ঢাকা ৫ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

বহুমতের রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৪ পিএম
বহুমতের রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে: তারেক রহমান
বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রত্যাশার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, হারিয়ে যাওয়া আইনের শাসন, স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং বহুমত ও পথের রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে শহিদ বুদ্ধিজীবীরা আমাদের প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে যাবেন।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে শাহাদৎবরণকারী দেশের প্রথম শ্রেণির শহিদ বুদ্ধিজীবীদের অম্লান স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এই বাণী দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

তারেক রহমান বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির ইতিহাসে এক মর্মস্পর্শী ও শোকাবহ দিন। অমর বুদ্ধিজীবীগণ দেশের ক্ষণজন্মা শ্রেষ্ঠ সন্তান, যারা একটি সমৃদ্ধ এবং মাথা উঁচু করা জাতি দেখতে চেয়েছিলেন। তারা ন্যায় বিচারভিত্তিক শোষণমুক্ত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু হানাদার বাহিনীর দোসররা চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশুণ্য করতে পরিকল্পিত এ হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করে।

তিনি বলেন,  স্বাধীনতার পরেই অগণতান্ত্রিক শক্তি তাদের মুখোশ খুলে ফেলে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর ন্যায় দেশের মানুষের সর্বজনীন গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো একের পর এক হরণ করতে থাকে। এক নদী রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ত্ব দিনে দিনে দূর্বল করে এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রত্যাশা ধূলিসাৎ করে। সেই দুঃশাসনের ঐতিহ্য ধারণ করে তাদের উত্তরসূরী আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা বিভেদ অনৈক্য এবং সংকীর্ণতা, গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের দ্বারা ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়া ও জাতীয় অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল এবং গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সুতরাং আমাদের রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ এবং দেশকে একটি সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর ও শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করার বদলে একদলীয় দু:শাসনের বাতাবরণ তৈরি করে। সুতরাং আজ পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমাদের পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রকৃত গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। আমি শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।

এদিকে পৃথক আরেক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শহিদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, যার আদর্শ হবে গণতন্ত্র। সেই স্বপ্ন এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। তাদের স্বপ্ন পূরণে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সর্বজনীন অধিকার, সেটি সমুন্নত রাখতে আমাদের মিলিত শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

মুক্তিযুদ্ধের সত্য-সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৯ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪২ পিএম
মুক্তিযুদ্ধের সত্য-সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি

মুক্তিযুদ্ধের সবার সঠিক সত্য ইতিহাস তুলে ধরলেই সবাই সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, সবার ইতিহাস যদি আমরা নিতে আসতে পারি তাহলেই সত্য ও সঠিক ইতিহাস সবাই জানতে পারবে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে শহিদ আবু সাইদ কনভেনশন সেন্টারে 'শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান: যার গল্প আমাদের আদর্শ' শীর্ষক আলোচনা সভায় আগন্তুকের প্রশ্নের সম্পূরক উত্তরে ভাচ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দুই পর্বের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।

তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্র মানে মতপ্রকাশ বা অধিকার প্রয়োগ। ভোটের মাধ্যমে মানুষ সেটা প্রকাশ করে থাকে। বাংলাদেশে বিভিন্ন দলের আদর্শের মধ্যে পার্থক্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে যেকোনো মূল্যে কথা বলার অধিকার থাকতে হবে, ভোটদানের ক্ষমতা থাকতে হবে না এ বিষয়ে দলমত নির্বিশেষে ঐকমত্য থাকতে হবে। সেইসঙ্গে মানুষের ভোটদানের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই আমরা আগামী ১৫/২০ বছর গণতন্ত্র ধ্বংসের রাহু থেকে মুক্ত থাকবো। স্বৈরাচারমুক্ত পরিবেশ আমরা ধীরে ধীরে গড়ে তুলতে পারবো।

বাবার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে আমরা তিনভাবে দেখতে পাই।

প্রথমত- একজন সৈনিকের দায়িত্ব সঠিক পালন করেছেন। আমি তিনি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে। যখন সময়ে সেই সময়ে মানুষকে রক্ষার জন্য স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মুক্তিযুদ্ধের উজ্জীবিত ও সাধারণ মানুষদের যুদ্ধে যাওয়ার জন্য উজ্জীবিত করেছেন। আগামী দিনে যারা সশস্ব বাহিনীতে আসবেন তারা জিয়াউর রহমানের আর্দশ তাদেরকে উজ্জীবিত করবেন।

দ্বিতীয়ত- দেশের প্রয়োজনে শহিদ জিয়াউর রহমানকে রাজনীতিবিদ হিসেব আবির্ভুত হয়ে ছিলেন। রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি শুধু ঢাকা ভেতরের বসে থাকেনি। মানুষের কাছে ছুটে গিয়েছেন। তাদের সমস্যার কথা শুনে ১৯ দফা দিয়েছেন। জাতিকে বিভক্তি না করে আমরা বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।

তৃতীয়ত- দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশ ও দেশের মানুষ সঠিকভাবে পরিচালনা করেছিলেন। তার আমলে প্রবাসী ও গামের্ন্টস শিল্পে অবদান বৈদেশিক মুদ্রার সমস্যা অবসান করেছিলেন। ওনার (জিয়াউর রহমান) জীবন থেকে দেশকে উজ্জল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে।

এ সময় শহিদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার স্মৃতিচারণ করে ডা. জুবাইদা রহমান বলেন, তাদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা আমার মতো অনেক শিশু কিশোরের জন্য চলের পথের পাথেয়। এসময় তিনি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন।  

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, 'জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার প্রথম ঘোষক। শহিদ জিয়াউর রহমানই মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বিদ্রোহী। তিনি পরিবারের দিকে এবং নিজের জীবনের দিকে তাকাননি। সুতরাং কে কোথায় কি লিখলো তা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। আইন করে আমাদেরকে বাধ্য করা যাবে না যে স্বাধীনতার ঘোষক অন্য কেউ।' 
 
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান ১নং কমান্ডার। পরবর্তীতে তিনি ১১নং সেক্টরেও যুদ্ধ করেছেন। যিনি জেড ফোর্সের অধিনায়ক। তিনি মানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছিলেন একাত্তরের মার্চে। এরপর তিনি তার সেনা জীবনের পেশায় ফিরে যান। কিন্তু আবারও যখন ৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জাতীয় দুর্যোগ এলো তখন আবার জিয়ার কণ্ঠ শোনা যায়। তিনি কঠিন দায়িত্ব নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি, পররাষ্ট্রনীতি ও গণমাধ্যমসহ প্রায় সকল খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন কয়েকদিনের মধ্যেই। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গ্রাম সরকার গঠন করেন। এভাবে একে একে খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও বাসস্থান নিশ্চিতের লক্ষ্যে ১৯ দফায় সংযুক্ত করলেন। গ্রামে-গঞ্জে মাইলের পর মাইল ঘুরে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছেন। আগামীতেও আমরা জিয়াউর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। 

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ঢাকার শাহবাগে শহিদ আবু সাইদ কনভেনশন সেন্টারে (ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বিপরীতে) দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং শিশু কিশোরদের নিয়ে জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে গল্প বলা অনুষ্ঠান হয়। মঞ্চে জিয়াউর রহমানের বিভিন্ন স্মৃতিচারণমূলক বিষয়ে শিশু কিশোরদের গান শোনান বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা ও বেবি নাজনীন। পাশাপাশি ছোট্ট শিশুরাও জিয়াউর রহমানের বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন। মিলনায়তনের বাইরে জিয়াউর রহমানের জীবনঘনিষ্ঠ অসংখ্য ছবি পরিদর্শন করা হয়।  

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, সদস্য সচিব ড. সোহাগ আওয়াল এবং সদস্য ডা. মোস্তফা আজিজ সুমন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাছির, নূরুল ইসলাম মনি, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফরোজা খান রীতা, জেডআরএফের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ড. আবুল হাসনাত মো. শামীম, অধ্যাপক আবদুল করিম, আমিরুল ইসলাম কাগজী, আতিকুর রহমান রুমনসহ রাজনীতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের ব্যাক্তিরা।

শফিকুল ইসলাম/মেহেদী/

অভিযোগ প্রমাণিত হলে টিউলিপকে এমপি পদও ছাড়তে হবে: ফাহমিদা খাতুন

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৪ পিএম
অভিযোগ প্রমাণিত হলে টিউলিপকে এমপি পদও ছাড়তে হবে: ফাহমিদা খাতুন
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের ট্রেজারি মিনিস্টারের পদ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ অবধারিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। এমনকি অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) পদও ছাড়তে হতে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি। 

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) সেমিনার কক্ষে ‘প্রবাসী আয় বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার ও ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. ফাহমিদা বলেন, ‘টিউলিপ আরেকটি দেশের রাজনৈতিক দলের সদস্য। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন, এমনকি কমন সিটিজেনও নন। তিনি কীভাবে প্রধানমন্ত্রী খালার সঙ্গে রাশিয়া গিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন?’

এই গবেষকের মতে, পারিপার্শ্বিক তথ্যের ভিত্তিতে টিউলিপের পদত্যাগ অবধারিত ছিল। আর্থিক কেলেঙ্কারিসহ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছিল। তিনি পদত্যাগ করতে দেরি করে ফেলেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে এমপি পদ থেকেও সরে যেতে হবে। এমনকি লেবার পার্টির সদস্যপদও হারাতে পারেন।

এ সময় প্রবাসীদের সেবায় বিদেশি হাইকমিশন ও ব্যাংকগুলোকে আরও আন্তরিক হতে আহ্বান জানিয়ে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘এয়ারপোর্টের প্রবাসী লাউঞ্জে যে বার্গার দেওয়া হচ্ছে, তা তারা খেতে অভ্যস্ত কি না সেটা বুঝতে হবে। প্রবাসীরা সোনার হরিণ। তাদের সঠিকভাবে লালন-পালন করা প্রয়োজন। তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।’

সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শেকৃবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. বেলাল হোসেন, প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রফেসর ড. কাজী আহসান হাবীব ও বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর তামান্না বেগম। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি।

সেমিনার শেষে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২৪ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও রানারআপ বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের বিতার্কিকদের নগদ অর্থ পুরস্কারসহ ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

জুলাই-আগষ্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব: সালাহউদ্দিন আহমেদ

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২২ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৫ পিএম
জুলাই-আগষ্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব: সালাহউদ্দিন আহমেদ
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভার বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: খবরের কাগজ

জুলাই-আগষ্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

শনিবার ( ১৮ জানুয়ারি) বিকেলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জিয়াউর রহমানের জন্ম হয়েছিল বলেই বাকশালের কথা বলে যে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয় সে গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করা সম্ভব হয়েছিলো। বাংলাদেশের প্রতিটি সাংবিধানিক, রাষ্ট্রীয় ও গণতান্ত্রিক সংকটে কেবলমাত্র শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ভূমিকাই এদেশের মানুষ দেখেছে। এক এগারো সরকারের সঙ্গে শেখ হাসিনার আভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের কারণে দেশে একদলীয় শাসনের পথ সুগম হয়। ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে শেখ হাসিনা সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের কবর রচনা করেছিল। শেখ হাসিনা এদেশে সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্র ও সংসদীয় স্বৈরতন্ত্র প্রবর্তন করতে চেয়েছিলেন এবং প্রায় সফল হয়ে গিয়েছিলেন। তাই সে রকম একটি একনায়কতান্ত্রিক সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বাংলাদেশ হতে চিরতরে উৎখাত করতে হলে বিদ্যমান সংবিধানে গণতান্ত্রিক সংস্কার করতে হবে।

সংস্কার প্রক্রিয়া প্রলম্বিত করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় দীর্ঘায়িত করার প্রচেষ্টার সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। ভোটার তালিকাসহ নির্বাচন সম্পর্কিত অন্যান্য কাজ চলমান। নির্বাচনী আইন সংস্কার কাগুজে ব্যাপার, তাই সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বেশি সময় লাগার কথা নয়। আগামী জুলাই- আগস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব।কোন একটি মহলকে রাজনৈতিক দল গঠন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য, তাদেরকে অবৈধভাবে সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে কালক্ষেপণ করা অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের উচিত হবে না।

মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।

এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিটি মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুল আলম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।

মেহেদী/

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি সুস্থ জাতি উপহার দিতে চাই: আমিনুল হক

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৮ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি সুস্থ জাতি উপহার দিতে চাই: আমিনুল হক
রূপনগর থানা বিএনপির কর্মী সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, খেলাধুলার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের বর্তমান যুবসমাজ, তরুণ সমাজ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি সুস্থ জাতি উপহার দিতে চাই এবং সেই সুস্থ জাতির জন্য খেলাধুলা হবে অন্যতম একটি মাধ্যম।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সারা দিনব্যাপী রূপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা, পল্লবীতে এম ডি সি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মিরপুরে অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ও মহাখালীতে আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে চাই। বর্তমান যুবসমাজ ও তরুণ সমাজের চিন্তা চেতনাকে কাজে লাগিয়েই আমরা আগামী দিনের একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ব। এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে চলেছি।  

গত আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের আমলে বাংলাদেশের তৃণমুলে ও জেলা উপজেলা থানা এবং ইউনিয়ন লেভেলে কখনো কোনো খেলাধুলার আয়োজন করা হয়নি মন্তব্য কবে আমিনুল হক বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা চেষ্টা করছি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের যুবসমাজ ও তরুণ সমাজকে মাঠের দিকে আকৃষ্ট করার জন্য।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছর ধরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আপনারা যারা আন্দোলন সংগ্রাম করে নির্যাতন নিপীড়নের স্বীকার হয়েছেন। আপনারা একেকজন খাঁটি সোনা।

তিনি আরও বলেন, এত মামলা হামলা ও নির্যাতন নিপীড়ন করেও গত ১৭ বছরে আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার আপনাদেরকে দলের আদর্শ ও নীতি থেকে এক বিন্দুও সরাতে পারেনি।

দলের নেতাকর্মীদের অনুপ্রবেশকারী নব্য বিএনপি থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ থেকে অনুপ্রবেশকারী নব্য বিএনপিরা বাংলাদেশের ষড়যন্ত্রকারী। এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

মহাখালীতে আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক ও টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মো. আক্তার হোসেন, মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সমন্বয়ক জাহেদ পারভেজ চৌধুরী ছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, তুহিরুল ইসলাম তুহিন, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, আফাজ উদ্দিন, হাজী মো. ইউসুফ, মহানগর উত্তরের সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, রফিকুল ইসলাম খান, এম এস আহমাদ আলী, ইব্রাহিম খলিল, তাসলিমা রিতা।

এ ছাড়াও আদাবর থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাদেক হোসেন স্বাধীন, যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হুসাইন খান, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুর রহমান রতন, দেলোয়ার হোসেন দিলু, যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন তারেক, যুগ্ম আহ্বায়ক মন্জুর হোসেন পাটোয়ারী, উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপি আহ্বায়ক শাহ আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল হক, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাকিব সারোয়ার, মোহাম্মদপুর থানা ৩৩নং ওয়ার্ড বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি ওসমান গনী সেন্টু প্রমুখ।

রূপনগরে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা

রূপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কাওসার হামিদের সভাপতিত্বে সদস্যসচিব শামীম আহমেদের সঞ্চালনায় ইস্টার্ন হাউজিংয়ে রূপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।

এ সময় বক্তব্য রাখেন- স্বেচ্ছাসেবকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াছিন আলী,ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শেখ ফরিদ হোসেন,ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম মন্টু,সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনি, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। 

নাবিল/এমএ/

শহিদ জিয়ার দর্শন, ভাবনা আমাদের ধারণ করতে হবে: আমির খসরু

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম
শহিদ জিয়ার দর্শন, ভাবনা আমাদের ধারণ করতে হবে: আমির খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ। ছবি: খবরের কাগজ

শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দর্শন, তার ভাবনা আমাদের ধারণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মুক্ত চিন্তা বাংলাদেশ এর উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যার জন্য আমরা ১৬ বছর ধরে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, জেল খেটেছি অনেক নেতাকর্মী খুন,গুম হয়েছে, সেই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছি, বাংলাদেশ আজ মুক্ত। তবে মুক্তচিন্তা ছাড়া কোনো জাতির সামনের দিকে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। আজকের সরকার আর কি করতে পারতো, প্রতিবাদের সঙ্গে সঙ্গে আমরা কি করব, আগামী দিনে সরকার কি করবে, বিএনপি কি করবে কি ভাবছেন? এজন্য জনগণকে আনতে হবে। আমাদের রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে।'

তিনি বলেন ,ধারাবাহিক রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে মনে হয় বাংলাদেশের জনগণ আর মেনে নিতে পারবে না। শেখ হাসিনা বিদায় হওয়ার পর বাংলাদেশের মানুষের বিরাট একটি মনোভাব তৈরি করেছে। মানুষের মনে যে প্রত্যাশা জেগেছে, যে আকাঙ্ক্ষা দেখেছে, যে নতুন বাংলাদেশ দেখতে চাচ্ছে সেটি আমাদের ধারণ করতে হবে। রাজনৈতিক হিসেবে ধারণ করতে হবে, দল হিসেবে ধারণ করতে হবে। নতুন বাংলাদেশ কিভাবে গড়ব আমরা প্রত্যেকটি বিষয়ের উপর অবস্থান থাকতে হবে। যাতে সরকার ক্ষমতায় আসার সঙ্গো সঙ্গেই তারা দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরে কাজ করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায় আছে সে বিষয়টিসহ আগামীতে কিভাবে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা সঠিকভাবে নিয়ে আসার জন্য আমরা কি করব এবং স্বাস্থ্য খাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় আমরা স্বাস্থ্য সেবা কি ভাবে জনগণের সেবায় নিয়োজিত করতে পারব সে বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। সেজন্য জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে।

বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এই  নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান সাহেব একজন রাজনিতিবিদ ছিলেন। ক্ষমতা নেওয়ার পর তিন বছর ছিল। তিন বছরের মধ্যে এরকম একজন মানুষ তিনি সবকিছুকে ভেঙে ফেলে তৈরি করেছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় । অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেন। কৃষক শ্রমিক ব্যবসায়ী প্রত্যেকটি বিষয়ের ওপর তিনি নজর রাখতেন। সেই বিষয়টি আমাদের অনুসরণ করতে হবে। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধান ছিলেন না। তিনি একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। জিয়াউর রহমান সাহেব একজন আর্মি জেনারেল ছিলেন। যিনি সম্মুখ যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একজন সংস্কারক ছিলেন। সুতরাং জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বলতে গেলে শেষ হবে না। তার দর্শন আমাদের মধ্যে চলে আসে। দেশের সর্বস্তরের মানুষের কথা চিন্তা করে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড তৈরি করেছিলেন। অর্থনীতিতে প্রত্যেকটি মানুষের সমান অধিকার থাকবে।

তিনি বলেন ,তারেক রহমান বলেছেন কোন প্রতিহিংসার রাজনীতি হবে না। যারা অপরাধ করেছে তাদের সঠিক বিচার করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। যারা খুন হয়েছে, গুম হয়েছে তাদের পরিবারের সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে এবং যারা অপরাধ করেছে তাদের সঠিক বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য ফ্যাসিস্ট রেজিম তৈরি করে দেশের সকল প্রতিষ্ঠান একদলীয় কায়েম করে ধ্বংস করে দিয়েছে। এমনকি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ধ্বংস করেছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অর্থনীতি একটি গর্বিত জাতি হিসেবে স্বাধীন রাষ্ট্র গড়তে চেয়েছেন যেখানে গর্বের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারতেন সেই বিষয়টি আমাদের লক্ষ্য রেখে কাজ করতে হবে তার দর্শন তার ভাবনা আমাদের ধারণ করতে হবে। জিয়াউর রহমান কারো বিরুদ্ধে সরাসরি তার বক্তব্য ফলো করেনি। তিনি যে কাজগুলো করতেন সেইটা তিনি বলতেন কারও সঙ্গে বিদ্বেষপূর্ণ কোন বক্তব্য ছিল না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডক্টর এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্র ভিসি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান,অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর শামীমা সুলতানা প্রমুখ।

মেহেদী/