
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ দেবে বিএনপি। একই সঙ্গে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও চলমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে নিজেদের অবস্থানও তুলে ধরবে দলটি।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এ রোডম্যাপ দেবে বিএনপি। দলের পক্ষ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেবে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ৩টায় নির্বাচন কমিশনে যায় তাদের প্রতিনিধিদলটি।
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দায়িত্ব সরকারের। পরে শিডিউল ঘোষণা করবে কমিশন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আগামীকাল (সোমবার) আমাদের আলোচনা আছে। সেখানে আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ তুলে ধরা হবে।’
এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচন একটি জাতির গণতান্ত্রিক হয়ে ওঠার জন্য অপরিহার্য মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে দ্রুতও যদি নির্বাচন আয়োজন করা হয় সেটা এ বছরের শেষ দিকে হতে পারে।’ জাপানের সরকারি টেলিভিশন এনএইচকেওয়ার্ল্ডকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্বাচন সম্পর্কে ওই মন্তব্য করেন তিনি।
আগামী জুলাই-আগস্টের মধ্যেই নির্বাচন দাবি করছে বিএনপি। এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। এটা গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা মনে করি, এ বছরের মাঝামাঝি অর্থাৎ জুলাই-আগস্টের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব। এ কারণে আমরা সরকার, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এ বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নিতে।’