ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

সিলেটের ১৯ আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৯ পিএম
সিলেটের ১৯ আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেছে জামায়াতে ইসলামী। সিলেট বিভাগের সবগুলো নির্বাচনী আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সিলেট বিভাগের সর্বস্তরের দায়িত্বশীলদের নিয়ে আয়োজিত অনলাইন বৈঠকে ১৯টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে অনলাইন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিভাগের ১৯ আসনে আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সিলেট অঞ্চলের পরিচালক অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

ঘোষিত তালিকা সূত্রে জানা যায়, সিলেট সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকা নিয়ে সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন এহসানুল মাহবুব জুবায়ের নিজেই। অন্য আসনগুলোর প্রার্থী হচ্ছেন, প্রফেসার এম এ হান্নান (সিলেট-২), মাওলানা লোকমান আহমদ (সিলেট-৩), জয়নাল আবেদীন (সিলেট-৪), হাফেজ আনোয়ার হোসেন খান (সিলেট-৫) ও সেলিম উদ্দিন (সিলেট-৬)।

হবিগঞ্জের ৪টি আসনের প্রার্থীরা হলেন- মো. শাহজাহান আলী (হবিগঞ্জ-১), শেখ জিল্লুর রহমান আজমী (হবিগঞ্জ-২), অধ্যক্ষ কাজী মহসিন আহমেদ (হবিগঞ্জ-৩), কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমান (হবিগঞ্জ-৪)।

সুনামগঞ্জের প্রার্থীরা হলেন- মাওলানা তোফায়েল আহমেদ খান (সুনামগঞ্জ-১), অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির (সুনামগঞ্জ-২), অ্যাডভোকেট ইয়াছিন খান (সুনামগঞ্জ-৩), অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শামসউদদীন (সুনামগঞ্জ-৪), মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী (সুনামগঞ্জ-৫)।

মৌলভীবাজারের প্রার্থী- মাওলানা আমিনুল ইসলাম (মৌলভীবাজার-১), মো. শাহেদ আলী (মৌলভীবাজার-২), মো. আব্দুল মান্নান (মৌলভীবাজার-৩), মো. আব্দুর রব (মৌলভীবাজার-৪)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, সিলেটের ১৯টি আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। অনলাইন বৈঠকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। প্রত্যেক জেলার নেতাদের কাছে তালিকা রয়েছে। দলীয় কার্যক্রম বেগবান করার পাশাপাশি নেতাকর্মীরা জনগণের আরও বেশি কাছে থেকে কাজ করতেই সিলেটের ১৯টি আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। ।

২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি ও জামায়াতসহ অনেক রাজনৈতিক দল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে জামায়াতের ২২ জন প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। এর আগে ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের অংশ ছিল বিএনপি। দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন পেয়ে ওই জোট তখন ক্ষমতায় গিয়েছিল। তবে এককভাবে জামায়াত সবচেয়ে ভালো ফল করেছিলো ১৯৯১ সালের নির্বাচনে। সেই নির্বাচনে ১৮টি আসন পেয়েছিলো দলটি। তখন জামায়াতের সমর্থন নিয়েই সরকার গঠন করেছিলো বিএনপি।

মেহেদী/

জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক শনিবার

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:৫০ পিএম
জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক শনিবার

বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক করবে বিএনপি। শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুর একটায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ)) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সিনিয়র নেতারা অংশ নেবেন।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত থাকলে কেউ ক্ষতি করতে পারবে না: আমিনুল হক

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৪ পিএম
ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত থাকলে কেউ ক্ষতি করতে পারবে না: আমিনুল হক
মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজ ও এমডিসি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, আমরা সকলে একসঙ্গে দেশ গড়ার কাজে ঐক্যবদ্ধ হতে চাই। আমরা সকলে যদি ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত থাকতে পারি তাহলে কোনো ষড়যন্ত্রকারী দেশ এবং দেশের মানুষের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজ ও এমডিসি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এর এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠান এবং পল্লবীতে স্বেচ্ছাসেবকদলের আয়োজনে স্থানীয় সুশীল সমাজের জন্য ইফতার ও দোয়ায় বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা সুন্দর একটি বাংলাদেশ রেখে যেতে চাই মন্তব্য করে আমিনুল হক বলেন,স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পরে বাংলাদেশের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল। সেই স্বস্তির নিঃশ্বাসে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি। সেই স্বপ্ন সুন্দর একটি সমাজ গড়ার। সুন্দর একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ার। 

এসময় তিনি বলেন, মানবিক বাংলাদেশ গড়তে একজন নাগরিক হিসেবে আমাদের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। প্রত্যকটি নাগরিক হিসেবে আমরা যার যার অবস্থান থেকে যদি দায়িত্ব পালন করতে পারি তাহলেই আমরা একটি সুন্দর সমাজ গড়তে পারব।

এসময় বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আমরা দেখেছি স্বৈরাচার সরকার বাংলাদেশের মানুষের ওপরে প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করেছিল। 

এসময় তিনি আরও বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার তার ১৫টা বছরের শাসনামলে তারা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতায় বসেছিল। ১৭ বছর ধরে আমাদের আন্দোলনের ফসল হিসেবে গত জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে আমরা স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছি। 

এছাড়াও খিলক্ষেত থানার ৪৩নং ওয়ার্ডের আয়োজনে ইফতার মাহফিল, পল্লবীতে আহলে হাদিস জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা ইফতার মাহফিল এবং পল্লবী রুপনগরে দুইটি ইফতার বিতরণ কর্মসূচিতেও অংশ নেন আমিনুল হক।

মাহফুজ/

শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:২১ পিএম
শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ নিয়ে শুক্রবার (১৪ মার্চ) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এ ঘটনায় এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।’

তিনি লিখেছেন, ‘মাগুরায় ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশু আছিয়া গত কয়েক দিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় মৃত্যুবরণ করে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। নির্মম পাশবিকতায় আছিয়ার মৃত্যুর ঘটনা দেশবাসীর মতো আমাকেও ব্যথিত করেছে। তার মৃত্যুর সংবাদে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। এই মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনা সারা দেশের মানুষকে লজ্জিত করেছে।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি এ ঘটনা জানার পর শুরুতে তার চিকিৎসা ও আইনি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিলাম। অতীতের ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে ধর্ষণকারীদের বিচারের আওতায় না এনে বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করার ফলে দেশে ধারাবাহিকভাবে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। বিচারের দীর্ঘসূত্রতার ফলে আইনের ফাঁক দিয়ে ধর্ষণকারীরা বারবার রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ধর্ষণের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলছে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে নারী হেনস্তা, হয়রানি, ধর্ষণ বা ধর্ষণের হুমকির মতো ঘটনা মানুষ আর প্রত্যাশা করে না। তারপরেও এই ঘটনাগুলো ঘটেই চলেছে। নারী, কিশোরী ও শিশুদের প্রতি যেকোনো ধরনের সহিংসতা বা হয়রানি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদা নিশ্চিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। এ ছাড়াও একটি বিস্তৃত শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ চলাচল, নাগরিক স্বাধীনতা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখতে হবে। ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে হবে আইনিভাবে। সমাজে শান্তি ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য এই ধরনের অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা অতি গুরুত্বপূর্ণ। এ ঘটনা শুধু বর্তমান সমাজকে কলুষিত করছে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও এক ভয়ংকর দৃষ্টান্ত তৈরি করছে। এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।’

আছিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তারেক রহমান। সূত্র: বাসস

এমএ/

৫ বছরের জন্য জামায়াতের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:০৫ পিএম
৫ বছরের জন্য জামায়াতের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান
কবি-সাহিত্যিক, জামায়াত বিটের সাংবাদিক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

আগামী পাঁচ বছর জামায়াতে ইসলামীর হাতে দেশের ক্ষমতা ছেড়ে দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে একটি সন্ত্রাস-চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ হবে। কোনো আধিপত্যবাদী অপশক্তি বাংলাদেশের ওপর ছড়ি ঘোরাতে পারবে না। আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে ১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশ।’

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাকাডেমির উদ্যোগে কবি-সাহিত্যিক, জামায়াত বিটের সাংবাদিক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। 

জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে দুর্নীতি, দুঃশাসন ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘পার্লামেন্টে ইসলামের লোক নির্বাচিত হোক তা অনেকেই চায় না। অথচ দেশে ইসলামের আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে পাঁচ বছরের মধ্যেই দুর্নীতি, সন্ত্রাস, হত্যা, নৈরাজ্য, ধর্ষণসহ সব ধরনের অপরাধ দূর করা সম্ভব। দেশে কোনো দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও বস্তি থাকবে না। দেশ ও জাতির মুক্তি মিলবে।’

বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাকাডেমির সভাপতি আবেদুর রহমানের সভাপতিত্বে ইফতারে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাকাডেমির সেক্রেটারি ইব্রাহীম বাহারী, কবি আল মুজাহিদী, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক শামসুল আলম, মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ, সাপ্তাহিক সোনার বাংলার সহকারী সম্পাদক ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, এনএনবিডি২৪.কমের সিইও মু. আতাউর রহমান সরকার, সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের সভাপতি মাহবুব মুকুল, বাচিক শিল্পী বায়েজীদ মাহমুদ, কবি হাসান আলীম, কবি জাকির আবু জাফর প্রমুখ। মোনাজাত পরিচালনা করেন বাড্ডা কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আনোয়ার হোসেন মোল্লা।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সিপিবির বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম
নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সিপিবির বিক্ষোভ সমাবেশ
নারী-শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সিপিবির বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: খবরের কাগজ

নারী-শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতন, নারীবিদ্বেষী উস্কানীমূলক বক্তব্য, মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে সিপিবি ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির উদ্যোগে পল্টন মোড়ে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।  

ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ডা. সাজেদুল হক রুবেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লুনা নূরের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতা কমরেড হাসান হাফিজুর রহমান সোহেল, খেতমজুর নেতা মোতালেব হোসেন, নারীনেত্রী রোকেয়া বেগম প্রমুখ। 

সমাবেশের শুরুতে একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

বিক্ষোভ সমাবেশে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আছিয়ার মৃত্যু আমাদেরকে লজ্জিত ও অপরাধী করে দেয়। রক্তাক্ত অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এমন ঘটনা, এমন মৃত্যু কিভাবে ঘটে চলেছে? সারা দেশে অব্যাহত খুন, ধর্ষণ, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস প্রমাণ করে দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী সরকারও ব্যর্থ হচ্ছে। শুধু নতুন রাজনৈতিক দলকে উৎসাহ দিলেই গণতান্ত্রিক পরিবর্তন ঘটে না। মব সন্ত্রাসের প্রেক্ষিতে রহস্যময়  নির্লিপ্ততা, উদ্যোগ গ্রহণে দীর্ঘসূত্রিতা জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করছে।’

কমরেড রুহিন হোসেন বলেন, ‘অবিলম্বে নূন্যতম সংষ্কার করে, জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করুন। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত না হলে, জনগণের ম্যান্ডেটে সরকার গঠন না হলে, দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না এবং অব্যাহত নারী নির্যাতন বন্ধ হবে না, গণমানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না।’ 

কমরেড লুনা নুর বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের নারী সমাজ ভয়াবহ সময় পার করছেন। চূড়ান্ত  নিরাপত্তাহীনতা ও ছুটির মধ্য দিয়ে দিন পার করছে। শুধু যে ধর্ষণ ও নারীর প্রতি নিপীড়নের মাত্রা বেড়েছে তা নয়, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংবিধানবিরোধী অবস্থান থেকে নারীর প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। সবচেয়ে লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে এই অন্তর্বতী সরকার নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।’

সমাবেশের সভাপতি ডা. সাজেদুল হক রুবেল বলেন, ‘আছিয়ার মৃত্যুতে সারা দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ।  ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তী সরকার খুন, ধর্ষণ কিংবা মব নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে তো পারছেই না বরং তাদের নাকের ডগাতেই এই মব সন্ত্রাস চলছে। কিন্তু কোনো কার্যকর ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে না।’ 

এ সময় নেতারা সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার আহ্বান এবং একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান।

পপি/