ঢাকা ২৯ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১

রাজনীতিতে চরম অস্থিরতা উত্তাপ ছড়ালেও সতর্ক বিএনপি

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫০ এএম
উত্তাপ ছড়ালেও সতর্ক বিএনপি
খবরের কাগজ ইনফোগ্রাফ

বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে কিছুটা উত্তাপ ছড়িয়েছে। এই উত্তাপকে কেন্দ্র করে আবার ছড়িয়ে পড়েছে নানা গুজবও। জনমনেও কৌতূহল বেড়েছে- কী হচ্ছে, কী হবে।

তবে এমন পরিস্থিতিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি আর উত্তাপ না বাড়িয়ে সতর্ক অবস্থানে থাকবে, যাতে দেশে আর কোনো রাজনৈতিক সংকট তৈরি না হয়। কারণ দেশে সংকট তৈরি হলে ‘রাজনৈতিক লোকসান’ বিএনপিরই বেশি হবে বলে দলটির নীতিনির্ধারকদের পাশাপাশি সমর্থক ও সুধী সমাজের প্রতিনিধিরাও মনে করেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ খবরের কাগজকে বলেন, পাল্টাপাল্টি বক্তব্য না হলেই ভালো হতো। এটা দুঃখজনক। পাল্টাপাল্টি বক্তব্য থেকে বড় ধরনের কিছু হবে বলেও মনে হয় না। রাজনীতিবিদরা এই ধরনের কথা বলে থাকেন। এগুলো মূলত একে অপরকে চাপে রাখার একটা কৌশল।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করে নিরপেক্ষ ভোটের আয়োজন করতে হবে। নির্বাচনের জন্য পুলিশ, প্রশাসন, আমলা, ভোটার তালিকাসহ নানা কিছু প্রয়োজন। ফলে এগুলো ঠিক করতে একটু সময় লাগবে। এটা সব পক্ষকেই বুঝতে হবে। আলাউদ্দিনের চেরাগ কারও কাছে নেই যে বসলেই সবকিছুর সমাধান হয়ে যাবে। একে অপরকে সন্দেহ-অবিশ্বাস করলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর মানুষ যে আশা দেখতে পেয়েছিল তা হতাশ করা হচ্ছে। 

রাজনীতিবিদরা এগুলো না করলেই পারেন। আর যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের বাদানুবাদে লিপ্ত না হওয়াই শ্রেয়। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু খবরের কাগজকে বলেন, এখন তো দেশে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ নেই। গণতান্ত্রিক দেশে সবাই সব ধরনের বক্তব্য দিতে পারেন। এটাই ডেমোক্রেসি। বিএনপি যতদ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায়। 

তিনি বলেন, এখন তো কোনো দলই সরকারে নেই। সরকারে থেকে কেউ যদি দল করে তাহলে তো নিরপেক্ষতা হারাবে। সরকার থেকে কেউ যদি দল গঠন করে তাহলে সেটা ‘কিংস পার্টি’ হবে। তাহলে তারা সরকারে থাকতে পারবে না। রাজনৈতিক দল গঠন করলে সরকার থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। 

বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক খবরের কাগজকে জানিয়েছেন, রাজনীতিতে তারা এখন কৌশলগত দিক থেকে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। কারণ যেকোনো প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হোক না কেন, বড় দল হিসেবে বিএনপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা বেশি। কারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ এখনো অনিশ্চিত। জাতীয় পার্টিও নানামুখী চাপের মুখে রয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর নানামুখী তৎপরতা থাকলেও তাদের ভোট ৭ শতাংশের বেশি নয়। 

সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনে জামায়াত ৪ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। ফলে সারা দেশে ব্যাপক সাংগঠনিক কার্যক্রম চালালেও আগামী নির্বাচনে তাদের ভোট কত শতাংশ বাড়বে, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। আর ভোট বাড়লেও বিএনপির কাছাকাছি যাবে এমন সম্ভাবনার কথা কেউ বিশ্বাসও করে না। বাকি দলগুলোর ভোট পাওয়ার শতকরা যে হার, তা ক্ষমতায় যাওয়ার মতো নয়। ক্ষমতায় যেতে হলে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট লাগবে। সুতরাং সবদিক থেকে বিএনপিই সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে বলে দেশের রাজনীতিতে আলোচনা আছে। 

বিগত চারটি নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ৩০.৮১ শতাংশ ভোট পেয়ে সরকার গঠন করে। আর আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ৩০.০৮ শতাংশ ভোট। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ৩৭.৪৪ শতাংশ ভোট পেয়ে সরকার গঠন করে। সেই নির্বাচনে বিএনপি পেয়েছিল ৩৩.৬১ শতাংশ ভোট। ২০০১ সালে বিএনপি ৪০.৮৬ শতাংশ ভোট পেয়ে সরকার গঠন করে, আর আওয়ামী লীগ ৪০.২১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ৪৯ শতাংশ এবং বিএনপি ৩৩.২০ শতাংশ ভোট পায়। সেই হিসাবে আগামী দিনেও রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে হলে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট প্রয়োজন। 

বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মতে, জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের সম্মুখ সারিতে ছাত্রসমাজ থাকলেও এর সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী বিএনপি। তাই তুচ্ছ ঘটনায় বা সংকট সৃষ্টি করে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ হারাতে বিএনপি রাজি নয়। পাশাপাশি অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা বা অঘটন ঘটলে তার দায় বিএনপির ওপর যাতে না বর্তায়, সেই লক্ষ্যে দলটি সতর্ক থাকতে চায়। 

জানা গেছে, কৌশলগত এমন অবস্থানের কারণেই আগস্ট বিপ্লবের পর থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখন পর্যন্ত বিতর্কিত কোনো মন্তব্য করেননি। প্রথম থেকেই বক্তব্য-বিবৃতিতে সংযত থাকার পাশাপাশি রাজনৈতিক দিক থেকে ইতিবাচক অবস্থানে থাকার চেষ্টা করছেন তারেক রহমান। গত ৬ মাসে তার বক্তব্য-বিবৃতি সুধী সমাজের মধ্যেও গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে বলে ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়েছে।

সূত্রমতে, বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের গত দুই দিনের বক্তব্য নিয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে। অনানুষ্ঠানিক ওই সব আলোচনায় হঠকারী কোনো কথা না বলার জন্য দলের হাইকমান্ড থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমান বলেছেন, সবাইকে সংযত হয়ে গঠনমূলক বক্তব্য দিতে হবে, যাতে জুলাই-আগস্টের বিপ্লব তথা বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার পথ ভণ্ডুল না হয়। 

সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যদি নিরপেক্ষ না থাকে, তাহলে নির্বাচনের সময় একটা নিরপেক্ষ সরকার দরকার হবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে না পারলে নির্বাচনের আয়োজন করতে পারবে না। মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে। এরপর থেকেই পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। আরেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, উপদেষ্টারা কেউ রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়ে করবেন। এসব বক্তব্য রাজনীতিতে বেশ উত্তাপ ছড়ায় এবং এরই সূত্র ধরে নানা গুজব ডালপালা মেলতে শুরু করে। এর আগেও সংস্কার, নির্বাচনের দিনক্ষণ, সংবিধান সংশোধন ও রাষ্ট্রপতির অপসারণের উদ্যোগসহ নানা ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সরকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় মতবিরোধ জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়েছে। 

এ ছাড়া প্রশাসনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রদবদল নিয়ে সরকার, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রসমাজের মধ্যে সমন্বয় হচ্ছে না বলে আলোচনা আছে।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। কারও সঙ্গে কোনো দূরত্ব তৈরি হয়নি। কোনো ধরনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছি না, আমরা আমাদের গঠনমূলক বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করছি।’ 

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘সংস্কারের জন্য নির্বাচন দরকার, আবার নির্বাচনের জন্য সংস্কার দরকার। নির্বাচন দিতে হলেও কতগুলো বিষয়ে সংস্কারে বিষয়ে সবাই একমত হবে। তবে আমরা মৌলিক সংস্কারের পক্ষে। সংস্কারের জন্য জনগণই আসল চালিকাশক্তি এবং জনগণ তার এই ক্ষমতা প্রয়োগ করে নির্বাচনের মাধ্যমে। সুতরাং জনগণের ভোটেই যেন প্রতিনিধি নির্বাচিত হন সে জন্য অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট হতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের সীমিত কিছু সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দেওয়া প্রয়োজন। মৌলিক সংস্কারের জন্য নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ 

তিনি বলেন, অবৈধভাবে চাঁদাবাজি করে দল গঠন করা যাবে না। বর্তমানে রাজনৈতিক দল গঠন করার জন্য হেলিকপ্টারে করে বিভিন্ন জায়গায় মিটিং করতে যান সরকারের কেউ কেউ। এই টাকাগুলো কোথা থেকে এল তার হিসাব দেওয়া জরুরি। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক অপরিপক্বতা, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, দেশপ্রেমের অভাব ও নির্বাচনে দেরি- এগুলোই সমস্যার মূল কারণ। নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে দ্বন্দ্বের কি আছে? সংস্কার তো সবাই চায়। সংবিধান, প্রশাসন, পুলিশ, নির্বাচন কমিশনসহ কয়েকটি জায়গায় মৌলিক সংস্কার করে এই বছরের নির্বাচন দিলেই সংকট কেটে যাবে। ছাত্ররা যে সংস্কার চাইছে তা এক বা দুই দিনে করা সম্ভব নয়, এটা ধারাবাহিকভাবে চলবে। অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশের জন্য ক্ষতি। নির্বাচিত সরকার দেশ চালাবে এই কথাটা সবাইকে মাথায় নিতে হবে। বিএনপিকে মাইনাসের চিন্তা করলে ভুল করবে। 

তিনি বলেন, ছাত্ররা রাজনৈতিক দল গঠন করলে তাকে স্বাগত জানাব। কিন্তু সরকারের ভেতর থেকে ‘কিংস পার্টি’ গঠন করবে, নির্বাচন অংশ নেবে তাহলে সেই নির্বাচন কীভাবে নিরপেক্ষ হবে? প্রয়োজনে ছাত্ররা পদত্যাগ করে দল গঠন করুক। তাহলে কোনো বিতর্ক থাকবে না। ছাত্ররা দল গঠন করতে এত টাকা পাচ্ছে কোথা থেকে? এই সরকার নিরপেক্ষ না থাকলে কীভাবে সংস্কার হবে? তাই উপদেষ্টাদের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচন দিয়ে সরে যাওয়া উচিত।

দিলারা চৌধুরী বলেন, নিজেদের আদর্শ ত্যাগ করে ‘কিংস পার্টি’ গঠন করলে ছাত্রদের গায়ে কালিমা লাগবে। কিন্তু ভবিষ্যতে ছাত্রদের কেউ সম্মান করবে না, তাদের সবাইকে ধান্দাবাজ বলবে। ছাত্রদের ঐতিহ্য ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া যাবে না। তাই তাদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করার দিকে নজর দেওয়া উচিত।

প্রশাসনের রদবদলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইলে জনগণ মেনে নেবে না: আমিনুল হক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম
প্রশাসনের রদবদলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইলে জনগণ মেনে নেবে না: আমিনুল হক
ঢাকা মহানগর উত্তর আদাবর থানা বিএনপির কর্মীসভা ও রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক। ছবি: সংগৃহীত

প্রশাসনের রদবদলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইলে সেটা এদেশের জনগণ মেনে নেবে না মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আদাবরের শেখেরটেক পিসিকালচার হাউজিং এ ঢাকা মহানগর উত্তর আদাবর থানা বিএনপির কর্মীসভা ও রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবার নতুনভাবে আমরা যে রদবদল দেখতে পাচ্ছি। সেই রদবদলের উদ্দেশ্য যদি এদেশের জনগণের কল্যাণে হয়, তাহলে কোন সমস্যা নেই। যদি সেই রদবদল বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রের জন্য আসন্ন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাহলে বাংলাদেশের জনগণ কখনই তা মেনে নেবে না।

আমিনুল হক বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মানুষ একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলিত হবে। বাংলাদেশের মানুষের অধিকারের প্রতিফলন ঘটবে। বাংলাদেশের মানুষের দাবিগুলোর প্রতিফলন ঘটবে। কারণ বাংলাদেশের মানুষ ভবিষ্যৎতে আর কোন স্বৈরাচারের জন্ম হউক তা দেখতে চায় না।

বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার গত ১৭ বছরে সবলদের পাশে ছিল। স্বৈরাচার সরকারের সময়ে আমরা দেখেছি যারা সবল অর্থাৎ যারা ধনী ছিল তাদেরকে আরও ধনী বানিয়েছিল, কিন্তু বিএনপি সবসময় গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে কথা বলেছে। ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় সাধারণ মানুষ ও অসহায় মানুষের অধিকার ও দাবিকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য রাজনীতি করে। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার জন্য বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে সুসংগঠিত ভাবে ও উজ্জীবিত হয়ে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চায়।

আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার এদেশের জনগণ থেকে সম্পূর্ণরুপে বিচ্ছিন্ন ছিল। জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশের সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মাজা ভেঙে দিয়েছিল তারা। 

তিনি আরও বলেন,স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের রেখে যাওয়া ধ্বংসস্তূপকৃত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংষ্কারের জন্যই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফার রূপরেখা দিয়েছেন। সেই রূপরেখার বার্তা আমাদেরকে সারা বাংলাদেশের তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। 

আদাবর থানা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাদেক হোসেন স্বাধীন এর সভাপতিত্বে থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হোসেন সরকার ও আবুল কালাম আজাদ এর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়াপারসন উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব মো. মোস্তফা জামান,মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, সাবেক যুবনেতা এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, 
ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, হাজী মোহাম্মদ ইউসুফ, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, তহিরুল ইসলাম তুহিন, আফাজ উদ্দিন,শাহ আলম, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর সদস্য হাজী নাসির উদ্দীন, শামীম পারভেজ, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, মোতালেব হোসেন রতন, মনিরুল আলম রাহিমী, হাফিজুর রহমান শুভ্র, এমএস আহমাদ আলী, তাসলিমা রিতা, শ্রমিকদল ঢাকা মহানগর উত্তর যুগ্ম আহ্বায়ক লায়ন ফরিদ আহমেদ, জাসাস ঢাকা মহানগর উত্তর সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন আনু, মহিলাদল ঢাকা মহানগর উত্তর সদস্যসচিব অ্যাড. রুনা লায়লা রুনা, ওলামাদল ঢাকা মহানগর উত্তর আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, তাঁতীদলের মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক এমএ হান্নান, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল সভাপতি সালাহ্উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আকরাম আহমেদ এছাড়াও আদাবর থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হানিফ, শাহিন শাহ, জাহিদ হোসেন ইমন, বিল্লাল পাটোয়ারী, হাজী নিজাম উদ্দিন, ৩০নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি সালাম হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, খিলক্ষেত থানা বিএনপি যুগ্মআহ্বায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান, সিএম আনোয়ার হোসেন, রানা চৌধুরী, তুরাগ থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল আলী, মো.পুর থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. সারোয়ার হোসেন সাকিফ, মীর মো. কামাল হোসেন, সিনিয়র সদস্য ফরিদ উদ্দিন ফরহাদ, ৩৩নং ওয়ার্ড বিএনপি সিনিয়র সহসভাপতি মো. ওসমান গণি সেন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে দুপুরে পল্লবীতে ঢাকা মহানগর উত্তর পল্লবী থানার ২নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।

 

সরকারের দায়িত্ব নির্বাচন দেওয়া, কিন্তু শুনছি সংস্কারের জারি গান: গয়েশ্বর চন্দ্র

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৬ পিএম
সরকারের দায়িত্ব নির্বাচন দেওয়া, কিন্তু শুনছি সংস্কারের জারি গান: গয়েশ্বর চন্দ্র
লালমনিরহাটে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এই সরকারের দায়িত্ব একটা নির্বাচন দেওয়া। তারা নির্বাচনের ব্যাপারেও নাই, দেশ পরিচালনায়ও নাই। শুধু সকাল বিকাল জারি গান শুনছি সংস্কার আর সংস্কার।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) লালমনিরহাট রেলওয়ে মুক্ত মঞ্চে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য রোডম্যাপ ঘোষণা এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলার জনদাবিতে আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, দ্রব্যমূল্যে বর্তমান লাগামহীন কিন্তু যারা উৎপাদন করে তারা ন্যায্যমূল্য পায় না। বাজার ব্যবস্থার সিন্ডিকেট এখনো রয়েছে। এই সিন্ডিকেট নির্মূল করতে আমরা দেখিনা। 

তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলন হয়েছে এক দফা, ফ্যাসিবাদের পতন। কেন? সুষ্ঠু একটি অবাধ নির্বাচন। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি দেব। এই ১৬ বছর কীসের জন্য আন্দোলন করেছি আমরা?’

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের প্রশ্নে, দেশের স্বার্থে, আমাদের আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়া আপোষ করেননি। তিনিও নানা জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। খালেদা জিয়া বিএনপির রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, তিনি ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে রাজনীতি করছেন। 

গয়েশ্বর বলেন, আপনারা উপদেষ্টারা সরকারে থাকবেন, রাতে গোপন বৈঠক করবেন আর বাচ্ছা প্রসব করবেন তা হবেনা। আপনারা নিরপেক্ষতা হারাচ্ছেন। কেন এমন হচ্ছে। এখানে নিশ্চয়ই ষড়যন্ত্র আছে। ইতিবাচকভাবে আপনারা কাজ করেন। ভোট দেন। ইতিহাসে লেখা হয়ে থাকবেন।

লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, আব্দুল খালেকসহ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার বিএনপি,  যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

এম আই বকুল/মাহফুজ

সংসদে নারীদের জন্য ১০-২০টি আসনই যথেষ্ট: ইসলামী ফ্রন্ট

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৭ পিএম
সংসদে নারীদের জন্য ১০-২০টি আসনই যথেষ্ট: ইসলামী ফ্রন্ট
গোলটেবিল বৈঠকে ইসলামী ফ্রন্টের নেতারা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারীদের জন্য নিরঙ্কুশ ১০০টি আসনের সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। তবে কমিশনের এই সুপারিশের যৌক্তিকতার পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। 

তারা বলেছে, ‘নারীদের জন্য ১০০টি নয়, বরং সর্বোচ্চ ১০ থেকে ২০টি আসনই আমরা যথেষ্ট মনে করি।’ 

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রদত্ত সুপারিশমালা ও আমাদের বক্তব্য’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে ইসলামী ফ্রন্টের নেতারা এসব কথা বলেন। 

আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, সুপারিশকৃত প্রস্তাবনায় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধকে যথার্থ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার ঐক্যকে তুলে ধরা হয়েছে। তবে আমরা মনে করি, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকার সঙ্গে ২৪-এর তুলনা করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহল বিরত থাকবে। এ সময় সংবিধানে ‘প্রজাতন্ত্র’ শব্দের পরিবর্তে ‘নাগরিকতন্ত্র’ এবং ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’-এর পরিবর্তে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে ‘আন্তধর্ম সম্প্রীতি কমিশন’ ও ‘জাতীয় শরিয়াহ কাউন্সিল’ গঠনের দাবি জানায় ইসলামী ফ্রন্ট। সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, বর্তমান সংবিধানের তুলনায় প্রস্তাবিত সংবিধান সংস্কার সুপারিশমালা অধিকতর টেকসই ও যুগোপযোগী। 

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিনের সভাপতিত্বে ও স উ ম আবদুস সামাদের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জগলুল হায়দার, গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আইনসচিব মুহাম্মাদ ইকবাল হাছান প্রমুখ।

 

জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত সরকার ছাড়া গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে: দুদু

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম
জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত সরকার ছাড়া গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে: দুদু
ছবি: খবরের কাগজ

জনগণের ম্যান্ডেডপ্রাপ্ত সরকার ছাড়া গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে সেজন্য আমরা নির্বাচনের কথা বলেছি। গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ছাত্র জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ও যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দুদু বলেন, দেশে একটা ঐতিহাসিক পরিবর্তন হয়েছে। ফ্যাসিবাদের গ্রাস থেকে জাতি মুক্তি পেয়েছে। এত বড় একটা পরিবর্তনের পরেও বাংলাদেশের মানুষ আশায় বুকে বেঁধেছিল, তাদের জীবন ধারনের জন্য অন্তত পক্ষে গত সরকারের আমলের তুলনায় এবার অনেক ভালো থাকবে। কিন্তু, দুঃখের বিষয় হচ্ছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে শুরুতেই দ্রব্য মূল্যের দাম একটু কমের দিকে গেলেও পরবর্তীতে দাম বেড়ে যায়। মাঠ পর্যায়ের যে কৃষকরা সঠিক দাম পাওয়ার প্রত্যাশা করেছে, সেটির ধারেকাছেও তারা যেতে পারেনি। এদেশের কৃষক শ্রমিক সবসময় অবহেলিত থেকেছে এবং নিমর্মতার স্বীকার হয়েছে।  

তিনি বলেন, বিএনপি গরিব মানুষের দল, বিএনপি খেটে খাওয়া মানুষের দল, কামার, কুৃমার, কুলি, মজুর ঠিক তেমনি মধ্যবিত্তের দল। সব শ্রেণীর মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে বিএনপি। সেই বিএনপি আজকে এ সরকারকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানালো। কিন্তু সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ৬ মাস চলে যাওয়ার পরেও ব্যর্থ হয়েছে বলে সবাই মনে করছে। এ সরকার বাজারদর এখনও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। দেশের শৃঙ্খলা  রক্ষা করতেও পারছেন না।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমরা শুরুতেই বলেছিলাম প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেন। বর্তমান সরকার তার সমর্থনকে কাজে লাগানোর যে দক্ষতার দরকার ছিল সেটা তারা করতে পারেনি। কিন্তু এ সরকারকে এখনও আমরা সমর্থন করি। এ সরকারের সমালোচনা করি সঠিক পথে থাকার জন্য। হয়ত তারা কিছু কিছু ক্ষেত্রে অসন্তুষ্ট হতে পারে। কিন্তু চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো ছাড়া কোনো পথ নেই। কারণ তারা যদি ব্যর্থ হয় তাহলে এর অংশীদার আমাদেরকেও হতে হবে। সরকারের সমালোচনার কারণ হলো তারা যাতে সফল হয়। এ সরকারকে আমরা ব্যর্থ হতে দিতে চাই না।  

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, দেশের মধ্যে একধরনের নির্বাচনের আমেজ তৈরী হতে যাচ্ছে। সেই জায়গায় কিছু কিছু রাজনৈতিক দল প্রয়োজনীয় সংস্কার নয়, সংস্কার করে নির্বাচনের কথা বলছেন। বলতেই পারে! সকল রাজনৈতিক দলতো স্বাধীন। সকল রাজনৈতিক দলের নিজস্ব কর্মসূচি আছে। তারা যদি মনে করে  এই সরকারের সংস্কার দরকার সেই কথা তারা বলতে পারে। আমার কাছে মনে হয় নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নিয়ে সংস্কার করতে পারে। জনগণের ম্যান্ডেডপ্রাপ্ত সরকার যদি কেউ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে গণতন্ত্র গ্রহণ করতে তারা ব্যর্থ হবে। সেজন্য আমরা নির্বাচনের কথা বলেছি। গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, যদি নির্বাচন পরিত্যাগ করে, নির্বাচন গ্রহণ না করে, তাহলে তো তিন বছর, চার বছর, পাঁচ বছর পরপর গণঅভ্যুত্থান করতে হবে। আর আরেকটা হলো সামরিক অভ্যুত্থান। সেজন্য আমরা নির্বাচনের কথা বলেছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যারা নির্বাচনের বিষয় নিয়ে এখনও পর্যন্ত একটু দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছেন, নির্বাচনের স্রোতে আসেন, জনগণের পাশে দাঁড়ান। ভয়ভীতি সন্দেহ রেখে যদি সময় বিলম্বিত করেন তবে পার্শ্ববর্তী দেশে বসে থাকা ফ্যাসিস্ট শক্তি পাবে, আরও বেশি উৎসাহিত হবে। 

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা এম নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সভাপতি সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবিরসহ প্রমুখ।

শফিকুল/মেহেদী/

অপারেশন ডেভিল হান্ট: কালিহাতীতে চেয়ারম্যানসহ আ.লীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৭ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:১১ পিএম
অপারেশন ডেভিল হান্ট: কালিহাতীতে চেয়ারম্যানসহ আ.লীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার
ছবি: খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে অপারেশন ডেভিল হান্টে  ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ও সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার, দুর্গাপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম এবং কোকডহরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন। 

কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূইয়া জানান, তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জুয়েল/মেহেদী/