ঢাকা ৯ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
English

সুস্থ জাতি গঠনে ক্রীড়াঙ্গনের ভিত্তি হোক বাংলাদেশ: আমিনুল হক

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৮ পিএম
সুস্থ জাতি গঠনে ক্রীড়াঙ্গনের ভিত্তি হোক বাংলাদেশ: আমিনুল হক
বরিশাল আউটার স্টেডিয়ামে ‘আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট’। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, বিএনপি চায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় একটি সুস্থ জাতি গঠনে ক্রীড়াঙ্গনের ভিত্তি হোক বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বরিশাল আউটার স্টেডিয়ামে ‘আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৪-২৫’ এর বরিশাল বিভাগীয় খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম যুব সমাজ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি ক্রীড়াঙ্গনের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে একটি সুস্থ জাতি গড়ার স্বপ্ন নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নির্দেশনায় আমরা কাজ করে চলেছি।

টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন,ফুটবল ক্রিকেটসহ ইন্টারন্যাশনাল যে গেমসগুলো রয়েছে, পাশাপাশি আমাদের দেশীয় যে খেলাগুলো রয়েছে-এই খেলাগুলোকে কিন্তু আমরা হারিয়ে ফেলেছি, এই খেলাগুলোকে সারাবছর খেলার লক্ষ্য নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্রীড়াঙ্গনের সকল পরিকল্পনা নিয়ে একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করতে চায়। যেই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান থাকবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বরিশাল লাল দল সবুজ দলের মধ্যকার অনুষ্ঠিত খেলায় ১-০ গোলে বরিশাল সবুজ দল জয়ী হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- টুর্নামেন্ট কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. ইব্রাহিম খলিল, সদস্য সহ-দপ্তর মো. হাসনাইন নাহিয়ান সজীব, সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান মামুন, রাশেদ সরকার, লিটন খানসহ টুনার্মেন্ট পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা।

এমএ/

ঐকমত্য কমিশনে লিখিত বক্তব্য পেশ, কিছু ‘মৌলিক বিষয়ে’ আপত্তি সিপিবির

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৮ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:০১ পিএম
ঐকমত্য কমিশনে লিখিত বক্তব্য পেশ, কিছু ‘মৌলিক বিষয়ে’ আপত্তি সিপিবির
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে রবিবার (২৩ মার্চ) ‘স্প্রেডশিট’ ও সংস্কারের বিষয়ে লিখিত বক্তব্য পেশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, সম্পাদক ডা. সাজেদুল হক রুবেল ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের লক্ষ্যে প্রস্তাবনায় যা বলা হয়েছে, তার অনেক বিষয়ে একমত হলেও কিছু মৌলিক বিষয়ে দ্বিমত ও আপত্তি আছে সিপিবির। লিখিত বক্তব্যে সেই কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, যেসব বিষয়ে আপত্তি রয়েছে তা নিয়ে সিপিবির ‘বিকল্প বা নতুন প্রস্তাব’ রয়েছে। মুখোমুখি আলোচনায় সেসব প্রস্তাবনা তুলে ধরার কথা বলেন সিপিবি নেতারা। 

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, জনগণের শক্তির ওপর নির্ভর করে সংস্কারের পথে এগুতে হবে। জনগণকে সংস্কার প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করে ও জনগণের মতামতকে ভিত্তি করেই আমাদের এ কাজ (সংস্কার) সম্পন্ন করতে হবে। সিপিবি নেতারা জানান, তারা সমাজ, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রব্যবস্থার মৌলিক সংস্কার করে সমাজতন্ত্রের জন্য অগ্রসর হচ্ছেন। তাদের লক্ষ্য বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পরিবর্তন। তবে এ গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য সিপিবির বিকল্প প্রস্তাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রব্যবস্থা ও রাজনীতি, অর্থনীতি, উন্নয়ন, দারিদ্র্যবিমোচনসহ সব ক্ষেত্রে সিপিবির বিকল্প প্রস্তাবনা রয়েছে। 

এই প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, সব ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের সার্বভৌমত্ব ও যথাযথ কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে। এই লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রশাসনিক কাঠামো গণতন্ত্র, উপযুক্ত বিকেন্দ্রীকরণ, জবাবদিহি, স্বচ্ছতা এবং জনগণের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ও অংশগ্রহণের বিষয়গুলো এই নীতিমালার ভিত্তিতে মৌলিকভাবে ঢেলে সাজাতে হবে।

সিপিবির প্রস্তাবনায় অবাধ ও খোলাবাজার অর্থনীতিব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্রীয় খাতকে প্রাধান্য দিয়ে তার পাশাপাশি, সমবায়ী খাত, ব্যক্তি খাত ও মিশ্র খাতসহ প্রতিটি খাতের যথাযথ ও সুপরিকল্পিত ভূমিকা নিশ্চিত করে স্বাধীন জাতীয় অর্থনৈতিক বিকাশের পথ সুগম করতে হবে। সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে।

নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের কথা বলেন সিপিবি নেতারা। তারা বলেন, ‘এই কাজ করার জন্য যতদ্রুত সম্ভব গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হলে তারাই জনগণের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ এগিয়ে নেবে। এ ছাড়া জনগণের ওপরই এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার ছেড়ে দিতে হবে।’

ঐকমত্য কমিশনের স্প্রেডশিট নিয়ে দ্বিমত রয়েছে সিপিবির। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আপনাদের পাঠানো স্প্রেডশিটে অধিকাংশ প্রশ্নই অস্বচ্ছ, অসম্পূর্ণ, একপেশে। অনেক প্রশ্ন ব্যাখ্যার দাবি রাখে। আলাপ-আলোচনা বাদে এসব প্রশ্নের বিষয়ে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত দেওয়া যথাযথ হবে না।’ 

বাসদ (মার্কসবাদী)

রবিবার সকালে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবনা সম্পর্কে মতামত পেশ করেছে বাসদ (মার্কসবাদী)। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বাসদ (মার্কসবাদী)-এর সমন্বয়ক মাসুদ রানার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সদস্য জয়দীপ ভট্টাচার্য, সীমা দত্ত, তসলিমা আক্তার ও রাশেদ শাহরিয়ার। 

স্প্রেডশিটের বিষয়ে বাসদ (মার্কসবাদী) দলের পক্ষে আপত্তি জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘স্প্রেডশিটে যেভাবে টিক চিহ্নের মাধ্যমে মতামত চাওয়া হয়েছে, সেভাবে মতামত দিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পদ্ধতিটি যথাযথ নয়। বিষয়গুলো জটিল এবং বেশির ভাগ বিষয়ই ব্যাখ্যার দাবি রাখে। খুব অল্প কয়েকটি পয়েন্টে এরূপ এক কথায় উত্তর দেওয়া যায়।’ 

সংবিধান সংস্কার কমিশন ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে স্প্রেডশিটে উল্লিখিত কমিশনের প্রস্তাবনাগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আরও আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান বাসদ (মার্কসবাদী) নেতারা। 

মাসুদ রানা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আগেই ১১১টি প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিধির সংস্কারের বিষয়ে বেশির ভাগ দলের ঐকমত্য আছে। তবে এখানে কিছু প্রস্তাবনা রয়েছে, যা জনস্বার্থবিরোধী।’

নির্বাচন না দিলে নির্বাচন কীভাবে আদায় করতে হয় তা বিএনপি জানে: টুকু

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম
নির্বাচন না দিলে নির্বাচন কীভাবে আদায় করতে হয় তা বিএনপি জানে: টুকু
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার মাহফিলে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলছি নির্বাচন না দিলে নির্বাচন কীভাবে আদায় করতে হয় তা বিএনপি জানে। তাই অতিদ্রুত নির্বাচন দিয়ে দিন। নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করবেন না বলে দিলাম।

রবিবার (২৩ মার্চ) বিকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, বিগত ১ বছর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার যে নির্যাতন করেছে তা আমরা সহ্য করেছি। কিন্তু আন্দোলন থেকে কখনো মাঠ ছেড়ে পালাইনি। আগস্টের আন্দোলনের রুপ দিয়েছে দেশনায়ক তারেক রহমান। তারেক রহমানের নির্দেশনায় এই আন্দোলন সফল হয়েছে। তাই এই সরকারকে বলছি অতিদ্রুত নির্বাচন দিয়ে দিন। দেশে এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক নাই। তাই নির্বাচনের বিকল্প নেই। 

ঘারিন্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সৈয়দ শাহিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক সানু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আসগর আলী, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা যুবদলের আহবায়ক খন্দঃ রাশেদুল আলম, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ পাহেলী, শফিকুর রহমান শফিক, জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক ও শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মনিরুল হক ভিপি মুনীর, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক নির্বাহী সদস্য সৈয়দ শহিদুল ইসলাম টিটু, আবদুল্লাহ কাফী শাহেদ, জেলা বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র মমিনুল হক নিক্সন, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বাক জাহিদ হাসান মালা, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদ হাসান টিটন, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সালেহ মোহাম্মদ সাফী ইথেন, শহর যুবদলের আহ্বায়ক রাশেদ খান সোহাগ, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিঃ যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিমুদ্দিন বিপ্লব, টাংগাইল বারের অতিরিক্ত পিপি লাল মাহমুদ, মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদিকা অ্যাডভোকেট মমতাজ করিম, জেলা তাতী দলের আহ্বায়ক শাহ আলম. জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান উজ্জল, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দুর্জয় হোড় শুভসহ জেলা বিএনপি, সদর উপজেলা বিএনপি ও ঘারিন্দা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত ছিলেন। 

জুয়েল রানা/মাহফুজ 

 

এনসিপির নেতাদের মধ্যে বোঝাপড়ায় কোনো ঘাটতি নেই: নাসীর উদ্দীন পাটোয়ারী

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:০৮ পিএম
এনসিপির নেতাদের মধ্যে বোঝাপড়ায় কোনো ঘাটতি নেই: নাসীর উদ্দীন পাটোয়ারী
এনসিপির বাংলামোটরের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন দলটির মুখ্য সংগঠক নাসীর উদ্দীন পাটোয়ারী

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) নেতাদের মধ্যে কোনো দূরত্ব কিংবা বোঝাপড়ার জায়গায় কোনো ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির মুখ্য সংগঠক নাসীর উদ্দীন পাটোয়ারী। 

রবিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর বাংলামোটরে দলীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে দলটির শ্রমিক শাখা গঠনের লক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন কথা বলেন।

এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক পোস্টের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন দলটির আরেক মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক মন্তব্য পড়ছে। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে নাসীর উদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এনসিপি নেতাদের মধ্যে কোনো দূরত্ব কিংবা বোঝাপড়ার জায়গায় কোনো ঘাটতি নেই। তবে একটি বড় অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। আন্দোলন ও রাজনৈতিক জায়গা- দুটোই আলাদা। সেই জায়গা থেকে এই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্ররা নিজেদের রাজনৈতিক জায়গায় রূপান্তর করছেন। সেখান থেকে যদি কোনো ভুল-ত্রুটি হয়ে থাকে, দেশবাসীকে ক্ষমাসুন্দর দেখার অনুরোধ করছি। ফেসবুকে যেসব মন্তব্য পড়েছে, সেগুলো মূল্যায়ন করে আমরা দেখেছি, আমাদের ওপর মানুষের প্রত্যাশা অনেক উঁচু। সে ক্ষেত্র থেকে তারা আমাদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আমরা সেই পরামর্শ নিই।’

ক্যান্টনমেন্টের বৈঠকটি হাসনাত ও সার্জিসের বৈঠক ছিল, নাকি এনসিপির বৈঠক ছিল? যদি ব্যক্তিগত বৈঠক হয়, তাহলে আপনারা কি অবগত ছিলেন? জানতে চাইলে এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘তারা বৈঠক সম্পর্কে আমাদের অবগত করেছিলেন। তবে বিষয়টি নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। এ নিয়ে একটি বৈঠক হওয়ার কথা আছে, তারপরে সবাইকে বিষয়টি স্পষ্ট করব। তবে দলীয় কিছু মানুষ এই বৈঠক সম্পর্কে জানতেন। কিন্তু ওখানে যে কথা হয়েছিল, সবগুলো সবার কাছে প্রকাশ করা হয়নি। কেন বৈঠক হয়েছিল, সে বিষয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ স্পষ্ট করে দিয়েছেন।’

হাসনাত যে কথাগুলো লিখেছেন, সেগুলো সেনা সদর থেকে ‘অবান্তর’ বলে মন্তব্য করা হয়েছে- এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে নাসীর উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘যে আলোচনা হয়েছে, সেটার কোনো সমাধান আসেনি। আবার বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে কথা বলে যাচ্ছেন। আবার সেনা সদর থেকে যে বক্তব্য এসেছে, সেটা কোনো মুখপাত্রের মাধ্যমে আসেনি। আইএসপিআর থেকে এমন কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, রিফাইন্ড হোক, কোনো মূল্যেই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হোক বা যেকোনো প্রতিষ্ঠান, কেউ যদি আমাদের সামনে দাঁড়ায়, আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাব। সেই দিক থেকে সেনাবাহিনীকেও বলব, আপনারা দায়িত্বশীল আচরণ করুন। রাজনৈতিক বিষয়াদি রাজনীতিবিদদের হাতে ছেড়ে দিন। এখন বিভিন্ন জায়গা থেকে যদি কোনো গোষ্ঠী বিভাজনের চেষ্টা চালায়, তা মোকাবিলায় এনসিপি ঐক্যবদ্ধ ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।’ সূত্র: ইউএনবি

সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে ছিল বলেই হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে: রিজভী

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:০৮ পিএম
সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে ছিল বলেই হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে: রিজভী
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ১৯৭১, ৯০ আন্দোলনে এবং ২০২৪ সালের আন্দোলনে সেনাবাহিনী দেশের জনগণের পক্ষে থাকার কারণেই আমাদের আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। তাই এই প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদা দিতে হবে আমাদেরকে সম্মান দেখাতে হবে।

রবিবার (২৩ মার্চ) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সাধারণ পথচারী ও প্রান্তিক মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ আয়োজন করে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব) এর সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। 

রিজভী বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েছে। দেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে। তাই আমাদের সবাইকে সহনশীল হতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত শক্তিশালী করার জন্য, আরও সামনে যে কাজ আছে অর্থাৎ অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন, একটি ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ, আইনের শাসন এবং প্রতিটি মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার যে গণতান্ত্রিক সমাজ সেই সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদের এখন লড়াই করতে হবে। আমাদের সংগ্রাম হচ্ছে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। তাই আমাদের আলোচনা কথাবার্তায় এমন সহনশীল দেখাতে হবে যাতে রাষ্ট্রের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। 

রিজভী বলেন, ৭১ সালে আমাদের দেশের সেনাবাহিনী সর্বোপরি এদেশের জনগণের সঙ্গে ছিল এবং সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা মেজর তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা ৯০ এর আন্দোলনেও দেখেছি আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ২০২৪ সালেও আমরা দেখেছি এই সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তনের কোনো পথ যাতে না থাকে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমাদের কাজ করতে হবে। 

এ্যাবের সাবেক মাহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় আমরা সাধারণ পথচারী ও প্রান্তিক মানুষের মাঝে আজ ও আগামী দুই দিন ইফতার বিতরণ কর্মসূচি পালন করব।

ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী একেএম জহিরুল ইসলাম, প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন তালুকদার, প্রকৌশলী মোতাহার হোসেন, প্রকৌশলী এটিএম তানভির-উল হাসান তমাল, প্রকৌশলী মোস্তফা-ই-জামান সেলিম, প্রকৌশলী বিজু বড়ুয়া, প্রকৌশলী কেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, প্রকৌশলী মুহাম্মাদ আহসানুল রাসেল, প্রকৌশলী নাজমুল হুদা খন্দকার, প্রকৌশলী আবু হোসেন হিটলু, প্রকৌশলী কামরুল হাসান খান সাইফুল, প্রকৌশলী সাব্বির আহমেদ ওসমানী, প্রকৌশলী নূর আমিন লালন, প্রকৌশলী শামীম রাব্বি সঞ্চয়, প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রকৌশলী আজিম উদ্দিন, প্রকৌশলী গোলাম রহমান রাজিব, প্রকৌশলী মিনহাজ, প্রকৌশলী সিয়াম, প্রকৌশলী সিরাজ, প্রকৌশলী সোহাগ, প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান, প্রকৌশলী সারোয়ার মওলা, প্রকৌশলী খান ফয়সাল, প্রকৌশলী হুমায়ুন, প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর, প্রকৌশলী পারভেজ, প্রকৌশলী তৌহিদ, প্রকৌশলী সালমান, প্রকৌশলী আরিফ, প্রকৌশলী মাহাদী, প্রকৌশলী আশিক, প্রকৌশলী শাহীন হাওলাদার, প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন সুজন, প্রকৌশলী শরিফুল বাবু, প্রকৌশল রেজাউল করিম, প্রকৌশলী মাইনুল, প্রকৌশলী সেজান, প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। 

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশ গড়তে হবে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:০০ পিএম
জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশ গড়তে হবে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

রাজনৈতিক দলের নেতাদেরকে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

তিনি বলেন, ‘পলাতক স্বৈরাচার যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছিল, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে মেরামত করতে হবে। যেহেতু আমাদের রাজনীতি হচ্ছে বাংলাদেশ এবং জনগণকে ঘিরে, আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে বড় পুঁজি হচ্ছে এদেশের জনগণ। কাজেই রাষ্ট্রের এই বিষয়গুলো যদি আমরা মেরামত না করি, এদেশকে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারব না। জনগণের যে প্রত্যাশা ও চাওয়া, তাদের যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য; সেসব নিয়ে আসুন আমরা আলোচনা শুরু করি। তা না হলে মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব না।’

রবিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর বিজয়নগরে ফারস হোটেলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। 

তারেক রহমান বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগণের সমর্থন ছিল বলেই পলাতক স্বৈরাচারের মতো একজন মাফিয়াকে এদেশ থেকে বিতাড়িত করা সম্ভব হয়েছে। এই যে জনগণ রাজপথে বেরিয়ে এসেছেন, তারা রাজনৈতিক দলগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন। দলমত নির্বিশেষে সবাই সমর্থন দিয়েছেন যে, পরিবর্তন হতে হবে। নিশ্চয়ই জনগণের প্রত্যাশা আছে।’ 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল লক্ষ মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে। তারপরে আমরা দেখেছি বিভিন্ন সময়ে গণতন্ত্রকে ব্যাহত করেছেন অনেকেই।’

সংস্কারের বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন সংস্কার নিয়ে কথা হচ্ছে। আজকে অনেক ব্যক্তি সংস্কার নিয়ে অনেক কিছু বলছেন। কিন্তু বাংলাদেশে যে সংস্কার প্রয়োজন, কথাটি সবচেয়ে আগে সেদিন আমরা বলেছিলাম। আমরা সংস্কার নিয়ে কথা বলছি, কিন্তু দিন শেষে আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে বড় পুঁজি যারা, তাদের ইস্যুগুলোকে নিয়ে আমাদের কী কথা বলা উচিত না? তাদের ইস্যুগুলো নিয়ে আমাদের কী চিন্তা-ভাবনা করা উচিত না? অবশ্যই উচিত। কারণ এটিই হচ্ছে আমাদের রাজনীতি।’

দেশের রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসুন আমরা আলোচনা শুরু করি।’ 

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।