ঢাকা ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যোগাযোগের জন্য সরু ব্রিজগুলো সংস্কার জরুরি

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৪, ১১:৩০ এএম
যোগাযোগের জন্য সরু ব্রিজগুলো সংস্কার জরুরি

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া বাজার থেকে চিলাদি-তেমুহনী বাজার হয়ে উত্তর মাহাতাবপুর মানিকমুড়া রাস্তাটি জরাজীর্ণ। এ রাস্তার পাশে চারটি ইটের ভাটা থাকায় মাটি ও ইটবোঝাই ট্রাক দিন-রাত আসা-যাওয়া করায় দিন দিন রাস্তাটি ছাতারপাইয়া উত্তরাঞ্চলবাসীর ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। রাস্তার কোনো কোনো অংশ গর্তে পরিণত হচ্ছে এবং এখানে দুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগামী কোমলমতি ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ পথচারীরা। 

পাশাপাশি রয়েছে ছাতারপাইয়া বাজার থেকে চিলাদি-তেমুহনী বাজার (মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ম্যাজিস্ট্রেট মুজিবুল হক) সড়কের সরু ব্রিজগুলো সংস্কার জরুরি। এখানে পিচ ঢালাইয়ের তিন মাস পর রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে-রাস্তায় ধুলোবালিতে পুরো গ্রামের বাড়িঘর ছেয়ে যায় এবং বর্ষায় রাস্তায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। রাস্তাটি আরও বড় করা প্রয়োজন। 

এই সড়কটি দিয়ে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, অফিস-আদালত, জেলা সদর, থানা-উপজেলা সদর, ইউনিয়ন সদর, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, কোর্ট-কাচারি ও চিলাদি, উত্তর মাহাতাবপুর, ছাতারপাইয়া মজুমদারপাড়া, তেমুহনী বাজার, পাঁচতুপা, কাবিলপুর, বসন্তপুর, ছাতারপাইয়া দিঘিরপাড়ার চলাচল করে। সুতরাং ছাতারপাইয়া বাজার থেকে চিলাদি-তেমুহনী বাজার রাস্তার সংস্কারের কাজ দ্রত শুরু করে এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা করবে কর্তৃপক্ষ।

বেপারী মো. গিয়াস উদ্দিন হৃদয়
প্রধান উদ্যোক্তা, ইসমাইল বেপারী বাড়ি সোসাইটি 
চিলাদি, ছাতারপাইয়া, নোয়াখালী-৩৮৬৪
[email protected]

ব্যাংকিং ডিপ্লোমার বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়ার উদ্যোগকে সাধুবাদ

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯ এএম
ব্যাংকিং ডিপ্লোমার বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়ার উদ্যোগকে সাধুবাদ

ব্যাংকারদের অনেক দিনের চাওয়া ছিল পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যাংকিং ডিপ্লোমার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ার। পেশাগত উন্নয়নের জন্য ব্যাংকিং ডিপ্লোমা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে অত্যাবশকীয় নয়। সে জন্য ব্যাংকারদের ওপর এক অযাচিত চাপ হয়ে ছিল ব্যাংকিং ডিপ্লোমা। বিশেষ করে বাণিজ্য অনুষদের বাইরে অন্যান্য অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াও কঠিন ছিল। 

পদোন্নতির ক্ষেত্রে কাজের মাধ্যমেই একজন কর্মকর্তার মূল্যায়ন হওয়া উচিত এবং সেভাবেই তার প্রাপ্য পদোন্নতি দেওয়া উচিত। ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষা একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। অনেকে একবারে উত্তীর্ণ হতে পারেন না। ফলে দীর্ঘদিন যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও অনেক কর্মকর্তা পদোন্নতি পাচ্ছিলেন না। তাই ব্যাংকারদের প্রাণের দাবি ছিল পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যাংকিং ডিপ্লোমার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ার। অবশেষে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ। 

ফাহিম হাবিব
৫/১ এফ ১, মোহনপুর, রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা
[email protected]

সেই ডাক্তারবাবুরা আজ কোথায়?

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৮ এএম
সেই ডাক্তারবাবুরা আজ কোথায়?

আমাদের পিরোজপুরে শ্যাম সাহাবাবুসহ কয়েকজন ডাক্তার ছিলেন। তাদের বড় কোনো ডিগ্রি ছিল না। তারা ছিলেন এলএমএফ। কিন্তু তারা ছিলেন গরিবের কাছে সাক্ষাৎ ভগবান। খুব কম পয়সার ওষুধ দিতেন। আজকাল যেমন কোনো কোনো ডাক্তার সাহেব প্রেসক্রিপশন লিখছেন, না মুদির ফর্দ লিখছেন, বোঝা দায়। অন্তত সাত-আটটি ওষুধ লেখার পরে তাদের কলম থামে। কারণে-অকারণে কত রকম পরীক্ষা যে দেওয়া হয়। সেই শৈশবে মাঝেমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়লে বাবা ডাক্তার সাহেবের কাছে নিয়ে যেতেন। তা তো ষাট বছর আগের কথা। 

সেই ডাক্তারবাবু একটিমাত্র ১০ পয়সা দামের ওষুধ দিয়েছিলেন, তাতেই সেরে উঠলাম। একবার আমার ছোট ভাই সবার অজান্তে নাকে একটি ভিজে ছোলা ঢুকিয়ে ফেলেছিল। সর্দিতে সেটা আরও ফুলে উঠে নাকের একটা ফুটো বন্ধ হয়ে গেল। বাবা ছোট ভাইকে নিয়ে ছুটলেন ডাক্তারবাবুর কাছে। প্রথমে তিনি রহস্য করে বললেন, ‘হ্যাঁ রে, বাড়িতে নস্যি ছিল না? নাকের কাছে ধরলেই কাজ হতো, আর আমার কাছে আনতে হতো না।’ তার পরে ছোলাটি বের করে দিলেন। ফি? না, কোনো ফি নেননি। আর আজকে? ডাক্তার মানেই ৭০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা ফি দিতে হয়। সেই সঙ্গে সাত-আট ধরনের ওষুধের পাশাপাশি হরেক রকমের পরীক্ষা করে নিয়ে আসার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

নীরবে নিঃশব্দে কাঁদছে শিশুরা

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৯ এএম
নীরবে নিঃশব্দে কাঁদছে শিশুরা

বাবার অপেক্ষায় অনেক শিশু এখনো পথ চেয়ে বসে আছে। বাবা এসে কোলে তুলে নেবেন। বাবার সঙ্গে খুনসুটি করবে। এটা কিনে দাও, ওটা কিনে দাও বলবে। কিন্তু হায় একি! তাদের বাবা দিনের পর দিন, বছরের পর বছর গেলেও আর ফিরে আসেন না। তাদের নাকি গুম করা হয়েছে। একটি দেশে গত ১৪ বছরে ৬ শতাধিক মানুষ গুম হয়ে গেল আর রাষ্ট্র তা কিছুই জানল না, বুঝল না, এটা কি মেনে নেওয়া যায়? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অনেককে তুলে নেওয়া হয়েছে। র্যাবের দ্বারাও অনেক মানুষ গায়েব হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনাটি প্রকাশ না পেলে আমরা তা জানতে পর্যন্ত পারতাম না। দেশের আয়নাঘর বিষয়টি এখন সবার সামনে চলে এসেছে। 

সেখান থেকে অনেকে বের হলে তাদের বাস্তবতার কথা আমরা জানতে পেরেছি। সেটা বিরোধী নিপীড়নের যে বড় ধরনের বন্দিশালা ছিল, তা আর এখন গোপনীয় কোনো বিষয় নয়। অনেক ব্যক্তিকেই আমরা দেখেছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নামে চোখ বেঁধে ধরে নিতে। মুক্তিপণ পেয়ে কিছু ছাড়াও পেয়েছেন। আবার অনেককে তারা হত্যা করেছে। এসব ঘটনায় কিছু বিপথগামী চাকরিচ্যুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রয়েছেন। তাদের চিহ্নিত করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। না হলে শত শত মায়ের কান্নায় আকাশ-বাতাস বিদীর্ণ হবে। তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।        

অলিউর রহমান ফিরোজ
সাংবাদিক
মিরাপড়া, রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]

নিত্যপণ্যের দাম কমাতে হবে

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৮ এএম
নিত্যপণ্যের দাম কমাতে হবে

কৃষি ফসল উৎপাদনে কৃষকের অবদান সবচেয়ে বেশি। কৃষক আছেন বলেই আমাদের খাদ্যসংকট হচ্ছে না। প্রতিটি কৃষিপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। কিনতে গেলে হাত পুড়ে যায়! বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ যদি এতটাই এগিয়ে থাকে, তবে তা নিশ্চিতভাবে দেশের আর্থিক সমৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক। এখন প্রশ্ন জাগে, যে দেশে এত উৎপাদন হচ্ছে, সেখানে কৃষকরা কেন ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না? 

নিত্যপণ্যের দাম এত বেশি কেন? এত বেকারত্ব তথা অভাব-অনটন কেন? কেনইবা এ দেশে জনসংখ্যার সিংহভাগ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে? মুষ্টিমেয় লোক বাদ দিলে অধিকাংশ জিনিসপত্রের দাম শুনে বিস্মিত-অবাক! মাছ-মাংস খেতে তো ভুলে গেল! এটা স্পষ্ট যে, উৎপাদনের সুফল সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছোচ্ছে না। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

শিক্ষক হলেন আলোর বাতিঘর

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ এএম
শিক্ষক হলেন আলোর বাতিঘর

শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে একসময় কতই না মধুময় সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে যেমন ছিল শাসন, তেমনি ছিল স্নেহের স্রোতোধারা। কোনো কোনো শিক্ষককে বাঘের মতো ভয় পেলেও তাদের ভেতরটা ছিল কোমল। তারা যেমন শাসন করতেন, তেমনি ছাত্রদের ব্যাপকভাবে তদারকিও করতেন। কেউ স্কুলে না এলে বাড়ি থেকে ছাত্রদের দিয়ে ধরে নিয়ে আসতেন স্কুলে। কোনো অভিভাবককে তখন কৈফিয়ত দিতে হতো না। শিক্ষকরা তখন ছিলেন সর্বতোভাবে শ্রদ্ধার পাত্র। কিন্তু বর্তমানের প্রেক্ষাপট বদলে গেছে। এখন কেউ কাউকে মানছে না। 

অনেক স্কুলে বেপরোয়া ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণে সিসি ক্যামেরা পর্যন্ত বসাতে হচ্ছে। একজন শিক্ষক আরেকজন শিক্ষকের পেছনে লেগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্ন ঘটছে। তারই প্রতিফল এখন পাচ্ছে তারা। তারা গণহারে পতত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। কাউকে কাউকে জোরজবরদস্তি করা হচ্ছে পদত্যাগ করতে। একজন শিক্ষক সমাজের বাতিঘর। তা যদি দপ করে নিভে যায়, তাহলে পুরো সমাজটাই অন্ধকারে পতিত হবে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হোক দলবাজি ও লেজুড়বৃত্তিমুক্ত। 

অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই কিছু গিরিঙ্গিবাজ শিক্ষক থাকেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ব্যবহার করে নিরীহ ও সাধারণ শিক্ষকদের পদত্যাগে পর্যন্ত বাধ্য করা হচ্ছে, যা দুরভিসন্ধিমূলক। তাদের পাতানো ফাঁদে  পা দেওয়া যাবে না। তাদের চিহ্নিত করে সব প্রতিষ্ঠান থেকে এ ধরনের চালবাজ এবং গুটিবাজ শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠান থেকে দূরীভূত করে শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনাই হবে এখন মূলমন্ত্র।  

অলিউর রহমান ফিরোজ
সাংবাদিক
মিরাপড়া, রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]