ঢাকা ২৭ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধের সত্য-সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৯ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪২ পিএম
মুক্তিযুদ্ধের সত্য-সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি

মুক্তিযুদ্ধের সবার সঠিক সত্য ইতিহাস তুলে ধরলেই সবাই সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, সবার ইতিহাস যদি আমরা নিতে আসতে পারি তাহলেই সত্য ও সঠিক ইতিহাস সবাই জানতে পারবে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে শহিদ আবু সাইদ কনভেনশন সেন্টারে 'শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান: যার গল্প আমাদের আদর্শ' শীর্ষক আলোচনা সভায় আগন্তুকের প্রশ্নের সম্পূরক উত্তরে ভাচ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দুই পর্বের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।

তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্র মানে মতপ্রকাশ বা অধিকার প্রয়োগ। ভোটের মাধ্যমে মানুষ সেটা প্রকাশ করে থাকে। বাংলাদেশে বিভিন্ন দলের আদর্শের মধ্যে পার্থক্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে যেকোনো মূল্যে কথা বলার অধিকার থাকতে হবে, ভোটদানের ক্ষমতা থাকতে হবে না এ বিষয়ে দলমত নির্বিশেষে ঐকমত্য থাকতে হবে। সেইসঙ্গে মানুষের ভোটদানের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই আমরা আগামী ১৫/২০ বছর গণতন্ত্র ধ্বংসের রাহু থেকে মুক্ত থাকবো। স্বৈরাচারমুক্ত পরিবেশ আমরা ধীরে ধীরে গড়ে তুলতে পারবো।

বাবার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে আমরা তিনভাবে দেখতে পাই।

প্রথমত- একজন সৈনিকের দায়িত্ব সঠিক পালন করেছেন। আমি তিনি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে। যখন সময়ে সেই সময়ে মানুষকে রক্ষার জন্য স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মুক্তিযুদ্ধের উজ্জীবিত ও সাধারণ মানুষদের যুদ্ধে যাওয়ার জন্য উজ্জীবিত করেছেন। আগামী দিনে যারা সশস্ব বাহিনীতে আসবেন তারা জিয়াউর রহমানের আর্দশ তাদেরকে উজ্জীবিত করবেন।

দ্বিতীয়ত- দেশের প্রয়োজনে শহিদ জিয়াউর রহমানকে রাজনীতিবিদ হিসেব আবির্ভুত হয়ে ছিলেন। রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি শুধু ঢাকা ভেতরের বসে থাকেনি। মানুষের কাছে ছুটে গিয়েছেন। তাদের সমস্যার কথা শুনে ১৯ দফা দিয়েছেন। জাতিকে বিভক্তি না করে আমরা বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।

তৃতীয়ত- দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশ ও দেশের মানুষ সঠিকভাবে পরিচালনা করেছিলেন। তার আমলে প্রবাসী ও গামের্ন্টস শিল্পে অবদান বৈদেশিক মুদ্রার সমস্যা অবসান করেছিলেন। ওনার (জিয়াউর রহমান) জীবন থেকে দেশকে উজ্জল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে।

এ সময় শহিদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার স্মৃতিচারণ করে ডা. জুবাইদা রহমান বলেন, তাদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা আমার মতো অনেক শিশু কিশোরের জন্য চলের পথের পাথেয়। এসময় তিনি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন।  

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, 'জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার প্রথম ঘোষক। শহিদ জিয়াউর রহমানই মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বিদ্রোহী। তিনি পরিবারের দিকে এবং নিজের জীবনের দিকে তাকাননি। সুতরাং কে কোথায় কি লিখলো তা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। আইন করে আমাদেরকে বাধ্য করা যাবে না যে স্বাধীনতার ঘোষক অন্য কেউ।' 
 
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান ১নং কমান্ডার। পরবর্তীতে তিনি ১১নং সেক্টরেও যুদ্ধ করেছেন। যিনি জেড ফোর্সের অধিনায়ক। তিনি মানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছিলেন একাত্তরের মার্চে। এরপর তিনি তার সেনা জীবনের পেশায় ফিরে যান। কিন্তু আবারও যখন ৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জাতীয় দুর্যোগ এলো তখন আবার জিয়ার কণ্ঠ শোনা যায়। তিনি কঠিন দায়িত্ব নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি, পররাষ্ট্রনীতি ও গণমাধ্যমসহ প্রায় সকল খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন কয়েকদিনের মধ্যেই। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গ্রাম সরকার গঠন করেন। এভাবে একে একে খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও বাসস্থান নিশ্চিতের লক্ষ্যে ১৯ দফায় সংযুক্ত করলেন। গ্রামে-গঞ্জে মাইলের পর মাইল ঘুরে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছেন। আগামীতেও আমরা জিয়াউর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। 

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ঢাকার শাহবাগে শহিদ আবু সাইদ কনভেনশন সেন্টারে (ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বিপরীতে) দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং শিশু কিশোরদের নিয়ে জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে গল্প বলা অনুষ্ঠান হয়। মঞ্চে জিয়াউর রহমানের বিভিন্ন স্মৃতিচারণমূলক বিষয়ে শিশু কিশোরদের গান শোনান বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা ও বেবি নাজনীন। পাশাপাশি ছোট্ট শিশুরাও জিয়াউর রহমানের বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন। মিলনায়তনের বাইরে জিয়াউর রহমানের জীবনঘনিষ্ঠ অসংখ্য ছবি পরিদর্শন করা হয়।  

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, সদস্য সচিব ড. সোহাগ আওয়াল এবং সদস্য ডা. মোস্তফা আজিজ সুমন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাছির, নূরুল ইসলাম মনি, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফরোজা খান রীতা, জেডআরএফের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ড. আবুল হাসনাত মো. শামীম, অধ্যাপক আবদুল করিম, আমিরুল ইসলাম কাগজী, আতিকুর রহমান রুমনসহ রাজনীতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের ব্যাক্তিরা।

শফিকুল ইসলাম/মেহেদী/

শিক্ষার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানবতার আলোকে উজ্জীবিত হওয়া: জামায়াতের আমির

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৭ পিএম
শিক্ষার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানবতার আলোকে উজ্জীবিত হওয়া: জামায়াতের আমির
ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শিক্ষার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানবতার আলোকে উজ্জীবিত হওয়া, টাকা রুজি নয়। সন্তানদের সেভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে মানুষ তাদের জন্য মন থেকে দোয়া করে। আমরা যে মানবিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। আজকের শিশুরাই সেই স্বপ্ন পূরণ করবে। সিলেটকে আল্লাহ অনেক মর্যাদা দিয়েছিলেন, এখন আমরা অনেকটা পিছিয়ে গেছি। আমাদের প্রবাসীমুখী না হয়ে শিক্ষার ভীত মজবুত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে উৎসাহিত করতে হবে।

তিনি রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর দরগাগেইটস্থ কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের শহিদ সুলেমান হলে সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি  আরও বলেন, আজকের তরুণ শিক্ষার্থীরাই আগামীর মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে। তাদেরকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্ষেত্রে উৎসাহিত করাই আজকের উপকরণ বিতরণের মূল উদ্দেশ্য। আল্লাহ পাক মানবতার মুক্তিদূত মহানবীকে (সা.) মানবতার শিক্ষক হিসেবে প্রেরণ করেছিলেন। এদিক থেকে ইসলামে শিক্ষাকে অত্যাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মা-বাবা ও শিক্ষকদের সামনে গেলে সকলেই দুর্বল হয়ে যায়। শিশুকালে আমাদেরকে যারা শিক্ষা দিয়েছেন তারা আমাদের অন্যতম অভিভাবক। তাই মানুষ গড়ার কারিগর সম্মানিত শিক্ষকদের শ্রদ্ধা ও যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সিলেট মহানগর আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে, মহানগর সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক মুকতাবিস-উন-নূর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুলতান আহমদ এবং জামায়াতের সিলেট অঞ্চল টীম সদস্য হাফিজ আব্দুল হাই হারুন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন- সিলেট মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর ড. নুরুল ইসলাম বাবুল, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব, জাহেদুর রহমান চৌধুরী ও মাওলানা ইসলাম উদ্দিন, শিক্ষাবিদ ও আলেমে দ্বীন অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী, জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলাম মজুমদার, ড. মাওলানা এএইচএম সোলায়মান, সিলেট মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি শাহীন আহমেদ ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি তারেক মনোয়ার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও নগদ অর্থ উপহার তুলে দেওয়া হয়।

শাকিলা ববি/এমএ/

প্রধান উপদেষ্টাকে নির্বাচনের রোডম্যাপ দেবে বিএনপি

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:০০ এএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৬ পিএম
প্রধান উপদেষ্টাকে নির্বাচনের রোডম্যাপ দেবে বিএনপি
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ দেবে বিএনপি। একই সঙ্গে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও চলমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে নিজেদের অবস্থানও তুলে ধরবে দলটি।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এ রোডম্যাপ দেবে বিএনপি। দলের পক্ষ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেবে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ৩টায় নির্বাচন কমিশনে যায় তাদের প্রতিনিধিদলটি।

বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দায়িত্ব সরকারের। পরে শিডিউল ঘোষণা করবে কমিশন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আগামীকাল (সোমবার) আমাদের আলোচনা আছে। সেখানে আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ তুলে ধরা হবে।’

এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচন একটি জাতির গণতান্ত্রিক হয়ে ওঠার জন্য অপরিহার্য মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে দ্রুতও যদি নির্বাচন আয়োজন করা হয় সেটা এ বছরের শেষ দিকে হতে পারে।’ জাপানের সরকারি টেলিভিশন এনএইচকেওয়ার্ল্ডকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্বাচন সম্পর্কে ওই মন্তব্য করেন তিনি। 

আগামী জুলাই-আগস্টের মধ্যেই নির্বাচন দাবি করছে বিএনপি। এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। এটা গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা মনে করি, এ বছরের মাঝামাঝি অর্থাৎ জুলাই-আগস্টের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব। এ কারণে আমরা সরকার, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এ বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নিতে।’

৭৫ সদস্যের প্রবাসী কমিটি গঠন নাগরিক কমিটির

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫০ পিএম
৭৫ সদস্যের প্রবাসী কমিটি গঠন নাগরিক কমিটির
জাতীয় নাগরিক কমিটি

দেশের উন্নয়ন এবং পুনর্গঠনের কাজে যুক্ত করতে ৩০ দেশে অবস্থানরত ৭৫ জনকে নিয়ে প্রবাসী কমিটি গঠন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এর মাধ্যমে তারা দেড় কোটি প্রবাসীকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়েছে। 

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলামোটরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়।

নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের একটি ধারণা ছিল মেধাবী, শিক্ষিত এবং সৎ মানুষ রাজনীতিতে আসে না। কিন্তু জুলাই বিপ্লব সেই ধারণাকে ভেঙে দিয়েছে। আজ আমরা দেখছি, পেশাদার এবং দক্ষ ব্যক্তিরা রাজনীতিতে এগিয়ে আসছেন, দেশ পুনর্গঠনে তারা অবদান রাখতে চান। এই কমিটিতে আমরা পেয়েছি জ্যোতির্বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, নিউরো সার্জন, একাডেমিশিয়ান, ডেটা অ্যানালিস্ট, কর্মী, ইমাম এবং ব্যবসায়ী। তাদের সবার সংকল্প বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অবদান রাখা। তারা বাংলাদেশের মেধা, সাহস ও শক্তির প্রতিচ্ছবি।’

প্রবাসীবিষয়ক সম্পাদক এহতেশাম হক প্রবাসীদের মধ্যে ‘রিভার্স ব্রেন ড্রেন’ নিয়ে একটি আন্দোলন শুরু করার আহ্বান জানান। 

তিনি বলেন, ‘আমি ২২ বছর পর আমার মাতৃভূমিতে ফিরে এসেছি। আমি বিশ্বাস করি এখন দেশের জন্য কিছু করার সময়। আমি চাই, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা প্রতিটি প্রবাসী বাংলাদেশি দেশের জন্য তাদের মূল্যবান জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগাবেন। বাংলাদেশ ২.০ গড়ার পথে এটি একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ।’

অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব এস এম সাইফ মোস্তাফিজ ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বক্তব্য রাখেন।

কেন্দ্রীয় প্রবাসী কমিটির সদস্যরা হলেন: আব্দুর রাকীব সামি, আবু সলমান মুরাদ, আবুল বাশার রহমান, আল আমিন, আলমগীর চৌধুরী আকাশ, আলমগীর হোসেন, এনামুল হক এনাম, দেওয়ান সাহাব-উদদীন, দিলশানা পারুল, ইসরাত জাহান চৌধুরী, ফখরুল ইসলাম, ফারিয়া ফাহি, হাসানুল বান্না, ইমা ইসলাম, ইসলামুল হক, ইশতিয়াক আকিব প্রমুখ।

যৌথবাহিনীর অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন আমিনুল হক

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১২ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৪ পিএম
যৌথবাহিনীর অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন আমিনুল হক
বিএনপির কর্মীসভা ও রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উওরের আহ্বায়ক আমিনুল হক। ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশে চলমান যৌথবাহিনীর অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উওরের আহ্বায়ক আমিনুল হক। এই সময় চলমান অভিযানে সেনাবাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর  তেজগাঁও পলিটেকনিক মাঠে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা বিএনপির কর্মীসভা ও রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রতি সময়ে সারাদেশে ভাংচুর ও বিশৃঙ্খলা ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে আমিনুল হক অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দেশে বলেন, সরকার গঠনের ৬ মাস পরে এই ধরনের ভাঙচুর কেনো? আমরা তো একটি সভ্য জাতি। এর দায়ভার কে নিবে? এই দায়ভার আপনাদেরকেই (অন্তবর্তী সরকার) নিতে হবে। কারণ এই ধরনের বিশৃঙ্খলা আমরা জাতি হিসেবে কখনোই প্রত্যাশা করি না। 

এসব বিশৃঙ্খলা দূর করতে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে অন্তবর্তী সরকারকে তিনি বলেন, আপনারা সংষ্কার করুন, তবে যৌক্তিক সময়ের ভিতরে করুন। বাংলাদেশের মানুষের যে প্রত্যাশা একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। সেই নির্বাচনটি যত দ্রুত দেওয়া হবে তা সবার জন্যই মঙ্গল।

অন্তবর্তীকালীন সরকার গত ৬ মাসে কী করল মন্তব্য করে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বর্তমানে প্রশাসনে কোন স্থিতিশীলতা আসেনি। আজকে দেশের দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। বিচার বিভাগেও গতিশীলতা ফিরে আসেনি।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফার যে রূপরেখা দিয়েছেন, সেই রূপরেখা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন তখনই সম্ভব, যখন একটি নির্বাচিত সরকার এদেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করবে। সেই নির্বাচিত সরকার ৩১ দফার রূপরেখা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

অন্তবর্তী সরকার বারবার বলছেন সংষ্কার করার পর নির্বাচন দিচ্ছি মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংষ্কার তো একটি চলমান প্রক্রিয়া। যুগের পর যুগ চলতে থাকবে। তার মানে কি যুগের পর যুগ নির্বাচন হবে না।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন হতে হবে। গত ১৫ বছর ধরে এদেশের মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। বাংলাদেশের মানুষের নাগরিক অধিকার তারা ভোট দিতে চায়। ভোটের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চায়।

শিল্পাঞ্চল থানা বিএনপি আহবায়ক আইনুল ইসলাম চঞ্চল এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার,মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তফা জামান, যুগ্মআহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, আকতার হোসেন, আতাউর রহমান, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, তহিরুল ইসলাম তুহীন, হাজী মো. ইউসুফ, মো. শাহআলম, মহানগর সদস্য এল রহমান, মোজাম্মেল হোসেন সেলিম, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, শামীম পারভেজ, মনিরুল আলম রাহিমী, এম এস আহমাদ আলী, ইব্রাহিম খলিল, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, তাসলিমা রিতা, স্বেচ্ছাসেবকদল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শেখ ফরিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনী, শ্রমিকদল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক কাজী শাহ আলম রাজা, মহিলাদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব অ্যাড রুনা লায়লা, তাতীদল সাধারণ সম্পাদক এমএ হান্নান, ছাত্রদল মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজুর রহমান লিপকন, আজিজুর রহমান মুছাব্বির এছাড়াও তেজগাঁও থানা বিএনপি আহ্বায়ক ইন্জি. মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু, ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শফিকুর রহমান রতন, খিলক্ষেত থানা বিএনপি যুগ্মআহ্বায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান, সিএম আনোয়ার হোসেন, তেজগাও শিল্পাঞ্চল থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল আলম মন্টু, দক্ষিণখান থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দীন, উত্তরাপূর্ব থানা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড এফ ইসলাম চন্দন, যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, তুরাগ থানাবিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল আলী, মো.পুর থানা বিএনপি যুগ্মআহ্বায়ক মীর কামাল হোসেন, মো.পুর থানা বিএনপি সিনিয়র সদস্য ফরিদ উদ্দিন ফরহাদ, শিল্পাঞ্চল থানার সাবেক যুবদল নেতা আলাউদ্দিন টুটুল প্রমুখ।

এমএ/

আমরা যেন শেখ হাসিনার পাতা ফাঁদে পা না দিই: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
আমরা যেন শেখ হাসিনার পাতা ফাঁদে পা না দিই: মির্জা ফখরুল
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের সংঙ্গে কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনার পাতা ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের উৎখাতের মধ্যে দিয়ে অভ্যুত্থানের সফলতা অর্জন করেছে। কিন্ত আজকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে শেখ হাসিনার পাতা ফাঁদে আমরা যেন পা না দিই। আজকে দেশে স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হচ্ছে। অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে। এর জন্য সম্পূর্নভাবে শেখ হাসিনার যে ফ্যাসিস্ট রেজিম ছিল, সেই রেজিম তার জন্য দায়ী। আজকে আমাদেরকে অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে পা ফেলতে হবে।

রবিরাব (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এদিন বিএনপি মহাসচিব ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি ফ্লাইটে বিকাল ৪টা ৫৮ মিনিটে দেশে ফেরেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে লন্ডনে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা ব্যারিস্টার জায়মা জারনাজ রহমান। তিনি দেশে ফেরেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, অভ্যুত্থানের অর্জিত সফলতাকে সফল করতে হলে আমাদের ধীরে ধীরে এগোতে হবে। একটা অন্ধকারকে দূর করতে হলে আরেকটা অন্ধকার দিয়ে দূর করা যায় না। তাকে আলো দিয়ে দূর করতে হবে। সেই আলোকবর্তিকা জ্বালিয়ে আমাদের সামনে দিকে যেতে হবে। আমরা সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আহ্বান জানাতে চাই, সবাই একযোগে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য, দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করবার জন্য আমাদের কাজ অব্যাহত রাখতে হবে।

ডেভিল হান্ট ও সারাদেশে যৌথবাহিনীর অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডেভিল বলতে আমরা একটা ফ্যাসিস্টকে জানি। এতোদিন পর যৌথবাহিনীর অভিযানে পরিচালনায় করায় একটা বোধদয় হয়েছে। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।

খালেদা জিয়ার যুক্তরাষ্ট্র চিকিৎসার কোনো অগ্রগতি আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরের মির্জা ফখরুল বলেন, ম্যাডাম ভালো আছেন। তার চিকিৎসা চলছে।

যুক্তরাষ্ট্র সফর প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এবারের সফর সফল হয়েছে। আর যে উদ্দেশে গিয়েছিলাম তাও সফল হয়েছে।

প্রসঙ্গ, গত ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটনে ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’এ আমন্ত্রিত হয়ে যোগ দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিনিধি জায়মা রহমান।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/