একে দুর্মূল্যের বাজার, তার ওপর সীমাহীন বেকারত্ব- এই দুই সাঁড়াশি চাপে নাজেহাল বাংলাদেশের মানুষ। বেকারত্বে ছেয়ে গেছে গোটা দেশ। বলা যায়, বিগত ৪৫ বছরের মধ্যে বেকারত্বে সর্বকালীন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। বেকারত্বের জ্বালায় তরুণরা তীব্র হতাশার শিকার। তাই আমার জিজ্ঞাসা, কতিপয় চাকরি করবে আর কতিপয় চাকরি না পাওয়ার বেদনায় কত আর কষ্ট করবে? কত আর নয়নের জল মুছবে? অনেক ছোট-বড় কলকারখানা এবং কোম্পানি বন্ধ হওয়ায় বহু মধ্যবয়স্ক মানুষ কাজ হারিয়ে বসে আছেন।
কার্যত মনে হয়, সরকার বেকারদের চাকরি নিয়ে মোটেই আগ্রহী নয়। তারা হয়তো চাইছে, যে যার নিজের মতো জীবিকা খুঁজে নিক, অসংগঠিত ক্ষেত্রের ওপর দেশবাসী নির্ভর হয়ে পড়ুক। শুধু শুনি, ঘুষ দিলে চাকরি হয়। কিন্তু আমি তো অসহায়! কতিপয় লোক মাঝেমধ্যে অভয়বাণী শোনায়, টাকা দাও চাকরি হবে!
তা ছাড়া প্রতিবার নির্বাচনের আগে কর্মসংস্থান ও চাকরির গালভরা প্রতিশ্রুতির কথা- বেকার তরুণ-তরুণীদের শোনানো হয় কত মিষ্টি মিষ্টি কথা। তাদের সামনে কাজের ললিপপ দেখানো হয়। কেউ ঘুষ নিয়ে লাপাত্তা আর কেউ নির্বাচন ফুরোলেই বেপাত্তা। এই মনোভাব দ্রুত বদলানো প্রয়োজন। মানুষের হাতে কাজ না থাকলে জীবনযাত্রা সহজ হবে কী করে? বাঁচবে কীভাবে? ভাবতে
হবে সরকারকেই।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]