মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গিয়েছি। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে একজন সভাপতি বিদ্যমান। তার গলায় দলীয় কোনো সাইনবোর্ড নেই। সুধীজন হিসেবে তার যশখ্যাতি আছে। স্কুলের ভালোমন্দের সঙ্গে তাকে পাওয়া যায়। কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে অশিক্ষিত এবং অমর্যাদাকর লোকদের এখন স্কুলের সভাপতি হতে হবে। রাজনৈতিক মাঠ গরম থাকতে থাকতেই এ দখলদারদের সভাপতি পদটি দখল করতে হবে। নিয়মনীতির কোনো বালাই নেই। অযোগ্যদেরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদ বাগাতে হবে। এ চিত্র মফস্বলের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। দেশে এক দলের পতন ঘটেছে। সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি কিছুদিন বন্ধ ছিল।
তাতে পণ্য পরিবহনে চাঁদা না লাগায় কাঁচা সবজির দাম কিছুটা কমে গিয়েছিল। মাস না পেরোতেই দখলদাররা আবার ফিরে এসেছে। নতুন লুটেরারা শুরু করছে লুটপাট। হাটের ইজারা, ঘাটের ইজারা। এ দখলদারদের জন্যই কি হাজার হাজার ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে? সব ক্ষেত্রেই দলীয় ক্ষুধার্তরা হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ছে। কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। একদল পালিয়েছে, আরেক দল তা এখন দখলে নিয়েছে। রাষ্ট্র যদি এ জঞ্জাল দূর করতে না পারে, তাহলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। ছাত্র-জনতার লাশের ওপর দিয়ে যে অভ্যুত্থান সফল হলো তা বেহাত হবে এ লুটেরাদের কারণে। তাই আবার জেগে উঠতে হবে। স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে সর্বত্র নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে। দখলদারদের জন্য কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে ভয়াবহ বার্তা পাঠাতে হবে।
অলিউর রহমান ফিরোজ
সাংবাদিক
মিরাপাড়া, রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]