ইলিশ নামটি শুনলে আজও বাংলাদেশের বাঙালির জিভে জল আসে। বাঙালি মানে বাংলাদেশের বাঙালি, তারা ইলিশ খেতে ভালোবাসে। অনেকে বলেন, ইলিশেই নাকি বাঙালিদের যায় চেনা। ইলিশ এক আবেগ, এক ভালোলাগা খাবারের স্বাদ। বাঙালিয়ানা যেন আজ ইলিশিয়ানা। খাবারের পাতে প্রধান আকর্ষণই থাকে ইলিশ। যেকোনো রেসিপিতেই ইলিশের স্বাদ আমরা আস্বাদন করতে পারি। শর্ষে ইলিশ, ভাপানো ইলিশ, দই ইলিশ, ইলিশের চাটনি, ইলিশ মাছের ভাজা ছাড়া রয়েছে নানান পদ। এখন বর্ষাকাল, ইলিশের মৌসুম। বাজারে ইলিশের আমদানি। বর্তমানে বাজারে ইলিশের দাম বেশ চড়া হলেও খাবারের স্বাদে দোকানে থাকে উপচে পড়া ভিড়। তবে বাজারে ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলে হয়তো ইলিশের স্বাদ সবাই আস্বাদন করতে পারত। কিন্তু সে সুযোগ কোথায়! মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের পাতে ইলিশের কোনো খবর নেই। তাই লেখাপড়া জানা লোকেরা মনের আবেগে স্মরণ করে- ‘ইলশে গুঁড়ি! ইলশে গুঁড়ি ইলশে গুঁড়ি ইলিশ মাছের ডিম/ ইলশে গুঁড়ি ইলশে গুঁড়ি দিনের বেলায় হিম’- কবিতার এই লাইনগুলো। কবিতাটি তো লিখেছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, তাদের যুগে এক আনায় চার চারটে ইলিশ পাওয়া যেত। তারা স্বাদ করে ইলিশ খেয়ে গেছেন! আর আজ আমরা? ইলিশ মাছ না খেতে পেরে যন্ত্রণায় জ্বলছি!
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]