ঢাকা ২৭ ভাদ্র ১৪৩১, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিনোদন আর জ্ঞানের ক্ষেত্র গ্রন্থাগার

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১১:৪১ এএম
বিনোদন আর জ্ঞানের ক্ষেত্র গ্রন্থাগার

একসময় গ্রন্থাগারই ছিল পড়ুয়াদের একমাত্র বিনোদন আর জ্ঞানের ক্ষেত্র। তা আজ কোথায়? জানার আগ্রহ বাড়ানোর জন্য গ্রন্থাগারে সরকার নজর দিক। তর্ক-বিতর্ক আর পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল গ্রন্থাগার। ঢাকা শহরের বিউটি বোর্ডিং যেমন ছিল জানার আগ্রহ উসকে দেওয়ার ভিত্তিভূমি, তেমন গ্রাম-মফস্বলে গ্রন্থাগার ছিল যুবসমাজের প্রাণখোলা আড্ডার কেন্দ্র। 

আজ যেমন কোনো কিছু জানতে গেলে অক্লেশে নেট ঘেঁটে জানা যায়। চারদিকে গ্রন্থাগারের আকাল, এ কালের নিউক্লিয়াস পরিবারে জ্ঞানের আদান-প্রদানের বড় অভাব। গ্রন্থাগারের ওই খোলামেলা আড্ডার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে না পারলে জানার আগ্রহ, পড়ার অভ্যাস বাড়বে না। যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে যত বেশি জানার আগ্রহ বাড়বে, ততই মিথ্যার ঠুলি খসে যাবে।

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

গুজব থেকে বেরিয়ে আসুন

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ এএম
গুজব থেকে বেরিয়ে আসুন

গুজব হলো এমন কোনো তথ্য বা খবর, যা প্রমাণিত না হয়ে শুধু প্রচারিত হয় এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এর সত্যতা যাচাই করা হয় না। গুজব একটি সমাজকে অস্থিতিশীল এবং বিভ্রান্তির দিকে ঠেলে দেয়। আমাদের নিজেদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে। বর্তমানে গুজব শুধু ধর্মীয় বা সামাজিক ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হচ্ছে না, রাজনৈতিকভাবেও বিভাজন সৃষ্টিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে আমরা বিভিন্ন সংঘাত ও আক্রমণাত্মক আচরণ দেখতে পাচ্ছি, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। গুজব প্রতিরোধে আমাদের সবার সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। 

এ ক্ষেত্রে জেনারেশন-জেড  মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারে। তারা সাধারণত প্রযুক্তিগত দিক থেকে একটু হলেও এগিয়ে। তারা গুজবে কান দেয় না। যেকোনো তথ্য সমাজে ছড়িয়ে পড়ার আগে আমাদের ফ্যাক্ট চেক করে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট, যেমন- পলিটিফ্যাক্ট, ব্রেকিং নিউজ, স্নোপস প্রভৃতির মাধ্যমে নির্ভুল তথ্য পেতে পারি। এ ছাড়া আমাদের দেশের সংবাদপত্রগুলোর ওপর নির্ভর করা যেতে পারে। 

সাধারণত সংবাদপত্রগুলো সেন্সিটিভ বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দেয় না। তারা ফ্যাক্ট চেক করেই খবর প্রচার করে। সরকারকেও এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যাতে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে না পড়ে। সর্বোপরি গুজব থেকে মুক্তি পেতে আমাদের সবাইকে সচেতন এবং দায়িত্বশীল হতে হবে। সঠিক তথ্যের জন্য নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করা এবং মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে সচেতন থাকা আমাদের সবার দায়িত্ব। এভাবে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে একটি তথ্যবহুল সমাজ গঠন সম্ভব হবে এবং গুজবের প্রভাব কমিয়ে আনা যাবে।

আব্দুল্লাহ আল নোমান
শিক্ষার্থী, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]

চাকরির নামে প্রতারণা

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ এএম
চাকরির নামে প্রতারণা

আমাদের দেশে চাকরি দেওয়ার নামে দিন দিন নিত্যনতুন কায়দায় প্রতারকরা প্রতারণা শুরু করছে। পুরোনো প্রতারণাই নতুনভাবে শুরু হয়ে আবার কিছু লোককে নিঃস্ব করে দিচ্ছে। দেশে-বিদেশে চাকরির লোভের ফাঁদ পেতে বেকার শিক্ষিত ও অশিক্ষিত তরুণসমাজকে সর্বস্বান্ত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এ ছাড়া দেশে নারী পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলছে। বিদেশে চাকরির লোভ দেখিয়ে সীমান্ত দিয়ে ভারত ও পাকিস্তান এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে লোভনীয় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নারী পাচারকারী সংঘবদ্ধ দলটি সক্রিয়। যারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। এদের দেখার যেন কেউ নেই।

বিশেষ করে দেশের সীমান্ত এলাকা খুলনা, সাতক্ষীরা, বেনাপোল, আখাউড়া, হিলি, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, রংপুর নারী পাচারের করিডর হয়ে উঠেছে। চাকরির নামে এসব নিরীহ দরিদ্র ঘরের তরুণী, কুলবধূ এবং স্বামী পরিত্যক্তা নারী পাচারকারীদের টার্গেট। এই নরপশুরা সব নৈতিকতা এবং বিবেক বিসর্জন দিয়ে মানব পাচারের মতো জঘন্য কাজে লিপ্ত। মাদারীপুরের একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র সমুদ্রপথে ঝুঁকির মধ্যে লিবিয়া হয়ে ইতালি পাঠানোর নামে শত শত যুবকের সর্বস্ব লুট করে নেয়। পথিমধ্যে অনেক যুবকের মৃত্যুও হয়। দেশে-বিদেশে চাকরির নামে প্রতারণাকারী ও নারী পাচারকারীদের সরকারকে আরও কঠোর হস্তে দমন করার অনুরোধ করছি।
 
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
গণমাধ্যমকর্মী
১৭ ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া, ঢাকা-১২০৪
[email protected]

রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের চোখে জল

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১০ এএম
রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের চোখে জল

দেশের রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের ভয়াবহ প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করতে হয়। দেশে থাকা পরিবার-পরিজনকে একটু সুখের পরশ দিতে বছরের পর বছর মায়া-মমতা ত্যাগ করে বিদেশ-বিভূঁইয়ে কাটিয়ে দিতে হয়। তার পরও তাদের লক্ষ্য থাকে তার মা-বাবা,স্ত্রী-সন্তানরা একটু ভালো থাকুক।

বেতনের টাকা পেয়েই তারা পরিজনের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এতে তাদের শখ-আহ্লাদ বলতে কিছুই তারা পূরণ করতে পারেন না। দেশে যারা থাকেন প্রবাসীদের ওপর তাদের অভিযোগ যেন লেগেই থাকে। তাদের চাহিদা কখনোই শেষ করতে পারেন না প্রবাসীরা। না স্ত্রীর বা আত্মীয়-স্বজনদের। এমনই হতভাগা আমাদের দেশের প্রবাসী শ্রমিকরা। তাদের রক্তঝরা পরিশ্রমে দেশের রিজার্ভ যেখানে সচল থাকে, সেই রাষ্ট্রও তাদের ব্যাপারে থাকে বড়ই উদাসীন। দেশের বিরাট একটা জনসংখ্যা এখন মধ্যপ্রাচ্যে বসবাস করছেন। সেখানে বেতন কাঠামো কম থাকায় তারা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। আর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে নির্মমভাবে সলিল সমাধি ঘটছে তাদের। অনেকে বাড়িঘর, জায়গা-জমি বিক্রি করে ইউরোপের দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। কিন্তু দেশের দালালরা লিবিয়ায় নিয়ে গিয়ে তাদের ইতালিসহ অন্যান্য রাষ্ট্রে অবৈধভাবে পাঠাচ্ছে। লিবিয়া সিন্ডিকেটধারী অনেক দালাল অনেক সময় আটকে রেখে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। তার দোসর হলো আমাদের দেশেরই কিছু লোভী কুলাঙ্গার দালাল। তাদের লোভের অনলে পড়ে অনেককে দেশে থাকা সব সম্পত্তি বিক্রি করে উদ্ধার পর্যন্ত করতে পারছেন না। কেউ লিবিয়া গিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে পারলেও তাদের আবার ইতালি বা অন্য দেশের সেনাবাহিনীর হাতে দীর্ঘসময় বন্দিদশায় থাকতে হয়। খেয়ে না খেয়ে  দীর্ঘদিন সে অবস্থায় থাকার পর কারও কারও ভাগ্য প্রসন্ন হলেই তাদের সার্থক জীবন হয়ে ওঠে। কিন্তু এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে যে পরিমাণ শারীরিক এবং মানসিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তা ভাবলে গা শিউরে ওঠে। আমরা মাঝে মাঝেই দেখি ভূম্যধসাগরে বোট ডুবে ২০ জন ৩০ জন মারা গেছে। তার মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশের। কিন্তু তার পরও আমাদের রাষ্ট্রের নীরবতা আমাদের ভাবিয়ে তোলে।

অলিউর রহমান ফিরোজ

সাংবাদিক; মিরাপাড়া, রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ

[email protected]

জনতা আজ হতাশ!

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ এএম
জনতা আজ হতাশ!

বাজারে গেলেই মেজাজ যাচ্ছে খারাপ হয়ে। চড়া দামে রোজকার বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে গেরস্তকে। চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আলু, তেল, লবণ- মাসকাবারি বাজার করতে গিয়েও হয়রানির একশেষ। সর্বত্র ঠকতে হচ্ছে সাধারণ জনতাকে। রান্নার মসলায় রং মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঝাঁঝ আনতে সরষের তেলে মেশাতে হচ্ছে উগ্র রাসায়নিক। বলি, মধ্যবিত্ত যাবে কোথায়? টাকা খরচ হচ্ছে পানির মতো এবং বাড়ি ফিরতে হচ্ছে ভেজাল মাল নিয়ে। তাই, কারণে-অকারণে হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে জনতাকে। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে সিট নেই। জনতা আজ হতাশ! 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

 

ঢাকাকে পরিচ্ছন্ন নগরীরূপে গড়ে তুলুন

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৩ এএম
ঢাকাকে পরিচ্ছন্ন নগরীরূপে গড়ে তুলুন

ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। আর সেই ঢাকা বর্তমানে দূষিত নগরী হিসেবে কখনো ১ নম্বরে বা কখনো ২ নম্বরে থাকে। রাজধানী ঢাকায় বিদেশি দূতাবাসের ছড়াছড়ি। বিদেশিরা ঢাকাতেই আসেন। আর সেই ঢাকা যদি দূষিত ও নোংরা নগরী হয়ে থাকে, তা হলে একটা লজ্জাকর ব্যাপার আমাদের জন্য। 

এ অবস্থায় ঢাকাকে পরিচ্ছন্ন নগরীর রূপ দিতে হলে প্রথমত যা করা প্রয়োজন- রাস্তা ও ফুটপাত দখলকারীদের উচ্ছেদ করে সেখানে রাস্তার দুই পাশে গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি খাল পরিষ্কার করে খালের দুই পাশে গাছপালা লাগিয়ে সবুজের ছোঁয়া দেওয়া জরুরি প্রয়োজন। 

লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]