প্রশাসনের রদবদলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইলে সেটা এদেশের জনগণ মেনে নেবে না মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আদাবরের শেখেরটেক পিসিকালচার হাউজিং এ ঢাকা মহানগর উত্তর আদাবর থানা বিএনপির কর্মীসভা ও রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবার নতুনভাবে আমরা যে রদবদল দেখতে পাচ্ছি। সেই রদবদলের উদ্দেশ্য যদি এদেশের জনগণের কল্যাণে হয়, তাহলে কোন সমস্যা নেই। যদি সেই রদবদল বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রের জন্য আসন্ন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাহলে বাংলাদেশের জনগণ কখনই তা মেনে নেবে না।
আমিনুল হক বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মানুষ একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলিত হবে। বাংলাদেশের মানুষের অধিকারের প্রতিফলন ঘটবে। বাংলাদেশের মানুষের দাবিগুলোর প্রতিফলন ঘটবে। কারণ বাংলাদেশের মানুষ ভবিষ্যৎতে আর কোন স্বৈরাচারের জন্ম হউক তা দেখতে চায় না।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার গত ১৭ বছরে সবলদের পাশে ছিল। স্বৈরাচার সরকারের সময়ে আমরা দেখেছি যারা সবল অর্থাৎ যারা ধনী ছিল তাদেরকে আরও ধনী বানিয়েছিল, কিন্তু বিএনপি সবসময় গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে কথা বলেছে। ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় সাধারণ মানুষ ও অসহায় মানুষের অধিকার ও দাবিকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য রাজনীতি করে। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার জন্য বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে সুসংগঠিত ভাবে ও উজ্জীবিত হয়ে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চায়।
আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার এদেশের জনগণ থেকে সম্পূর্ণরুপে বিচ্ছিন্ন ছিল। জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশের সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মাজা ভেঙে দিয়েছিল তারা।
তিনি আরও বলেন,স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের রেখে যাওয়া ধ্বংসস্তূপকৃত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংষ্কারের জন্যই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফার রূপরেখা দিয়েছেন। সেই রূপরেখার বার্তা আমাদেরকে সারা বাংলাদেশের তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
আদাবর থানা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাদেক হোসেন স্বাধীন এর সভাপতিত্বে থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হোসেন সরকার ও আবুল কালাম আজাদ এর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়াপারসন উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব মো. মোস্তফা জামান,মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, সাবেক যুবনেতা এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন,
ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, হাজী মোহাম্মদ ইউসুফ, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, তহিরুল ইসলাম তুহিন, আফাজ উদ্দিন,শাহ আলম, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর সদস্য হাজী নাসির উদ্দীন, শামীম পারভেজ, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, মোতালেব হোসেন রতন, মনিরুল আলম রাহিমী, হাফিজুর রহমান শুভ্র, এমএস আহমাদ আলী, তাসলিমা রিতা, শ্রমিকদল ঢাকা মহানগর উত্তর যুগ্ম আহ্বায়ক লায়ন ফরিদ আহমেদ, জাসাস ঢাকা মহানগর উত্তর সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন আনু, মহিলাদল ঢাকা মহানগর উত্তর সদস্যসচিব অ্যাড. রুনা লায়লা রুনা, ওলামাদল ঢাকা মহানগর উত্তর আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, তাঁতীদলের মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক এমএ হান্নান, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল সভাপতি সালাহ্উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আকরাম আহমেদ এছাড়াও আদাবর থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হানিফ, শাহিন শাহ, জাহিদ হোসেন ইমন, বিল্লাল পাটোয়ারী, হাজী নিজাম উদ্দিন, ৩০নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি সালাম হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, খিলক্ষেত থানা বিএনপি যুগ্মআহ্বায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান, সিএম আনোয়ার হোসেন, রানা চৌধুরী, তুরাগ থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল আলী, মো.পুর থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. সারোয়ার হোসেন সাকিফ, মীর মো. কামাল হোসেন, সিনিয়র সদস্য ফরিদ উদ্দিন ফরহাদ, ৩৩নং ওয়ার্ড বিএনপি সিনিয়র সহসভাপতি মো. ওসমান গণি সেন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুরে পল্লবীতে ঢাকা মহানগর উত্তর পল্লবী থানার ২নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।