ঢাকা ৫ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে অ্যাবের শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২০ পিএম
মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে অ্যাবের শ্রদ্ধাঞ্জলি
মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন অ্যাবের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুরসহ অন্য প্রকৌশলীরা। ছব: খবরের কাগজ

রাজধানীর মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ারস বাংলাদেশ (অ্যাব)। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অ্যাবের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর নেতৃত্বে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এ সময় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম (রিজু), সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মো. সাব্বির মোস্তফা খান, আইইবির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রকৌশলী নিয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া, প্রকৌশলী এ টি এম তানবীর-উল হাসান (তমাল), সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহবুব আলম, প্রকৌশলী মুহাম্মদ আহসানুল রাসেল, প্রকৌশলী সাব্বির আহমেদ ওসমানী এবং আইইবি ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন তালুকদার, ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান উজ্জ্বল, ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন, অ্যাবের উপদেষ্টা প্রকৌশলী এ কে এম জহিরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী আব্দুল হালিম, প্রকৌশলী আজিম উদ্দিন, প্রকৌশলী বিজু বড়ুয়া, যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী আবু হোসেন হিটলু, অ্যাব ঢাকা কেন্দ্রের সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহীন হাওলাদার, প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলামসহ আইইবি ও অ্যাবের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল/পপি/

রাতের আঁধারে বিএনপি কার্যালয়ে 'জয় বাংলা'

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম
রাতের আঁধারে বিএনপি কার্যালয়ে 'জয় বাংলা'
পাটাভোগ ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সাটারে 'জয় বাংলা' লিখে গেছে দুর্বৃত্তরা। ছবি: খবরের কাগজ

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার পাটাভোগ ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সাটারে কালো কালিতে 'জয় বাংলা' লিখে গেছে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় রবিবার (১৯ জানুয়ারি) শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

পাটাভোগ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, রবিবার সকালে পুরাতন ফেরীঘাট এলাকার ওই কার্যালয়ে গিয়ে কার্যালয়ের সাঁটারে জয় বাংলা স্লোগান লেখা দেখতে পান নেতাকর্মীরা। তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরা এখনো শ্রীনগরে অবাধে চলাফেরা করছে এটাই তার প্রমাণ। আওয়ামী লীগের দোসরা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।

এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শাকিল আহমেদ।

সুমন/সিফাত/

গণমাধ্যমকর্মীদের পরিবারে এখন মানবিক বিপর্যয়: জি এম কাদের

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২২ পিএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৯ পিএম
গণমাধ্যমকর্মীদের পরিবারে এখন মানবিক বিপর্যয়: জি এম কাদের
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ছবি: সংগৃহীত

দেশে বিপুলসংখ্যক গণমাধ্যমকর্মী সাম্প্রতিক সময়ে চাকরি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি বলেন, একই সময়ে ব্যাপকসংখ্যক সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতির ন্যক্কারজনক ইতিহাস সৃষ্টি করা হয়েছে।

ব্রডকাষ্ট জানার্লিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) তথ্য বলছে, বিগত কয়েক মাসে বাংলাদেশের টেলিভিশন সাংবাদিকতায় ১৫০ জনের বেশি গণমাধ্যমকর্মী চাকরি হারিয়েছেন। ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে জানা গেছে- দেশের প্রিন্ট ও অনলাইন পোর্টালে চাকরি হারিয়েছেন আরও অন্তত দুই শতাধিক।

এই পরিসংখ্যান উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, কাছাকাছি সময়ে এত বিপুলসংখ্যক গণমাধ্যমকর্মীর চাকরি হারানোর ঘটনা নজিরবিহীন। চাকরি হারিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের পরিবারে ইতোমধ্যেই মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। এতে একই সময়ে ব্যাপকসংখ্যক সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতির ন্যক্কারজনক ইতিহাস সৃষ্টি করা হয়েছে।’

বিবৃতিতে চাকরিহারা গণমাধ্যম কর্মীদের চাকরিতে পুনর্বহাল করার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘সাংবাদিকদের জীবিকা অনিশ্চিত করে স্বাধীন সাংবাদিকতার বিকাশ অসম্ভব।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের দেশের গণমাধ্যমকর্মীরা বিভিন্ন চাপে কখনোই স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করতে পারেনি। ফলে, বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন অনেক সময়ই বাধাগ্রস্থ হয়। সাংবাদিকদের পেশাজীবী সংগঠনসমূহের দায়িত্ব এ বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সে প্রক্রিয়ায় সাংবাদিকতার মান সমুন্নত রাখতে সহায়তা করা। সমস্যার সমাধানে মূল বিষয়কে এড়িয়ে অসহায় চাকরীজীবীদের সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতির ঘটনা অমানবিক ও ন্যয়বিচার পরিপন্থি।’

গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরিচ্যুতির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

জয়ন্ত সাহা/এমএ/ 

মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ইতিহাসের অংশ: চসিক মেয়র

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫৫ পিএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম
মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ইতিহাসের অংশ: চসিক মেয়র
শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন মানুষ হত্যা শুরু করে তখন আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। তখন তারা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই কালোরাত্রিতে জাতি যখন দিশেহারা তখনই নেতৃত্বশূন্য জাতিকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছিলেন শহিদ জিয়াউর রহমান। এই ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে তিনি পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘আই রিভোল্ট’ বলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের একত্রিত করে তিনি ২৬ মার্চ প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে তিনি চুপ করে বসে ছিলেন না। তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন আবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের মাঠে থেকে দেশকে স্বাধীন করেছেন।  মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ইতিহাসের অংশ।’

তিনি রবিবার (১৯ জানুয়ারি) নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেইটসংলগ্ন বিপ্লব উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার পরে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে দেশকে বের করে নিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আওয়ামী লীগের তলা বিহীন জুড়ি থেকে দেশকে স্বনির্ভর বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শহিদ জিয়ার অবদান এদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস হচ্ছে পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস। তারা ৭১ সালের মতো ২০২৪ সালেও পেছনের দরজা দিয়ে নেতা-কর্মীদের এতিম করে ভারতে পালিয়ে গেছে। শেখ মুজিব পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন সেই কথা তাজউদ্দীন আহমেদের মেয়ের লিখিত বইতেও লেখা আছে। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। আর আওয়ামী লীগের কথিত নেতারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে নিয়ে ইতিহাসকে বিকৃত করেছেন। তারা ইতিহাস থেকে মেজর জিয়ার সেই স্বাধীনতার ঘোষণাকে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক ডা. গোলাম কাদের নোবেল, মহানগর জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব মারুফুল হক চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, বিএনপি নেতা মো. আলী, মকবুল হোসেন খোকন, সাবেক ছাত্রদল নেতা শেখ রাসেল, মহসিন কবির আপেল, আবু বক্কর শিকদার, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক সামিয়াত আমিন জিসান, সালাউদ্দীন কাদের আসাদ, পাঁচলাইশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শফিউল আলম শফি, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদল নেতা বোরহানুল হক প্রমূখ।

মাহফুজ/এমএ/

 

জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রমিকদলের নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৪ পিএম
জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রমিকদলের নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকীতে শেরেবাংলা নগরে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের হাজারো নেতাকর্মী।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শ্রমিক নেতা অ্যাড. ড. শামসুল রহমান শিমুল বিশ্বাস এর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এরপর তারা ফাতেহা পাঠ করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা জিয়ার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

শ্রমিকদলের উদ্যোগে শহিদ জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা জানাতে শিমুল বিশ্বাসের সঙ্গে এসময় ছিলেন- শ্রমিকদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক শ্রমিক নেতা সুমন ভূইয়া সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, ঢাকা মহানগর উত্তর উত্তর শ্রমিকদলের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক লায়ন ফরিদ আহমেদ,দক্ষিণ শ্রমিকদলের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম মোল্লা, যুগ্মআহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম খান, যুগ্নআহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন খান, যুগ্মআহ্বায়ক জাকির হোসেনসহ প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

‘লাল সন্ত্রাসের ডাক’ দিয়ে বিতর্কে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন নেতা

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৪ পিএম
‘লাল সন্ত্রাসের ডাক’ দিয়ে বিতর্কে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন নেতা
মেঘমল্লার বসু

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘লাল সন্ত্রাসের ডাক’ দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু। তার এমন ঘোষণার প্রতিবাদে গত শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল করেন ঢাবির একদল শিক্ষার্থী। তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় সদস্য মাহিন সরকার।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা সেন্ট্রাল লাইব্রেরি এলাকায় সিরাজ সিকদারের গ্রাফিতিতে জুতা নিক্ষেপ করেন এবং গ্রাফিতি মুছে ফেলেন। 

বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, ‘৮০ ও ৯০-এর দশকের মতো তারা আবারও সন্ত্রাসবাদ কায়েম করতে চায়। তারা ডাকসুকে এভাবেই ভণ্ডুল করেছিল ৯০-এর দশকে। আজও সেই সন্ত্রাসীরা আবারও সন্ত্রাসবাদের ঘোষণা দিচ্ছে। এই সন্ত্রাসীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে।’

স্বাধীনতার পরে প্রতিটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ‘লাল সন্ত্রাসের হাত ছিল’ মন্তব্য করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় সদস্য মাহিন সরকার বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে ছাত্রলীগ তাদের অনুগতদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে। সে জন্য এই বামরা এখনো আওয়ামী লীগের ন্যারেটিভ প্রচার করে যাচ্ছে। মেঘমল্লার বসুদের অপতৎপরতার চেষ্টা রুখে দেওয়া হবে।’

মেঘমল্লারকে গ্রেপ্তার দাবি: গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে শিক্ষার্থীদের জীবন ও নিরাপত্তার স্বার্থে মেঘমল্লারকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। এতে লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি, এই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলো ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের একটি সংঘাতের পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তাদের রেড টেররের পরিকল্পনা এবং প্রকাশ্যে দেওয়া ঘোষণা এই বার্তাই দেয়।’

শাহবাগ থানায় জিডি: গতকাল মেঘমল্লারের এমন ঘোষণার জেরে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থী যুবাইর বিন মেছারী। জিডিতে লাল সন্ত্রাসের ভিকটিম হয়ে খুন ও গুম হওয়ার আশঙ্কা এবং ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমার স্ট্যাটাসে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো বিষয় নেই। বর্তমানে নানা ভায়োলেন্স ঘটছে, আমার স্ট্যাটাসটি নিজেদের সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষার দিকে ইঙ্গিত দেয়, যা ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে। তাই এখানে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।’