
দেশব্যাপী চলমান ডেভিল হান্ট অপারেশন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে এখনো আওয়ামী প্রেতাত্মারা বসে আছে। এরাই এই সরকারকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে। বনে-জঙ্গলে ডেভিল না খুঁজে সরকারি দপ্তরে ঘাপটি মেরে থাকা ডেভিলদের খুঁজে বের করুন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর কমলাপুরে বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘রাষ্ট্র সংস্কারে তারেক রহমানের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক কর্মশালায় আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মূগদা থানা বিএনপি।
মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি মানুষের ভোটাধিকারের জন্যই তো দেড় যূগ ধরে আন্দোলন করেছে। কর্মীরা জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে। আমরা আন্দোলন করেছি সংসদ নির্বাচনের জন্য আর কেউ কেউ চাচ্ছেন স্থানীয় নির্বাচন। তারা জানেন না এখন গর্তে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা স্থানীয় নির্বাচনের ফাঁকফোকর দিয়ে মাথা বের করবে। এটা অশুভ চক্রান্ত।
প্রধান উপদেষ্টার ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনের লক্ষ্যকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, সতর্ক থাকতে হবে যেন কোনো ষড়যন্ত্র এ নির্বাচন বানচাল করতে না পারে।
নগর বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচির বিশ্লেষণ করেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিব।
রফিকুল আলম মজনু বলেন, ভবিষ্যতে ফ্যাসিস্ট শক্তির উত্থানের সম্ভাবনা বিলীন করতে সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে ৩১ দফার আলোকে দেশ গড়ার কাজে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার সহযোগীদের বিচার করতে হবে। এদের অপরাজনীতি নির্মূল করতে হবে।
গত ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসনামলে ঘটানো গুম, খুনসহ তাদের নানা অপকর্মের কথা তুলে ধরে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, গণহত্যা চালিয়েও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোনো ধরনের অনুশোচনা নেই। উল্টো বিদেশে বসে খুনি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশকে অস্থিতিশীল করতে আবারও মানুষ হত্যার নির্দেশ দিচ্ছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামতে ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ নাম দিয়ে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপি নেতা শামছুল হূদা, ইউনূস মৃধা, যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন উর রশীদ হারুন, লিটন মাহমুদ, হাজী মনির হোসেন চেয়ারম্যান, কে সিকান্দার কাদের, সাইদুর রহমান মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন, ফরহাদ হোসেন প্রমূখ।
শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ