দেশে শত শত মা তার সন্তান হারিয়ে বিলোপ করছেন। সে কান্না এখনো শেষ হয়নি। সেই কান্নার আওয়াজে শেখ হাসিনার করুণ পতন ঘটেছে। যারা দেশের মধ্যে বড় ধরনের নৈরাজ্যকারী ছিলেন তাদের অপসারিত করা হচ্ছে। পুনঃসংস্কার করা হচ্ছে দেশের জঞ্জাল। কীভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায় তার রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে। এমনিতেই দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি চরমে পৌঁছেছে।
কোনোভাবেই দুষ্কৃতকারীদের লাগাম টানা যাচ্ছে না। তারা এখন ঘর পোড়ার মধ্যে আলু পোড়া খাচ্ছে। যারা ওই সরকারের প্রভাবশালী ছিলেন তাদের অনেক আলিশান বাড়ি, হোটেল, ব্যবসাকেন্দ্র এবং অফিস কার্যালয় পুড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু নতুন আপদ আবার শুরু হয়েছে দেশের মধ্যে। এরা ধরাছোঁয়ার বাইরে কেন? আমাদের এখন দ্রুতই আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ছাড়া কোনো গত্যন্তর নেই। অনেক এলাকায় সংখ্যালঘুদের ওপর ভয়াবহ অত্যাচারের কান্নার আওয়াজ ফেসবুকের কল্যাণে ভেসে আসছে।
তারা বাঁচার আকুতি জানিয়ে মানুষের সাহায্য-সহযোগিতা চাচ্ছেন। কিন্তু কেউ নেই তাদের বাঁচানোর। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নেই কোনো ধরনের আইনি সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা। তাহলে এরা কোথায় যাবে? কার কাছে প্রতিকার চাইবে। তাই সেনাবাহিনীকে তাদের ভাষণের মাধ্যমে একটা জরুরি বার্তা দেওয়া আবশ্যক। যারা দেশের মধ্যে নৈরাজ্য করবে এবং সংখ্যালঘুদের আক্রমণ করে বাড়িঘর লুট করবে, তাদের কঠোর সাজার মুখোমুখি করা হবে। তা হলেই নৈরাজ্য অনেকাংশে কমে আসবে বলে দেশের মানুষ মনে করে।
রোকসানা রহমান
আলীপুর, মোল্লার হাট, কালকিনী, মাদারীপুর
[email protected]