পীর বলেন, স্বাধীনতার পর সরকারগুলো জনগণের আশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এদেরকে নতুন করে দেখার আর কিছু নেই। ৫ আগস্টের পর একটি দল ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠছে। বিএনপি নতুন করে আর কী দেখাবে। ছাত্র-জনতার স্বতস্ফুর্ত অভ্যুত্থানের পর মানুষ আশার আলো দেখছে। নীতি ও আদর্শের নাম ইসলাম। যাদের কথা ও কাজে মিল আছে তাদেরকে ক্ষমতায় পাঠাতে হবে।

রেজাউল করিম বলেন, ৫ আগস্টের পর মানুষ নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। তারা ইসলামের পক্ষে একটি বাক্স চায়। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। দেশের ইসলামী ও সমমনা দলগুলোকে কীভাবে কাছে এনে একটি বৃহত্তর সমঝোতা গড়ে তোলা যায় এবং নির্বাচনে একটি বাক্স দেওয়া যায় সেটা জনগণের চাহিদা। 

নগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বায়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মুফতী দেলোয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।

সম্মেলন শেষে প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদকে সভাপতি ও মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলামকে সেক্রেটারী করে ২০২৫-২৬ সেশনের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায় দল গঠন করলে জনগণ হতাশ হবে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৯ পিএম
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩০ পিএম
রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায় দল গঠন করলে জনগণ হতাশ হবে: তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার উদ্যোগকে অবশ্যই বিএনপি স্বাগত জানাবে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে কেউ যদি রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রশাসনিক সহায়তা নেন, সেটি জনগণকে হতাশ করবে। কিংবা অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতি তাদের আচরণ কিংবা বক্তব্য যদি ঝগড়াসুলভ অথবা প্রতিহিংসামূলক হয় সেটিও জনগণের কাছে হবে অনাকাঙ্খিত। 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিক্ষক দিবস উপলক্ষে এক শিক্ষক সমাবেশে ভাচ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, দেশের ছাত্র-তরুণরা রাষ্ট্র রাজনীতি ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়েছে। এটি অবশ্যই একটি ইতিবাচক দিক। এসব তরুণরাই গত দেড় দশকে একটি নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি। আজকের তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ। অতীত থেকে বেরিয়ে এসে তারণরা নতুন পথ রচনা করবে। তবে কোনো প্রশ্নবিদ্ধ পথে নয়, পথটি হওয়া উচিত স্বচ্ছ এবং স্বাভাবিক। 

নির্বাচন নিয়ে বির্তক সৃষ্টি ‘পলাতক ফ্যাসিস্টদের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে’ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নির্বাচনই হচ্ছে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায় নিশ্চিত করার অন্যতম প্রধান কার্যকর হাতিয়ার। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে বির্তক সৃষ্টি করার অর্থ নিজেদের অজান্তে পরাজিত পলাতক ফ্যাসিস্টদের অবস্থানকে শক্তিশালী করা। 

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আপনাদের কোনো কার্যক্রম নিয়ে কেউ যাতে বিভ্রান্তি ছাড়ানো কিংবা বির্তক সৃষ্টি হওয়ার লিপ্ত হওয়ার সুযোগ না পায়, সে বিষয়ে অবশ্যই আপনাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। জনগণই বিএনপির সকল রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস্য। জনগণ সঙ্গে থাকলে কোন ষড়যন্ত্রই আমাদেরকে পরাজিত করতে পারবে না, ইনশাল্লাহ। 

শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পূঁথিগত বিধির ওপরে গণতন্ত্রের বিকাশ নির্ভর করে না। গণতন্ত্র বিকশিত এবং শক্তিশালী হয় প্রতিদিনের কার্যক্রম, আচরণে এবং চর্চায়। আমাদের মধ্যে অবশ্যই ভিন্নমত, ভিন্ন পথ থাকবে এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে আমাদের উদ্দেশ্য এক এবং অভিন্ন। আমাদের সবার উদ্দেশ্য একটি উদার, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। মাফিয়ামুক্ত বাংলাদেশে বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সুযোগ এবং সম্ভাবনা হুমকির সম্মুখিন না হয় সে ব্যাপারে সবাই সর্তক থাকতে হবে। সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্বেও এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।  

তারেক রহমান বলেন, ‘সংস্কার এবং নির্বাচন বিএনপি দুইটারই পক্ষে, দুইটিই অত্যন্ত জরুরি। সংস্কার নাকি নির্বাচন- কেউ কেউ এমন উদ্দেশপ্রণোদিত প্রশ্ন নিয়ে কুটতর্ক করার অপচেষ্টা করেছে। দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে কোটি কোটি পরিবারের কাছে এই মূহুর্তে নির্বাচন এবং সংস্কারের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সংসার পরিচালনা করা। একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি অপরদিকে জনগণের চাপিয়ে দেওয়া ভ্যাটের বোঝা। ফলে দেশের কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, স্বল্প আয়ের মানুষ এমনকি নিম্ন-মধ্যবিত্ত অনেক পরিবারে চলছে নীরব হাহাকার।  

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে তারেক রহমান বলেন, উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে বাজারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করাসহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের ওপর ভ্যাটের বোঝা কেন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে? এই সরকার এখনও কেনো বাজার সিন্ডিকেট নষ্ট করতে পারেনি। 

এ সময় সরকারের কেউ কেউ অন্যদিকে মনোযোগী হওয়ায় দ্রব্যমূল্য সরকারের অধীনে আসছে না বলে এমনটা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্ন তোলেন তারেক রহমান।

শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় শিক্ষক সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সিনিয়ির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বিভিন্ন জেলার শিক্ষকরা। 

এই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহসানুল হক মিলনসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল/মেহেদী/

খেলাফত মজলিসে আমির বাছিত, মহাসচিব কাদের পুনর্নির্বাচিত

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম
খেলাফত মজলিসে আমির বাছিত, মহাসচিব কাদের পুনর্নির্বাচিত
ছবি: খবরের কাগজ

মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ খেলাফত মজলিসের আমির এবং আহমদ আবদুল কাদের মহাসচিব পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। তারা ২০২৫-২৬ সাল মেয়াদে দায়িত্ব পেয়েছেন। 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর শাহজাহানপুরে মাহবুব আলী ইনস্টিটিউটে দলের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অধিবেশনে তাদের আমির ও মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়। এই অধিবেশনে দলের আমির ও মহাসচিব ছাড়াও ১১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়েছে। পরে সবার শপথ অনুষ্ঠান হয়।

খেলাফত মজলিস জানিয়েছে, মজলিসে শুরার এই অধিবেশনে দলের আমির আবদুল বাছিত আজাদকে প্রধান করে ৬৪ সদস্যের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদে ৩৫ জন নারী সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নবনির্বাচিত নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা হলেন নায়েবে আমির সাখাওয়াত হোসাইন, আহমদ আলী কাসেমী, হাফিজ মজদুদ্দিন আহমদ, আবদুল্লাহ ফরিদ, আবদুল কাদির সালেহ, সিরাজুল হক, সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, আবদুল হামিদ; যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এ বি এম সিরাজুল মামুন, মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, মো. আবদুল জলিল, সদরুজ্জামান খান, এ এ তাওসিফ; সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, কাজী মিনহাজুল আলম, আহমদ আসলাম, সামছুজ্জামান চৌধুরী, আবদুল মজিদ, মাওলানা এস এম খুরশিদ আলম, শেখ সালাহ উদ্দিন; সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, হাসানুজ্জামান হেলাল, আসাদুল্লাহ, খন্দকার শাহাবুদ্দিন আহমদ, আবদুল হক আমিনী, বোরহান উদ্দিন সিদ্দিকী, আবু সালমান, আবদুল হান্নান; বায়তুলমাল সম্পাদক আবু সালেহীন; সমাজকল্যাণ ও শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান ফিরোজ; পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এ কে এম মাহবুবুল আলম; শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবু সালমান; প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম; সাংস্কৃতিক সম্পাদক রুহুল আমীন সাদী; প্রচার, প্রকাশনা ও তথ্য সম্পাদক আবদুল হাফিজ খসরু; স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রিফাত হোসেন মালিক; দাওয়াহবিষয়ক সম্পাদক শিহাবুদ্দীন; শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আবদুল করিম; আইনবিষয়ক সম্পাদক শায়খুল ইসলাম; ওলামাবিষয়ক সম্পাদক আলী হাসান উসামা; যুববিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম; কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান; মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা নাসরিন বেগম; মহিলাবিষয়ক সহকারী সম্পাদিকা রায়হানা লোপা প্রমুখ।

মেহেদী/