
ফেনীতে জামায়াতে ইসলামীর সদ্য বহিষ্কৃত নেতা জাকির হোসেনসহ দুজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা এ মামলা করেন। মামলার অপর আসামি জাকির হোসেনের ছোট ভাই আমির হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টার দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. মোতাহের হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
জাকির হোসেন ফেনী জামায়াতে ইসলামীর রুকন ছিলেন। তিনি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার উত্তর গজারিয়া গ্রামের জহির আহমেদের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে জেলা শহরের পাঠানবাড়ি এলাকায় বসবাস করছেন।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, একটি মামলার চার্জশিট থেকে ফেনী আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসানের নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে চাঁদা দাবি করেন জাকির হোসেন। এতে ফেনী মডেল থানার ওসির নাম ব্যবহার করে তিনি দুই দফায় ৩ লাখ টাকা চাঁদাও নেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে এ-সংক্রান্ত একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে শোনা যায়, অধ্যক্ষকে মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়ার জন্য জাকির হোসেন এক দফায় ২ লাখ ও আরেক দফায় ১ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন। আর তার ভাই আমির হোসেন অধ্যক্ষের কাছ থেকে চাঁদার ৩ লাখ টাকা নেন।
এদিকে জামায়াত নেতা ও অধ্যক্ষের কথোপকথনের কল রেকর্ড নিয়ে জেলাজুড়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এ ঘটনার পরের দিন জাকিরকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিজ্ঞপ্তি দেয় ফেনী জেলা জামায়াতে ইসলামী। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আ ন ম আব্দুর রহিম।
এদিকে মামলার বিষয়ে উপপরিদর্শক মো. মোতাহের হোসেন বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।