ঢাকা ৯ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
English

জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ওসির চাঁদাবাজির মামলা

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম
জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ওসির চাঁদাবাজির মামলা
জামায়াতে ইসলামীর সদ্য বহিষ্কৃত নেতা জাকির হোসেন

ফেনীতে জামায়াতে ইসলামীর সদ্য বহিষ্কৃত নেতা জাকির হোসেনসহ দুজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা এ মামলা করেন। মামলার অপর আসামি জাকির হোসেনের ছোট ভাই আমির হোসেন। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টার দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. মোতাহের হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

জাকির হোসেন ফেনী জামায়াতে ইসলামীর রুকন ছিলেন। তিনি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার উত্তর গজারিয়া গ্রামের জহির আহমেদের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে জেলা শহরের পাঠানবাড়ি এলাকায় বসবাস করছেন।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, একটি মামলার চার্জশিট থেকে ফেনী আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসানের নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে চাঁদা দাবি করেন জাকির হোসেন। এতে ফেনী মডেল থানার ওসির নাম ব্যবহার করে তিনি দুই দফায় ৩ লাখ টাকা চাঁদাও নেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে এ-সংক্রান্ত একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে শোনা যায়, অধ্যক্ষকে মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়ার জন্য জাকির হোসেন এক দফায় ২ লাখ ও আরেক দফায় ১ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন। আর তার ভাই আমির হোসেন অধ্যক্ষের কাছ থেকে চাঁদার ৩ লাখ টাকা নেন।

এদিকে জামায়াত নেতা ও অধ্যক্ষের কথোপকথনের কল রেকর্ড নিয়ে জেলাজুড়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এ ঘটনার পরের দিন জাকিরকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিজ্ঞপ্তি দেয় ফেনী জেলা জামায়াতে ইসলামী। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আ ন ম আব্দুর রহিম। 

এদিকে মামলার বিষয়ে উপপরিদর্শক মো. মোতাহের হোসেন বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

এনসিপির নেতাদের মধ্যে বোঝাপড়ায় কোনো ঘাটতি নেই: নাসীর উদ্দীন পাটোয়ারী

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:০৮ পিএম
এনসিপির নেতাদের মধ্যে বোঝাপড়ায় কোনো ঘাটতি নেই: নাসীর উদ্দীন পাটোয়ারী
এনসিপির বাংলামোটরের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন দলটির মুখ্য সংগঠক নাসীর উদ্দীন পাটোয়ারী

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) নেতাদের মধ্যে কোনো দূরত্ব কিংবা বোঝাপড়ার জায়গায় কোনো ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির মুখ্য সংগঠক নাসীর উদ্দীন পাটোয়ারী। 

রবিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর বাংলামোটরে দলীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে দলটির শ্রমিক শাখা গঠনের লক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন কথা বলেন।

এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক পোস্টের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন দলটির আরেক মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক মন্তব্য পড়ছে। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে নাসীর উদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এনসিপি নেতাদের মধ্যে কোনো দূরত্ব কিংবা বোঝাপড়ার জায়গায় কোনো ঘাটতি নেই। তবে একটি বড় অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। আন্দোলন ও রাজনৈতিক জায়গা- দুটোই আলাদা। সেই জায়গা থেকে এই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্ররা নিজেদের রাজনৈতিক জায়গায় রূপান্তর করছেন। সেখান থেকে যদি কোনো ভুল-ত্রুটি হয়ে থাকে, দেশবাসীকে ক্ষমাসুন্দর দেখার অনুরোধ করছি। ফেসবুকে যেসব মন্তব্য পড়েছে, সেগুলো মূল্যায়ন করে আমরা দেখেছি, আমাদের ওপর মানুষের প্রত্যাশা অনেক উঁচু। সে ক্ষেত্র থেকে তারা আমাদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আমরা সেই পরামর্শ নিই।’

ক্যান্টনমেন্টের বৈঠকটি হাসনাত ও সার্জিসের বৈঠক ছিল, নাকি এনসিপির বৈঠক ছিল? যদি ব্যক্তিগত বৈঠক হয়, তাহলে আপনারা কি অবগত ছিলেন? জানতে চাইলে এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘তারা বৈঠক সম্পর্কে আমাদের অবগত করেছিলেন। তবে বিষয়টি নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। এ নিয়ে একটি বৈঠক হওয়ার কথা আছে, তারপরে সবাইকে বিষয়টি স্পষ্ট করব। তবে দলীয় কিছু মানুষ এই বৈঠক সম্পর্কে জানতেন। কিন্তু ওখানে যে কথা হয়েছিল, সবগুলো সবার কাছে প্রকাশ করা হয়নি। কেন বৈঠক হয়েছিল, সে বিষয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ স্পষ্ট করে দিয়েছেন।’

হাসনাত যে কথাগুলো লিখেছেন, সেগুলো সেনা সদর থেকে ‘অবান্তর’ বলে মন্তব্য করা হয়েছে- এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে নাসীর উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘যে আলোচনা হয়েছে, সেটার কোনো সমাধান আসেনি। আবার বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে কথা বলে যাচ্ছেন। আবার সেনা সদর থেকে যে বক্তব্য এসেছে, সেটা কোনো মুখপাত্রের মাধ্যমে আসেনি। আইএসপিআর থেকে এমন কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, রিফাইন্ড হোক, কোনো মূল্যেই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হোক বা যেকোনো প্রতিষ্ঠান, কেউ যদি আমাদের সামনে দাঁড়ায়, আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাব। সেই দিক থেকে সেনাবাহিনীকেও বলব, আপনারা দায়িত্বশীল আচরণ করুন। রাজনৈতিক বিষয়াদি রাজনীতিবিদদের হাতে ছেড়ে দিন। এখন বিভিন্ন জায়গা থেকে যদি কোনো গোষ্ঠী বিভাজনের চেষ্টা চালায়, তা মোকাবিলায় এনসিপি ঐক্যবদ্ধ ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।’ সূত্র: ইউএনবি

সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে ছিল বলেই হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে: রিজভী

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:০৮ পিএম
সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে ছিল বলেই হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে: রিজভী
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ১৯৭১, ৯০ আন্দোলনে এবং ২০২৪ সালের আন্দোলনে সেনাবাহিনী দেশের জনগণের পক্ষে থাকার কারণেই আমাদের আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। তাই এই প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদা দিতে হবে আমাদেরকে সম্মান দেখাতে হবে।

রবিবার (২৩ মার্চ) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সাধারণ পথচারী ও প্রান্তিক মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ আয়োজন করে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব) এর সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। 

রিজভী বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েছে। দেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে। তাই আমাদের সবাইকে সহনশীল হতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত শক্তিশালী করার জন্য, আরও সামনে যে কাজ আছে অর্থাৎ অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন, একটি ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ, আইনের শাসন এবং প্রতিটি মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার যে গণতান্ত্রিক সমাজ সেই সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদের এখন লড়াই করতে হবে। আমাদের সংগ্রাম হচ্ছে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। তাই আমাদের আলোচনা কথাবার্তায় এমন সহনশীল দেখাতে হবে যাতে রাষ্ট্রের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। 

রিজভী বলেন, ৭১ সালে আমাদের দেশের সেনাবাহিনী সর্বোপরি এদেশের জনগণের সঙ্গে ছিল এবং সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা মেজর তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা ৯০ এর আন্দোলনেও দেখেছি আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ২০২৪ সালেও আমরা দেখেছি এই সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তনের কোনো পথ যাতে না থাকে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমাদের কাজ করতে হবে। 

এ্যাবের সাবেক মাহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় আমরা সাধারণ পথচারী ও প্রান্তিক মানুষের মাঝে আজ ও আগামী দুই দিন ইফতার বিতরণ কর্মসূচি পালন করব।

ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী একেএম জহিরুল ইসলাম, প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন তালুকদার, প্রকৌশলী মোতাহার হোসেন, প্রকৌশলী এটিএম তানভির-উল হাসান তমাল, প্রকৌশলী মোস্তফা-ই-জামান সেলিম, প্রকৌশলী বিজু বড়ুয়া, প্রকৌশলী কেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, প্রকৌশলী মুহাম্মাদ আহসানুল রাসেল, প্রকৌশলী নাজমুল হুদা খন্দকার, প্রকৌশলী আবু হোসেন হিটলু, প্রকৌশলী কামরুল হাসান খান সাইফুল, প্রকৌশলী সাব্বির আহমেদ ওসমানী, প্রকৌশলী নূর আমিন লালন, প্রকৌশলী শামীম রাব্বি সঞ্চয়, প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রকৌশলী আজিম উদ্দিন, প্রকৌশলী গোলাম রহমান রাজিব, প্রকৌশলী মিনহাজ, প্রকৌশলী সিয়াম, প্রকৌশলী সিরাজ, প্রকৌশলী সোহাগ, প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান, প্রকৌশলী সারোয়ার মওলা, প্রকৌশলী খান ফয়সাল, প্রকৌশলী হুমায়ুন, প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর, প্রকৌশলী পারভেজ, প্রকৌশলী তৌহিদ, প্রকৌশলী সালমান, প্রকৌশলী আরিফ, প্রকৌশলী মাহাদী, প্রকৌশলী আশিক, প্রকৌশলী শাহীন হাওলাদার, প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন সুজন, প্রকৌশলী শরিফুল বাবু, প্রকৌশল রেজাউল করিম, প্রকৌশলী মাইনুল, প্রকৌশলী সেজান, প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। 

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশ গড়তে হবে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:০০ পিএম
জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশ গড়তে হবে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

রাজনৈতিক দলের নেতাদেরকে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

তিনি বলেন, ‘পলাতক স্বৈরাচার যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছিল, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে মেরামত করতে হবে। যেহেতু আমাদের রাজনীতি হচ্ছে বাংলাদেশ এবং জনগণকে ঘিরে, আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে বড় পুঁজি হচ্ছে এদেশের জনগণ। কাজেই রাষ্ট্রের এই বিষয়গুলো যদি আমরা মেরামত না করি, এদেশকে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারব না। জনগণের যে প্রত্যাশা ও চাওয়া, তাদের যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য; সেসব নিয়ে আসুন আমরা আলোচনা শুরু করি। তা না হলে মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব না।’

রবিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর বিজয়নগরে ফারস হোটেলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। 

তারেক রহমান বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগণের সমর্থন ছিল বলেই পলাতক স্বৈরাচারের মতো একজন মাফিয়াকে এদেশ থেকে বিতাড়িত করা সম্ভব হয়েছে। এই যে জনগণ রাজপথে বেরিয়ে এসেছেন, তারা রাজনৈতিক দলগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন। দলমত নির্বিশেষে সবাই সমর্থন দিয়েছেন যে, পরিবর্তন হতে হবে। নিশ্চয়ই জনগণের প্রত্যাশা আছে।’ 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল লক্ষ মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে। তারপরে আমরা দেখেছি বিভিন্ন সময়ে গণতন্ত্রকে ব্যাহত করেছেন অনেকেই।’

সংস্কারের বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন সংস্কার নিয়ে কথা হচ্ছে। আজকে অনেক ব্যক্তি সংস্কার নিয়ে অনেক কিছু বলছেন। কিন্তু বাংলাদেশে যে সংস্কার প্রয়োজন, কথাটি সবচেয়ে আগে সেদিন আমরা বলেছিলাম। আমরা সংস্কার নিয়ে কথা বলছি, কিন্তু দিন শেষে আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে বড় পুঁজি যারা, তাদের ইস্যুগুলোকে নিয়ে আমাদের কী কথা বলা উচিত না? তাদের ইস্যুগুলো নিয়ে আমাদের কী চিন্তা-ভাবনা করা উচিত না? অবশ্যই উচিত। কারণ এটিই হচ্ছে আমাদের রাজনীতি।’

দেশের রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসুন আমরা আলোচনা শুরু করি।’ 

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দেশের কল্যাণে দ্রুত নির্বাচন দিন: আমিনুল হক

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪১ পিএম
দেশের কল্যাণে দ্রুত নির্বাচন দিন: আমিনুল হক
ছবি:সংগৃহীত

অর্ন্তবর্তী সরকারকে এই বছরের ভিতরে একটি দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, সংস্কারের নামে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার কারণে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নানান ষড়যন্ত্র চলছে। তাই দেশ এবং দেশের মানুষের কল্যাণে দ্রুত সময়ের ভিতরে একটি নির্বাচন দিন। 

রবিবার (২৩ মার্চ) দিনব্যাপি রমজানের ২২ তম দিনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির মোহাম্মদপুর থানা ৩৪, ২৯, ৩১ ও শেরে বাংলা নগর থানার ২৭নং ওয়ার্ডে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় আমিনুল হক বলেন, গত ছয় মাসে আমরা দেখেছি বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে এখনো পর্যন্ত স্থিতিশীলতা ফিরে আসে নাই। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। আজকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণ, রাহাজানি, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্ম বেড়েই চলেছে। 

এসময়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি রোধে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও বেশি শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুন্দরভাবে সংস্কারের মাধ্যমেই দেশ পরিপূর্ণভাবে মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকবে। আমরা চাই বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক। দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক, যা সবার জন্যই মঙ্গল।

এসময় তিনি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বৈরাচারের দোসরদের রেখে দেশ পরিপূর্ণ সংস্কার সম্ভব নয় উল্লেখ করে বলেন, পরিপূর্ণ সংস্কার ও স্বৈরাচারমুক্ত করতে দেশে একটি নির্বাচিত সরকার দরকার। জনগণের সরকার দরকার। সেই জনগণের সরকারের মাধ্যমেই গত ১৭ বছরের স্বৈরাচারের রেখে যাওয়া ধ্বংসস্তূপ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিপূর্ণ সংস্কার হবে। দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হবে এবং দেশে পরিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে। 

বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি এদেশের সাধারণ মানুষের দল। সাধারণ মানুষকে নিয়েই বিএনপির পথচলা। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়েই বিএনপি একটি সুন্দর সমাজ একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ ও একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায়। 

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, হাজী মো. ইউসুফ, মো. শাহ আলম, মহানগর সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, হাজী মো. নাসির উদ্দীন, এমএস আহমাদ আলী, তাসলিমা রিতা, মো.পুর থানা বিএনপি আহ্বায়ক শুক্কুর মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মীর মো. কামাল হোসেন, মিজানুর রহমান ইসহাক, মো.পুর থানা ৩৪নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুম খান রাজেশ, সাধারণ সম্পাদক মো. ওসমান রেজাপ্রমুখ।

মাহফুজ/

দেশের বাইরের ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩২ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৭ পিএম
দেশের বাইরের ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে: মির্জা আব্বাস
বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: খবরের কাগজ

দেশের বাইরে বসে যারা দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

রবিবার (২৩ মার্চ) বিকালে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে প্রয়াত ফটো সাংবাদিকদের স্মরণে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিন তিনি বলেন, ‘এই সময়ে এসে যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যেতে নানা বাহানা করছে তাদের উদ্দেশ্য ভালো নয়। দেশবাসীকে তাদের প্রতি সজাগ থাকতে হবে।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সত্য প্রকাশ করাই সাংবাদিকদের কাজ তাই ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সত্য এবং ন্যায়ের পক্ষে উচ্চ কণ্ঠে কথা বলাই প্রকৃত সাংবাদিকতা। দেশের  মধ্যে থেকে কারা ষড়যন্ত্র করে এবং দেশের বাইরে থেকেও কারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, দেশকে কারা পেছনে নিয়ে যেতে চায় সেই সব কুশীলবদের নাম গণমাধ্যমে তুলে ধরুন, জাতিকে জানান।’

রাষ্ট্র সংস্কারের ইস্যুতে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেশে কিংবা বিদেশে যারা নির্বোধ আছে তারা আমরা কথা বুঝবে না। আমি বলেছি এই সরকার যে সংস্কার লিখে দিবে আমরা সেগুলো কারেকশান করবো, রাজনৈতিক দলগুলো মিলে ঐক্যমতে আসবো তারপরেই আমরা সেটাকে মানবো। এটাকে বিকৃত করে ওরা লিখেছে আমি নাকি কিছুই মানবো না।’

এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশের সুরা সদস্য মো. দেলোয়ার হোসাইন ও আমরা বিএনপি পরিবার-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম বক্তব্য রাখেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এ বি এম রফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি এ কে এম মহসিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদার।

জয়ন্ত সাহা/এমএ/